![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাম্প্রতিক আমাদের দেশে জঙ্গীবাদ বা ধর্মীয় উগ্রতাসম্পন্ন যে ঘটনাগুলো সংঘটিত হয়েছে, বিশেষ করে গুলশান হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট ও শোলাকিয়া ঈদের জামাতে, সে বিষয়ের উৎস খুঁজতে গিয়েও অনেক জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিত্ব, রাজনীতিক, অধ্যাপক, সাংবাদিকগণ বিভিন্ন তত্ত্বের অবতারণা করেছেন। একাডেমিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এসব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মূল্য তথা গুরুত্ব রয়েছে।তাই বাংলাদেশের জঙ্গীবাদ ও ধর্মীয় উগ্রতার উৎসের সন্ধানে সর্বাগ্রে এই বাংলাদেশের জন্মের পটভূমি বা পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনায় নেয়া বাঞ্ছনীয়। লাদেশের ইতিহাসে সশস্ত্র জঙ্গীবাদী হত্যাযজ্ঞের এবং নৃশংসতার, সন্ত্রাসের সেটিই ছিল প্রথম এবং সবচেয়ে জঘন্যতম একটি ঘটনা। কারা সংঘটিত করেছিল এই হত্যাযজ্ঞ তা এখন প্রমাণিত। এরা আমাদের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ভূ-লুণ্ঠিত করেছিল। এর প্রথম এবং প্রারম্ভিক ভিত রচিত হয়েছিল সেই ১৯৭৭ সালে। জাতির দুর্ভাগ্য, মহান মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক দর্শনের ধারক ও লালন-পালনকারী রাজাকার, আলবদর ও তাদের পৃষ্ঠপোষক রাজনৈতিক শক্তিসমূহ দীর্ঘ সময় এই দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। পঁচাত্তরের পর থেকে ছিয়ানব্বইয়ের আগ পর্যন্ত টানা এই একুশ বছর পাকিস্তানপন্থী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী রাজক্ষমতা ভোগ করেছিল। সেই সময়টাতে তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গীবাদ বাস্তবায়নের সহায়ক সকল উপাদান তৈরি করেছে। অনুকূল পরিবেশে জঙ্গীরা নিজেদের অপশক্তিকে বৃদ্ধি করেছিল। এই সময়টাতে জঙ্গী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ডালপালা।
©somewhere in net ltd.