নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌভিকের চিন্তাচর্চা

চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি

সৌভিক ঘোষাল

পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা

সৌভিক ঘোষাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

যারা পশ্চিমবঙ্গকে দিল্লির উপনিবেশ ভাবেন, তারা ঈর্ষা থেকেই এমন ভাবেন কি? না অন্ধ কোনও আত্মশ্লাঘা থেকে ?

২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:০৩

অনেকেই মাঝে মাঝে আমাদের, পশ্চিমবঙ্গ বাসীদের পরামর্শ দিয়ে বলেন দিল্লির উপনিবেশ ছেড়ে বেরিয়ে আসুন। তারা অনেকে খোঁচা দিতে চান, কেউবা হয়ত সত্যই ভাবেন ব্যাপারটা বোধহয় সেরকমই। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ও পরিচিতি সত্তা/ আইডেনটিটির বিষয়গুলি নিয়ে তাদের গভীর চর্চার সুযোগ হয়ত তেমন হয় নি বলেই তারা এমন বলেন।

আপনাদের অনুরোধ করব পরিচিতি ও হিংসা সংক্রান্ত বিষয়ে আরো চিন্তাভাবনা করার জন্য। অমর্ত্য সেন এর বইটাও দেখতে পারেন। মানেন কি যে আমাদের অনেকগুলো পরিচিতি থাকে ? ভাষা, সংস্কৃতি একটা পরিচিতি, খুব গুরূত্বপূর্ণ পরিচিতি। সেই পরিচিতি নিয়ে পূর্ববঙ্গ আর পশ্চিমবঙ্গ কাছাকাছি আসে, আসতে চায়, বিনিময় করতে চায়।

আরো অনেক পরিচিতি আছে। গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ মৌর্য সাম্রাজ্যের আমল থেকে ব্রিটিশ শাসনাধীন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে আড়াই হাজার বছর ধরে এক শাসন ব্যবস্থায় থেকেছে। আলাদা আলাদা ভাষা, ধর্ম, খাদ্যাভাস ইত্যাদি নিয়েও। এই বিভিন্নতার মধ্যেও এর ঐক্যর আদল দীর্ঘ ইতিহাসে থেকেছে। ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ে যে ঐক্যর এক বিশেষ চেহারা দেখা গিয়েছে। অবিভক্ত ভারতের মুসলিমদের একটা অংশের মনে হয়েছিল এই ঐক্যটা নেই, বা বানানো একটা ঐক্য এটা, যেটা ছিন্ন করে বেরিয়ে আসা দরকার। একটি মাত্র পরিচয় সম্বল করে। একটি ধর্মগত পরিচয় পরিচয় সেটা। বেরিয়ে আসার পর পূর্ববঙ্গের লোকেরা দেখলেন ধর্মগত পরিচয়টিই একমাত্র থাকছে না, ভাষার পরিচয়টাও গুরূত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলে আবার একটি নতুন দেশের জন্য লড়াই আর আবার দেশভাগ। একবার ধর্মের পরিচিতি নিয়ে, একবার ভাষার পরিচিতি নিয়ে।

আমরা অন্যভাবে ভেবেছি। আমাদের কাছে পরিচিতিগুলি মূল্যবান। যে কোন মানুষের মতোই। কিন্তু বিভিন্ন আলাদা আলাদা পরিচিতি কোনও রাষ্ট্রে থাকতে পারবে না, এরকম আমরা ভাবি নি। কেউ কেউ যারা ভেবেছি, যেমন নাগা, মিজো বা পাঞ্জাবের কেউ কেউ, তারাও এখন সেভাবে ভাবেন না। ওন্তত বেশিরভাগ ভাবেন না। এখন কাশ্মীরের লোকেরা ভাবেন অনেকে। আজাদ কাশ্মীর চান। সেখানে ধর্মর প্রশ্ন আছে, আর আছে অন্যায় রাষ্ট্রীয় দমনের প্রশ্ন। খুবই অন্যায় রাষ্ট্রীয় দমনের প্রশ্ন। সে প্রেক্ষিত, কাশ্মীর প্রেক্ষিতে এখন যাচ্ছি না। কিন্তু তাছাড়া বিভিন্ন সত্তা যে একসঙ্গে থাকতে পারে, ভারতের রাষ্ট্রব্যবস্থা তার একটি সফল উদাহরণ। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর মধ্য দিয়ে ভারতীয় গণতন্ত্রের শক্তি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত। আমাদের ক্ষণে ক্ষণে মিলিটারি শাসনের দরকার হয় নি। আপনাদের তো পছন্দের ভিত্তিতে সত্তা অনুযায়ী গঠন করে নেওয়া দেশ। তাও গণতন্ত্র এত ভঙ্গুর কেন? মাঝেমাঝেই সেনাশাসন স্থাপিত হয় কেন ? পশ্চিমবঙ্গকে ঈর্ষাবশত দিল্লির উপনিবেশ হিসেবে গণ্য না করে ভারত ও পশ্চিমবঙ্গর সত্তাগত পরিচয়গত দিকগুলি আরো গভীরভাবে ভেবে দেখুন।

মন্তব্য ৭৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১২

মোহাম্মদ হারুন বলেছেন: আমার তো মনে হয় পুরো ইন্ডিয়া সত্তি সত্তি দিল্লী, মুম্বাইয়ের উপনিবেশ।


অবাক লাগে ভারত একটি ধনী ও শক্তি শালী রাষ্ট কিন্তু ভারতের পশ্চিম দিকে উন্নত কিন্তু পূর্ব দিকে মারাত্বক করুণ অবস্থা। ত্রিপুরা, মিজোরাম, মণিপুর, মেঘালয়, এই সব এলাকার চিত্র ও দিল্লী, মুম্বাই, কোচি, এই সব এলাকার চিত্র আকাশ পাতার পার্থক্য।

