![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রচনাঃ হাইব্রীড নেতা
ভূমিকাঃ "হাইব্রিডাইজেশন বা সংকরায়ন প্রকৃতির স্বাভাবিক ঘটনা। সাধারণত পরপরাগয়ন হয় এটার মধ্যে দিয়ে। একটি ফুলের রেণু আরেকটি ফুলের স্ত্রী ফূলের সঙ্গে মিলিত হয়। এই যে পরাগায়ন এর মধ্যে মধ্যে দিয়ে দুইটি জাতের মধ্যে বিশিষ্ট্য বিনিময় হয়। প্রকট বৈশিষ্ট্যগুলি এসে পড়ে। যদি একটু ভাল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন গাছ নির্বাচন করে তার সঙ্গে পরাগায়ন করা হয় তবে এটা হয়ে হাইব্রিডাইজেশন বা সংকরায়ন।
বর্তমান রাজনীতিতে কিছু নেতাদেরও হাইব্রীডের বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
খাদ্যে যেমন হাইব্রীড, নেতাও তেমন হাইব্রীড।
সংজ্ঞাঃ এক দলের নেতা ও অন্য দলের নেতার গোপন যোগাযোগ অথবা মিলনের ফলে যে সব নতুন জাত নেতা পাওয়া যায় তার মধ্যে কোন কোন নেতা তার দলের আদর্শ ভিতরে লালন করে বাহিরে অন্য দলের গুনাবলী প্রকাশে ব্যস্ত থাকেন এ ধরণের নেতাকে হাইব্রিড নেতা বলা হয়।
তবে হাইব্রিড বলতেই যে উন্নতমানের নেতা হবে তা নয়। হাইব্রিড নেতার মাধ্যমে সাময়িক অধিক ফলন পাওয়া গেলেও তা থেকে পরবর্তী সময়ে সংগঠনের জন্য কোন ত্যাগ আশা করা যায় না্। প্রতি বছরই এ ধরনের নতুন হাইব্রিড নেতাদের জন্ম হয় আবার ঝরে যায়।
হাইব্রীড নেতার বৈশিষ্ট্যঃ হাইব্রীড নেতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো সুবিধাবাদী, পল্টিবাজ।
হাইব্রীড নেতারা সরকারী দলে থাকে না, বিরোধী দলে থাকে।
নির্বাচন মৌসমে দেখা যায়।
দলীয় কর্মীদেরকে মূল্যায়ন করে না।
প্রতিপক্ষ দলের লোকের মূল্যায়ন করে।
নিজের প্রয়োজনে এলাকায় আসে, জনগনের প্রয়োজনে এলাকায় আসে না।
ব্যানার পোষ্টে দলীয় প্রধানের ছবির চেয়ে নিজের ছবি বড় করে দেখায়।
বিলবোর্ড চোখে পড়ে, আন্দোলন সংগ্রামে চোখ পড়ে না।
দুর্নীতি,থানার দালালী,চাকুরীর বানিজ্য ও জনগনের সম্পদ ভোগ করে।
দলের দুঃসময়ে হাইব্রীড নেতাদেরকে খুজে পাওয়া যায় না।
উপসংহারঃ হাইব্রীড নেতারা হলো রাজনীতির জন্যে ক্যানসার।
এরা দল ও জনগনের জন্য অমঙ্গল ভয়ে আনে।
হাইব্রীড হঠাও, রাজনীতিকে বাঁচাও।
©somewhere in net ltd.