![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঢাকার যানজট নিরসনে পাতাল রেল (সাবওয়ে) নির্মাণের পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে চারটি সাবওয়ে লাইনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জাপানের ওসাকা শহরের মতোই রাজধানীর মাটির ২০ থেকে ২৫ মিটার গভীরে পাতালরেল নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। ঢাকা শহরের তলদেশ ও ভূমির বৈশিষ্ট্য পাতালরেল (আন্ডারগ্রাউন্ড সাবওয়ে) নির্মাণের উপযোগী, যা জাপানের ওসাকা শহরের অনুরূপ। ঢাকা শহরের পলি মাটির সঙ্গে জাপানের ওসাকা শহরের যথেষ্ট মিল রয়েছে। এ নরম মাটি পাতালরেল নির্মাণের উপযোগী। আমাদের পাশের কলকাতা শহরেও পাতালরেল নির্মাণ করা হয়েছে। তাদের মাটির সঙ্গেও আমাদের মিল রয়েছে। আবার লন্ডনে শক্ত মাটির নিচ দিয়েও পাতালরেল নির্মাণ করা হয়েছে। প্রযুক্তিকে ভালোভাবে ব্যবহার করলে পাতালরেল নির্মাণে কোনো ঝুঁকি নেই। পাতালরেল নির্মাণে টানেল খননে অত্যাধুনিক টানেল বোরিং মেশিন ব্যবহৃত হয় বলে নির্মাণকালীন জনদুর্ভোগ খুবই কম। পরিবেশ বিপর্যয়ও হয় না বলা বললেই চলে। সাবওয়ে নির্মিত হলে জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ মাটির নিচ দিয়ে চলাচল করবে। ফলশ্রুতিতে ভূমির উপরিভাগে জনসংখ্যার চলাচল কমে ঢাকায় যানজট কমে আসবে। সড়কপথে যেখানে ১০০ বাসে ঘণ্টায় ১০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারেন, সেখানে পাতালরেলে ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী চলাচল করতে পারবেন। উড়াল সেতুর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল ৫০ থেকে ৭৫ বছর হলেও পাতালরেলের স্থায়িত্বকাল প্রায় ১০০ থেকে ১২৫ বছর হবে। ঢাকা শহরের জনসংখ্যা প্রায় এক কোটি ৭০ লাখ। বিদ্যমান সড়কের ধারণ ক্ষমতা ০ দশমিক ৩ মিলিয়ন হলেও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের(বিআরটিএ) হিসাব অনুসারে নিবন্ধিত যানবাহনের সংখ্যা ০ দশমিক ৯ মিলিয়ন। এ পরিস্থিতিতে বিআরটি, ঢাকা মেট্রো, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল দিয়ে যানজটের সম্পূর্ণ নিরসন সম্ভব নয়। আধুনিক বিশ্বের সিউল, লন্ডন, নিউইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকো, বাগোটা শহরে ফ্লাইওভার ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অপসারণ করে পাতালরেল নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহরে পাতালরেল (সাবওয়ে) পথ নির্মাণের লক্ষ্যে চারটি রুট চিহ্নিত করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। সমীক্ষা প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে পাঠানো হয়েছে। ২৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সমীক্ষা পরিচালনা করা হবে। ১৮ মাসের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে এ সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় পাতালরেলের অবস্থান, এলাইনমেন্ট ও দৈর্ঘ্য নির্ধারণ, জিওটেকনিক্যাল ইনভেস্টিগেশন ও ট্রাফিক সার্ভে পরিচালনা করা হবে। প্রাথমিক নকশা, ভূমি অধিগ্রহণ পরিকল্পনা ও আর্থিক বিশ্লেষণ করা হবে। এর পরেই বিশাল ব্যয়ের মেগা প্রকল্পটি গ্রহণ করবে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, যা বাস্তবায়ন করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে অথবা জিটুজি ভিত্তিতে মূল পাতালরেল নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় মেটানোর পরিকল্পনা করছে সেতু কর্তৃপক্ষ।
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: যারা ভাবছেন হাসিনা-খালেদা গংদের অত্যাচার থেকে মরণের পর রেহায় পাওয়া যাবে তাদের চিন্তা ধারায় অতিসীগ্রই ছেদ পরতে যাচ্ছে
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:০৩
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২
চাঁদগাজী বলেছেন:
বৃস্টি ও বন্যার দেশে মানুষকে কবর দিয়ে শান্তি নেই, সেখানে মাটির নীচে রেল চালানো কি সম্ভব ?
রিপেয়ার করবে কে?
৫| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৪৬
কালীদাস বলেছেন: করা তো উচিত ছিল এটাই। মাঝখানে মেট্রোরেল নিয়ে এই গ্যান্জাম লাগানোর কি দরকারটা ছিল?
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৩
জাহিদ অনিক বলেছেন: যে হারে রাস্তা কাটাকুটি করে কাজ চলতেছে তাতে মেট্রো রেলের কাজ দ্রুত শেষ হবে এটাই আশা ।
পদ্মা সেতুর নড়বড়ে ভিত্তির জন্য নাকি সেতুর সাথে রেল লাইন বাদ দেয়া হচ্ছে !
আর পাতাল রেল তো বহুত দূর কি বাত !