![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন অতি সাধারণ মানুষ। নিজের সম্পর্কে বলবার মত তেমন কিছুই আমার নেই। আমি সর্বদা সত্যের সন্ধানে সময় কাটাতে ভালবাসি। আর ভালবাসি স্রষ্টা ও সৃষ্টিকে। প্রয়োজনে মানুষের পাশে থাকার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করি। অন্যকে ঠকানোর কথা ভাবতেই পারিনা। এ কালটাই যে সবকিছুর শেষ নয় তা বিশ্বাস করি।
সাধারণত মাসিক শুরু হওয়ার পূর্বে একজন নারীর শরীর সুগঠিত হতে শুরু করে এবং শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন গুলো বেশ দ্রুত ঘটতে থাকে। এই পরিবর্তন সবার ক্ষেত্রে একই রকম নাও হতে পারে। কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক বৃদ্ধিসাধন ও মানসিক পরিপক্কতা বেশ দ্রুত ঘটলেও পারিপার্শ্বিক অবস্থা, পুষ্টিহীনতা, হরমোনের অসামঞ্জস্যতা বা বংশগত স্বাভাবিক কারণে প্রথম মাসিক বা ঋতুস্রাব শুরু হতে বেশ সময় লাগতে পারে। আমাদের দেশের মেয়েদের মাসিক শুরু হয় সাধারণত ১০ - ১২ বছর বয়সে। তবে দেখা গেছে শারীরিক ও মানসিকভাবে পূর্ণতা প্রাপ্ত ২০ - ২২ বছর বয়স্কা নারীর ক্ষেত্রেও ঋতুকাল শুরু না হবার ঘটনা বিরল নয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৯০% মেয়েদের মাসিক সাধারণত ১৩.৫ বছর বয়সে শুরু হলেও এর সর্বোচচ সময়সীমা প্রায় ১৭ বছর ধরা হয়। এরপর শুরু না হলে মেডিকেল চেকআপের এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা নেবার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নির্দিষ্ট কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না এবং এমনিতেই বা সমান্য চিকিৎসায় এর সমাধান হয়ে যায়। সুতরাং সর্বজ্ঞ মহান আল্লাহতায়ালা সঙ্গত কারণেই ঋতুকাল শুরু হওয়া বা না হওয়াকে বিবাহিত জীবন যাপনের উপযুক্ততার মাপকাঠি হিসেবে নির্ধারণ করে দেন নাই। কারণ তাহলে যেসব মুসলিম নারীদের ঋতুকাল বংশগত ভাবেই দেরিতে শুরু হওয়ার টেন্ডেন্সি রয়েছে, তাদের বয়স বৃদ্ধি পেলেও ঋতুবতী না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করা মুশকিল হয়ে পড়ত। তাই ঋতুস্রাব শুরুর পূর্বে বিবাহিত জীবন আরম্ভ করা যাবেই না, এমনটি ভাবা ঠিক নয়। তবে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিয়ের জন্য সে উপযুক্ত কিনা তা অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে এবং আল-কোরআনের নির্দেশ ও রাসূলের (সাঃ) সুন্নতও তাই।
হাদিছ গ্রন্থে সন্নিবেশিত হযরত আয়শা (রা) এর বক্তব্যে তাঁর বিবাহকালীন বয়সের একটি চিত্র সংক্ষেপে পেশ করার চেষ্টা করা হয়েছে-
Saheeh al-Bukhari, Volume 7, Book 62, Number 64
'Aa'ishah, may God be pleased with her, narrated that the Prophet was betrothed (zawaj) to her when she was six years old and he consummated (nikah) his marriage when she was nine years old, and then she remained with him for nine years.