২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: আপনার মনে হয় পুরো ইণ্ডিয়া দিল্লি আর মুম্বাইয়ের উপনিবেশ। এখন এই মনে হওয়াটা কেন তার যদি বিস্তারিত আলোচনা থাকত, তবে পয়েন্ট ধরে ধরে আলোচনার সুযোগ থাকত। মনে হওয়া নিয়ে সে আলোচনার সুযোগ নেই, যতক্ষণ না মনে হওয়ার ভিত্তি আপনি জানাচ্ছেন। আশা করি সেটা জানাবেন ও আরো আলাপচারিতার সুযোগ হবে।
ভারতের উত্তর পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যগুলো পিছিয়ে, সেটা অনেকটাই ঐতিহাসিক আর ভৌগলিক কারণে। সমতল আর পাহাড়ে বিন্যস্ত একটা দেশে শিল্পায়ন সমতলেই করার একটা ঝোঁক দেখা যায়। সাম্প্রতিক কালে হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্স অনুযায়ী, বিশেষত শিক্ষায় উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি অনেক এগিয়ে আছে। পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় উন্নয়নে শ্রেণিগত বিভাজন যেমন থাকে, তেমনি ভৌগলিক বিভাজনও থাকে। এটা শুধু ভারতের ব্যাপার নয়, সব দেশেরই ব্যাপার। আমেরিকারও রাজ্যে রাজ্যে বিকাশগত ফারাক প্রচুর। বিকাশগত ফারাকের নিরিখে অভ্যন্তরীণ উপনিবেশের কথা তোলাটা নেহাৎই স্বকপোলকল্পিত ও হাস্যকর।

২| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১৬

মিনেসোটা বলেছেন: রাখেন আপনার যুক্তরাষ্ট্রীয় চাপাবাজি, আপনাদের অবস্থা কি আয়ারল্যান্ড বা স্কটল্যান্ডের চেয়ে ভাল? ওরা কেন স্বাধীন হতে চায়?
পাশের দেশের বাংলা ব্লগে এসে ঢোল পিটাচ্ছেন, নিজেরা বাংলার প্রচার ও প্রসারের জন্য কি কি করেছেন, একটু বলেন তো?

এক কালে বাংলায় লিখে কেউ নোবেল পেয়েছিল, নোবেল না পাইতে পারেন, একটা কদবেল তো পেয়ে দেখান

২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৩

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বাংলার প্রচার ও প্রসার আমাদের সামগ্রিক কর্মসূচীর একটা অংশ। আপনারা বাংলার প্রচার ও প্রসারের জন্য যা করেছেন তা ধন্যবাদের যোগ্য। তবে স্বাধীনতা পরবর্তী একশো জন আপনার পছন্দের ঔপন্যাসিক/কবির একটা তালিকা তৈরি করুন। দেখবেন এপার বাংলার সাহিত্য নিয়ে হতাশ হতে হবে না আপনাকে। বাংলার জন্য আপনারাই বেশি কিছু করছেন, এই শ্লাঘাটা দেখবেন মিইয়ে আসছে অনেকটা। তবে যা করেছেন তার জন্য গর্ব অবশ্যই প্রাপ্য, তবে তুলনামূলক আলোচনাটা একটা দেশ আর একটা অঙ্গরাজ্যের মধ্যে না হওয়াই ভালো। বাংলায় যত ভাষা থেকে অনুবাদ হয়, তার মধ্যে এ দেশের অসংখ্য ভাষা - হিন্দি, পাঞ্জাবী, গুজরাটী, তামিল, তেলেগু, মালয়লম থেকে অসংখ্য অনুবাদ বাংলায় প্রতিনিয়ত হয়। দেশের কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি তাতে জড়িত। যেমন সাহিত্য আকাদেমী, যেমন ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট। এত এশীয় ভাষার অনুবাদে বাংলা ভাষার বিশেষ সমৃদ্ধি ঘটে। হিন্দি, গুজরাটী, মারাঠী কে শত্রু না ভেবে তাদের শ্রেষ্ঠ সাহিত্য সংস্কৃতিগুলি আমরা দুহাত ভরে গ্রহণ করতে শিখেছি। ইংরাজী, জর্মন, ফরাসীর মতোই। এতে বাংলা ভাষার লাভই হয়েছে। এই তালিকায় বোড়ো, মিজো, মণিপুরি প্রভৃতি ভাষার অনেক অনুবাদও আছে জেনে নিশ্চয় আপনার ভালো লাগবে।

৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪০

নীল জানালা বলেছেন: আপনি যেভাবে লিখেছেন তাতে মনে হচ্ছে পশ্চিম বংগের ভারতের অধীনে থেকে যাওয়াটা পশ্চিম বংগের তৎকালীন অধিবাসীদের দুরদর্শীতার ফল। পক্ষান্তরে পূর্বংগের পাকিস্তান হওয়া এবং পরবর্তিতে বাংলাদেশ হওয়াটা এতদান্চলের অধিবাসিদের (সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান) কুপমন্ডুকতা এবং অস্থির চিত্ত হওয়ার ফল।
আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে ধর্মের ভিত্তিতে ভারত পাকিস্তান বিভক্তির পিছনে কে বা কারা মূল নায়ক। নিশ্চয়ই আরো অবগত আছেন যে এখানে বুদ্ধিমত্তা আর দুরদর্শিতা বা মুর্খতা এবং কোনটা কতটুকু ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করেছে। মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ, জওহরলাল নেহরু, লর্ড কার্জন এবং বৃটিশ রাজের অন্নান্য প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গ ইত্যাদি লোকজন কে কি করেছে না করেছে সেইটা অনেকেই জানে। আপনারও অজানা থাকার কথা না।

