![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহাবী আবূ সাইদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন,
আমার মৃত্যুর পর শেষ যামানায় আমার উম্মতের মধ্য হতে পূর্বের কোন দেশ
থেকে একটি জামাআত বের হবে,
তারা কুরআন পাঠ করবে, তাদের কুরআন পাঠ তোমাদের কুরআন পাঠের
তুলনায় খুবই সুন্দর হবে । কুরআনের প্রতি বাহ্যত তাদের ভক্তি শ্রদ্ধা ও
আন্তরিকতা দেখে মনে হবে যেন ওরা কুরআনের জন্য কুরআন ওদের জন্য ।
কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওরা কুরআনের প্রতিটি আয়াতের উপরে ঈমান রাখবে না এবং
কুরআনের কঠিন নির্দেশের উপর আমল করবে না ।
এই জামা'আতের অধিকাংশ লোক হবে অশিক্ষিত ও মূর্খ ।
যেমন কুরআন ও হাদীসের জ্ঞানে হবে মূর্খ তেমন সাধারণ জ্ঞানেও হবে মূর্খ ।
এই জামাআতে যদি কোন শিক্ষিত লোক যোগদান করে তাহলে তার আচরণ ও
স্বভাব হয়ে যাবে জামাআতে যোগদানকারী অন্যান্য মূর্খের মত ।
মূর্খরা যেমন মূর্খতার আনুগত্য করবে তেমনি শিক্ষিত লোকটিও মূর্খদেরই
আনুগত্য করবে ।
এই জামা'আতের বয়ান ও বক্তৃতায় থাকবে কেবল ফযিলাতের বয়ান ।
বিভিন্ন আমলে সর্বোচ্চ ফযিলাতের প্রমাণহীন বর্ণনাই হবে তাদের বয়ানের
বিষয়বস্তু ।
হে মুসলমানগণ ! ঐ জামা'আতের লোকদের নামায, রোযা অন্যান্য আমল
এতই সুন্দর হবে যে, তোমরা তোমাদের নামায, রোযা ও আমল সমূহকে
তাদের তুলনায় তুচ্ছ মনে করবে ।
এই জামা'আতের লোকেরা সাধারণ মানুষকে কুরআনের পথে তথা দ্বীনের পথে
চলার নামে ডাকবে,
কিন্তু তারা চলবে তাদের তৈরী করা পথে, ডাকলেও তারা কুরআনের পথে
চলবে না ।
তাদের ওয়াজ ও বয়ান হবে মধুর মত মিষ্টি, ব্যবহার হবে চিনির মত সুস্বাদু,
তাদের ভাষা হবে সকল মিষ্টির চাইতে মিষ্টি । তাদের পোশাক পরিচ্ছদ ধারণ-
ধরণ হবে খুবই আকর্ষণীয়,
যেমন সুন্দর হরিণ তার হরিণির পিছনে যেমন ছুটতে থাকে
তেমন সাধারণ মানুষ তাদের মিষ্ট ব্যবহার, আমলের প্রদর্শনী ও সুমধুর ওয়াজ
শুনে তাদের জামা'আতের দিকে ছুটতে থাকবে ।
তাদের অন্তর হবে ব্যাঘ্রের মত হিংস্র ।
বাঘের অন্তরে যেমন কোন পশুর চিৎকার মমতা প্রকাশ করে না,
তেমন কুরআন ও হাদীসের বাণী যতই মধুর হোক তাদের অন্তরে প্রবেশ করবে
না ।
তাদের কথাবার্তা আমল আচরণ, বয়ান যেগুলি তারা তাদের জন্য নির্ধারণ
করে নিয়েছে,
তার-ভিতরকার কুরআন সুন্নাহ বিরোধী আমলগুলি বর্জন করে
কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক আমল করার জন্য যতবার কেউ কুরআন ও সুন্নাহ
প্রদর্শন করুক বাঘের অন্তরে যেমন মমতা প্রবেশ করে না তেমন তাদের অন্তরে
কুরআন ও সুন্নার প্রবেশ করবে না ।
তাদের জামা'আতে প্রবেশ করার পর তাদের মিষ্টি ব্যবহারে মানুষ হবে মুগ্ধ,
কিন্তু ঐ মনোমুগ্ধ ব্যবহারের পেছনে জীবন ধ্বংসকারী, ঈমান বিনষ্টকারী,
ইসলামী মুল্যবোধ বিনষ্টকারী মারাত্মক বিষ বিরাজমান থাকবে ।
তাদের প্রশিক্ষন ধীরে ধীরে মানুষের অন্তর হতে আল্লাহ ও রাসূল (সাঃ) এ
আনুগত্যের প্রেরণা শেষ করে দেবে এবং
জামা'আতের আমীরদের আনুগত্যের প্রতি মরণপণ আকৃষ্ট করবে ।