বিয়ের সময় ও বিবাহিত জীবন যাপন শুরুর সময় আয়শা (রাঃ) এর প্রকৃত বয়স ঠিক কত ছিল তা ইতিহাসের পাতা থেকে খতিয়ে দেখা যেতেই পারে। হযরত আয়শার (রাঃ) বক্তব্যটি যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তাতে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানের কারণে বর্ণনাকারীর শব্দ প্রয়োগ জনিত ও উচ্চারণগত ত্রুটি কিংবা বোঝার ভুলের কারণে বয়সের হিসেব করতে গিয়ে ঊনিশ-বিশ হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। কিন্তু তারপরও খুব বেশি অসামঞ্জস্যতা নেই বলেই মনে হয়। রাসূলের (সাঃ) জীবন যে আল-কোরআনের বাস্তব প্রতিফলন ছিল সে বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। সুতরাং নিঃসন্দেহে আল-কোরআনের বক্তব্য অনুসারে সে সময় আয়শা (রাঃ) শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত ছিলেন বলেই তো রাসূল (সাঃ) তার সাথে বিবাহিত জীবন যাপন শুরু করেন। তবে আমাদের ভুললে চলবে না যে, শুধুমাত্র সংসার ধর্ম করার জন্যই নয়, বরং এর পাশাপাশি বৃহত্তর কল্যাণের স্বার্থে মহান আল্লাহর ইচ্ছানুসারেই রাসূল (সাঃ) তাঁর যোগ্য পত্নী হিসেবে আয়শাকে (রাঃ) চয়ন করেছিলেন। আল্লাহ তায়ালা আবুবকর (রাঃ) এর আদরের কন্যা আয়শা (রাঃ) -কে রাসূলুল্লাহর (সাঃ) সাথে পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ করার মাধ্যমে তাদের মাঝে আত্মীয়তার বন্ধনকে সুদৃঢ় করার সাথে সাথে ইসলামের খেদমত করার জন্য নিয়োজিত করেছিলেন। হযরত আবুবকর (রাঃ) এবং রাসূলুল্লাহর (সাঃ) মধ্যে এমনই ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল যে, তাঁরাও মনে মনে এই সম্পর্ককে আত্মীয়তার বন্ধনে রূপ দেয়ার ইচ্ছা পোষণ করতেন। রাসূল (সাঃ) এর সাথে বাগদান সম্পন্ন হওয়ার সময় আয়শা (রাঃ) এর বয়স কম ছিল। তাঁরা বিবাহিত জীবন যাপন শুরু করেছিলেন বাগদানের বেশ কয়েক বছর পরে।
ঐতিহাসিক তথ্য ও উপাত্তের উপর ভিত্তি করে এখানে যেভাবে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে তা দেখে নিতে পারেন- What was Ayesha’s (ra) Age at the Time of Her Marriage?
এবার এ বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত বাস্তব ও ব্যতিক্রমী কয়েকটি উদাহরণ তুলে ধরছি। বর্তমান সময়ের স্বল্পবয়স্ক বা কমবয়সী দশজন পিএইচডি অর্জনকারী প্রতিভাধরের নাম আমরা মোটামুটি সবাই জানি- The 10 Youngest PhDs of All Time.
কালের প্রবাহে মাঝে মাঝে এ ধরনের ব্যতিক্রমী মানুষের আগমন অন্যসব সাধরণের মধ্য থেকে তদেরকে আলাদা করে ভাবতে সেখায়। স্রষ্টা তাঁর ক্ষমতাকে মাঝে মাঝে এভাবেই আমাদের সামনে প্রকাশ করে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেন। এ ধরনের মানুষের আগমন আগেও যেমন ঘটেছে, তেমনি এখনও ঘটছে এবং হয়ত ভবিষ্যতেও ঘটবে। এই সব জলজ্যান্ত প্রমাণকে অস্বীকার কিংবা উপেক্ষা করার উপায় নেই।
এই দশজনের মধ্যে সবাই প্রতিভাধর হলেও তাদের মধ্যেও ব্যতিক্রম আছে। যেমন "Kim Ung-Yong" এতই প্রতিভাধর ছিলেন যে, তিনি মাত্র তিন বছর বয়সে Hanyang ইউনিভার্সিটির পদার্থবিদ্যা বিভাগের একজন সম্মানিত অতিথি ছাত্রের খাতায় নাম লেখান। যা আমরা চিন্তাও করতে পারি না। শুধু তাই নয়, সাত বছর বয়সে নাসায় রিসার্চ করার জন্য আমেরিকার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার জন্মভূমি কোরিয়া থেকে তাকে সসম্মানে নিয়ে যাওয়া হয়। (Kim was a guest student of physics at Hanyang University from the age of 3 until he was 6. At the age of 7 he was invited to America by NASA. He finished his university studies, eventually getting a Ph.D. in physics before he was 15)
