নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঠুকে চলি ছেনি হাতুড়ি ...অনবরত!

আমার সত্ত্বার জাগ্রত অংশ অনবরত স্কালপেলের পোচঁ দিয়ে চলে ঘুমন্ত সত্ত্বার নাভিমূলে ।চামড়ার নিচে হালকা ব্লেডের টান নাচন ধরায় ফেটে যাওয়া ফ্যাকাসে টিস্যুতে । আর্তনাদ করে কেদেঁ উঠি আমি নিষ্পাপ সত্ত্বার এমন অকাল মহাপ্রয়ানে....

লাশকাটা ডোম

লাশকাটা ডোম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জিঘাংসা (প্যারাসাইকো গল্প)

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:৫৩

হা হা... অবশেষে খুনটা করেই ফেললাম ।দুনিয়ার প্রায় ভরে যাওয়া হার্ডডিস্ক থেকে কয়েক কেবির একটা ফাইল ডিলেট করে দিলাম । নিধির মৃত্যুটা যে আমার জন্য এত তৃপ্তিদায়ক হবে কল্পনাই করতে পারছিনা ।যে ডাগর ডাগর কাজল কালো চোখের মায়ার প্রেমে পড়েছিলাম বসন্তবরন অনুষ্ঠানে এখন সেই আখিঁযুগল আমার ডান হাতের মুঠিতে নিয়ে ছানাছানি করছি । হাসের ডিমের মত চোখ বললেও চোখ পুরোটা গোল নয় ।একপাশে ঠেলে বেরিয়ে থাকে । উমম!ঘেন্না লাগছে ।রক্তে হাত চটচটে হয়ে আছে ।চোখগুলো জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলত একটা কাক উড়ে এসে ছোঁ মেরে শূন্যে থেকেই নিয়ে গেল একটা ।আরেকটা পড়েছে নিচতলায় বাড়িওয়ালার মেয়ের রডোডেনড্রনের টবটাতে । কাল ভোরে সেখানে পানি দিতে এসে মেয়েটা যে পরিমান টাশকি খাবে ভাবতেই গায়ে কাটাঁ দিল রোমাঞ্চে । সূয্যিমামা পাটে বসেছে । হাতটা ধুয়ে ফেলা দরকার । বেসিনে হাত ধুয়ে গেস্ট রুমে চেয়ারে বেধেঁ রাখা নিধির প্রানহীন শীতল দেহের কাছে গেলাম ।মাগি এলিয়ে পড়ে আছে চেয়ারে ।পিঠের সাথে দড়ি বেধেঁ রাখায় হেলে আছে একদিকে ।গায়ে একটা সুতোও নেই ।হা করে আছে মুখটা । মাংস পোড়া কটু গন্ধ এখনো রয়ে গেছে । দেহের নিম্নাংশের চুল ওয়ালা জায়গাটাতে লাইটার একটু আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলাম ।শালীর চেহারাটা দেখার মত হয়েছিল তখন । কোরবানীর গরুর মত গোঙ্গাচ্ছিল ।চোখ দুটো বিস্ফারিত তখন ।একটা চোখ এতক্ষনে কাকের ডিনার হয়ে গেছে ।পাশের বিছানায় ধপ করে শুয়ে পড়ে একটা সিগার ধরালাম । . আমি শান্ত । এশিয়া প্যাসিফিক ভার্সিটিতে CSE তে থার্ড ইয়ারে পড়ি ।কারো সাতে পাচেঁ থাকি না ।ইন্ট্রোভার্ট হিসেবে ভালই নাম কামিয়েছি ইতিমধ্যে । ল্যাব টু ক্লাস টু হোম আমার ডেইলি রুটিন । নিধি আমার জি এফ ।আমাদের ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ারের স্টুডেন্ট ।আমার প্রথম ক্রাশ এবং আমার জীবনের ভাইরাস ।ওরিয়েন্টাশেনর দিন যখন ওকে দেখেছি তারপর থেকেই আমার সি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজে i love u nidhi লেখা হয়ে যেত মনের অজান্তেই । আমার জাভা স্ক্রিপ্ট,HTML,PHP থিসিস বানানো লাটে উঠল ইউটিউবে how to impress a girl শিরোনামের ভিডিওগুলো নামাতে নামাতে । তারপর আয়নার সামনে কত যে প্র্যাকটিস ! নিজের আনাড়ীপনার কথা ভাবতেই রাগ হল ।সিগারে কষে আরেকটা টান দিয়ে রাগটা জন প্লেয়ার আংকেলের উপর ছাড়লাম । অবশেষে নিধি আমার হল ।আমার দুনিয়া অর্থপূর্ন হল । পুরোটা ভুবন জুড়ে এল ।এক মোহময় আবেশে আমি খিদে, পিপাসা ভুলে তার মিষ্টি চুমুর জন্য পিপাসার্ত হতে থাকলাম ।তার মিষ্টিকুমড়া বিচির মত দাতেঁর মধুঝড়ানো হাসি দেখার জন্য ব্যাকুল হতাম । সে যখন টাইট টপ আর লেগিংস পরে ক্যাম্পাসে আসতো ছ্যাচড়া পুলাপাইন হা করে তাকিয়ে থাকত তার সুডোল তন্বী নিতম্বের দিকে । দেখে রাগ হলেও গর্বিত হতাম এই অঢেল সম্পদের মালিক আমি ভেবে । সেদিন ওকে খুজতে গিয়ে গ্রাউন্ডফ্লোরে ওদের ক্লাসে গিয়ে দেখলাম ক্লাসমেট এক ছেলেকে আগ্রাসী চুমু খাচ্ছে আর ছেলেটার হাত আমার নিধির...