আমীরগণ দেখতে হবে খাঁটি পরহেজগার দ্বীনদার ব্যক্তিদের মত,
কিন্তু তার অন্তর হবে শয়তানের মত, কুরআন সুন্নাহের প্রতি বিদ্রোহী ।
আমীরগণ যা করে যাচ্ছে তার মধ্যে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন কাজ
কখনো কেউ ধরিয়ে দিলে কোনক্রমেই তা পরিবর্তন করতে প্রস্তুত হবে না ।
অর্থাৎ কুরআন হাদীস উপস্থাপন করার পর তারা কুরআন হাদীস দেখেও
কুরআন হাদীস বর্জন করে মুরব্বীদের কথা মানবে ।
কুরআন হাদীসের প্রতি তাদের অনীহা এতই তীব্র হবে যে, তারা অর্থসহ
কুরআন হাদীস কখনই পড়বে না, পড়ানোও যাবে না ।
এই জামা'আতটি ইসলামের তাবলীগ করার কথা যতই বলুক কুরআন যত
সুন্দরই পাঠ করুক, নামায রোযা যতই সুন্দর হোক, আমল যতই চমৎকার
হোক, মূলতঃ ঐ জামা'আতটি ইলসালম হতে বহির্ভূত হবে ।
সাহাবাগণ (রাঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ঐ দলটি চিনবার সহজ
উপায় কি হবে ? আমাদিগকে জানিয়ে দিন ।
রাসূল (সাঃ) বললেন, এই ইসলাম বহির্ভূত জামা'আতটি চিনবার সহজ উপায়
হল-
১) তারা যখন তালীমে বসবে, গোল হয়ে বসবে ।
২) অল্প সময়ের মধ্যে এই জামা'আতের লোকসংখ্যা খুব বেশী হবে ।
৩) এই জামা'আতের আমীর ও মুরব্বীদের মাথা নেড়া হবে । তারা মাথা
কামিয়ে ফেলবে ।
তীর মারলে ধনুক থেকে তীর বেরিয়ে যায় । ঐ তীর আর কখনও ধনুকের
দিকে ফিরে আসে না,
তেমন যারা এই জামা'আতে যোগদান করবে তারা কখনও আর দ্বীনের দিকে
ফিরে আসবে না ।
অর্থাৎ এই জামা'আতকে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য কুরআন হাদীস যত
দেখানো হোক, যত চেষ্টাই করা হোক না কেন দলটি দ্বীনের পথে ফিরে আসবে
না ।
এদের সাথে তোমাদের যেখানেই স্বাক্ষাত হোক, সংগ্রাম হবে তোমাদের অনিবার্য
। এই সংগ্রাম যদি কখনও যুদ্ধে পরিণত হয় তাহলে তা থেকেও পিছ পা হবে
না ।
এই সংগ্রামে বা যুদ্ধে যারা মৃত্যুবরণ করবে, তাদেরকে যে পুরষ্কার আল্লাহ
দান
করবেন তা অন্য কোন নেক কাজে দান করবেন না
(বুখারী, আরবী দিল্লীঃ ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২৪, ১১২৮, মুয়াত্তা ইমামা মালেক,
আরবী ১ম খন্ড, পৃঃ ১৩৮, আবূ দাউদ, আরবী দিল্লী, ২য় খন্ড, পৃঃ ৬৫৬,
তিরমিযী, মিশকাত, আরবী, ২য় খন্ড, পৃঃ ৪৫৫, মুসলিম,মিশকাত, আরবী,
২য় খন্ড, পৃঃ ৪৬২)
হাদীস সমূহের বর্ণনাকারী হলেন আবূ সাঈদ খুদরী, আলী, আবূ হুরায়রা,
আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) । (দেখুন সহীহ আল বুখারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ
৬৪৪৯, ৬৪৫০, ৬৪৫২, ৭০৪১ (আ.প্র.), বাংলা অনুবাদ মুয়াত্তা মালেকঃ
ই.ফা. ১ম খন্ড, হাঃ নং- ৫৭৮)
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১০
আজমল হক (আজম) বলেছেন: প্রকৃত মুসলমানের লেখা, বলা, এরকম হতেই পারে না ।
মুসলমানের কাজ সৎ কাজের আদেশ অসৎ কাজের নিষেধ ।
অসৎ কাজের নিষেধ করতে হবে-সামর্থ থাকলে শক্ত প্রয়োগের মাধ্যমে, না থাকলে লেখার বা বলার দ্বারা, না পারলে কৌশলে সামর্থবান ব্যক্তির দ্বারা ।
না পারলে অন্ততঃ মনে মনে ঘৃণার দ্বারা............
