![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বুঝিনা এমন কঠিন লাগে কেন জীবনটা। আসলেই তো কঠিন, তাই এমন লাগা তো অবাস্তব কিছুই না। জীবনটা যার জন্য ছুটছিল সেটি ঠিক না থাকলে এমনই তো লাগবে।
জীবনের না পাওয়ার হিসেবটা বাদ দিয়ে পাওয়ার হিসেবটাই নাকি করতে হয় বেশি বেশি। কিন্তু নিরাশা আর হতাশা এতটাই ঘিরে ধরেছে আমাকে যে খালি না পাওয়াগুলোই যেন চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে।
আম্মু ফোন দিয়ে অভিশাপ দিয়ে দিলো। আদরের বউ টা সেও অভিশাপ দিয়ে দিলো, যেখানে কাজ করি ফিরোজ ভাইয়া সেও কতদিন ধরে জঘন্য ব্যবহার করে আসছে। আমার সেই গুন গুলো নেই যা মানুষের মনে আমার জন্য দোয়া সৃষ্টি করবে, তাই তারা শুধু গালি আর অভিশাপ দেয়।
কিছু মানুষকে আমি ছেড়েছি, কিছু মানুষকে ছাড়তে হয়েছে, কিছু মানুষ আমাকে ছেড়েছে। সব মিলিয়ে এখন আমি সম্পূর্ন একা।
বউ এর সাথে সম্পর্কটা আমাকে প্রতিনিয়ত এতটাই Change করছে যে আমি আর আমি নাই, পরিবর্তন হতে হতে নিজের কোন তালই খুজে পাচ্ছি না আর।
এমন একটা জায়গায় ছিলাম আমি, কিছু গুন রপ্ত করলাম সবে, কিছু করছি, কিছু করবো বলে ভাবছিলাম। সবগুলোই উল্টোপাল্টা হয়ে গেলো, সবই হারিয়ে ফেললাম আমি চীরতরে। একদম বেগুন আমি।
তাই তো সবাই ছুড়ে মারছে। জানি আমি কোথায় যাচ্ছি, সত্যি জানি না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৬
রোহান খান বলেছেন: আমার কথাতে কস্ট নিবেন না বরং আশাকরি বুজতে চেস্টা করবেন। যখন কোন টুথব্রাশ নতুন হিসেবে আপনি কিনে আনেন তখন সেটির আদর যন্ত অনেক বেশী থাকাটাই সভাবিক। বলতে গেলে প্রথম ৫-৭ দিন ব্রাশ করার পর সেটাকে অনেকেই প্যাকেটে মুড়ে রাখে বা যত্ন করে রাখে।যখন নতুন থাকে তখন যদি আপনি ভুলেও ব্রাশটিকে বাথরুমে রেখে আসেন পরবর্তীতে দেখবেন অন্য কেউ নিয়ে এসে সঠিক জায়গায় রেখে গিয়েছে। এটাই নতুনত্বের নিয়ম। এর ২ কিংবা ৪ মাস পর সেটি ব্যাবহার হতে হতে আকর্ষন হারিয়ে ফেলে। তখন হয়তবা আগের মত যত্ন নেয় না। এসময় সেটি পরিত্যাক্ত হিসেবে গন্য হয়। ঠিক এভাবে আমাদের মানুষের জীবনে কিছু ঘটনা থাকে যা আমরা সচরাসর ঠাহর করতে প্রস্তুত নই। আমরা নিজেরা নিজেস্ব গন্ডির ভিতর চলাচল করতে করতে এমন ভাবেই নিজ জীবন সম্পর্কে নিস্তেজ হয়ে পরি।হয়তবা এমন কিছু কাজের মধ্যে ডুবে যাই যা পরিবার বা সমাজের অন্যান্য মানবকুলের চোখে তা অসুস্ত্যতা। তখন সেই পুরুনো ব্রাশটির মত অবস্থ্যা হয়ে দাড়ায়। যখন বুজতে পারবেন আপনার চারিপাশে মানুষ গুলো আপনাকে নেগলেট করছে, তার মানে নিশ্চয় আপনার নিজের ভিতর কোন ট্রুটি আছে যা স্বাভাবিকতায় পরে না। তাই নিজেকে সময় দিয়ে সবার আগে সেই ট্রুটি গুলো বের করতে চেস্টা করুন। যেহেতু আপনি উল্লেখ করেছেন আপনার মা, বউ এমনকি অফিসের কলিগ পর্যন্ত আপনাকে নেগলেট করছে তারমানে আপনার কোন ব্যাবহার এমন পর্যায়ে উপনিত হয়েছে যে বাকি মানুষ গুলোও খুব তারাতারি এমনি শুরু করবে যদি আপনি নিজে আপনার ভুল গুলো খুজে বার করতে না পারেন যার পরিনাম হয়ত সুইসাডের মত ভুলকে আপনার মনের ভিতর শক্ত অবস্থ্যান নিয়ে আসতে পারে। তাই এখনি একটি শর্ট আউট করুন। কে কে আর কি কি দোষে আপনাকে দোষী করছে। শুধু ঐ দোষ গুলি আপনি ঐ মানুষগুলোর সামনে প্রদর্শন করা বন্ধ করুন, যদিও আপনাকে ভিতর থেকে পরিবর্তীত হতে হবে না। তাহলে দেখবেন নিজে পরিবর্তন না হয়েও সমাজের অন্য লোকের কাছে আপনার সম্পর্কে দস্টি ভংগি পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন। একটা কথাই মনে রাখবেন - " যে যে যেই দোষ সম্পর্কে আপনাকে পয়েন্ট করবে শুধু মাত্র ঐসব লোকের কাছেই ঐ সব নির্দিস্ট আচরন করা থেকে বিরত থাকবেন। কাজটি করা বহু কস্টের তার পরে হলেও সামাজিকতা রক্ষায় এতুটুকু ছাড় মানুষ হিসেবে প্রতিটি মানুষকে দিতে হয়। মনে রাখবেন এটাই সামাজিকতা আর এটা আপনাকে মানতেই হবে। ভালো থাকবেন।