![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছুটলাম পঞ্চগড়ে । উদ্দেশ্য খ্রিষ্টানদের বর্তমান কার্যক্রম । পঞ্চগড়ে গিয়েই ওখানে অবস্থানরত ভাইদের কাছে জানতে পারলাম কিছু ঘটনা । আপনাদের কাছেও শেয়ার করতেছি । আশাকরি সবটুকু পরে বিষয়টা নিয়া ভেবে দেখবেন ।
** একটা বাচ্চা জন্মাবার পূর্বেই খ্রিষ্টানদের কিছু লোক ঐ বাড়িতে তার বাবা মায়ের কাছে যায় । এরপর বিভিন্ন কলা কৌশলে পরিবারের অস্বচ্ছলতার সুজোগ নিয়ে বিভিন্ন ভাবে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাচ্চা কিনে নেয় । আর ঐ বাচ্চার যখন বয়স ৫ থেকে ৬ বছর হয় অর্থাৎ কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই খ্রিষ্টানদের মিশনারিতে ভর্তি হয় । আরও যেনে অবাক হবেন , তাদের বিভিন্ন পল্লী রয়েছে । যার নাম দেওয়া হয়েছে , ঈশা পল্লি , মরিয়াম পল্লি যীশু পল্লী ইত্যাদি ।
** এখানে ভর্তি হওয়ার পর একটা বাচ্চাকে যা শিখানো হয় । নাচ , গান সহ বিধর্মী যত কুকর্ম আছে সবই এখানে শিখানো হয় ।
** যেভাবে তারা ছোট বড় সকলের ঈমান নষ্ট করে , তার কিছু কৌশল আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ।
আগেই বলে নেই ওদের প্রত্যেকটা কাজ করার জন্য আলাদা আলাদা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক থাকে
(১) বাচ্চাদের উপরঃ বাচ্চাদের কে যখন পড়ানো হয় । তার মাঝে একটা খাবারের ব্যাবস্থা করে । খাবার দেওয়ার আগে মুসলমান বাচ্চাদের বলা হয় তোমরা তোমাদের আল্লাহর কাছে খাবার চাও , হিন্দুদের বলা হয় তোমরা তোমাদের ভগবানের কাছে খাবার চাও এভাবে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের বলা হয় । তারপর দেখে কোন খাবার আসেনা । এরপর বলে এবার সবাই চোখ বন্ধ কর , আর যীশুর কাছে খাবার চাও । এবার চোখ বন্ধ অবস্থায় প্রত্যেক বাচ্চার সামনে খাবার দিয়ে দেওয়া হয় । এরপর বলে চোখ খোল । এবার জিজ্ঞেস করা হয় কে খাবার দিছে ? সকল কোমলমতি শিশুরা জবাব দেয় যীশু । এরপর বলা হয় এবার তোমরা যীশুর নামে খাও , (নাউজুবিল্লাহ) । এভাবে আরো অনেক টেকনিক খাটিয়ে তারা কাজ করে ।
(২) বড়দের উপরঃ একটা কৃষক যখন ফসল ফলায় খ্রিষ্টানরা ঐ খেতে গিয়ে ঐ কৃষকের ছবি তুলে , নাম লিখে নেয় । আর বলে আপনাকে সেবা দেওয়া হবে । সেবার নামে ঋণ দেয় । অপ্ল অল্প ঋণ নিতে নিতে একসময় সুধে আসলে অনেক হয়ে যায় , যা তার পক্ষে পরিশোদ করা সম্ভব হয় না । আর এ সুজুগেই তারা তাকে আরো লোভনীয় সুজোগের কথা বলে । বলে খ্রিষ্টান হয়ে যাও , এ টাকা আর দেওয়া লাগবে না বরং তুমি মাসে মাসে আরও টাকা পাবে , বাচ্চাদের লেখাপড়া থেকে শুরু করে চিকিৎসা সকল দায় ভার আজ থেকে আমরা নিব । আর এ লোভনীয় অফার পেয়ে গ্রামের অবহেলিত , নানা সমস্যায় জর্জরিত , দু বেলা দু মুঠো খেতে না পাওয়া লোকটি রাজি হয়ে যায় ।
