নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌভিকের চিন্তাচর্চা

চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি

সৌভিক ঘোষাল

পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা

সৌভিক ঘোষাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের শিক্ষা ও তার উন্নয়ন

২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯

পিছিয়ে পড়া তৃতীয় বিশ্বের দেশ ভারত শিক্ষার প্রশ্নে নানা দৃষ্টকোণ থেকেই পিছিয়ে আছে। অনেক অন্ধকারের মধ্যেও আশার দিক গত কয়েক বছর ধরে চলা সর্বশিক্ষা অভিযান প্রকল্প। সম্প্রতি চালু হয়েছে রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট ২০০৯। ২০১৩র এপ্রিল থেকে যার পূর্ণ ফলিত প্রয়োগ দেখা শুরু হবার কথা। তবে শিক্ষা তো বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, সামাজিক পশ্চাদপদতার প্রত্যক্ষ ফল। সামাজিক আর্থিক বিকাশ না হলে কিছু অভিযান আর আইনের সাফল্য আংশিক থাকতে বাধ্য। ভারতের ক্রমবর্ধমান আংশিক অসাম্য মারাত্মক। তবে ভারতের ওপরের স্তরের একাংশের শিক্ষা বেসরকারী শিক্ষার হাত ধরে আন্তর্জাতিক মানে পোঁছছে। আই আই টি গুলিও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিশেষ গুরূত্ব পেয়ে থাকে। আর এত বিরাট জনসংখ্যার দেশের ওপরের একট অংশের বিকাশও দেশীয় তথা আন্তর্জাতিক কাজের বাজারে খুবই আকর্ষণীয় বলে বিবেচিত হয়। ভারতের মেধাবী ছাত্রদের একটা বড় অংশ বিদেশে, বিশেষত আমেরিকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পড়াশুনো করে থাকেন।

দেশের শিক্ষা পরিকাঠামো বিকাশের যে চেষ্টা গত চার/পাঁচ বছর ধরে শুরু হয়েছে, তা অনেক আগেই শুরু করা উচিৎ ছিল। যাইহোক বেটার লেট দ্যান নেভার। সর্বশিক্ষা অভিযানের বর্তমান গতি আর একটু জোরদার হলে বা অন্তত এই মান বজায় থাকলেও আশা করা যায় ২০২০ সালের কাছাকাছি সময়ে ভারতীয় শিক্ষার সাধারণ চেহারাটা এখনকার থেকে অনেকটা উজ্জ্বল লাগবে।

তবে ভারতের মুসলিম জনসমাজ ও দলিত জনসমাজ ও আলাদাভাবে মুসলিম ও দলিত মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টি তখনো কিছুটা পিছিয়ে থাকবে বলেই আশঙ্কা হয়। এই ক্ষেত্রগুলিকে আলাদাভাবে গুরূত্ব দেওয়া দরকার।

যে শিক্ষার অধিকার আইনের ওপর ভারতের জনগণ তাকিয়ে আছেন তার কিছু দিক আলোচনা করা যাক।

এই আইন অনুযায়ী

• ৬ বছর থেকে ১৪ বছর বয়সি সমস্ত শিশু প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যালয় শিক্ষা (বুনিয়াদী শিক্ষা) পাবার অধিকারী। কোনো শিশুর কাছ থেকে এমন অর্থ কেউ নিতে বা দাবী করতে পারবেন না, যা দিতে না পারায় তার বুনিয়াদী শিক্ষা বন্ধ হয়ে যাবে।

• শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী শিশুরাও অন্যান্য শিশুদের মত সমানভাবে বিনামূল্যে বুনিয়াদী শিক্ষা পাবে।

• বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ক্যাপিটেশন ফি (বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য অনুদান) নেওয়া যাবে না। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

• বুনিয়াদী শিক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোন শিশুকে কোন শ্রেণিতে এক বছরের বেশি রাখা যাবে না এবং কোন কারণেই বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়া যাবে না।

• কোন বিদ্যালয়ে কোন শিশুকেই শারীরিক শাস্তি দেওয়া যাবে না বা তার ওপর মানসিক অত্যাচার করা যাবে না।

• কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় এবং সৈনিক বিদ্যালয় ছাড়া সরকার দ্বারা স্থাপিত ও পরিচালিত সমস্ত বিদ্যালয়ে ৬ থেকে ১৪ বছর বয়সী সমস্ত শিশুরা বিনামূল্যে বুনিয়াদী শিক্ষা পাবে।

• সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়গুলি তাদের প্রাপ্ত সরকারী সাহায্যের পরিমাণের অনুপাতে তাদের মোট ছাত্রসংখ্যার একটি নির্দিষ্ট অংশকে বিনামূল্যে বুনিয়াদী শিক্ষা দিতে বাধ্য থাকবে। কিন্তু প্রাপ্ত সাহায্যের পরিমাণ যাই হোক না কেন, ঐ সমস্ত বিদ্যালয় তাদের মোট ছাত্রসংখ্যার কম করে ২৫ শতাংশকে বিনামূল্যে বুনিয়াদী শিক্ষা দেবে।

• বেসরকারী বিদ্যালয়, যারা কোনরকম সরকারী সাহায্য পায় না, প্রতি বছর প্রতি শ্রেণিতে মোট যে পরিমাণ ছাত্রছাত্রী ভর্তি করবে, কমপক্ষে তার ২৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীকে সমাজের দুর্বলতর বা পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে নেবে এবং ঐ ছাত্রছাত্রীদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা দেবে। ঐ ২৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রীর সবাই আসবে ঐ বিদ্যালয়ের প্রতিবেশি এলাকা থেকে। একটি সরকারী বিদ্যালয়ে প্রতিটি ছাত্র বা ছাত্রীর জন্য যে পরিমাণ অর্থ খরচ হয়, সরকার সেই পরিমাণ অর্থ দুর্বলতর এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণি থেকে আসা প্রতিটি ছাত্রছাত্রী, যারা ঐ বেসরকারী বিদ্যালয়ে বুনিয়াদী শিক্ষা পাচ্ছে, তাদের জন্য বেসরকারী বিদ্যালয়কে প্রতি বছর দেবে।

• এই আইন চালু হবার তিন বছরের মধ্যে রাজ্য/স্থানীয় সরকার প্রতিটি জনবসতির এক কিমির মধ্যে একটি করে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং তিন কিমির মধ্যে একটি করে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করবে (যদি তা না থাকে)।

• এই আইন চালু হবার ছয় মাসের মধ্যে রাজ্য/স্থানীয় সরকার সমস্ত বিদ্যালয়ে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত ৩০ : ১ করবে। অর্থাৎ সমস্ত বিদ্যালয়ে ৩০ জন ছাত্রছাত্রী পিছু একজন করে শিক্ষক বা শিক্ষিকা থাকবেন।

• রাজ্য সরকার প্রতিটি এলাকায় নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থা করবে, প্রতিটি বিদ্যালয়ে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো, শিক্ষক শিক্ষিকা এবং পড়াশুনোর জিনিসের ব্যবস্থা করবে। শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার।

• এই আইন প্রয়োগের জন্য অর্থের ব্যবস্থা করা কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের যৌথ দায়িত্ব। কেন্দ্রীয় সরকার নির্দিষ্ট সময় অন্তর রাজ্য সরকারের সাথে আলোচনা করে স্থির করবে যে মোট প্রয়োজনীয় অর্থের ঠিক কত অংশ কেন্দ্রীয় সরকার দেবে আর কত অংশ রাজ্য সরকার দেবে।

• বেসরকারী বিদ্যালয় ছাড়া প্রতিটি বিদ্যালয়কে বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি তৈরি করতে হবে। ঐ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, এলাকার কাউন্সিলর বা পঞ্চায়েত সদস্য, এবং ঐ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক এই কমিটির সদস্য হবেন। পরিচালন সমিতির সদস্যদের অন্তত অর্ধেককে মহিলা হতে হবে। অন্তত ৭৫ শতাংশ সদস্য হবেন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা।

• প্রতিটি বিদ্যালয় পরিচালন কমিটি ঐ বিদ্যালয়ের জন্য উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করবে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনার ভিত্তিতেই রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় সরকার ঐ বিদ্যালয়ের উন্নয়নের অর্থ বরাদ্দ করবে।