২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: যশোর বা খুলনা যেমন বাংলাদেশের উপনিবেশ নয়, সেটা বললে যেমন হাস্যকর শোনাবে, তেমনি পশ্চিমবঙ্গকে ভারতের উপনিবেশ বললেও হাস্যকর লাগে। আপনারা পূর্ব পাকিস্থান ও বর্তমান বাংলাদেশকে পশ্চিম পাকিস্থানের উপনিবেশ হিসেবে দেখেছিলেন। সেই ইতিহাসচেতনা দিয়ে সব দেশের পরিস্থিতি বিচার না করাই ভালো। পার্টিকুলার কে জেনারেল করলে মুশকিল।
বৌদ্ধ, জৈন, শিখ খ্রীষ্টানরা ভারতে আছেন স্বাধীনতার পর। কারা কেন কি মনে করে বেরিয়ে গেল সবাই জানে। নেতারা কে কে দোষী সে বিচার তো আছেই। কিন্তু কোন জনগোষ্ঠী/ধর্মগোষ্ঠী কি ভেবেছিল তখন, সেটা কি কারো অজানা ? দেশভাগের ইতিহাস আমরা জানি। আপনাদের জানা আর আমাদের জানাটা স্বভাবতই ভিন্ন। যারা দেশে থেকে গেছে, আর যারা দেশটা ছেড়ে নতুন এবং আবারো নতুন দেশ তৈরি করেছে, তাদের ব্যাখ্যা আলাদা আলাদা হওয়াটাও খুব অসম্ভব নয় দেখা যাচ্ছে।

৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:০১

নাজ_সাদাত বলেছেন: এই বিভিন্নতার মধ্যেও এর ঐক্যর আদল দীর্ঘ ইতিহাসে থেকেছে। ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ে যে ঐক্যর এক বিশেষ চেহারা দেখা গিয়েছে। অবিভক্ত ভারতের মুসলিমদের একটা অংশের মনে হয়েছিল এই ঐক্যটা নেই, বা বানানো একটা ঐক্য এটা, যেটা ছিন্ন করে বেরিয়ে আসা দরকার। একটি মাত্র পরিচয় সম্বল করে। একটি ধর্মগত পরিচয় পরিচয় সেটা।----- আপনার লেখা এই অংশে কি সত্যের অপলাপ হল না?? আসলেই কি দেশভাগের কারন এটাই নাকি হিন্দুত্ববাদীদের ক্ষমতা দখলের মরিয়া প্রচেষ্টা (যারা কিনা স্বাধীনতা আন্দোলনে ইংরেজপক্ষের ছিল) ও ধর্মের নামে হানাহানির পাল্টা হিসাবে আলাদা দেশের দাবী উঠে এসেছিল। আমি আপনার লেখার ভক্ত হিসাবে এই বিচ্যুতি মানতে পারলাম না।

২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৭

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: গান্ধী, নেহেরু, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ - এরা হিন্দুত্ববাদী ছিলেন ? ভারতের রাষ্ট্রধর্ম কি হিন্দুধর্ম ? স্বাধীনতার পর থেকে কখনো হয়েছে ? সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব উঠেছে ? বিজেপি যে বিজেপি সেও হিন্দুদের বিশেষ সুবিধা দেবার কথা বলার সাহস পায় নি, ইউনিভার্সাল সিভিল ল-র কথা বলেছে। এখানে সংখ্যালঘুদের বিশেষ সুবিধা দেবার বদলে সবার সমানাধিকারের কথা বলেছে। কিন্তু ভারতরাষ্ট্র সে দাবী কোনওদিন মানে নি। সংখ্যালঘুদের বিশেষ অধিকার আছে, থাকবে। থাকবেই।
বিপরীতে পাকিস্থান কিন্তু মুসলিম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্মও এরশাদের আমল থেকে ইসলাম। তাই ভারতে হিন্দুত্ববাদীরা ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল বলে মুসলিমদের আলাদা হতে হল, এরকমটা যারা মনে করেন করুন। ইতিহাসে বিতর্ক থাকে, সেটা স্বাস্থ্যকর। বিতর্ক চলুক। কিন্তু আমি সে মতের শরিক নই।

৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:০৭

ফোর টোয়েনটি বলেছেন:



নিজেদের পাছায় তেল দেন.... তৈল শেষ হইলে দিল্লি থেকে গ্লিচারিন আইনা মাখেন !!!!
.......

নিজেরা খাই না মরি, এটা আমাদের নিজেদের ব্যাপার ।
আপ্নেদের মতো দিল্লির পুন মারা খাইতে আমরা রাজি না !!!!

আমাদের পতাকা আর আমাদের ভাষা নিয়ে আমরা .....
তোমরা যাও .. মারা খাও

২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২২

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: আগে যারা বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে আমার বক্তব্য জানিয়েছি। কিন্তু আপনার ভাষা ব্যবহার দেখলে মনে হয় শিক্ষা রুচি এসবের অভাব আছে আপনার। গালিগালাজ এর জবাব আর কি হয়? আশা করি রুচিশীল হলে আপনি আপনার মন্তব্যের জন্য দুঃখপ্রকাশ করবেন।
ভিন্নমতের অধিকার সবাই স্বীকার করি আমরা। কিন্তু আশালীনতা বোধহয় বর্জনীয়।

৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৪২

নস্টালজিক বলেছেন: পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা



দাদা, আপনার লেখা পড়ে মনে হলো গরিয়াহাটার মোড়ে বড় জোর ডিমকেকের একটা আরত আছে আপনার! সেখানে বসে সারাদিনের হিসেব মেলাতে না পেরে খানিক কেলিয়ে দিলেন আর কি!


