![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জৈব খাদ্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই গুরুত্বের কথা বিবেচনা করেই জৈব খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে এ খাতে ১৫ শতাংশ ভর্তুকি সহযোগিতা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্প্রতি রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) কার্যালয়ে ‘অর্গানিক ফুড: নিউ ইরা অব এগ্রি-বিজনেস’ শীর্ষক এক সেমিনারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দেশের খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। এ সেমিনারের আয়োজন করেছিল এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রোমোশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব এগ্রিকালচার সেক্টর। বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ণ। জনবান্ধব সরকার তাই উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতের সময়োপযোগী উদ্যোগ বাস্তবায়নে তৎপর হয়েছে। এ জন্যই অর্গানিক খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের পরিকল্পনা করছে সরকার। এ দেশে আগে প্রচুর পরিমাণে অর্গানিক অর্থাৎ জৈব খাদ্য উৎপন্ন হতো। কিন্তু উৎপাদন বৃদ্ধির অজুহাতে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কৃত্রিম রাসায়নিক সারের আগ্রাসণ ক্রমে সেই ঐতিহ্যকে পেছনে হঁটিয়ে দিয়েছে। এখন নিরাপদ খাদ্যের জন্য আবারও জৈব খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা ক্রমশঃ বাড়ছে। তবে জৈব খাদ্যের কারণে কোনোভাবেই উৎপাদন যাতে না কমে সেদিকেও নজর বাড়াতে হবে। সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের আওতায় বর্তমানে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ফুড সেফটি অথরিটির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে নিয়মিতভাবে ভেজাল বিরোধী অভিযানও পরিচালিত হচ্ছে। তবে আগামীতে ছোট-খাটো দোকান কিংবা বাজার-আড়ত পর্যায়ে নয়; উৎপাদন পর্যায়েও এই অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করছে সরকার। বর্তমানে দেশের মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা অনেকাংশেই বেড়েছে। তাদের কাছে এখন খাদ্যের মূল্য গুরুত্বপূর্ণ নয়; গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য। তাই আগামী প্রজন্মের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশে ফুড সেফটি অথরিটির ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি অর্গানিক খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করতে হবে। বর্তমান সরকারের অন্যান্য অনেক সাফল্যের ধারাবাহিকতায় দেশে জৈব খাদ্যের উৎপাদন বৃদ্ধির সময়োপযোগী উদ্যোগও সফল হবে – এটাই সকলের প্রত্যাশা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:৪১
ইয়াসিরআরাফাত বলেছেন: জৈব খাদ্যের উৎপাদনের প্রতি সরকারের গুরুত্বারুপ করতে হবে ।