• প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিকাকে নিয়মমত এবং সময়মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে, সময়মত নির্দিষ্ট পাঠক্রম পড়ানো শেষ করতে হবে, ছাত্রছাত্রীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি, শিক্ষায় উন্নতি এবং অন্যান্য বিষয়ে তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা করতে হবে।

• শিক্ষাদান ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে শিক্ষককে নিয়োগ করা যাবে না।(কেবলমাত্র সরকারি জনগণনা, নির্বাচনের কাজ এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ত্রাণকার্যে শিক্ষকদের নিয়োগ করা যাবে)।

• কোন শিক্ষক শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না।

• বাধ্যতামূলক বুনিয়াদী শিক্ষা শিশুর মৌলিক অধিকার। তাই এর প্রয়োগ না হলে বা অপপ্রয়োগ হলে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে সরাসরি জনস্বার্থ মামলা করা যাবে।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:১১

ভাম_বেড়াল বলেছেন: হ, মুসলিমদের সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন কইরা রাখলে তো তারা চিরকালই অন্ধকারে থাকব।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:২০

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: ঐতিহাসিকভাবে ভারতের দলিত হিন্দু সমাজ পিছিয়ে আছে, তাদের পিছিয়ে রাখা হয়েছে। ভারতীয় মুসলিমদের বড় অংশ, (বাংলাদেশের মুসলিমরাও) নিম্নবর্গের দলিত হিন্দু থেকে রূপান্তরিত মুসলিম। পিছিয়ে রাখা পিছিয়ে থাকাদের উন্নয়নটা আরো অনেক কিছুর সাথে ঐতিহাসিকভাবে কাঠামোগত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৪:৩৩

ভাম_বেড়াল বলেছেন: সেটাও কিছু কিছু জানি। আমি ত্রিপুরা, আসাম, কলকাতা, গোয়া, কন্যাকুমারিকা ঘুরেছি। এসব পিছিয়ে থাকা মানুষের কিছু নিদর্শন দেখেছি। পুরোটা আপনারাই ভালো বুঝবেন, আফটার অল, এটুকু জানি যে ট্যুরিস্টদের কাছে ভারতকে যেভাবে সোনার মোড়কে ঢেকে পরিবেশন করা হচ্ছে, অ্যাকচুয়াল অবস্থা তেমন না।

আমার মতামত দেওয়া উচিত না, তবু সহব্লগার হিসাবে একটা কথা বলি -

শিক্ষা জিনিসটার বিকেন্দ্রীকরণ করার কথা বলুন। মুসলিমরা লেখাপড়া শেখার জন্য ওখানে বাধ্য হয়ে গোঁড়া ধর্মবাদী মাদ্রাসাগুলোতে ভর্তি হয়। কারণ ভারতে তথাকতিত মডারেট, সেক্যুলার হিন্দুরা ভিতরে ভিতরে চরম সাম্প্রদায়িক। তাদের সাথে স্কুলে একটি মুসলিম ছেলে পড়তে আসলে তাকে "লেড়ে" বা "কাটা" হিসাবে আইডেন্টিফাই করা হয় (আমার নিজের চোখে দেখা ঘটনা। ছেলেটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল, পিছন থেকে একই ইউনিফর্মের কিছু ছেলে "লেড়ে", "লেড়ে" বলে তাকে ডাকছিল‌, ইচ্ছা হচ্ছিল ঠাটিয়ে পোলাগুলোর দু'গালে চড়াই)।

ভারতে একজন মুসলিম গোঁড়া মাদ্রাসাতে পড়ে তারপর নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে হিন্দুবিদ্বেষী হয়ে খড়গ হাতে রাস্তায় নামলে ওখানে মুসলিমদের ঢালাও দোষ দেওয়া হয়, ভেবে দেখা হয়না যে এর পিছনে তাদের দেওয়া কুশিক্ষাই দায়ী।

ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:০৩

আহমাদ অব্দুল্লাহ বলেছেন: @ভাম_বেড়াল বলেছেন :
"ভারতে একজন মুসলিম গোঁড়া মাদ্রাসাতে পড়ে তারপর নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে হিন্দুবিদ্বেষী হয়ে খড়গ হাতে রাস্তায় নামলে ওখানে মুসলিমদের ঢালাও দোষ দেওয়া হয়, ভেবে দেখা হয়না যে এর পিছনে তাদের দেওয়া কুশিক্ষাই দায়ী।"

বাহ, ভালই বলেছেন। অচ্ছা বলুনতো ঐ মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দু শিক্ষার্থীরা কোন শিক্ষা পেয়ে মুসলামানদের 'নেড়ে' বলে???? ওরা কোন মাদ্রাসার ছাত্র???????