উম্মুল মু'মিনিন হযরত আয়শা (রাঃ) যে সেই সময়কার একজন প্রতিভাধর ব্যতিক্রমী নারী ছিলেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। মহান আল্লাহতায়লার ইচ্ছায় অন্যদের চাইতে বেশ কম বয়সেই তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে ওঠেন। সকল কালের সকল নারীর পক্ষ থেকে তিনি এক মহান কর্ম সাধনের জন্য নিজেকে নিবেদন করেছিলেন। বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহর (সাঃ) মহান বিদ্যাপিঠে সরাসরি তাঁরই তত্বাবধানে রেখে ইসলামের মহান আদর্শকে আত্মস্থ ও ধারণ করানোর জন্যই মহান আল্লাহ তাকে মনোনিত করেন। তারই ফলশ্রুতিতে সেই আদর্শকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি আমরণ নিরলসভাবে সচেষ্ট ছিলেন। অল্প বয়স থেকেই তিনি তুখোড় স্মরণশক্তি, বুদ্ধিমত্তা ও প্রতিভার যথেষ্ট স্বাক্ষর রেখেছেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়! একালের কম বয়সী দশজন প্রতিভাধরকে ব্যতিক্রমী ও অসাধারণ হিসেবে মেনে নিতে পারলেও নবী-পত্নী আয়শার (রাঃ) বেলায় অনেকেই নাক সিটকান। হাস্যরস ও বেহুদা কথা বলতেও তাদের বাধে না। কোরিয়ার বিস্ময় শিশু "কিম-উং-ইওং" -কে ৩ বছর বয়সে ইউনিভার্সিটিতে পদার্থবিদ্যা বিভাগে অথিতি ছাত্র হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হলে এবং ৭ বছর বয়সে নাসায় রিসার্চ করার জন্য আমেরিকার পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে যাওয়া হলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায় না। শুধু ইসলামের বেলাতেই ভাল কোরে না জেনে চোখ কান বন্ধ রেখে মিথ্যাচার করার পাঁয়তারা করা হয়।
এই ব্যতিক্রমী ঘটনাগুলো সাধারণের সাথে গুলিয়ে ফেলা ঠিক নয়। বিশ্ব জনসংখ্যার হিসেবে তাদের শতকরা হার অতীব নগণ্য। কাজেই তাদের সম্পর্কে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সর্বসাধারণের নিয়ম থেকে একটু ভিন্নভাবেই ভাবতে হবে। তা না হলে সবই গোঁজামিল ঠেকবে। চাক্ষুষ প্রমাণ সাপেক্ষ সত্যকেও তখন মিথ্যা কিংবা অবাস্তব বলেই মনে হবে। সুতরাং আমাদেরকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে, রসূল (সোঃ) এর জীবনে এমন কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে এবং যা মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুসারেই ঘটেছে এবং এমন কিছু নির্দেশ আছে যেগুলো একান্তভাবে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের জন্যই নির্দিষ্ট ছিল।
আয়শা (রাঃ) এর বয়স নির্ধারণ করা আমার এই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু নয়। হাদিছ গ্রন্থে সন্নিবেশিত খোদ আয়শার (রাঃ) এই বক্তব্য থেকে অন্তত এটুকু বোঝা যায় যে, মহান আল্লাহর ইচ্ছায় বিয়ে পাকাপাকি হয়ে গেলেও তাঁরই নির্দেশ অনুসারে আয়শা (রাঃ) শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করার উদ্দেশ্যেই রাসূল (সাঃ) তার সাথে বিবাহিত জীবন শুরু করার ক্ষেত্রে সময় নিয়েছিলেন। রাসূল (সাঃ) এর সাথে সংসার জীবন শুরু করার পূর্বে আয়শা (রাঃ) মূলত তাঁর পিতা হযরত আবুবকর (রাঃ) এর বাসাতেই থাকতেন। রাসূল (সাঃ) এর জীবনের এই অংশটি থেকে আমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনে আর্থ-সামাজিক, ভৌগলিক ও বায়োলজিকাল ইত্যাদি কারণে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে অভিভাবক মহলের পক্ষ থেকে কম বয়সে বর-কনের মধ্যে বিয়ে ঠিকঠাক কোরে রাখার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। কোন বিশেষ কারণে কম বয়সে বিয়ের কথাবার্তা হয়ে গেলেও শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিবাহিত জীবন শুরু না করার ইংগিত এই ঘটনার মধ্যে রয়েছে। তাছাড়া যতটুকু জানা যায়, রাসূল (সাঃ) তাঁর কন্যা ফাতিমার (রাঃ) বিয়েও ১৮ বছর বয়স হবার পরই দিয়েছিলেন। রাসুল (সাঃ) নিজেও যেমন তাঁর কোন স্ত্রীর সাথে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত না হওয়া পর্যন্ত বিবাহিত জীবন যাপন শুরু করেন নাই, তেমনি কাউকে তা করার জন্য কখনও উদ্বুদ্ধ করেছেন বা কচি বয়সে কারও বিয়ে দেবার ব্যবস্থা করেছেন বলে কোন প্রমাণও নেই।