যান, বাসায় যেয়ে মাথা ঠান্ডা করে ঘুমান!

২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: নিজের মত আর বিচারকেই শ্রেষ্ঠ ভাবেন কি পণ্ডিতপ্রবর ? নাকি অন্যের পেশা তার লেখা দেখে নির্ধারণ করে ফেলেন ? আপনি কি কর্মসংস্থান আপিসের হেড ক্লার্ক ?

৭| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৫১

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: ফোর টোয়েন্টি ভাই, নিজেই খাই না মরি সেইটা যদি নিজের বয়াপার হয় তাহলে পশ্চিম বাংলার লোকরা দিল্লির সাঠে থাক না গোল্লায় যাক সেইটাও তাদের ব্যাপার। ইন্ডিয়া আর পাকিস্তানকে এক পাল্লায় মাপবেন না দয়া করে। পাকিস্তান আমলে পান্জাবি আর বিহারিরা আমদের যেভাবে ট্রিট করেছিল সেইটা আর দিল্লি কোলকাতার ব্যাপারটা একনা। এজন্যই তারা শান্তিতে একসাথে আছে।

শুধু মাত্র আলাদা ধর্মের মানুষ বলে তাদেরকে যা ইচ্ছা বলবেন এটা ঠিক না।

মোরা একই বৃন্তে দুটি ফুল হিন্দু মুসলমান
হিন্দু মোর নয়নের মনি মুসলিম মোর প্রাণ।

৮| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:৫৬

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: সারাদিন পূজিবাদের সমালোচনা করার পরে মার্ক্সবাদ কি যুক্ত্ররাষ্ট্রীয় আদলের সার্ভার,ইন্টারনেট ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারার জন্য সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে পেরেছে?

২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: প্রশ্নটা ঠিকমত বুঝলাম না, তাই উত্তরটাও দেওয়া গেল না।
তবে মনে হয় মার্কসবাদ আর নৈরাজ্যবাদের ফারাক বিষয়ে আপনি খানিক চর্চা করলে সুবিধা হবে। কোনও কিছুর সমালোচনা মানে সেটাকে সে মুহূর্তে বাতিল করে দেওয়ার কথা মার্কসবাদ বলে না। ক্রিটিকটা জমতে থাকে। তারপর বস্তুগত মুহূর্ত এলে সেটাকে সরিয়ে অন্য কোনও ব্যবস্থা আসে। এটা চাইলাম আর পালটে দিলাম গোছের ব্যাপার নয়।

৯| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৮:৪৯

শিরিষ গাছ বলেছেন: পরাধীন থাকতে থাকতে মাঝে মাঝে স্বাধীনতার স্বাদ কি রকম হতে পারে সেটা অনেকের উপলব্ধির বাইরে থেকে যায়। আপনাদের পশ্চিম বঙ্গের মানুষের অবস্থাও অনেকটা ওরকম হয়েছে। ভারত টিকে আছে হিন্দুইজম নির্ভর প্যাগানিজমের সাধারণ চর্চায় । ভাষা একেক রাজ্যের একেক রকম কিন্তু ধর্ম হিন্দুইজম। হিন্দু ধর্মের নানান শাখা প্রশাকার অনুসারী উত্তর ভারত থেকে দক্ষিণ ভারত। যদি এমন হত সাগর উপকূল বর্তী রাজ্য গুলোর বেশির ভাগই খ্রিস্টান সংখ্যা গরিষ্ট তাহলে এতদিনে সেখানে বেশ কয়েকটি স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে যেত। আর কাশ্মীর একক ভাবে মুসলমান সংখ্যা গরিষ্ট একারনে তারা আলাদা ভাবে স্বাধীন হতে চাইছে। কাশ্মীর যদি হিন্দু প্রধান হত তাইলে দেশ বিভাজনের সময় থেকেই সেটা ভারতের অংশ হত। মোদ্দা কথা ভারত টিকে আছে একক ভাবে হিন্দু ধর্মীয় ঐতিহ্যে বেশির ভাগ রাজ্য একত্বতা পোষণ করে একারনে। সুতরাং এখানে ভারত রাষ্ট্রের যুক্ত রাষ্ট্রীয় কাঠামো টিকে থাকার জন্য ধর্ম নিরপেক্ষতা , গণতন্ত্র এসবএর ভূমিকা আছে এধরণের কথা বললে সেটা সত্যের অপলাপ।

দীর্ঘদিন কারো শাসনে থাকলে সেটা খারাপ হওয়া সত্ত্বেও জায়েজ করার কোন যুক্তি নেই। বৃহত্তর বাংলা ভূখন্ড প্রাচীন কাল থেকেই স্বাধীন ছিল। আর্য রা এ অঞ্চলে আসলে প্রায়চিত্ত করতে হত। এখানকার অধিবাসীদের বলা হত অনার্য, নিষাদ। পরে দখলদার উপনিবেশবাদী হিন্দু আর্যরা বাংলায় উপনিবেশী শাসন শুরু করে ফলে হিন্দু ধর্ম এ অঞ্চলে বিস্তার লাভ করে। তবে যুগে যুগে নিজেদের স্বাতন্ত্র রক্ষা করতে সফল হয়েছে এ অঞ্চল। তাই বাংলা অঞ্চলে হিন্দু রাজাদের শাসন ''ভারতীয় উপনিবেশী শসন'' ই ছিল। যারা বাংলার ইতিহাস জানে এমন একটা ক্লাস এইটের বাচ্চাও বিষয়টা জানে।