যার যার মত করতে দেন এটা কোন ধর্মের কথা ??? !!!
২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
আহমেদ রশীদ বলেছেন: তাবলীগ জামাতের বিরোধিতা করলেন তাই না? আমি মনে করি রাসুলের সুন্নাত কে একমাত্র এরা ধরে রাখছে আর সবাই গোমরা পথে চলছে আমি মনে করি। আমি নামাজ পড়ি না কিন্তু এই তাবলীগ আমাকে নামাজ পড়ার অভ্যাস ও শিক্ষা দিয়েছে আর কোন দলতো আমাকে কোনদিন নামাজের কথা বলে নি। আমার এক ভাই ছিল নেশাখোর সেওতো এই তাবলীগে যেয়ে ভাল হয়ে গেছে। আমি বুঝতেছিনা আপনি কোন ভন্ড পিরের মুরিদ। আমার অবিশ্বাস হচ্ছে আপনি ঠিকমত নামাজ পড়েন কিনা। ধিক, শয়তান শত ধিক।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০২
আজমল হক (আজম) বলেছেন: হেদায়েতের মালিক একমাত্র আল্লাহ তা'য়ালা ।
কেউ যদি বলে অমুক দল/অমুকে আমাকে হেদায়েত করেছে এটা শির্ক হবে ।
এ রকম লেখা/বলা/বিশ্বাস করা থাকলে মৃত্যুর আগে খাঁটি তাওবা করতে হবে ।
৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
জাহিদ গাছবাড়ী বলেছেন: right,
৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩
জাহিদ গাছবাড়ী বলেছেন: right,
৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০২
প্রকৃতির প্রতিফলন বলেছেন: ভাই, হাদিসটি তো খুঁজেই পেলাম না।
৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৯
এ.ডি.এম শাফী বলেছেন: আপনার এই বিশাল উদ্ধৃতি একটা হাদিস নয়! অনেকগুলো হাদিসকে জোড়া দিয়েছেন মনের মতো করে,আর এর কিছু বক্তব্য মোটেও হাদিস নয়,বরং বানোয়াট!
উদ্ধৃতিটার যেটুকু সহীহ তা ইতিহাস প্রসিদ্ধ খারিজিদের সাথে মিলে গেছে বহু আগেই,আলী রাঃ যখন খারিজিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন তখন রাসূলের সাহাবারাই সাক্ষ্য দিয়েছিলেন যে এদের কথায় হাদিসে বলা হয়েছে।
৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৪
এ.ডি.এম শাফী বলেছেন: আর নিচে যে হাদিসগ্রন্থগুলোর উদ্ধৃতি দিয়েছেন তার একটাতেও আপনার এই উদ্ধৃতি পাওয়া যাবে না,চ্যালেন্জ দিলাম! পীরের মুরিদদের এই এক কান্ড,সম্পূর্ণ অপ্রাসংগীকভাবে কোন একটা বিষয়ের উপর বিতর্কে প্রচুর কুরআন আর হাদিসের উদ্ধৃতি দিবে আইওয়াশ করার জন্য,অথচ পুরো বক্তব্য পড়ার পর পাঠকের অবস্থা হবে "সাত খন্ড রামায়ন পড়ে সীতা কার বাপ" এর মতো!
৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
Engr. Atiqur Rahman বলেছেন: হদিসের যে রেফারেঞ্চ দিলেন, কোথাও খুজে পেলাম না।
স্পষ্ট করে বলেন হাদিসটি কোন কিতাবে আপনি নিজে দেখেছেন না কপি-পেস্ট মারছেন?