ইসলামে বিবাহ সম্পাদনের বিষয়টি মেয়েদের ক্ষেত্রে মাসিক শুরুর সাথে সম্পর্কিত নয়। তবে অর্থনৈতিক সামর্থের কথা বাদ দিলে বিবাহিত জীবন যাপনের বিষয়টি অবশ্যই একজন পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্যই শারীরিক ও মানসিকভাবে উপযুক্ত হবার সাথে সম্পৃক্ত। আবার মানসিক বিকাশের বিষয়টি নিজস্ব সক্ষমতার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক অবস্থার উপরেও অনেকাংশে নির্ভরশীল। অপরের উপরে নির্ভরশীলতা মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে একটা বড় অন্তরায়। যেসব ছেলে-মেয়েরা যত তাড়াতড়ি আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ পায়, তাদের মানসিক বিকাশও তত তাড়াতাড়ি সাধিত হতে দেখা যায়। শুধু তাই নয় শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমও থাকতে পারে। ক্ষেত্র বিশেষে এই বিকাশ সাধন এতই দ্রুততার সাথে হতে দেখা যায় যে তখন তা অন্য দশজন সাধারণের সাথে তুলনা করা চলে না।
আমরা আয়শা (রাঃ) এর তুখোড় স্মরণশক্তি ও মেধার কথা বিভিন্ন বর্ণনা থেকে জানতে পারি। হাদিছ বর্ণনা ও রাসূলের (সাঃ) ওফাতের পর বিভিন্ন সমস্যা সামাধানে তাঁর অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা ও প্রাজ্ঞতার যথেষ্ট প্রমাণ তিনি রেখেছেন। বিবাহিত জীবন শুরুর সময় আয়শা (রাঃ) এর প্রকৃত বয়স নিয়ে অবিশ্বাসীরা অবিবেচকের মত যেরূপ হাস্য-রস করে তা মোটেই যৌক্তিক নয়। আল্লাহতায়ালা সেই বয়সেই যে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে রাসূলের (সাঃ) জন্য উপযুক্তভাবেই গড়ে তুলেছিলেন তাতে কোনই সন্দেহ নাই। রাসূলের (সাঃ) জন্য আয়শা (রাঃ) এবং তাঁর জন্য রাসূল (সাঃ) পারফেক্ট ছিলেন বলেই তো তাঁদের মাঝে বোঝাপড়া ও পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতি অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ ও মধুর ছিল। আয়শা (রাঃ) জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত রাসূলের (সাঃ) পাশেই ছিলেন এবং তাঁরই কোলে মাথা রেখে রাসূল (সাঃ) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সংসার জীবনে আপনজনের সাথে ছোট-খাট ভুল বুঝাবুঝি থেকে শুরু করে বেশ গুরুতর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতেই পারে। রাসূল (সাঃ) ও আয়শার (রাঃ) মাঝে অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক ছিল এবং তাদের জীবনেও এরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। মহান আল্লাহতায়ালা স্বয়ং রাসূলের (সাঃ) জীবনে এ ধরনের পরিস্থিতির অবতারণা করেছেন এবং ঐশী বাণী পাঠিয়ে পরোক্ষভাবে ইমানদার মানুষকে তার বাস্তব সমাধানও জানিয়ে দিয়েছেন।
এই বিষয়টি বুঝতে হলে প্রথমত আল-কোরআনে বিয়ের বয়স সম্পর্কে কি বক্তব্য এসেছে তা পর্যালোচনা কোরে দেখতে হবে-
সূরা নিসা (মদীনায় অবতীর্ণ)
(০৪:০৬) অর্থ:- আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে- যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে, তখন তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পারলে, তবেই তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পণ করতে পার। এতীমের মাল প্রয়োজনের অতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্যই আল্লাহ হিসাব নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট।
দেখা যাচ্ছে যে, (০৪:০৬) নং আয়াতে বিয়ের বয়সে উপনীত হবার কথা বলতে গিয়ে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ ঘটেছে কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে। যদিও এখানে এতিমদের উদ্দেশ্য কোরে বক্তব্য প্রদান করা হয়েছে। অভিভাবকহীন থাকায় সমাজে এতিমদের ক্ষেত্রে যেহেতু পদে পদে বঞ্চিত হবার সম্ভাবনা থাকে, তাই তাদের বিষযটি বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তাই বলে অন্যদের ক্ষেত্রে এই নির্দেশটি উপেক্ষা করতে হবে, এমনটি ভাবা ঠিক নয়। যেহেতু এই নির্দেশটি বিয়ের সাথেই সংশ্লিষ্ট। তাই এতিমদের তো বটেই, সেইসাথে অন্য সবার বিয়ের ব্যাপরে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রেও এটি আমলে নেয়া চাই। পরিবারে পিতা-মাতাই সবচেয়ে বড় অভিভাবক। তাই তাঁরা উপস্থিত থাকার পরও যদি অজ্ঞতা প্রসূত সিদ্ধান্ত নেবার কারণে কোন সন্তানকে বঞ্চনা সইতে হয় এবং তাদের অধিকার ক্ষুন্ন হয়, তাহলে এর দায়ভার সংশ্লিষ্ট অভিভাককেই নিতে হবে।
