নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধুই সত্যের পথে...

সত্য শিকারী

শুধুই সত্যের পথ

সত্য শিকারী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিশোর অপরাধ: দোষটা জন্মগত না, পরিবেশগত।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৬



ইদানিং ফেসবুকে এবং সামনা সামনি বেশ কয়েকটা ঘটনা আমার চোখে পড়েছে। বাস বা ট্রেনের জানলা দিয়ে মোবাইল/হ্যান্ডব্যাগ/পার্স ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা।

#১ কিছুদিন আগে সিলেট যাচ্ছিলাম বন্ধুদের সাথে ইউনিক বাসে। সায়েদাবাদ দিয়ে বাস ফ্লাইওভার এ উঠার আগ মুহুর্তে কিছুক্ষণের জন্যে থামে গাড়ি। এরপর আবার যখন চলা শুরু হয় ঠিক সেই মুহুর্তে এক বন্ধুর চিৎকারে পেছন ফিরলে জানতে পারি তার মোবাইল কে যেন টান দিয়ে নিয়ে গেছে জানলা দিয়ে, আর বাস তখন ফ্লাইওভার এ উঠছে, গাড়ি থামানোর সুযোগ নাই। খেয়াল করলাম ছিনতাইকারীর বয়স খুব একটা বেশি না।

#২ রমনার পাশের একটা ঘটনা। মৎসভবনের পাশে যে মোড়টি আছে সেখান দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলাম। হঠাৎ একটা মেয়েলি চিৎকার শুনে পেছনে তাকালাম। দেখলাম একটা মোটরসাইকেলের পেছনে দুইটা ছেলে দৌড়াচ্ছে আর মেয়েটা রিকশায় বসে চিৎকার করছে "ক্যামেরা ক্যামেরা" বলে বলে। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনার আগাগোড়া বুঝতে পারলাম। ওরা তিনজন রিকশায় যাচ্ছিল। মেয়েটির হাতে ছিল ক্যামেরা। মোড় ঘুরতে গিয়ে পাশে মোটর সাইকেল থেকে একজন মেয়েটির হাত থেকে ক্যামেরা টা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। আর মেয়েটির সাথের দুইজন মোটরসাইকেলকে ধাওয়া করে। খেয়াল করে দেখলাম এবারও ছিনতাইকারীর বয়স খুব একটা বেশি না।


## কেন এমন হচ্ছে? যে বয়সে তাদের উচিৎ দেশের জন্যে কিছু করা, পড়ালেখা করে নিজের জন্যে কিছু করা। পরিবারের জন্যে কিছু করা। ঠিক সেই বয়সে এসে তারা ঝুকছে ছিনতাই এর মতো ঘৃণ্য পেশায়! কেন? জন্মগত ভাবে তো কেওইই অপরাধী হয়না?

আসলে দোষটা তাদের পরিবারের না, দোষ আমাদের, আমাদের সমাজের, দেশের। আমরা যদি তাদের সঠিক বয়সে সঠিক চাহিদা পূরন করতে পারতাম!

কে জানে, হয়তো মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া ছেলেটি কমলাপুর স্টেশনে একটা বয়সে খাবারের অভাবে এর ওর খাবার ছিনিয়ে দৌড় দিত? কে জানে এই ছেলেটিই হয়তো কোন শিল্প/সামাজিক সংস্থার ত্রানবাহী গাড়ি থেকে খাবারের প্যাকেট চুরি করতো! এমন কি হতে পারেনা এই ছেলেটিই কোন একসময় স্কুলে গিয়ে সহপাঠীর টিফিন চুরি করতো! তখন তো আমরা তাকে বাঁধা দিতে পারিনি।

যদি আমাদের সমাজ সেদিন তাকে বাঁধা দিতে পারত? তার সেই কাজ না করতে তাকে যথেষ্ট সুযোগসুবিধা দিতে পারত!!!

আমরা কি পারি না পরবর্তী ছিনতাইকারী/চোর/ডাকাত/মার্ডারার প্রজন্মকে এই সময়েই রুখে দিতে? তবে তারাই তো হবে আগামীর সুন্দর-সুশীল নাগরিক সমাজ..

-সত্য শিকারী (#০১৭)
২০/০৩/১০১৮

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: সবগুলো সত্য কথা।

এর থেকে বাঁচার উপায় কী??

২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৭

সত্য শিকারী বলেছেন: সম্যকভাবে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা, পাশাপাশি মাদক এর সহজলভ্যতা কমানো।

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১০

তারেক ফাহিম বলেছেন: সব অপরাধের মুল মাদক আমার মতে।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

সত্য শিকারী বলেছেন: আমিও সেটাই মনে করি। মাদকের সহজলভ্যতা কমাতে পারলে এ অপরাধ অনেকাংশেই কমে আসবে বলে মনে করছি। এছাড়াও তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা গেলে অপরাধপ্রবণতা আরো কমবে বলে মনে করছি।

৩| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: এসব অপরাধ কমাতে সরকারের পাশাপাশি আমাদেরও সচেতন হতে হবে, কাজ করতে হবে। আমরা নিজেদের চাহিদা মমিটিয়ে অনাগত সন্তানসন্ততি'র জন্য বাড়িগাড়ি,ব্যাংক ব্যালেন্স করার নেশায় মত্ত হয়ে পড়ি অথচ চোখের সামনে সন্তান সমতুল্য প্রতিবেশী, নিকটাত্মীয় ভাই,ভাতিজা সুযোগের অভাবে বেকার বখাটে হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ওদের দিকে একটু নজর দিলে অপরাধ কমানো সম্ভব।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪

