আলোর বিচ্ছুরণ

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:৩৯

আমি এক আলোর বিচ্ছুরণ দেখেছি,সে আলো সূর্যের নয়,

যার তিক্ষ্ণ রশ্মীর নেক নজর কখনও পৃথিবীকে করে রুপে উজ্বালা,

বিস্তীর্ণ সবুজ প্রান্তর সুজলা সূফলা,

প্রাণীকুল উতলা দিবা কর্র্মে হয় চির চন্চল ।



কখনও বা তার প্রতিহিংস্র চাহনির তেজস্ক্রীয়াই ফেটে চৌচির যামিন,

গলধঘর্মে নাভিশ্বাষ উঠে,বাকরুদ্ধ কর্মপরিশ্রান্ত তৃষিত রিদয়,

অগ্নিদগ্ধ বন-বনানী গহীন অরন্যে পাহাড়চুড়া,

লোকান্তরে ছড়াই দাওদাও লেলিহান দাবানল ।



কিন্ত আমি সে আলোর বিচ্ছুরণের কথা বলছি,

যে পবিত্র আলোর দীপ্তিময় আভা গ্রাম শহর নগর বন্দরে

কোটি কোটি কুসংস্কারাচ্ছন্ন আমাবশ্ব্যায় দিকভ্রান্ত বনি আদমের

ক্ষুধিত অন্তরকে করেছে উদ্ভাসিত আলোকোজ্জ্বল ।



আমি এক বহমান পবিত্র ঝরর্নাধারা দেখেছি,

সেটা নয় কোনো হিমালয় চুড়ার গলিত বরফধারা,

যার ক্রমাগত বয়ে চলা নিরন্তর নির্মম প্রয়াসে বিশ্বমানচিত্র

থেকে কতেক অনুন্নত দেশ বিলিনের ভয়াল ইতিহাস আস্তাচল ।



আমি সে ধারার কথা বলছি,যার বিরতিহীন বয়ে চলা

পিরোজপুর থেকে আটষট্টি হাজার জনপদের সীমানা ছড়িয়ে

যুগান্তরের ঘুর্নিপাকে হাজারও চক্ষুকে করেছে বিনম্র কুয়াশায় শিতল,



লাখো ঘরে রাতের কালোতে ঝরে পড়া অশ্রুটলমল

জায়-নামাজের উদর চিরে মুক্তধারায় তাকওয়ার তরী বেয়ে

ফেরদৌসের সাগরে অথৈপ্রবাহ তরংগায়ীত করেছে

সময়ের রেনুতে রেনুতে অসংখ্য কপল ।



আমি একটি কন্ঠস্বরে সুরের হুংকার দেখেছি,সেটা নয় কোনো

বটমুলের কনসার্টে উশৃংখল গিটারের এ্যাবনরমাল উচ্চারণ,

ব্যান্ডের তালে তালে পশ্চীমাশক্ত যুগোলাবদ্ধ

উদ্ভট নড়াচড়াই ধুমায়িত মুখে উম্মাদীয় বোল।



নয় কোনো ফুলেলো লালসালুই মোড়ানো মাজার খাদক পীর মুর্শিদী

শেষ রাতে ঢাক পিটানো হুক্কুর ধ্বনীর দেহ-দোলানো হুলুস্তুল ।

নয় কোনো মুক্তাঙ্গন পল্টন নয়া পল্টন কিংবা বোত্রিশ নম্বর মন্চে রাজনীতিকের খৈফোটা দেমাগী ফুলঝুরীর চর্বিত মিথ্যা ডামাডল ।



আমি সে খোদায়ী সৈনীকের বীরচিত নির্ভিক কন্ঠে

সত্যের সাহসী উচ্চারণ এর কথা বলছি,যে সুরের অলৌকিক মুর্ছনায় মনোমুগ্ধ আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা ধর্ম-বর্ণ বংশ-গোত্র

বিভেদ-বিসংবাদ ভুলিয়ে করতো সীরাতুল মুস্তাক্বীমে শামিল ।



যে কন্ঠস্বরের পবিত্র হুংকারে কেপে উঠে জাগতিক যত তাগুত মুরতাদ অপশক্তির ভীত, বাজিকরদের চোখে সে যেনো এক সাক্ষাৎ আজরাইল ।

যে কন্ঠের অমীয় সুধা হাজার বেদীনের কলবে উচ্চারিত করেছে শাশ্ব্যত কালীমার বানী লাখো ফেরেশতা ঘিরে রাখতো যার সেই সে মাহফিল ।



আমি আজ গণমানুষের বুক ফাটা আর্তনাদ দেখেছি,

সেটা নয় কোনো সাইমুম সাইক্লোন ভুমিকম্প কিংবা সুনামীর

থাবায় থরথর ভয়াল ভবলীলায় ক্রন্দোশী গণমানুষের

সুতিব্র রোনাজারীতে স্তব্ধ পৃথিবীর বাকরুদ্ধ অশ্রুজল ।



নয় কোনো মরণ বোমার ক্রসেডীয় বিস্ফোরনে বিদ্ধস্ত আফগান আরাকান

ক্ষতবিক্ষত তুনিস মিশর সিরিয়া ,ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ফিলিস্তিনী

মানবতার ফিন্কী রক্তে রন্জিত বাহু সম্প্রসারিত প্রভুর পানে

মাজলুমানের গগন বিদারী আর্তনাদ আকুল ।



আমি সে আর্তনাদের কথা বলছি,যে হাহাকার বাংলার ষোলো কোটি মানুষের রিদয়ের স্পন্দন,তাকবীর ধ্বনীতে করেছে আড়াল,

ঘরে বাইরে সমন্বিত প্রার্থনায় বিবেক বিগলিত বন্ধ-চোখের প্রেমাঞ্জল ।



সে আর্তনাদ আজ জাগ্রত জনতার শ্লোগান,আর নয় জনপদ রক্তলাল

মরণ-পণ অঙ্গিকার সর্বত্রই,আর নয় লাল দালানে নির্দোষ অশ্রুর মিছিল

হয় মৃত্য,না হয় মুক্তির অন্ব্যেষায় রাজপথে থাকবো চির-অটুট অবিচল

সত্যোঞ্জয়ী সাঈদী হুজুর মুক্তিপাক ভেঙ্গে যাক জালীমের গারদ শিকল ।



মোশাররাফ

১২.১২.১২

০ টি +০/-০