এখানে সম্পদ হস্তান্তরের বিষয়টি এসেছে। আমরা জানি যে, বুদ্ধি-বিবেচনা করার যোগ্যতা না থাকলে সম্পদ রক্ষা করা এবং তার সদ্ব্যবহার করা বেশ কঠিন ব্যাপার। এমন কি বিচক্ষণতার অভাবে সম্পদহারা হয়ে পথে বসার মত পরিস্থিতিতে পড়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে যেন তারা না পড়ে সেজন্য উপায় বলে দেয়া হয়েছে। বাকিটা তো আল্লাহতায়ালার ইচ্ছা। সম্পদের হেফাজত করা যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তেমনি সাংসারিক জীবনে পারিবারিক দায়িত্ব পালন করাও তার চেয়েও বেশি গুরুত্ব বহন করে। তাই বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ ঘটার জন্য উপযুক্ত বয়সে উপনীত হবার বিষয়টি সবার ক্ষেত্রেই বিবেচনা করার দাবি রাখে।
আল-কোরআনে বিয়ের বয়স হিসেবে নির্দিষ্ট কোন বয়সের কথা বলা হয়নি। তবে অনেকে মাসিক শুরু হওয়াকে, আবার অনেকে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সকে বিয়ের বয়স হিসেবে নির্ধারণের জন্য তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। বিয়ের বয়স নির্দিষ্ট করে দেয়া না হলেও আল- কোরআনের (০৪:০৬) নং আয়াতে বিয়ের বয়সের উপযুক্ততা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষের বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সাধারণ ভাবে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ এবং দৈহিক বৃদ্ধি সাধন একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। সুতরাং পারিপার্শ্বিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে কোন ইসলামী রাষ্ট্রের সরকার যদি পুরুষ ও নারীর জন্য গ্রহণযোগ্য বিয়ের বয়স নির্ধারণ করে দেন, তাহলে রাষ্ট্রের সামগ্রিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে বৃহত্তর স্বার্থে তা মেনে চলা যেতে পারে। আবার মাসিক শুরুর আগে মেয়েদের বিয়ে দেয়া যাবেনা- এমন নির্দেশ আল-কোরআন ও হাদিছে নেই। তাই এ বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রাখার উপায় নেই। তবে কোন দেশের ইসলামি শাসক কর্তৃক বিয়ের বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হলে তা লঙ্ঘনের পূর্বে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে পূর্বানুমতি নেয়া উচিত। তা না হলে সরকার রাষ্ট্রের আইন ভঙ্গের কারণে শাস্তি দেয়ার বা জরিমানা করার অধিকার রাখে।
২| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৫
মুদ্দাকির বলেছেন: কি হিন্দু কি মুসলমান হবে কথাটা !!!
আর আজও পশ্চীমে ১১-১২ এর মেয়েরা অনায়েসে মা হচ্ছে!!!! আর যত দোষ খালি মুসলিম হলেই !!!!!!
০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৩
সত্য৭৮৬ বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই,
বংশ পরম্পরায় আমার নানী দাদী কে কি করেছেন তা মানা আমার ধর্ম নয়। তাই সে বিষয়ে আমার ইন্টারেস্ট নেই।
ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে রাসূল (সাঃ) তাঁর কন্যা হযরত ফাতেমার (রাঃ) বিয়ে দিয়েছিলেন ১৮ বছর বয়সে। তাই আমি সাধারণভাবে এই বয়সে বা তার পরেই বিয়ে দেবার পক্ষে। অন্তত আমার সন্তানদের ক্ষেত্রে আমি এটাই ফলো করতে চাই এবং অপরকেও তাই বলি- বাকিটা মহান আল্লাহর ইচ্ছা। তবে উপযুক্ত কারণ সাপেক্ষে দু-একটা ব্যতিক্রম থাকতেই পারে।
৩| ০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১:১৬
ভারসাম্য বলেছেন: সুন্দর ও যৌক্তিক তথ্যপূর্ণ লেখা। তবে মেয়েদের ঋতুবতী হবার সর্বোচ্চ বয়সসীমার পাশাপাশি সর্বনিম্ন বয়সসীমার কিছু উদাহরণের উল্লেখও এই লেখার জন্য প্রাসঙ্গিক হত সম্ভবতঃ। কিছুদিন আগে ছয় বছরের বালিকার গর্ভবতী হয়ে পড়ার খবরও শুনেছিলাম মনে পড়ে।