মুসলমানদের খড়গ হাতে দেখেছেন কখনো??? খুব ভাল। মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুরা কোন শিক্ষা পেয়ে মুসলিমদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করছে?? প্রেগন্যান্ট নারীর পেট চিরে বাচ্চা বের করে চোখের সামনে পুড়িয়ে মারছে??? ইচ্ছামত খুন-ধর্ষণ করছে??? আপনি কেবল বাংলাদেশের ভারতীয় দুতাবাসে ভিসা নিতে যান, দেখুন কি ঘৃণার চোখে তারা (অধিকাংশ) আপনার দিকে তাকায়???

বুঝি না কেন মাদ্রাসার দিকেই আপনার কুনজর পড়ল??? মাদরাসা কি মানুষকে ঘৃণা করতে শেখায়???? কোথায় পেয়েছেন এ তথ্য???? জোর করে একটা ধারণা করে নিলেই তা সত্য হয় না। :@ :@

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১২ বিকাল ৫:২৬

ভাম_বেড়াল বলেছেন: @আহমাদ অব্দুল্লাহ - আমার উল্লিখিত ঐ মুসলিমবিদ্বেষী হিন্দু শিক্ষার্থীরা তাদের পরিবার, পরিজন থেকে কুশিক্ষা পেয়েছে। এটা না বোঝার কারণ দেখিনা।

মুসলমানদের খড়গ হাতে দেখিনাই। তবে কথাটা এভাবে লিটারেলি নিলে তো চলবেনা। "খড়গহস্ত" কথাটা একটা বাংলা বহুল ব্যবহৃত প্রবচন। ভারতীয় মুসলমান হউক বা বাংলাদেশী হিন্দু হউক, পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় হিসাবে তাদের মধ্যে একটা ক্ষোভ, দ্বেষ কাজ করে এটা তো মানবেন? তারই প্রতিফলন ঘটে তাদের কাফেরনিধনে টেররিস্টে পরিণত হওয়ায় বা মুসলিমহন্তারক বনে যাওয়ায় বা ব্লগে ফেক নিক রেজিস্টার করে ভিন্ন ধর্মীয়কে গালি দেওয়ায়।

মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দুরা কোন শিক্ষা পেয়ে মুসলিমদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করছে??

বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে বলবো না ভারতের প্রেক্ষিতে বলবো? আচ্ছা, আপনার কনফিউশান ক্লিয়ার করে একসাথেই বলি। দেশের বৃহত্তম ধর্মীয় সম্প্রদায়টি অন্য সম্প্রদায়কে তাচ্ছিল্য করতে শেখে পরিবার, পরিজন হতে। দ্বিতীয় ধর্মীয় সম্প্রদায়টি শেখে বেড়ে ওঠার পথে নিজস্ব বাজে অভিজ্ঞতা এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষা থেকে। এখন ভারতের প্রেক্ষিতে প্রথম সম্প্রদায় = হিন্দু, দ্বিতীয় = মুসলিম। বাংলাদেশে ঠিক উল্টো। এবার আমার বক্তব্য বুঝে নেন।

দেখুন, আমি দারাসিং বা মহম্মদ আলি নই, তবে আমার মধ্যে কিছুটা হলেও ব্যক্তিত্ব আছে। আমি ভিসা নিতে যাওয়ার সময় ওরা বিশেষ কোন দৃষ্টিতে আমায় দেখেনি। আমার বেশ বড়সর নামটি দেখেও তাদের ভ্রুকুটি দেখা দেয়নি। পরিচিত কারওর এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে শুনিনাই। স্পেসিফিক আপনার সাথে কেন এমন আচরণ করা হল সেটা আমার বোধগম্য হল না।