আশা করি পরিস্কার উত্তর দিবেন।
৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫০
মুহাই বলেছেন: ট্যাবলীগ ।অনেকগুলো সংকলন একত্র করলে এটা টাবলীগীদের সাথে হুবহু মিলে যায় ।
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৮:০৭
আজমল হক (আজম) বলেছেন: হতে পারে ।
আমরা যে মতের বা দলের হই না কেল এরকম হওয়া উচত নয়-
আমীরগণ যা করে যাচ্ছে তার মধ্যে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী কোন কাজ
কখনো কেউ ধরিয়ে দিলে কোনক্রমেই তা পরিবর্তন করতে প্রস্তুত হবে না ।
অর্থাৎ কুরআন হাদীস উপস্থাপন করার পর তারা কুরআন হাদীস দেখেও
কুরআন হাদীস বর্জন করে মুরব্বীদের কথা মানবে ।
১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১২
প্রতিবাদী_কন্ঠ বলেছেন: এই জামা'আতের আমীর ও মুরব্বীদের মাথা নেড়া হবে । তারা মাথা
কামিয়ে ফেলবে ।
Ei line a onno dhormo ke bidrup kora hoyeche
১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
একজন ছেলে বলেছেন: ওহে মুসলিম উম্মাহ আসুন পীরের মাজ্রে নগদ টাকা পয়সা গরু ছাগল মহিষ লিয়ে অরছ পালন করে বাংলা মদ খেয়ে নাচানাচি করে কবরে সিজদা দিয়ে কবর পূজা করে নিজেদের ও পীরেদের উদ্দেশ্য হাসিল করি
১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৪
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: প্লীজ কেউ একজন ভালোমতো যেনে বলুনতো আসল কাহিনী কি? ভালো জিনিষ যদি লিখে সমস্যা নাই। কিন্তু দিনের পর দিন ভাওতাবাজি করলে মেজাজ-টা ঠিক থাকে না
১৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৭
শেষের_কবিতা বলেছেন:
ভাই, আপনারা কেন এসব ক্যাচাল করে বেড়ান? এগুলো প্রকৃত মুমিনের কাজ হতে পারে না।
১৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮
আবদে খায়ের বলেছেন: কত্ত বড় মুনাফিক হলে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর নাম করে জাল হাদিস তৈরি করে মানুষকে ধোকা দিতে পারে দেখুন। আজম আপনাকে মুনাফেক বললে আমার মোটেও ভুল হবেনা।
প্রিয় পাঠক, এই দেখুন আসল হাদিসটির কি বলছে,
বাহ ! অনেক বড় হাদিস। বানআইতে মনে হয় অনেক সময় লেগেছে ।
বুখারী, আরবী দিল্লীঃ ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২৪, ১১২৮, সহ আরও যত হাদিসের কিতাবের হাওয়ালা দেওয়া হয়েছে কথাও এই হাদিস নেই । আর হাস্যকর কথা হল জাল হিসাবেও কোথাও এর উল্লেখ নেই মনে হয় । থাকবে কিভাবে তৈরিতো হল মাত্র । এই মাত্র হয়ত জাহেল এই ভণ্ড আহলে হাদিসরা এটা তৈরি করেছে । আমি চ্যালেঞ্জ করছি তাদের এই হাদিস তারা কোথাও দেখাতে পারবেনা । এই পৃষ্ঠা গুলো মাত্র আমি দেখেছি । ঐ পৃষ্ঠাতেতো দুরের কথা এর আসে পাশে এমন হাদিস নেই । এখানে যেই হাদিসটি আছি তাতে শুধু তারা সামান্য অর্থ বিকৃতি করেনাই । যদি বলি পুরা বিকৃতি করেছে তাও ভুল হবেনা । দেখুন সহিহ বুখারিত, আরবী দিল্লীঃ ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২৪, ১১২৮, যে হাদিসটি আছে তাদের বানানো অনুবাদের সাথে এর কোন মিল নেই । আস্তাগফিরুল্লাহ । এখানে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খারেজিদের সম্পর্কে বলেছেন । হাদিসটি হল-দেখুন-
حدثنا عبد الله بن محمد حدثنا هشام أخبرنا معمر عن الزهري عن أبي
سلمة عن أبي سعيد قال
: بينا النبي صلى الله عليه و سلم يقسم جاء عبد الله بن ذي الخويصرة التميمي فقال اعدل يا رسول الله فقال ( ويحك ومن يعدل إذا لم أعدل ) . قال عمر بن الخطاب ائذن لي فأضرب عنقه قال ( دعه فإن له أصحابا يحقر أحدكم صلاته مع صلاته وصيامه مع صيامه يمرقون من الدين كما يمرق السهم من الرمية ينظر في قذذه فلا يوجد فيه شيء ثم ينظر إلى نصله فلا يوجد فيه شيء ثم ينظر إلى رصافه فلا يوجد فيه شيء ثم ينظر في نضيه فلا يوجد فيه شيء قد سبق الفرث والدم آيتهم رجل إحدى يديه أو قال ثدييه مثل ثدي المرأة أو قال مثل البضعة تدردر يخرجون على حين فرقة من الناس )