আমার মতে ঋতুবতী হবার বয়সও মানসিক পরিপক্কতার সাথে সম্পর্কিত। সাধারণতঃ ৩/৪ বছরের একটা শিশু ভাষাগত ও স্মৃতিশক্তির পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। বুদ্ধিমত্তা জন্মকালীন সময় থেকেই পূর্ণমাত্রায় থাকে। তাই এরকম একটা শিশুকে চাইলে খুব অল্প সময়েই অনেক জ্ঞানসম্পন্ন ও মানসিক পরিপক্ক করে তোলা সম্ভব। ছয় বছর বয়সের পর এমনিতেই একটা শিশুর বড় মানুষের মত মানসিক পূর্ণতা অর্জিত হয়ে যাওয়া উচিৎ। পুরনো সামাজিক ও পারিবারিক পরিবেশে সেটা হতও এবং সেই সময়ের সামাজিক বাস্তবতায় সেটা মোটেও নেতিবাচকভাবে দেখা হত না। তাই তখন ছেলেমেয়েরা আরো কম বয়সেই মানসিকভাবে শুধু নয়, শারীরিক ভাবেও পূর্নতা প্রাপ্ত হয়ে যেত। খুব বেশি পেছনে যেতে হবে না, আমাদের দাদা-দাদী, নানা-নানীর প্রজন্মের দিকে তাকালেই এর উত্তর পাওয়া যাবে। তবে একটা জিনিস বাস্তব যে, মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৫/১৬ বছরের আগে সন্তান ধারণ অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ ( যদিও এখন ২০ এর পরেও ঝুঁকিপূর্ণ প্রেগনেন্সীই বেশি পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু সবই আসলে মানসিক প্রস্তুতির ঘাটতি)। ছেলেদের ক্ষেত্রেও ১৮/২০ এর আগে পুরোপুরি স্বনির্ভর কর্মজীবি হয়ে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে যদি ছেলে-মেয়েদের বিবাহ যথাসাধ্য তাড়াতাড়ি দেয়া যায় ততই মঙ্গল। বিয়ের বয়সসীমা কমানো, বিয়ে ও বিচ্ছেদ উভয়ই সহজ সাধ্য করে তোলা এবং বিধবা/বিপত্মীক বা বিচ্ছেদপ্রাপ্তদের বিবাহে ব্যাক্তিগত ও সামাজিক অনীহা দূর করা এসবের মাধ্যমে প্রায় সব ধরণের সামাজিক অন্যায়-অবক্ষয় প্রায় নির্মূল করে ফেলা সম্ভব।
যাই হোক, হাজরাত আয়িশা ( রাঃ ) প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অনেক কিছু বলা হয়ে গেল।হাদীসে রাসুল ( সাঃ ) থেকে যতটুকু পাওয়া যায়, তাতে ঠিক কত বছর বয়সে তাঁদের বিবাহ-বন্ধন সম্পন্ন হয়েছিল সেটা নিয়ে কিছু মতভেদ থাকলেও বিবাহ পরবর্তী রুখসতের মধ্যে অনুন্য তিন বছরের ব্যাবধান ছিল, এটা নিশ্চিত হওয়া যায়। এ থেকে ধারনা করা যায় যে, হাজরাত আয়িশার ( রাঃ ) বিবাহ বয়োসন্ধির আগেই হয়েছিল কিন্তু তৎপরবর্তীতে যথার্থ বয়সেই তাঁদের দাম্পত্যজীবন শুরু হয়েছিল। এই বিয়ে পরবর্তী দাম্পত্যজীবন শুরুর মধ্যের কিছু সময়ের ব্যাবধানের মধ্যেও ইতিবাচক নিদর্শন আছে। এর মাধ্যমেই অল্প বয়স থেকেই মানসিক পরিপক্কতা অর্জন ও তার মাধ্যমে অল্প সময়ের ব্যাবধানেই শারীরিক পূর্ণতা প্রাপ্তির ইঙ্গিতও পাওয়া যায়। এই নিয়ে ইসলামের বিপক্ষের লোকেরা হয়তো নেতিবাচক অনেক কিছু বলে ও বলতে চাইবে। কিন্তু আমরা মুমিনদের অন্ততঃ এই নিয়ে কোন নেতিবাচক দ্বন্দে ভোগার কোন প্রয়োজনই নাই বরং সেটা আধুনিক সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতেও যথেষ্টই ইতিবাচক।
সুন্দর লেখায় অনেক অনেক ভাল লাগা রইল।
০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৩১
সত্য৭৮৬ বলেছেন: আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই,
আপনি বলেছেন- //মেয়েদের ঋতুবতী হবার সর্বোচ্চ বয়সসীমার পাশাপাশি সর্বনিম্ন বয়সসীমার কিছু উদাহরণের উল্লেখও এই লেখার জন্য প্রাসঙ্গিক হত সম্ভবতঃ। কিছুদিন আগে ছয় বছরের বালিকার গর্ভবতী হয়ে পড়ার খবরও শুনেছিলাম মনে পড়ে।//
জী ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন। তবে পোষ্টের কলেবর বড় হয়ে যাবার আশঙ্কায় এখানে তা দেয়া হয় নাই।
অনেকের বদ্ধমূল ধারনা যে, মাসিক শুরু না হলে কোন নারীর গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা একদমই নেই। কিন্তু তা মোটেই ঠিক নয়। মাসিক শুরু না হলেও কোন নারী/ শিশূ/ বালিকা যে গর্ভবতী হতে পারে- তার বাস্তব প্রমাণ রয়েছে এবং বিজ্ঞানও তাই বলে।
Menarche (pronounced /mɨˈnɑː(r)kiː/ (roughly mə-nar-key), from Greek μήν moon + αρχή beginning) is the first menstrual cycle, or first menstrual bleeding, in female human beings. From both social and medical perspectives it is often considered the central event of female puberty, as it signals the possibility of fertility.