মাদ্রাসা বিষয়ে আবারও ভুল করছেন। আমাদের মাদ্রাসা (এর অবস্থাও সংকটজনক) এবং ভারতের মাদ্রাসা (চরম খারাপ অবস্থা) এ দুটোর অবস্থা একরকম নয়। আমি মাদ্রাসা বলতে ভারতের মাদ্রাসা বুঝিয়েছি। ধর্মগুলোতে যতই গ্লোবালাইজেশান বা ইউনাইটেড ব্রাদারহুডের কনসেপ্ট থাকুকনা কেন, দেশভেদে অবস্থা পরিবর্তিত হয়। জেনারালাইজড কমেন্ট আমি সাধারণত করি না। ঢালাও সব মাদ্রাসাকে খারাপ বলিনাই।

টপিকটি বাদ দিলাম।

৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১২ রাত ৮:৫৬

রাজদরবার বলেছেন: এই কথা ঠিক নয় মুসলমানরা নিন্মবর্ণের হিন্দু থেকে এসেছে। কারণ মেথর চামার বলতে আমরা হিন্দুদের বুঝি মুসলমানদের নয়। বাস্তবতা হলো মুসলমানরা রাজার জাতি। তারা ১২০০ শতক থেকেই এ অঞ্চলের অধিপতি। এবং হিন্দুরা ছিল তাদের প্রজা। প্রজা কখনো রাজার তুলনায় উঁচুবংশের হতে পারে না।

কিছু কিছু হিন্দু আছে যারা মুসলমানদের হেয় করতে চায়। তাদের উচিত লক্ষৌ কিংবা কাশ্মীরের দিকে তাকানো। যেগুলো মুসলমান আসার আগে ব্রাহ্মণ অধ্যুষিত রাজ্য ছিল। সেন রাজারা লক্ষৌ থেকে ব্রাহ্মণদের এদেশে এনেছিল। সেগুলো এখন মুসলিম প্রধান এলাকা। ঐ ব্রাহ্মণরা এখন আর হিন্দু নেই!

এই সৌভিক ঘোষালদের পূর্বপুরুষরা ছিল মুসলমান রাজা বাদশাহদের চাকর। এরা এখন কুলীন সাজতে এসেছে নেংটি পড়ে!

৬| ০৫ ই জুন, ২০১২ রাত ৩:০১

পাগলা_দাসু বলেছেন: indian muslim somajer sikha o orthonitite pichiye thakar onnotomo karon holo sara bochorbepi danga hangama. jibon bachate prayosoi tader k ek jayga theke r ek jaygay gure berate hoy, sikkhay dolchut bare, temon e sompottir nirapotta na thakay, hindu somprodayer hate luth hoar karone lekhapora sekhanor moto ortho o muslim poribar gulor hate thake na. r lekhapora sese muslimbolei chakrikhettre tader sujog o thake na, sei karone lekhaporar proti oniha bare, bigot 34 bochorer bam sasoner poschim banglar dike jodi takano jay tahole dekha jay muslimder upor ei 34 bochor kono hottajoggo onusthito na hoar jonno, dire dhire muslimra orthonitite unnoyon gotiyeche, bortoman somaye muslimder moddhe tai sikkhar har o barche.. abar mamatar sorkar asar por muslimder songrokkon batil kore dewa te ei unnoyone ched porar somvobona o ache.

৭| ০৫ ই জুন, ২০১২ রাত ৩:২০

রিফাত হোসেন বলেছেন: বুঝলাম তবে নিম্ন বর্ণের হিন্দু থেকে কনভার্ট যদি দাবী করা হয় তাহলে আমি বলব হিন্দু ধর্মালম্বীরা কোন ধর্ম থেকে কনভার্ট হয়ে এসেছে ??
নাকি তারাই প্রথম ধর্ম পৃথিবীতে ??? হাহাহা


াহাহহাহাহা :)


আমার তেমন চুলাকানি নাই ভারত নিয়ে বা ধর্ম নিয়ে তবে অযথা আরেক দেশ বা ধর্মের সাথে ভুল তুলনা বা উদাহরণ দিলে .. ঢিল দিলে জবাবে পাটকেল পেতে হবে । :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.