নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চিনিলাম আপনারেআঘাতে আঘাতেবেদনায় বেদনায়;সত্য যে কঠিন,কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,সে কখনো করে না বঞ্চনা।

সত্যের সারথি সাদেক

সত্য যে বড় কঠিন, কঠিনেরে বাসিলাম ভালো, যে কখনো করেনা বঞ্চনা !

সত্যের সারথি সাদেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিনেমা ‘ভীর জারা’: চির সবুজ ভালোবাসার কাল্পনিক গল্প

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৩২

আমার পরিচিত জনদের মাঝে যারা হিন্দি মুভি নিয়মিত দেখেন তাদের অনেকের উপদেশ ছিল আমি কেন এখনো ‘ভীর জারা’ মুভিটি দেখি নি । যারা আমাকে অনুরোধ করেছেন তার মধ্যে বড় ভাই স্বর্ণদা আর বন্ধু নাহিদ। যদি সমালোচকের দৃষ্টিতে বলি তাহলে বলতে হয়, -
“মুভিটা দেখতেছি আর মনটা কে একটাই সান্তনা দিয়েছি যে এইটা নিছক একটা সিনেমা......এর সাথে বাস্তব জগতএর বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই।বাস্তব জগতএ এই কাহিনী totally impossible……….
প্রথম দেখাতেই একটা ছেলে একটা মেয়ের প্রেমে পড়তে পারে এইটা IMPOSSIBLE কিছু না.........কিন্তু মাত্র দুই দিনের পরিচয় এ নিজের কেরীয়ার বিসর্জন দিয়ে একটা মেয়ের পিছনে ছোটা তাও আবার অন্য দেশের অন্য religion এর আবার তার জন্য ইচ্ছাকৃত ভাবে নিজের জীবনের ২২টা বছর sacrifice করে জেল খাটা এইটা শুধু মাত্র virtual জগতএই possible......
আর একটা অপরিচিত জায়গাতে দুই দিনের পরিচয়ে প্রেমে পড়া এক ছেলের স্বপ্ন পুরন করার জন্য নিজের জীবন sacrifice করা যে কিভাবে real world এ possible ??
এটা কখনোই বাস্তব জগতে সম্ভব না
মনটা কে এই বুঝানো ছাড়া আর কোনো উপায় আপাততো খুজে পাচ্ছি না.............
তবে যারা এখনো দেখেন নি তাদের জন্য বলতে হয়
ভীর জারা। ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। শুধুমাত্র অসাধারণ প্রেমের সিনেমা হিসেবে নয় এ ছবির আরেক অত্যন্ত ভালোবাসার দিক হলো এই ছবির গান।আরো বিশেষ ভাবে বলতে গেলে বলতে হয় শুধুমাত্র একটা বাক্য মানুষের মনে কি পরিমাণ দাগ কাটতে পারে সেটা এই সিনেমা দেখলে বোঝা যায়...
" যদি কখনো কোনও বন্ধুর দরকার হয়... মনে রেখো, এ প্রান্তে এমন একজন মানুষ আছে যে তোমার জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিতে পারে এক মুহূর্তেই"...
ভালোবাসার গল্পগুলো মনে হয় এরকম বেদনাময় হয়...সৃষ্টিকর্তার খেলা কি অদ্ভুত... ভালোবাসা কখনোই হারেনা...দুজন মানুষ যেখানেই থাকুক, যে অবস্থায় থাকুক, ভালোবাসা থেকে যায় চির সবুজ ।
ভারত-পাকিস্তানকে ঘিরে নির্মিত প্রেম কাহিনি নির্ভর সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম বীর-জারা। ১৯৯৭ সালে দিল তো পাগল হ্যায় সিনেমার পর এ সিনেমার মাধ্যমে আবার পরিচালনায় ফিরেছিলেন যশ চোপড়া। সিনেমার গান এবং সংলাপ দর্শকের মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।
‘ও ক্যাহতে হ্যায় এ তেরা দেশ নেহি, ফির কিউ মেরে দেশ যেইসা লাগতেহে? ও ক্যাহতে হ্যায় মে উস য্যাইসা নেহি, ফির কিউ মুঝ য্যাইসা ও লাগতা হ্যায়’ সংলাপসহ সিনেমায় ভীর প্রতাপ সিংয়ের শেষের দিকে চার মিনিটের একক সংলাপ সকলের মন নাড়িয়ে দিয়েছিল।

এই ছবিতে মদন মোহন জীর সুর ব্যবহৃত হয়েছে।
শোনা যায় যে "মেরা সায়া " ছবিতে মদন মোহন জী এই সুরের কয়েক টা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ডিরেক্টর রাজী হন নি। যেমন "আপকে পেহ্লু মে আ কর " গান টির জায়গায় "ম্যায় এহান হু " র সুর টি ব্যবহার হওয়ার কথা ছিলো। "ন্যায়নো মে বদরা ছায়ে " জায়গায় "তেরে লিয়ে " গানটির সুর ব্যবহার হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা হয়ে ওঠে নি। তাই শাহরুখ - প্রীতি র এই অনবদ্য প্রেমের ছবিতে গান বাড়তি প্রাপ্তি যা মদন মোহন জীর ছেলে ব্যবহার করতে দিয়েছেন।"ম্যায় এহান হু " গানটিউদিত নারায়ণের অসাধারণ কন্ঠে গানটি একবার শুনে নিতেই পারেন।

লেখকঃ শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, ০১.০২.১৭, পুরোনো ঢাকা

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.