On the other hand, not every girl follows the typical pattern, and some girls ovulate before the first menstruation. Although unlikely, it is possible for a girl who has engaged in sexual intercourse shortly before her menarche (the first menstrual cycle, or first menstrual bleeding) to conceive and become pregnant, which would delay her menarche until after the birth. This goes against the widely held assumption that a woman cannot become pregnant until after menarche.
সুতরাং আপনার উল্লেখিত ছয় বছরের সেই শিশু/ বালিকাটি গর্ভবতী হয়ে যাবার ক্ষেত্রেও এমনটি ঘটে যাওয়া অসম্ভব নয়।
আপনি বলেছেন- //সাধারণতঃ ৩/৪ বছরের একটা শিশু ভাষাগত ও স্মৃতিশক্তির পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করে ফেলে। বুদ্ধিমত্তা জন্মকালীন সময় থেকেই পূর্ণমাত্রায় থাকে। তাই এরকম একটা শিশুকে চাইলে খুব অল্প সময়েই অনেক জ্ঞানসম্পন্ন ও মানসিক পরিপক্ক করে তোলা সম্ভব। ছয় বছর বয়সের পর এমনিতেই একটা শিশুর বড় মানুষের মত মানসিক পূর্ণতা অর্জিত হয়ে যাওয়া উচিৎ।//
জী ভাই, একটা শিশুর মানসিক পূর্ণতা অর্জিত হলে তাকে বুদ্ধিমান বলা যেতেই পারে। অনেক সময় কোন কোন শিশুকে বড়দের মত পাকা পাকা কথা বলতে শোনা যায়। আবার অনেক শিশুর স্মরণশক্তিও বড়দের হার মানায়। কিন্তু তারপরও বৈষয়িক অনেক বিষয়ের পরিপক্কতা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট বয়সের পরই হতে দেখা যায়। আর বিবাহিত জীবন যাপনের জন্য তো মানসিক পরিপক্কতার সাথে সাথে শারীরিক পরিপক্কতারও প্রয়োজন। তাই সমগ্রিকভাবে যথাযথ বয়সে উপনীত না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই বিবাহিত জীবনের পথে ঠেলে দেয়া ঠিক হবে না- তাইনা?
ধন্যবাদ-
৪| ০২ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৬
ডা: মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: মাশা'আল্লাহ ভাই। খুব ভাল লাগল। আলহামদুলিল্লাহ। জাযাকাল্লাহ।
০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০
সত্য৭৮৬ বলেছেন: পড়ার ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই
৫| ০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:২৯
মাইরালা বলেছেন: আয়েশা (রাঃ) এর কথা বলতে বলতে ইসলাম বিদ্বেষীরা কুম্ভিরাশ্রু বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে । আয়েশা (রাঃ) কে কোনোদিন মুহাম্মাদ (সাঃ) এর সম্পর্কে কোনো অভিযোগ করতে শোনা যায়নি । ঐদিকে তারা যাবেনা । আর গেলেও বলবে আয়েশা (রাঃ) যে নিজে নিপিড়ীত হয়েছে, তা বোঝার মতো মেধা তার নাই । হায়রে নাস্তিকেরা… আয়েশা (রাঃ) এর মতো ধী'শক্তি ও মেধা মনন শীল নারী পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল, একথা যদি তারা বুঝতো!!! খোদ আয়েশা রাযিয়াল্লহু আনহা ২২১০ টি হাদীস বর্ণনা করেছেন যার মধ্যে মুত্তাফিকুন আলাইহি হচ্ছে ১৭৪ টি । আর এসব বুক ফোলানো শিশুকামীর অভিযোগ আনা লোকদের দেখবেন না নিজেকে কোনোদিন বিধবাকে বিয়ে করে নজির স্থাপন করতে । পারলে "কেন বিবর্তনের আলোকে" –পরকীয়া প্রেম, সমকাম, ধর্ষণ ইত্যাদি অবশ্যম্ভাবী ও নির্মল, তার ফিরিস্তি দিতে দেখবেন । কোথায় শুনেছেন নবী আয়েশার (রাঃ) বিয়েতে সুখী ছিলেন না । এমন research একাবিংশ শতাব্দীতে বসে কেউ করতে পারবেনা । আমাদের জানা মতে তিনি সুখী ছিলেন এবং আয়েশাও সুখী ছিলেন । কোন ব্যক্তির মহত্ত্ব তাঁর স্ত্রীর বয়স দিয়ে মাপা হয় বলে জানি না। বরং তাঁর চরিত্র, তাঁর আচরণ, তাঁর ব্যক্তিত্ব ইত্যাদি দিয়ে হয়। আপনি আয়েশার (রাঃ) বর্ণনা দিয়ে তাঁর স্বামীর মহত্ত্ব দেখতে যান, তখনই দেখতে পাবেন আয়েশার (রাঃ) দৃষ্টিতে তাঁর স্বামী কোন মাত্রার মহৎ ব্যক্তি ছিলেন । আপনি আয়েশার জীবনী পড়ুন, তার বর্ণিত হাদিস পড়ুন । এক জন স্ত্রী হিসাবে তাঁর স্বামী নবী (সঃ) সর্ম্পকে আয়েশা(রাঃ) কি বলেছেন ইসলাম বিদ্ধেষীরা তা আলোচনা করতে চায় না।