সেবার নামে কি ঘটছে ল্যাম্ব হাসপাতালেঃ আপনারা হয়তো অনেকেই এ হাসপাতালের নাম অনেক আগেই শুনেছেন । আমি শুনেছি কিন্তু আগে দেখা হয় নাই । এবার নিজের চোখে দেখে আসলাম । গেটে গিয়ে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি পেতে অনেক কষ্ট হল । ভিতরে ঢুকলেই প্রথমেই আমার চোখে পড়ল Waiting Room । এ কক্ষে রয়েছে বড় আকৃতির টিভি । আর কোন রুগী আসলে রুগীকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয় । আর তার আত্মীয়স্বজনদের ঐ Waiting Room এ বসিয়ে টিভি দেখানো হয় । ঐ টিভিতে অনুষ্ঠান সূচি সব ঠিক করা থাকে । এ টিভিতে সকল ধর্ম বাদ দিয়ে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহনের বিশেষ তালিম দেওয়া হয় । সারা দিন ওখানে বসিয়ে টিভি দেখিয়ে নেওয়া হয় পাশেই থাকা Reading Room এ । এ কক্ষে আছে সকল ধর্ম গ্রন্থের সাথে বাইবেল । বাইবেলের মাধ্যমে যে মুসলিম তাকে বুঝানো পবিত্র কুড়ানে ভুল আছে , হিন্দুদের বুঝানো হয় গীতায় ভুল আছে ইত্যাদি ইত্যাদি । এভাবে তালিম চলতে থাকে । এতে কাজ না হলে রুগীকে এমন চিকিৎসা দেওয়া হয় যাতে সে খুব তারাতারি সুস্থ না হয় । এরপর যখন রুগী জিজ্ঞেস করে আমিতো ভাল হইতেছি না । তখন তাকে বলা হয় আপনি কার নামে ঔসদ খেয়েছেন , তখন বলে আমি আল্লাহর নামে খেয়েছি । আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ওরা বলে এবার যীশুর নাম খেতে থাকেন । যীশুর নামে খাওয়া শুরু হলে ঐ রুগীকে সঠিক মাত্রায় ঔসদ দেওয়া হয় । আর এভাবেই ঈমানকে ধ্বংস করা হয় । ঐ হাসপাতালে রয়েছে ক্রুশ চিন্নিহিত স্থান । আর ঐ স্থানে প্রতিদিন একটি নিদ্রিস্ট সময় উপাসনা করে যীশুর কাছে রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করা করা হয় ।
এরকম আরো অনেক ঘটনা আছে , যা বলে শেষ করতে পারব না ।
**** খ্রিষ্টানদের পাশাপাশি আরও একটি দল এগিয়ে যাচ্ছে । আর তারা হল কাদিয়ানী । আমরা সবাই কম বেশি এই দলের নাম জানি । এরা আমাদের শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) কে শেষ নবী মানতে রাজি না । আরও অনেক কাহিনী আছে এদের মধ্যে । আপনি অবাক হবেন এদের কার্যক্রম শুনে । এরা পুরো এলাকা জুরে কিনে নিচ্ছে । যদি কোথায়ও শুনে কেউ জমি বিক্রি করে । সাথে সাথে কিনে নেয় । যেই জমির দাম থাকে ১ক লক্ষ । তারা ঐ জমি কিনে দশ লক্ষ টাকা দিয়ে । অর্থাৎ যত টাকা লাগে । এরা পঞ্চগড়ের একটি গ্রামের নামই পরিবর্তন করে দিয়েছে । নাম দিছে আহমাদ নগর । তাদের প্লান তারা সারা দেশে তাদের মত করে হাসপাতাল , মাদরাসা , স্কুল , কলেজ নির্মাণ করবে এবং সেখানে ওদের মনগড়া ধর্ম শিক্ষা দিবে ।
