![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আধার কাটিয়ে আলোকিত হচ্ছে সমুদ্র বেষ্টিত দ্বীপ সন্দ্বীপ। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে সন্দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ২০১৮ সালের জুনের মধ্যেই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সন্দ্বীপের মানুষ প্রথমবারের মতো জাতীয় গ্রিডের আওতায় বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন। এর ফলে সেখানকার তিন লাখ বাসিন্দার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তব রূপ নিতে যাচ্ছে। এছাড়া শুধু বিদ্যুৎ সুবিধার অভাবে পিছিয়ে পড়া সমুদ্রবেষ্টিত এই জনপদে আমূল পরিবর্তন আসবে। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে ১৬ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ দিয়ে সন্দ্বীপকে জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত করা হবে। শুরুতে সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে সিঙ্গেল লাইন সাবমেরিন ক্যাবল বসানোর কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে নির্ভরযোগ্যতা এবং দুর্ঘটনা এড়াতে এই লাইন ডাবল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যাতে কোনো কারণে একটি লাইনে ত্রুটি দেখা দিলে অন্য লাইন সচল থাকে। এ কারণে প্রাথমিক হিসাবে সাবমেরিন প্রকল্প ব্যয় ৮০ কোটি টাকা ধরা হলেও পরে এই ব্যয় প্রায় ১৪৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়। বাড়বকুণ্ড থেকে সন্দ্বীপের যে চ্যানেলে সাবমেরিন ক্যাবল বসানোর কাজ হবে সমুদ্রের সেই অঞ্চল স্বাভাবিকভাবেই একটু উত্তাল থাকে। যে কারণে শুধু শুকনো মৌসুমে কাজ করতে হবে। এর পরও প্রকল্পের নির্ধারিত সময় ২০১৮ সালের জুন মাসের মধ্যেই শেষ করা হবে। বিদ্যুৎ হচ্ছে যেকোনো উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। সন্দ্বীপ উপজেলার মানুষ জন্মলগ্ন থেকে এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে সকল সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এই জনপদ অন্য উপজেলা থেকে অবহেলিত। অথচ দ্বীপটির প্রবাসীরাই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় সাড়ে ১১ শতাংশ জোগান দেয়। শুধু জাতীয় গ্রিডের আওতায় এলে সন্দ্বীপে অনেক শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠবে। চারদিকে সমুদ্রবেষ্টিত হওয়ার কারণে পর্যটনভিত্তিক শিল্প গড়ে ওঠার খুব ভালো সম্ভাবনাও তৈরি হবে।
©somewhere in net ltd.