আমাদের সুযোগ এসেছিল ৪৭ এ বৃহত স্বাধীন বাংলা গঠনের। কিন্তু চিহ্নিত কিছু হিন্দু ধর্মীয় নেতার বিরোধীতায় সেটা হতে পারল না। তাই বাংলার পূর্ব অংশ পাকিস্তানের সাথে যোগ দেয় বাস্তবতার কারণে। ওই সময় যদি স্বাধীন বৃহত বাংলা গঠিত হত তাহলে পশ্চিম বঙ্গ বাসীর আজ দিল্লীর উপনিবেশী শাসনে থাকত হত না।


আজ আমরা বাংলার পূর্ব অংশ স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। কারো পরাধীন কিংবা উপনিবেশী শাসনে নেই। এটাই আমাদের গর্ব। তাই একই ভাষাবাসী পশ্চিম বাংলার মানুষ যখন আমাদের এই স্বাধীনতাকে অন্য চোখে দেখে তাহলে বুঝে নিতে হবে মূলত তারাই হিংসায় ভুগছে আমরা স্বাধীন আছি দেখে।

২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৫

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, স্বাস্থ্য শিক্ষা, বাসস্থান, দারিদ্রসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা ইত্যাদি ভালো না পশ্চিমবঙ্গের সেই নিয়ে বরং তথ্য মূলক আলোচনা শুরু হোক। তারপর বিচার করা যাবে উন্নয়নের প্রেক্ষিতে গঙ্গাপার না পদ্মাপার এগিয়ে।

১০| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৮

জাহিদ গাছবাড়ী বলেছেন: pore hashte hashte shesh.

১১| ২৪ শে মে, ২০১৩ সকাল ১১:৫৯

রাফসানযানী প্রিতম১৩ বলেছেন: আমরা এইপারের বাঙালীদের মুক্তি চাই

২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: ধর্মীয় মৌলবাদ, শ্রমিক শোষণ, মারাত্মক দারিদ্র, প্রবল অশিক্ষা থেকে মুক্ত হোক সব দেশ, বাংলাদেশ। এসব থেকে মুক্তি ই তো দেশের মুক্তি। জনগণের মুক্তিই দেশের মুক্তি।

১২| ২৪ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৮

সিস্টেম অ্যাডমিন বলেছেন: স্যার আপনি বিতর্ক চান তবে বিতর্ক করতেই পারেন। তবে বিতর্কের জন্য আপনি যে বিষয়টিকে বেছে নিয়েছেন সেখানেই আমার আপত্তি ।
আপনি আসলে কি প্রমান করতে চান? একজন ভারতবাসী হিসাবে আপনার কাছে আপনার দেশ সবার আগে । আর এই বিষয়গুলি নিয়ে যারা অনধিকার চর্চা করেন আপনিও তাঁদের পাতা ফাঁদে পা দিলেন, আপনার কাছে এটা আসা করি নি। আপনার দেশ এর বিষয় আপনি আপনার দেশবাসীর সঙ্গে আলোচনা করতেই পারেন , এবং কি ভাবে দেশ কে আরও বলিষ্ঠ করতে পারবেন সেই বিষয়গুলিকে তুলে ধরার চেষ্টা করতে পারেন । যুক্তরাষ্ট্রীয়কাঠাম হলেও আমরা ভারতীয় এটাই আমাদের প্রধান পরিচয় আপনি পশ্চিমবঙ্গীয় কিনা তার থেকে বেশি দরকার আপনি কতটা ভারতীও হতে পেরেছেন । এইসব থেকে বেরিয়ে আসুন আমরা ভারতীয় হিসাবে কতটা বেশি গুরুত্ব পাই( সেটা সমালোচনা ই হোক আর প্রশংসা ) সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করুন। আপনি লক্ষ করেছেন যে শুধু এই ব্লগই নয় আমাদের প্রতিবেশী দেশ গুলি আমাদের কে নিয়ে অতি বেশি চিন্তিত থাকে। আমার ত মনে হয় আমাদের কে নিয়ে এদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা বা সমালোচনা না করলে এঁদের অনেকের ঘুমই হয় না। এর থেকে আমারা কি সিন্ধান্তে আসতে পারি , আমাদের দেশ সত্যিই অন্যদের থেকে অনেক বেশি পরিণত এবং খুব ভাল ভাবে এগিয়ে চলেছে ............তাই এই মহান দেশের একজন নাগরিক হিসাবে আপনার কাছ থেকে আরও পরিণত লেখা আসা করছি , আসা করি আপনি এই ভাইএর কথাতে রাগ করেন নি । ধন্যবাদ।

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: কেন এ প্রসঙ্গের অবতারণা তা প্রথমেই বলেছি। বাংলাদেশের অনেকের একটা ভুল ধারণা আছে যে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা বোধহয় ভারতে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের মর্যাদা পান। নিজেদের স্বাধীন আর এ পার বাংলার বাঙালিদের পরাধীন মনে করে তাদের মন্তব্য প্রায়শই আসে। মনে হল এ পার বাংলার মানুষ হিসেবে গঙ্গাপার থেকে পদ্মাপারের বাঙালিকে কিছু সত্য কথা জানানো দরকার। আসলে আমাদের ওরা উপদেশ না দিয়ে বা আমরা ওদের উপদেশ না দিয়ে, কিছু জরুরী সাংস্কৃতিক বিনিময় হলে গঙ্গাপার, পদ্মাপার উভয়েরই কিছু লাভ হতে পারে।

১৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৬

কাফের বলেছেন: ভারত কলকাতা সমন্ধে খুব একটা জানিনা তবে যতটুকু মনে হয় কলকাতাবাসী ভারতীয় হিসিবে গর্ববোধই করে আর সারাভারতে কলকাতার আলাদা একটা স্ট্যাটাস আছে বলে মনে হয় যদি উন্নয়নের দিক দিয়া অন্য বিভাগ থেকে পিছিয়ে থাকে আমি মনে করি এইটা তাদের নিজেদের দোষেই। অন্তত আমাদের দেশ থেকে কিছুটা ভাল আছে এটা সত্য। তবে ভাই আমাদের এই দশার কারণও আছে আমরা অবিভাবক শুন্য পাকিস্থানিরা আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করছে আমাদের বুদ্ধিজীবিদের মেরে। আর মরার উপর খারার ঘা হলো শুরুথেকেই আমাদের অভিবাবক শুন্যতার সুযোগ ভারত খুব ভালো ভাবেই নিচ্ছে।

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: ভারতবাসী হিসেবে গর্ব স্বাভাবিক। পাঁচ হাজারের বেশি বছর জুড়ে এত উন্নত সভ্যতা, যে কেউ গর্ব করবে।

১৪| ২৪ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

কাফের বলেছেন: আমাদের নিজেদের সমস্যার অভাব নাই তা রেখে অন্যদেশের চিন্তায় ঘুমায় না কিছু আহম্মক। X( X(

১৫| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪১

মিনেসোটা বলেছেন: কাফের: (আজব নিক রে ভাই)
পাকিস্তানীরা তিরিশ লক্ষ মেরেছে, তাতে কি? আমরা জিতেছি।
আজকের যুগে সাভারের ধ্বংসস্তুপে কোটি কোটি মানুষের স্বতস্ফুর্ত সাহায্য দেখেছি, শাহবাগে লাখো মানুষের ঢল দেখেছি। বাংলাদেশীদের পাওয়ারে বিশ্বাস রাখেন, ভবিষ্যতে আমাদেরই জয় হবে
আজকে পশ্চিমবঙ গাইগুই করছে, ঠিকই ৫০ বছর পরে এরা পরাধীনতার গ্লানি মুছে আমাদের সাথে যোগ দেয়ার জন্য কান্নাকাটি করবে

২৫ শে মে, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে চল্লিশ বছর হলো। এর মধ্যে কোলকাতার চেয়ে ঢাকার উন্নতি বেশি বুঝি ? কি দেখে এমন অনুমান যে আগামী পঞ্চাশ বছরে আমরা আপনাদের ঈর্ষা করব, এমন জায়গায় আপনারা পৌঁছে যাবেন ?
জামাত ই ইসলামি আর হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক প্রদর্শন থেকেই কি আশা করছেন দেশটাকে আরবের উপনিবেশ করে পেট্রো ডলার এনে ওরা বাংলাদেশের অসামান্য বিকাশ ঘটিয়ে দেবে ?

১৬| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২৭

কাফের বলেছেন: মিনেসোটা@ ভাইরে বাংলাদেশের কোন জয়ে থরথর করে খাইপা উঠি আর খারাপ কিছু শুনলে কলিজায় খোচা লাগে। বিশ্বাস অবষ্যই রাখি আমাদের শুদিন আসবেই। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ স্বাধীন না পরাধীনতার তা নিয়ে আমরা ভাবছি কেন? পশ্চিমবঙ্গের কোন দরকার আমাদের নাই ওরা প্রতিবেশী হিসাবেই থাক তবে ওদের কাছে ভালো ব্যবহার আশা করি। আমাদের ভালো না করুক খারাপ কিছু যেনো না করে।
তবে আমরা এগিয়ে যাব আর ওরা যে পিছিয়ে থাকবে এইটা ভাবার ও কোনো কারণ নাই।

১৭| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২০

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: জাতি-রাষ্ট্রের লোকজন কিছুটা জাত্যাভিমানী হবেই। এটাই স্বাভাবিক। ভারত একটা বহুজাতিক রাষ্ট্র। আমরা বাংলাদেশীরা "বাঙ্গালি" শব্দটাকে কেবল এথনিসিটি (জাতিস্বত্তা) না রেখে ন্যাশনালিটি (জাতীয়তা) বানিয়ে ফেলেছি। ভারতীয় বাঙ্গালিরা "বাঙ্গালি" শব্দটাকে এথনিসিটি হিসাবেই রেখেছে। তাই একটা এথনিক গ্রুপ আর একটা নেশনের মধ্যে দ্বন্দ আসলে নেশন সেখানে এথনিক গ্রুপকে কিছুটা খোচা মারবেই। তারপরে মনে করেন ভারতের সৈন্যদের কাধের ফিতায় হিন্দিতে ইন্সক্রাইব করা থাকে। আমাদের সৈন্যদের কাধে বাংলায় ইন্সক্রাইব করা থাকে, নেমপ্লেটে বাংলায় নাম লিখা থাকে। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা তো দুরের কথা, হিন্দিতেও শিক্ষকরা লেকচার দেয় না। ইংরেজীতে দেয়। আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বইপত্র ইংরেজী বা পরীক্ষায় খাতায় ইংরেজীতে লিখতে হলেও শিক্ষকরা বাংলাতে ক্লাস নেয়, লেকচার দেয়, তা সেটা মেডিকেল কলেজ হোক আর ইঞ্জিনিয়ারিং হোক। এখন বলেন লোকজনের আত্মশ্লাঘায় না ভোগাটাই কি অস্বাভাবিক নয় কি?