এমত অবস্থায় আমাদের অনেক কিছু করনীয় আছে । আমরা যদি সবাই না এগিয়ে আসি আল্লাহ আমাদের ধরলে কারো রেহাই হবে না । আমি ওখানে মেহনত করনেওয়ালা ভাইদের সাথে আলোচনা করে জানতে পারলাম । যেসব ফাদার বাংলাদেশে মেহনত করতেছে তারা প্রায় সবাইই দেশের বাইরের । তারা তাদের ধর্মের জন্য জীবন উৎসর্গ করার জন্য প্রস্তুত । দেশের বাহিরে থেকে এসে আপনার আমার ভাইয়ের ঈমান নষ্ট করতেছে । এভাবে চলতে থাকলে একসময় কি অবস্থা হবে একবার চিন্তা করে দেখার অনুরদ । এবার প্রশ্ন ভাই আপনাদের কাছে বিদেশের লোকেরা এসে আমাদের দেশের মুসলমানদের উপর মেহনত করে ঈমান ধ্বংস করতেছে আর আমরা যদি কিছু না করি তাহলে কে বাঁচতে পারবেন ? আমাদের কি কিছু করা উচিত কিনা ?
এবার আমাদের করনীয়ঃ
আলহামদুলিল্লাহ কেউ যে কাজ করতেছে না তা নয় , তবে তা সংখ্যায় খুবই কম । আল্লাহ্কে রাজি খুশি করার জন্য এবং মুসলমানদের ঈমান রক্ষা করার জন্য যে সকল কর্মসূচী তারা নিজেদের চেষ্টায় চালিয়ে যাচ্ছেনঃ
(১) উত্তর অঞ্চলের সকল মসজিদে মক্তব চালু করার চেষ্টা । আলহামদুলিল্লাহ ইতি পূর্বেই পঞ্চগড়ে ৪০ টি মক্তব চালু আছে । আর এ মক্তবে পড়ানোর জন্য যাদেরকে নির্বাচন করা হয় তারাও আলেম । তাদেরকে খুঁজে বের করা হয় । তাদের দায়িত্ব থাকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দ্বীন শিক্ষা দেওয়া , এলাকায় দ্বীনের মেহনত করা , কে নতুন করে খ্রিষ্টান , কাদিয়ানী ইত্যাদি ভ্রান্ত আকিদায় জরিত হয়ে পরতেছে তাদের খোঁজ নিয়ে ওলামায়কেরামদের জানানো । খবর পেয়ে আবার ঐ সকল দ্বীনের দায়ীরা তাদের কাছে ছুটে যায় এবং বুঝাতে থাকে ।
(২) কিন্ডারগার্ডেনের মত মাদরাসা করা । এ মাদরাসায় দ্বীন শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা ইংরেজি শিক্ষা দেওয়া । যাতে কোমলমতি শিশুরা বাইবেলের শিক্ষায় শিক্ষিত না হয়ে আল্লাহ তালার পবিত্র কুড়ানের শিক্ষায় শিক্ষিত হয় । ইতিপূর্বেই এর কার্যক্রম চালু হয়েছে ।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
সত্য ও সুন্দর বলেছেন: মারাত্মক
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:৩৯
নতুন বলেছেন: খৃস্টানদের মিশোনারীদের কাজ তাদের ধম` প্রচারনা... তাদের বাইরের থেকে টাকা আশে তাই তারা অনেক কিছুই চেস্টা করে তাদের দল ভারী করতে...
কিন্তু আপনার গল্পগুলিও অতিরন্জিত মনে হচ্ছে....