সত্য শিকারী বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাই। ধন্যবাদ

৪| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: দরিদ্র শ্রেনীর শিশু কিশোরদের অপরাধের জগতে জড়িয়ে পড়ার অন্যতম কারন হচ্ছে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়া।

২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৫

সত্য শিকারী বলেছেন: জ্বি ভাই। আমিও তাইই মনে করি

৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৬

বনসাই বলেছেন: মাদকের সাথে ছিনতাই এর সম্পর্ককে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না; মাদকের সহজলভ্যতা কমালে বরং এই পর্যায়ে ছিনতাই আর বাড়বে। কারণ তখন মাদকের মূল্য বৃদ্ধি পাবে। মাদক গ্রহণ তো আর থেমে থাকবে না।

সমাজের রন্ধে রন্ধে যে ক্ষয় সেটাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই কিশোরদের দোষ দিয়ে কি লাভ! ধনী গরীবের বৈষম্য, উপার্জনের সহজ পথ না থাকা, ন্যূনতম চাহিদা পূরণে অক্ষমতা, বিচারহীনতা, বিচারে দীর্ঘসূত্রীতা সর্বোপরি ভোগবাদী মানসিকতা আমাদের মাঝে নাই নাই নাই দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেছে।
মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা গেলে অপরাধপ্রবণতা আরো কমবে বলে মনে করছি। সহমত। পারিবারিক বন্ধন ও ধর্মীয় অনুশাসনকেও গুরুত্ব দিতে হবে।

আর বর্তমানে বাসের জানালা দিয়ে কিংবা রিকশা থেকে ব্যাগ টেনে নেয়ার জন্যে ছিনতাইকারীর একার দোষ দেয়া ঠিক হবে না। সেই যাত্রীর বেখায়ালীপনাকেও দুষতে হবে।

কেন ভোর রাতে সদরঘাটে লঞ্চ থামার সাথে সাথেই জনশূন্য পথে নামতে হবে!
কেন ভোরে কোচ থেকে বাসার কাছেই নামতে হবে যেখানে নিয়মিত ছিনতাই হয়!
কেন বাসে জানালার পাশের সিটে বসেই মোবাইল ফোনে বুঁদ হতে হবে!
কেন রিকশায় ব্যাগটি কোলে বা ঘাড়ে ঝুলিয়েই বসতে হবে!

কথায় আছে, সাবধানের মার নেই

২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

সত্য শিকারী বলেছেন: ভালোই বলেছেন। অবশ্যই সাবধান না থাকলে এমন পরিস্থিতির শিকার হবে। তবে আমি এই লেখায় ছিনতাই টা কে ফোকাস করিনি। ফোকাস করেছি যারা ছিনতাই করছে, মানে কিশোরদের।
অবিশ্যই আপনার সাথে আমি একমত। ছিনতাইটাতে শুধু তাদের না, আমাদের সাবধানতার অভাবও একটা বড় কারন।

৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
সুশিক্ষার অভাব!

২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

সত্য শিকারী বলেছেন: হুম

৭| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: পুরনো ডায়েরী থেকে কবিতা নিয়ে কবি আল মাহমুদের এমন সুন্দর সুন্দর কথাগুলো আমাদের সাথ শেয়ার করার জন্য
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইজান...

২০ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৫০

সত্য শিকারী বলেছেন: মন্তব্যটি বুঝতে পারিনি ভাই।

৮| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৩০

মুসআব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভালোই লিখলে ভাই

৯| ২০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: পরিবার এবং শিক্ষাক্ষেত্রে যতদিন নীতি জ্ঞান শিক্ষা বাধ্যতামূলক ভাবে শিখানো না হবে জাতি এভাবে পিছাতেই থাকবে। সুনামীর পর জাপানের সেই ছেলেটার গল্পটা আমরা অনেকেই জানি। খাবার শেষ হয়ে যাবে আশংকা করে, ভলান্টিয়ার আগে তাকে খাবার দিলে সে খাবার ফিরিয়ে দিয়ে লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে থাকল ।
তারা যদি এ ভাবে শিখতে পারে আমরা কেন পারব না।

১০| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: জাতির সর্বনাশ যা হবার তাতো হয়েই গেছে।

১১| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আমরা বড় অসহায়!ছিঁচকে চোর বড়জোর আমাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি নিয়ে পালায়,কিন্তু এখন শিক্ষিত ডাকাতরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে। আর আমাদের রাজনীতিবিদরা অবশ্য জনগনের টাকা হ্যাক করছে।সুতরাং আজ আমরা একটা মহা সঙ্কটের মধ্যে আছি।

১২| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: :(

১৩| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

দ্যা ফয়েজ ভাই বলেছেন: কমলাপুর রেলস্টেশন এর পাশে একটা বস্তির ছেলে যদি এমন কিছু করে তবুও আশ্বস্ত করা যায় এই ভেবে যে হয়ত সে জীবনের তাগিদে করেছে।কিন্তু,শিক্ষিত সমাজের কোটিপতির দুলালীরা এইসব কর্মকাণ্ড আরো বেশি করছে।এইখানে আপনি কাকে দোষ দিবেন?অথবা,কি দিয়ে মনকে আশ্বস্ত করবেন?

১৪| ২১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: অভাব অনটনে মানুষের মাথা ঠিক নাই। ক্ষুধার জ্বলায় মানুষ সব কিছু করতে পারে।

১৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: দেশে কিশোর অপরাধ বেড়ে যাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.