قال أبو سعيد أشهد سمعت من النبي صلى الله عليه و سلم وأشهد أن عليا قتلهم وأنا معه جيء بالرجل على النعت الذي نعته النبي صلى الله عليه و سلم قال فنزلت فيه { ومنهم من يلمزك في الصدقات }
এই সম্পর্কে আরেকটি হাদিস দেখুন -
عن أبي سعيد الخدري رضي الله عنه
: عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( يخرج ناس من قبل المشرق ويقرؤون القرآن لا يجاوز تراقيهم يمرقون من الدين كما يمرق السهم من الرمية ثم لا يعودون فيه حتى يعود السهم إلى فوقه ) . قيل ما سيماهم ؟ قال ( سيماهم التحليق أو قال التسبيد )
ইমাম বুখারি باب من ترك قتال الخوارج للتألف ولئلا ينفر الناس عنه অধ্যায়ে
(খারেজিদের হত্যা সম্পরকিত অধ্যায় )হাদিসগুলো উল্লেখ করেছেন ।
আবু সাইদ খুদরি রা থেকে বর্ণিত । রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম বলেন ঃ
পূর্বাঞ্চল থেকে এক দল লোকের অভ্যুদয় ঘটবে । তারা কোরআন পাঠ করবে, তবে তাদের এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবেনা । তারা দ্বীন থেকে এমন ভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে শিকার ধনুক থেকে বেরিয়ে যায় । তারা আর ফিরে আসবেনা যে পর্যন্ত তীর ধনুকের ছিলায় না আসে । প্রশ্ন করা হল তাদের আলামত কি ? রাসুল (সা) বললেন- তাদের আলামত হল মাথা মুণ্ডান । সহিহ বুখারি ৭০৫২
আবু সাইদ খুদরির হাদিসটি অন্য আরও সনদেও বর্ণিত হয়েছে । সেখানে “তারা কোরআন পাঠ করবে, তবে তাদের এ পাঠ তাদের কণ্ঠনালী অতিক্রম করবেনা”
এর সাথে অতিরিক্ত আছে-“ তাদের সালাতের তুলনায় তোমরা তোমাদের সালাতকে তুচ্ছ মনে করবে । তাদের সিয়ামের তুলনায় তোমরা তুমাদের সিয়ামকে তুচ্ছ মনে করবে । তারা দ্বীন থেকে এমন ভাবে বেরিয়ে যাবে যেভাবে শিকার ধনুক থেকে বেরিয়ে যায় । তারা আর ফিরে আসবেনা যে পর্যন্ত তীর ধনুকের ছিলায় না আসে । তাদের পরিচয় এইযে, তাদের একটি লোকের একটি হাত অথবা বলেছেন, একটি স্তন হবে মহিলাদের স্তনের মত। অথবা বলেছেন বাড়তি গোস্তের টোকরার মত । লোকদের মধ্যে বিভেদের সময় এদের আবির্ভাব হবে । আবুসাইদ খুদরি (রা) বলেন- আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি জেয আমি তা রাসুল (সা) থেকে শুনেছি ।এও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আলি (রা) তাদেরকে হত্যা করেছেন । আমি তখন তার সাথে ছিলাম । তখন নবি (সা) প্রদত্ত বর্ণনার অনরুপ ব্যাকতিকে আনা হয়ে ছিল । সহিহ বুখারী, আরবী দিল্লীঃ ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২৪, ১১২৮, মুয়াত্তা ইমাম মালেক,
আরবী ১ম খন্ড, পৃঃ ১৩৮, আবূ দাউদ, আরবী দিল্লী, ২য় খন্ড, পৃঃ ৬৫৬, হাদিস দুটির আরবি পাঠ
এবার দেখুন তো এদের তাবলীগ জামাতের প্রতি বিদ্বেষের কারনেই হাদিস তৈরি করতেও পশম দাড়ায়না । আল্লাহর শাস্তির – হাদিস জাল করার পরিণতির কোন ভয় মনে হয় এদের অন্তরে নেই । অথচ রাসুলুল্লাহ (সা) বলেছেন, যে আমার নামে মিথ্যা হাদিস বানায় সে যেন জাহান্নামকে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয় ।
১৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
আবদে খায়ের বলেছেন: ///বলুনতো!!! হাদিসটি কোন দলের কথা বলছে ??? !!///
এটা কি বলার অপেক্ষা রাখে যে এই জাল হাদিসটি আপনার মত মুনাফেকের জন্য প্রযোজ্য?????
কত্ত বড় স্পর্ধা আপনার যে, হাদিস নিয়ে এত বড় জাহেলিয়াতি করতে পারলেন!!!! ছিহ!!!!!
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:১৪
বিষন্ন পথিক বলেছেন: মনে যারা ধার্মিক তারা এইসব ক্যাচাল দেখে দুঃখ পান। ধর্ম এক, ক্যাচাল একশ। যার যার ধর্ম তাকে পালন করতে দেন।