ভারতে বাংলা তো দুরের কথা হিন্দিও হুমকির মুখে। ইংরেজী জায়গা দখল করে নিচ্ছে। বড় বড় লেখকরা ইংরেজীতে বই লিখেন। আমরাও যে খুব ভাল আছি তা না। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ফ্রান্স, জার্মানী এদের মত আমরাও একটা স্বনির্ভর জাতি হব। আমাদের এখানে বাংলায় লিখতে কেউ ভয় পায় না। এই ব্লগটাই দেখুন। দিন দিন আমরা বাংলা লিখে লিখে ভরে ফেলছি। একদিন আমরা বাংলাতেই সবকিছু করবো, পদার্থবিজ্ঞান থেকে আইন, সবকিছু। এবং এ নিয়ে আমাদের কোন ভয় নাই। আমাদের অন্য কোন ভাষাভাষী কারও মন যুগিয়ে চলতে হয় না।

জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে বাংলাকে অধিষ্ঠিত করার জন্য বাংলাদেশ অনেক চেষ্টা করেছে এবং করে যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরার বাঙ্গালিরা চাইলেও এ ব্যাপারে কিছু করতে পারবেন না। কারণ সেবার যখন বাংলাদেশ জাতিসংঘে চেষ্টা করলো বাংলাকে দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে অধিষ্ঠিত করার জন্য, ৭৩ জন্য ব্রিটিশ এম পির সমর্থনও আদায় করলো ব্রিটেনের বাঙ্গালিরা, পশ্চিমবঙ্গের সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা হল, কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে সম্মত হলেন না। পশ্চিমবঙ্গের সরকারের অনুরোধের পরেও ভারত রাজি হল না জাতিসংঘে বাংলাকে সমর্থন করার জন্য!

কেন?

বাংলা কি ভারতের কোন ভাষা নয়?

বাংলা জাতিসংঘের ভাষা হলে, ভারতের একটা ভাষা কি জাতিসংঘের ভাষা হিসাবে মর্যাদা পাবে না?

ভারতীয়রা কি বাংলাকে তাদের দেশের একটা ভাষা হিসাবে মনে করে না?

বাংলাকে যদি দিল্লী সমর্থন দেয়, তাতে কি ভারতের কোন অসম্মান হয়?


এবার নিজেই বুঝে নেন, উপনিবেশে থাকেন, নাকি স্বাধীনভাবে থাকেন।

এমন একটা দেশে থাকেন, যে দেশ কোনদিন আপনার ভাষাকে জাতিসংঘের সপ্তম দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে ইংরেজী, ফরাসি, চাইনীজ, রুশ, স্প্যানিশ, আরবী পাশে মর্যাদার সাথে দাড়া তো করাবেই না, উল্টো ভেটো দিবে।

বাংলাদেশের এই প্রচেষ্টার পরে ভারতের দৈনিক পত্রিকায় ঈর্ষামূলক আর্টিকেল ছাপা হয়, সেখানে বলা হয়, "যদিও বাংলা দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে মর্যাদা পায়, বাংলা কখনও "নমস্তের" মত সম্ভাসনের জায়গা নিতে পারবে না।

ভারতের একটাই লক্ষ্য হিন্দিকে জাতিসংঘের ভাষা হিসাবে অধিষ্ঠিত করা এবং এ জন্য বাংলার পথে বিপক্ষ হিসাবে দাড়ানো।

এবার নিজেই ঠিক করেন, উপনিবেশে থাকেন, নাকি সার্বভৌম জাতি হিসাবে থাকেন। যতদিন বেচে থাকবেন, ততদিন আপনি এই মর্মবেদনা নিয়ে ভুগবেন যে এমন একটা দেশে আপনি থাকেন, যে দেশ কোনদিনও আপনার ভাষাকে উপরে উঠতে দেবে না এবং দরকার হলে বিপক্ষে দাড়িয়ে দমিয়ে রাখবে।

আমি আগে বাঙ্গালি, তারপরে এইসব, ইন্ডিয়ান, এশিয়ান, আর্থলিং। এইসব ইন্ডিয়ান, এশিয়ান, আর্থলিং হতে যেয়ে নিজের জাতীয়তা বিসর্জন দেবার মত এত উদার আমি না। যারা নিজের জাতীয়তা বিসর্জন দিয়ে জাতগৌরব করতে আসে তারা একটু ঠাট্টা তামাশার স্বীকার হবেই। ঐসব এক পৃথিবী, এক দেশ নামক ফাপা বুলিতে আমি নাই। এক পৃথিবী, এক দেশের ভাষা কি? ইংরেজী! আমার এত ঠেকা পড়ে নাই ইংরেজীভাষী এক পৃথিবী, এক দেশের নাগরিক হবার। দশফুট বাই পনেরফুট ঘরে মাথা গুজেই যেখানে ঘুমুতে খেতে পারি, সেখানে পদ্মা-মেঘনা-যমুনা নিয়ে আস্ত বাংলাদেশ পাচ্ছি। এত ঠেকা পড়ে নাই হিন্দি, চীনি, ইংরেজী শিখে ভারতীয়, এশিয়ান আর পৃথিবীবাসী হবার। ভারত, চীন দেখতে ইচ্ছে হলে টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে যাব, ঘুরে দেখে চলে আসবো। বিশালত্বের মোহে পড়ে নিজের জাতির অবমাননা করা সম্ভব না। যত রুটি আর কাবাব খাই, মাছ-ভাত না খেলে কুত্তাপাগল অবস্থা হয়। ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে আর বাঙ্গালি স্বর্গে গেলেও অমৃত না চেয়ে মাছ ভাত চাইবে খাবার জন্য।

