![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জননেত্রী শেখ হাসিনা সৎ সাহসিকতার এক মূর্তপ্রতীক।
স্বজন হারানো ব্যথা, ধৈর্য্য আর সাহস দেশ পরিচালনায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে শক্তি যোগায়।
গভীর নিষ্ঠা, সততা ও সাহসিকতায় সব প্রতিকূলতাকে দু'পায়ে মাড়িয়ে চরম সাফল্য অর্জন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সত্য কথা বলার মতো সৎ সাহস রয়েছে।
তিনি অকপটে সত্য কথা বলেন। শেখ হাসিনা তথ্যপ্রমাণ ছাড়া কোনো কথা বলেন না । যা বলেন তা জেনে শুনেই বলেন।
শেখ হাসিনার দক্ষতা, সাহসিকতা ও সফলতার কারণেই বাংলাদেশ এখন গৌরবের আরেক চূড়ায় অবস্থান করছে ।
জননেত্রী শেখ হাসিনার অভিজ্ঞতা, প্রজ্ঞা, মেধা, বিচক্ষণতা, আত্মপ্রত্যয় ও দূরদর্শিতার কারণে তিনি এখন বিশ্ব নেত্রী।
দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও দূরদর্শী কিছু পদক্ষেপ সমূহ আলোকপাত করলাম।
* বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারঃ
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ও স্বজনদের হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে জিয়াউর রহমান বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেন। পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ওই অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার শুরু করে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্ব সরকার বছরের শুরুর দিকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় কার্যকর করে। ২৭ জানুয়ারি গভীর রাতে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ৫ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর হয়। বিশ্বের জঘন্যতম ও নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ৩৪ বছর পর বিচারের রায় কার্যকর করা হয়।
* একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারঃ
১৯৭১-এর মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে কখনো সম্ভব হতো না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারের জন্য শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূঢ সাহসিকতার ফলে
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর ৬ বছরে ৬ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদ- কার্যকর করা সম্ভব হয়েছে।
* জেল হত্যার বিচারঃ
১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে ও স্বজনদের হত্যা করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার সিনিয়র নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় হয়েছে, কিন্তু বিচার সম্পন্ন হওয়ার পথে।
* বিডিয়ার বিদ্রোহ মোকাবেলাঃ
২০০৯ সালের কথাই ধরা যাক,
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে কেবল। এর মধ্যে ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের মতো মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। সেনাবাহিনীতে উথাল-পাতাল। এর মধ্যে নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব প্রাপ্তরা বারন করল, প্লিজ আপনি যাবেন না। সহকর্মীদের হারিয়ে অধিকাংশ সেনা কর্মকর্তা উত্তেজিত। শেখ হাসিনা অনঢ় তিনি গেলেন তাঁর সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক সিদ্দিকী আর মতিয়া চৌধুরী। সেদিন তাঁর সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়নি, এমন কি কাউকে পাওয়া যাবে এই বাংলাদেশে?
* পদ্মা সেতু নির্মাণঃ
পদ্মা সেতু প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসম সাহসিকতার ফল। আমার কাছে যেটি অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য সফলতা সেটি হলো পদ্মাসেতু দৃশ্যমান করা। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কারণে বিশ্বব্যাংকসহ অন্যান্য দাতাগোষ্ঠী যখন মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মুখ ফিরিয়ে নেয়, তখন শেখ হাসিনার অদম্য সাহসে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণের ঘোষণায় পুরো জাতিকে অবাক করে দেয়। অবশেষে পদ্মার বুকে স্বপ্নের সেতু আজ দৃশ্যমান। শুধু তাই নয়, পদ্মাসেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি- এটি বাংলার জনগণের পাশাপাশি বিশ্ববাসীর কাছেও প্রমাণিত করেছে।
* জঙ্গিবাদ দমনঃ
জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, এটি আজ বিশ্বের সমস্যা। বিদেশি ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে দেশীয় সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করা এবং দেশের জনগণসহ রাষ্ট্রকে জিম্মি করার এটি একটি অপকৌশল। শেখ হাসিনার সরকার এখানেও অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিদেশি হস্তক্ষেপকে বাধা দেয়াসহ দেশের মানুষের মাঝে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার হলি আর্টিজেন থেকে শুরু করে কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ আর মসজিদ থেকে শুরু করে মন্দিরে হঠাৎ করেই জঙ্গিবাদের উত্থান এবং তা নিয়ন্ত্রণে রাখাও শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের এক অনন্য সাফল্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও রাষ্ট্রপ্রধান যখন এই জঙ্গিবাদ নিরসন বা নিয়ন্ত্রণের জন্য আলোচনা-পর্যালোচনায় উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন, সেখানে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে।
* সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলাঃ
একইসঙ্গে শেখ হাসিনা ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করে যেভাবে সাহসিকতার সাথে আল-কায়েদা, আইএস, বোকো হারাম, মুসলিম ব্রাদারহুড বা তালেবানদের এজেন্ট জামাত-শিবির, হিযবুত তাহরীর হিযবুল মুজাহিদিন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হামযা ব্রিগেড-এর মত জঙ্গিদের মোকাবিলা করে চলেছেন, তা বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়।
* রোহিঙ্গা ইস্যুঃ
যে মিয়ানমার সরকার একটা সময় রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর তাদের সেনাবাহিনীর পরিচালিত অত্যাচার, নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ লুটপাটের বর্বরতার কথা অস্বীকার করেছে, আজ সেই মিয়ানমার সরকারের সেনাবাহিনী তা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকারের ক‚টনৈতিক পরিকল্পনা এবং কর্মদক্ষতার কারণে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা আর সাহসী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশে ১০ লক্ষ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। বর্তমানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের পথে রয়েছে।
* খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ী থেকে উচ্ছেদঃ
বেগম খালেদা জিয়াকে দীর্ঘ ২৯ বছর ধরে থাকা তার সেনানিবাসের বাসভবন থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
* বেগম খালেদা জিয়ার দুর্নীতির বিচারঃ
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করা হয় ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই, সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়।
মামলার মূলে রয়েছে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া টাকা ট্রাস্টে না রেখে আত্মসাৎ করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন শেখ হাসিনার সাহসিকতাই বড় প্রমান।
বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা, যিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটিরও সদস্য তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সাহস আছে আমরা জানি। কিন্তু তিনি যে এত সাহসী তা আমরা বুঝতেই পারিনি।’ তার মতে, ‘প্রধান প্রতিপক্ষকে এভাবে জেলে পুরে রাখার সাহস ও চিন্তা ক’জন করতে পারে।’
* ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাঃ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর বাংলাদেশের ইতিহাসের আরেকটি কলঙ্কজনক ও রক্তাক্ত দিন এটি। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ৩০ বছর পর সেই আগস্ট মাসেই বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে ২১ শে আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে নারকীয় এই গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে।
স্বাধীনতা বিরোধী ও বঙ্গবন্ধু খুনি চক্র জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যা চেষ্টা করেন। তারপরও শেখ হাসিনাকে মহান আল্লাহতায়ালা জনগনের দোয়ায় বাঁচিয়ে রেখেছেন।
এরকম অসংখ্য উদাহরণ দেওয়া যায়, যেখানে শেখ হাসিনা মানুষের জন্য মৃত্যুর ঝুঁকিকেও উপেক্ষা করেছেন। তিনি সব সময় মানুষের কাছে থাকতে চান, মানুষকে নিয়ে ভাবতে চান, মানুষের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান।
এই কল্যাণব্রতে কোনো বাধাই তিনি মানতে রাজি নন। এটাই তাঁর চরিত্রের অনন্যতা।
শেখ হাসিনার এই সাহসের শক্তি কী?
এ প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে প্রায়ই। দলীয় নেতা-কর্মী, ঘনিষ্ঠজন, কাছে দূরের জনগন সবাই জিজ্ঞেস করে, এত সাহস তিনি পান কোথায়? সব সময় এ প্রশ্ন শুনলেই দৃঢ় হয়ে যান।
একটু হেসেই সাহসী নেত্রী শশেখ হাসিনা বলেন, ‘১৯৮১ সালের ১৭মে যখন দেশে আসলাম জিয়ার সব বাধা বিঘ্ন উপেক্ষা করে, তখন এদেশের মানুষের ঢলই তো আমাকে রক্ষা করেছিল। তানা হলে তো দেশে ফিরতে পারতাম না। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তো এদেশের মানুষই আমাকে বাঁচিয়েছিল। জনগণই আমার শক্তি, জনগণই আমার সাহস। জনগণের প্রতি ভালোবাসা যতদিন থাকবে ততদিন আমি কোনো কিছুতেই ভয় পাই না। সততার শক্তির চেয়ে বড় কিছু নেই।'
জনগণের শক্তিতেই শেখ হাসিনা অনন্য।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর পরীক্ষিত নেতারা ছেড়ে গেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহসিকতার সঙ্গে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
এটা সাহসিকতা ছাড়া সম্ভব নয় । তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো অসীম সাহসিকতা ধারণ করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আত্মমর্যাদাবোধের মধ্য দিয়ে।
বিশ্ব নেতাদের সামনে বাংলাদেশের সফলতা-দুর্বলতা নিয়ে শেখ হাসিনার সাহসিক এ উচ্চারণ যেন গ্লোবাল উইমেন্স লিডার ফোরামের মঞ্চে আরেকটি বাংলাদেশেরই প্রতিবিম্ব উপস্থাপন।
বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলেছে। উন্নয়নের ছোয়ায় বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল।
শেখ হাসিনার সৎ ও সাহসিকতা জাতির অনুপ্রেণার উৎস।
©somewhere in net ltd.