না আমার নিধি কেন?ওতো জনগনের নিধি ।যখন দেখলাম ছেলেটা জনগনের নিধির শরীরের যত্রতত্র হাতের কারুকাজ দেখাচ্ছে তখন আমার মাথার পিছনের পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে ব্লাড ফ্লো সর্বোচ্চ সীমায় পৌছে গেল ।এড্রেনালিনের দ্রুত যাতায়তে আমার হাত ও কাধেঁর পেশী কাপঁতে শুরু করল ।দৃষ্টি ঘোলা হয়ে যাচ্ছে,অবসাদ গ্রাস করছে । আমার যতসব রাগ ঘৃনা মাউন্ট ভিসুভিয়াসের মত অগ্নুত্‍পাত হচ্ছে আমার দৃষ্টিতে আর নিঃশ্বাসে । টুটি ছিড়ে ফেলত ইচ্ছে করছিল শুয়োরটার ।থমকে দাড়ালাম ছেলেটার ব্যায়ামপুষ্ট বাইসেপ দেখে ।আমার চেহারার জিয়োগ্রাফি বদলে যেতে পারে । বড়লোকের ছেলে ।ডেইলি বাইকে করে ক্যাম্পাসে আসে ।দামি গেটআপ থাকে সর্বদা । আমি আতেঁল স্টুডেন্ট ।ফরমালের চেয়ে ওভারফরমাল আমার গেটাপ । মানে মানে সটকে পড়লাম । হেস্তনেস্ত না করলেই নয় এটার ।পরেরদিন ডেটিংয়েও নিধিকে কিছু বললাম না এ ব্যাপারে । মেকি হাসি ধরে রাখলাম মুখে।আগের রাতে ঘুমোতে পারিনি ।পরের রাতেও এলোনা ।কারন,এ রাতে আমি প্ল্যানটার ফুটোগুলো বন্ধ করতে ব্যস্ত ছিলাম । পরের দুদিন নিধিকে দেখা দিলাম না । কারন এ দুদিন আমি ইন্সট্রুমেন্ট সংগ্রহ করতে ব্যস্ত ছিলাম । তারপরদিন নিধিকে ডিনারে ইনভাইট করলাম আমার বাসায় । বিকেলেই চলে এল সে সেজেগুজে । বাসায় ঢুকিয়ে ক্লোরোফর্ম মাখানো রুমাল দিয়ে সেন্সলেস করে বডিটাকে ছেচঁড়িয়ে গেস্ট রুমে এনে চেয়ারে বেধেঁ ফেললাম । মুখে পানি ছিটিয়ে সেন্স ফেরালাম ।নিধির অপূর্ব চোখেমুখে তখন চোদনা হয়ে যাওয়ার অভিব্যক্তি । কথা বলার সুযোগ না দিয়ে মুখে রুমাল গুজে দিলাম । তারপর স্টোররুম থেকে প্লায়ার্স এনে পটাপট হাতপায়ের বিশটা নখ তুলে নিলাম । গোঁ গোঁ চিত্‍কার তখন অসহ্য লাগছিল ।কিচেন থেকে রাধুঁনি মরিচের গুড়া এনে ক্ষতে ডলে দিলাম । আলু কাটার ছুড়ি দিয়ে পোচঁ দিতে থাকলাম শরীরে ।স্তনের বোটাঁ দুটো কেটে নিয়ে টেবিলে রাখলাম । দর্শনীয় একটা অবস্থা হয়েছিল । হিস্টিরিয়াগ্রস্থ রোগীর মত কাপঁছিল আমার প্রিয়তমা । নিম্নাংগে মানে সকল পুরুষের কামনার অঙ্গে যখন আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলাম তখন গুপ্তকেশ পোড়া কটু গন্ধে ঘরের ভেতর টেকা দায় হয়ে গিয়েছিল ।তারপর হাতুড়ির বাড়ি দিয়ে একটা মোটা লোহার গজাল সেই অঙ্গে ঠেসে দিলাম ।আরেকটা গজাল অপচয় হয় গুহ্যদ্ধারে ।হলুদ তরলে আমার হাত ভরে গিয়েছিল ।বিপুল পরিমানে রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছিল । রক্তক্ষরনেই মারা গেছে নিধি । ছাদে চলে গিয়েছিলাম তারপর একটু বাতাস খেতে । নাহ!লাশটার ব্যবস্থা করে ফেলি ।মাংস কাটার চাপাতি দিয়ে নিধিকে হাত পা সহ আট টুকরো করে ফেললাম ।আহা!আমার হৃদয়ের মত অবস্থা আজ আমার থুক্কু জনগনের নিধির । কারো যাতে সন্দেহ নাহয় এইভাবে কয়েকটা দোকান ঘুরে চার গ্যালন H2S04 কিনেছিলাম ।গ্যালন খালি করে আমার বাথটাবটা ভরে ফেললাম ।টুকরাগুলো তাতে ঢালতেই বিজবিজ শব্দ উঠতে শুরু করল ।এসিড খেয়ে ফেলছে মাংস ।যেমন ভালবাসা খেয়ে ফেলেছে আমার মন ।আজ আমি জানোয়ার ।কেবল এই নচ্ছাড় ভালবাসার কারনে । হাড্ডিগুলোর কয়েকটা প্যাকেট করে এলাকার ডাস্টবিনগুলোতে ছড়িয়ে দেব ।আংটা দিয়ে হাড্ডিগুলো প্যাকেটে ভরার সময় দেখলাম সেগুলো কি সাদা !হ্যা,আমার মন এখন এরকম সাদা আর পবিত্র ।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: ভালোই| কিন্তু আমার ভাত মেরে দিলেন! এরকম একটা গল্প লিখেছি| পোস্ট করা আর হলো না!!!

