![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ষড়যন্ত্র তত্ত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বিএনপি। তাদেরই উত্তরসূরিদের সুদুরপ্রসারি নীলনকশার চূড়ান্ত পরিণতি ছিল ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ যাতে সপরিবারে নিহত হোন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। সেই র ষড়যন্ত্রের নীলনকশা নেপথ্য নায়ক ছিলেন মেজর জিয়া, যার অস্থি-মজ্জা ও রক্তের প্রতি ফোটায় মিশে ছিল বেঈমানী আর বিশ্বাসঘাতকতা। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত তার সেই বেঈমানী আর ষড়যন্ত্রের ক্রমধারা আজও যথাযথ ভাবেই বয়ে নিয়ে যাচ্ছে বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেত্রী লন্ডনে চিকিৎসার নামে কোন ষড়যন্ত্রের মহড়া চালাচ্ছে তা কেবল ভবিতব্যই জানে। তবে সেটি যে খুব সুখের হবে না তা পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুমান করা কঠিন নয়। ২০১৫ সালে বেগম জিয়ার বিলাত ভ্রমণের পর হঠাৎ করেই এদেশে দু'জন বিদেশী নাগরিক খুন হয়, যা এর আগে কখনোই ঘটেনি। সে সময় দেশের পরিস্থিতি এমনিতেই অস্থিতিশীল ছিল, সরকারকে বিব্রত করাই যে বিদেশী হত্যার মোটিভ ছিল তা প্রায় নিশ্চিত। আগে বেগম জিয়া চিকিৎসার জন্য নিয়মিত সৌদি আরবে যেতেন কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে তিনি আর ও মুখী হচ্ছেন না। কারণ সে দেশে শলা-পরামর্শ আর কুমতলবের ফন্দি আটার মত একজন তারেক রহমান যে নেই। আর তা ছাড়া বিএনপি'র দুই কান্ডারীর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে ক্ষমতাধর তারেক রহমান, যে কিনা আগামী নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার মূল সিদ্ধান্তদাতা। ধারণা করা হচ্ছে বিএনপির সহায়ক সরকারের মূল নকশাটিতেও তার অনুমোদন আবশ্যক, যদিও বিএনপিতে যোগ্য, অভিজ্ঞ আইনজীবি, বুদ্ধিজীবি, চিন্তাবিদের অভাব নেই। কিন্তু সেই অভিজ্ঞরাই এখন নাস্তানাবুদ হাঁটুর বয়সী তারেকের আধিপত্যের নিকট। যত যোগ্য ও অভিজ্ঞই হোক না কেন ভবিষ্যতে এমপি, মন্ত্রী হতে যে তারেকের অনুমোদনই একমাত্র ভরসা। তাই সহায়ক সরকারের বিষয়ে ধারণা থাকলেও সিনিয়র নেতারা চুপ করে আছেন পাছে দুর্নীতির এই বরপুত্র না ক্ষেপে যান। দেশের মানুষের কাছে তারেক রহমানের পরিচয় একজন চিহ্নিত অপরাধি, দুর্নীতিবাজ, বিদেশে অর্থ-পাচারকারি হিসাবে। সে-ই কিনা এখন দলটির দন্ডমুন্ডের কর্তা। তার কাছ থেকেই শুনতে হয় নসিহত এবং আসছে নির্বাচনের 'সহায়ক' পদ্ধতির কথা। আর এটি মেনে কিনা নির্বাচনে যাবে আওয়ামী লীগ ও অপরাপর দলগুলো, কি অর্বাচীন ধ্যান-ধারণা। তাই ত্রি-পক্ষীয় লড়াইয়ের গ্যাঁড়াকলে আছে বিএনপির সহায়ক সরকার। প্রথমত দলের উচ্চ পর্যায়ের সিনিয়র নেতাদের হাতে, দ্বিতীয়ত বেগম জিয়ার হাতে, তৃতীয় ও চূড়ান্ত পর্যায়ে তারেক রহমানের হাতে। তবে এটি কবে নাগাদ রাজনীতির ময়দানে আবির্ভূত হবে, কেমন হবে এর রূপ, এর বিন্দু-বিসর্গ এখনও কেউই জানে না। তবে অবশেষে এটি নাজিল হবে কার মাধ্যমে এবং আছে কোথায় তা-ই দেখার অপেক্ষায় দেশবাসী।
২| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
তপোবণ বলেছেন: ভয়ের কোন কারণ নেই। বিএনপি যতোই ষড়যন্ত্র করুক বর্তমান গণতন্ত্রে আওয়ামীলীগই সরকার গঠন করবে।
৩| ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:১৬
প্রোলার্ড বলেছেন: শুনলাম কাক্কুও নাকি ভারত যাইতেছেন । বেগম জিয়া লন্ডনে ।আওয়ামী লীগ জনপ্রিয় দল হলে এতে ভয় পাবার কি আছে ?
ভারত বা লন্ডনের লোকেরা তো বাংলাদেশের নির্বাচনে ভোটার না ? নাকি বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিলেও মসনদের চাবি ঐ দেশগুলোতে?
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
"ষড়যন্ত্র তত্ত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বিএনপি। তাদেরই উত্তরসূরিদের সুদুরপ্রসারি নীলনকশার চূড়ান্ত পরিণতি ছিল ১৫ আগস্টের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ যাতে সপরিবারে নিহত হোন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। "
-"উত্তরসূরিদের", নাকি পূর্বসুরীদের?