রাসুলের যখন যৌবন কাল তখন তিনি কোন রমণীর সাথে মিশেন নাই । যে সময় মানুষের ব্রেক থাকে না , সেই ২৫ বছর যাবত , ইতিহাস বলে না , উনি নৈতিক দিকে দূ্র্বল ছিলেন । ২৫ বছর বয়সে উনার চেয়ে ১৫ বছরের বড় , ২ বারের বিধবা বিগত যৌবনা খাদিজা (রাঃ) বিয়ে করেন । তাও খাদিজার প্রস্থাবে উনি সম্মত হন । এর পর ঐ মধ্যবয়ষ্ক স্ত্রীকে নিয়ে জীবনের সবচেয়ে উপভোগের সময় ২৫ টি বছর কাটিয়ে দেন । কোন জ্ঞানী মানুষ, কেমন করে ভাবতে পারে, ৫৫ /৬০ বছর বয়সী মানুষ প্রতিকূল যুদ্ধের ডামাঢোলে শুধু যৌনতার জন্যই বিয়ে করেছিলেন ? যৌনতাই যদি মূখ্য হত তাহলে বিয়ে করার কোন দরকার কি ছিল ? ইসলাম বিদ্বেষীরা ওনারে টেনে নামাইতে চেষ্টা করে নিজেদের স্তরে , এইটা একটা চরম ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্স থেকে জন্মায় । ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকরা আসলে যে ওয়ার্থলেস গুড ফর নাথিং বাস্টার্ডের গুস্টি , এই মানসিকতাই তার প্রমাণ । এদের কোন লাইনে তো কোন এচিভমেন্টের চিহ্ন নাই, শুধু আছে ইসলামের নিন্দা করে ব্যাপক জ্ঞানী সেজে দুই পয়সার বাহাদুরি কুড়ানের ফকিরনি মানসিকতা ।
০৩ রা জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৬
সত্য৭৮৬ বলেছেন: খুবই যুক্তিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন-
আল-কোরআনই রাসূলের (সাঃ) পবিত্র আদর্শের প্রতিফলন। কাজেই এই পবিত্র গ্রন্থ জানা, বোঝা ও মানার মাধ্যমেই আমরা স্রষ্টার মহত্ব অনুধাবনের সাথে সাথে রাসূলের (সাঃ) আদর্শকে জানতে ও বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব- ইনশাল্লাহ।
আপনাকে ধন্যবাদ ভাই।
৬| ২৬ শে জুন, ২০১৪ রাত ১২:০৬
টাবলীগহেপী বলেছেন: A very beautiful post. I respect all of you- & Salam to everybody!
২৬ শে জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৮
সত্য৭৮৬ বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ ও সালাম।
৭| ১৫ ই জুন, ২০১৮ রাত ১:৫৪
ONUPAMSANTA বলেছেন: সবার সব মন্তব্য গুলো পরে ভালো লাগলো।যে নবীকে এতোদিন ধরে মনে প্রানে ভালোবেসে আসছিলাম,কিছুদিন আগে আয়েশার বিয়ের বয়স নিয়ে অনলাইনে একটা ব্লগ পরি আর সেদিন থেকে আমার মন খারাপ ছিল।কারন এ ব্যাপারে আমার কাছে যথেস্ট প্রমান ছিল না।কিন্তু আজ সে ভুল ভেঙ্গে গেছে।আলহামদুলিল্লাহ।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪২
মুদ্দাকির বলেছেন: মা আয়শার বয়স যদি ৯ ও হয়ে থাকে আমি এতে কোন সমস্যা দেখি না!! মানসিক আর শারিকিক ম্যাচিউরিটি একেক জনের একেক রকম!! আর রাসূল (সাঃ) এর স্ত্রী ছিলেন উনি, উনার জন্যতো সব কিছুই স্পেশাল । আমার নানা-নানীর যখন বিয়ে হয়, আমার নানার বয়স ছিল ১৮ আর নানীর ৯ বছর । আমি তাদের সুখি জীবনের শেষ ভাগ দেখেছি । আমার মায়ের ৫ বোন এক ভাই। নানী প্রায়ই তার বিয়ের কথা গল্প করতেন !!!
যারা এগুলোর সমালোচনা করেন তারা নিতান্তই ভন্ডামি করেন !!! আরো ৫০ বছর আগেও বিয়ে গুলো এরকমই হত, কই হিন্দু কই মুসলমান ।