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

লাশকাটা ডোম বলেছেন: হা হা হা :D :D কি যে বলেন ভ্রাতা! :p আমার কি আর অতটুকু ভালো লেখার সামর্থ্য আছে? ছোটখাটো একটা পিচ্চি আমি :p নিরন্তর শুভকামনা

২| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৫

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: ফ্লুয়েন্ট। সমসাময়িক প্রেক্ষাপটে বেশ ভালো লেখা।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৯

লাশকাটা ডোম বলেছেন: ধন্যবাদ ভ্রাতা :D শুভকামনা

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৪

আবু জাকারিয়া বলেছেন: কি ডেঞ্জারাস! একদম হলিউডের কাল্পনিক ছবির মত!

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০০

লাশকাটা ডোম বলেছেন: হে হে :D বাড়িয়ে বললেন ভ্রাতা :) ধন্যবাদ

৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

সুদীপ্ত সরদার বলেছেন: এরকম গল্প পড়তে খুব ভালো লাগে আমার! নিরন্তর শুভকামনা

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০১

লাশকাটা ডোম বলেছেন: চেষ্টা করব সামনে আরো ভাল লেখার :) শুভকামনা ভ্রাতা

৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪০

ৎৎৎঘূৎৎ বলেছেন: প্রশংসাযোগ্য চমতকার সাইকিক শিল্পকর্ম। নাক মুখ কুঁচকে গেছে একদম। এখনো স্বাভাবিক হচ্ছে না।

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০২

লাশকাটা ডোম বলেছেন: হা হা হা হা :D আপনার মুখের এক্সপ্রেশন কল্পনা করেই হাসি পাচ্ছে ভ্রাতা!নিরন্তর শুভকামনা

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

এম এম করিম বলেছেন: ভালো লাগলো।

+++

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:৩২

লাশকাটা ডোম বলেছেন: ধইন্যাপাতা লন ভ্রাতা :D

৭| ১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৪১

সব্যসাচী নিশাচর বলেছেন: শুভ কামনা রইলো ব্রো, তবে প্লটটা আরেকটু স্লোলি রিভেইল করলে আরো ভালো হতো।। চাইলে ভেঞ্জেস্টা আরো ফুটিয়ে তোলতে পারতেন :)

থাম্বস আপ :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

লাশকাটা ডোম বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা :) সামনে আরো ভালো করার চেষ্টা করব :)

৮| ১৭ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
দারুন লিখেছেন্।

তবে পরিসর আরেকটু বড় করলে পারতেন।

১৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১:১৭

লাশকাটা ডোম বলেছেন: সামনে আরো বড় লেখা পোস্টাব ভ্রাতা :) তাও আবার কয়েক পর্বের :D নিরন্তর শুভকামনা

৯| ২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

নিয়ামুল ইসলাম বলেছেন: B:-) B:-)

১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৭

লাশকাটা ডোম বলেছেন: :D :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.