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৫
সত্য ও সুন্দর বলেছেন: ৫ নং ও ৬ নং কমেন্টস দেখুন।
৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:০৮
মুফতি শফিকুল ইসলাম হামিদী বলেছেন: এসব খৃষ্টান মিশনারীগুলো সেবার অন্তরালে মূলত দেশের স্বাধীনতা বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত আছে। এরা মুসলমান এবং হিন্দুদেরকে তাদের ধর্মের শিক্ষা দিয়ে তাদের সাম্রাজ্যবাদ এদেশে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এরা নতুন নামে পুরাতন শত্রু। পুর্বে এরা এসেছিল ব্যবসার নামে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর লেবেলে। তখন তারা উপমহাদেশের সরলমনা মানুষগুলোকে ধোকা দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে ২০০ বছর এদেশের জনগণের উপর নির্যতনের স্ট্রীম রুলার চালায়। অবশেষে স্বাধীনতাকামী জনগণের কাছে নতি স্বীকার করে এদেশ থেকে তারা চলে যেতে বাধ্য হয়। কিন্তু তারা তাদের লোভ সামলাতে পারেনি। তাই তারা এখন সেবার অন্তরালে এঞ্জিওর লেবেলে নতুন নাম নিয়ে পুরাতন খাহেশ পুরণ করার মতলব চালাচ্ছে। তাই আমি সকলকে বলব, এদের বিরোদ্ধে যথোচিত পদক্ষেপ এখনই গ্রহণ না করলে এর জন্য কড়া মাশুল দিতে হবে। অন্তত আমাদের পিছনের ইতিহাস তাই বলে। ইতিহাস থেকে সকলের শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৮
সত্য ও সুন্দর বলেছেন: সহমত
৪| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:২৫
পাবনার পাগল বলেছেন: কাহিনী কি সত্যি? :o
৫| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৮:১৭
করিম মিয়া বলেছেন: বাস্তব ঘটনা, শুরুতে আমিও অবিশ্বাস্য মনে করেছিলৈাম।
আমি পঞ্চগড়ের আটোয়ারিতে গিয়েছিলাম....সেখান থেকে ভজনপুর..........এলাকাগুলো ঘুরলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে।
সবার উচিত িএ বিষয়গুলো নিজের চোখে প্রত্যক্ষ করা........
৬| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:৪৫
মেলবোর্ন বলেছেন: ওদের কাজ
ঠাকুরগাঁওয়ের রোহিয়া থানার ফাতেমার রানী মারিয়া গীর্জা -- নামকরন দেখছেন
হাসান জামিল ভাইয়ের কিছু পোস্ট আছে এগুলো নিয়ে ওনার প্রোফাইলে দেখতে পারেন ছবি ও বিস্তারিত লিখা আছে তাি আর লিখলাম না পড়ে আসুন
:Click This Link target='_blank' > Click This Link
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
সত্য ও সুন্দর বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৩১
মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: দারিদ্র্য আর ক্ষুধার জীবনে ধর্ম-ঈমান, এসবের স্থান নেই...ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবারই এখানে মুখ্য...অন্নদাতা নয়
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
সত্য ও সুন্দর বলেছেন: সহমত ভাই
৮| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪০
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: শালারপুতের জেএমবি, হিজবুত, ইসলামিক ষ্টেটস বাংলাদেশ এই বান্দির পুতেরা এইগুলা চৌখে দেখেনা ক্যান
৯| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৩
নতুন বলেছেন: উত্তরাঞ্চলের দারিদ্রাভাবের সুবিধা নিচ্ছে তারা...
সরকারের উচিত দেশের দরিদ্র মানুষের কম` সংস্হানের ব্যবস্হা করা... তবে এই সব বিদেশীদের খপ্পরে পড়তে হবেনা...
ঠাকুরগাঁওয়ের রোহিয়া থানার ফাতেমার রানী মারিয়া গীর্জা -- নামকরন দেখছেন
http://en.wikipedia.org/wiki/Our_Lady_of_Fátima
লেডি অফ ফাতেমা নামে খৃস্টানদের একটা ঘটনা আছে... সেটা অনুসারে নামকরন হয়ে বলে মনে হচ্ছে...
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:২৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
সমস্যা