২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বাংলা ভারতের অন্যতম ভাষা। ভারত আলাদাভাবে জাতিসঙ্ঘে বাংলার জন্য দরবার করতে পারে না। তাহলে তামিল, তেলেগু, মলয়লম, পাঞ্জাবী, গুজরাটী, মারাঠী - সবার জন্যই বলা উচিৎ।
ভাষা আমাদের অন্যতম সত্তা, একমাত্র সত্তা নয়। ভাষা নিয়ে আবেগ খুবই জরুরী, কিন্তু যুক্তির বাইরে গিয়ে আপনি উন্মত্তের মতো বলছেন কেন যে বাংলাকে সম্মান দিলে ভারতের কি ক্ষতি হবে ? বহুভাষিক দেশে ওরকম করা যায় না। আমাদের দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ। আপনাদের মতো কোনও রাষ্ট্রধর্ম আমাদের নেই। আমরা চাই না কোনও সংখ্যাগুরুর ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হয়ে উঠুক।
আপনাদের দেশে একটি ধর্মকে স্বাধীনতার পরে রাষ্টধর্ম করতে হলো কেন ? একাত্তরের ধর্মনিরপেক্ষতা কি সমস্যা তৈরি করছিল ? শুধু ভাষার আবেগে দেশের ঐক্য থাকছিল না ?
জাতিসত্তা আর জাতীয়তা নিয়ে অনেক বলেছেন। ভাষাকে জাতীয়তা করেই থামা যাচ্ছে না, ধর্মও তার অংশ হতে চাইছে এইবার। ভাষা নিয়ে নয় একটা স্তরে সীমিত ছিলেন, ধর্ম নিয়ে তো ইতোমধ্যেই জামাত, হেফাজতে 'তালিবানি' ফতোয়া দেওয়া শুরু করেছে। এর প্রতি সমর্থন থাকলে এক, আর না থাকলে তো কি হচ্ছে দেখা যাচ্ছে। প্রজন্ম চত্বর সাময়িক বিরতি না নিলে তো দেশে গৃহযুদ্ধের অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বহুত্ববাদকে মানতে না পারলে ভাষার আবেগ বাঁচাবে না আপনাদের।

১৮| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১৬

নাজ_সাদাত বলেছেন: ধর্মের ভিত্তিতে যে দেশভাগ হল তার জন্য মূল দায়ী হল নেহেরু, গান্ধী, ও প্যাটেল। বিশেষত নেহেরু ও প্যাটেল কোন দিন চাইছিলনা রাষ্ট্রক্ষমতার উচ্চপর্যায়ে কোনদিন কোন মুসলিম থাকুক। যে কারনে জিন্নার প্রধানমন্ত্রী অথবা সরাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে একজন মুসলিম থাকুক এই দাবীর বিপক্ষে তারা মত প্রকাশ করেছিল। কিন্তু খুব সঙ্গত দাবী ছিল এটা সেই সময়ের পেক্ষিতে। এ কথা ঠিক বলেছেন যে ভারত কাগজে কলমে হিন্দুরাস্ত্র নয়। কিন্তু বাস্তবে সেটার প্রতিফলন কি হয়??? ধর্মনিরপেক্ষ দেশের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গের স্কুল থেকে কলেজে ঘটা করে সরস্বতী পুজা হয়। এমন কি গত ৩৪ বছর বাম শাসনে থাকার সময় ও সেটার অন্যথা হয়নি। মুসলিমদের ও সেই পূজায় যোগ দিতে বাধ্য হতে হয়। রাস্ত্রধর্ম হিন্দু না হওয়ার পর ও সরকারী বেতার আকাশবাণীর দিন শুরু হয় মন্ত্রপাঠের মধ্যদিয়ে। অর্থাৎ মননেই হিন্দুত্ব ঢুকে গেছে। সংখ্যালঘুদের অধিকারের প্রশ্নে তাঁদের অবস্থান কি সেটা সাচার ও রঙ্গনাথন কমিশনের রিপোর্টে চোখ রাখলেই বোঝা যায়। ধর্মনিরপেক্ষতা ফাঁকা বুলি তখন ফুটে বেরয়। এই ধরুন না মুম্বাই দাঙ্গা প্রসঙ্গে শ্রীকৃষ্ণ কমিশন বলেছিল বাল ঠাকরে দক্ষ সেনাপতির মত দাঙ্গা পরিচালনা করেছে। কোন বিচার হয়েছে তার। কিম্বা গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে যে তদন্ত চলছে তা অনন্তকাল ধরেই চলবে বলে মনে হচ্ছে। মোদীর বার্ধক্যজনিত স্বাভাবিক মরন হয়ত হয়ে যাবে কিন্তু তদন্ত শেষ হবে না। আবার উল্টো দিকে দেখুন গুরুর বিরুদ্ধে কোন নির্ভরযোগ্য প্রমান না থাকার পরেও তাকে ফাঁসীতে ঝুলিয়ে দিতে হাত কাঁপলনা প্রণবের। এমন কি এততাই অমানবিক রাষ্ট্র যে তার মরদেহ পর্যন্ত তার পরিবারের হাতে দেওয়া হল না। তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হল নাকি পুতে দেওয়া হল সেটাও বোঝা গেল না।

প্রতিদিন ধর্মনিরপেক্ষতাকে এ ভাবে বলাৎকার করার পরও সংবিধানকে কুমিরের ছানা দেখানোর মত করে দেখানো আসলেই সত্যের অপলাপ।

২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৩

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: কে কোন পদে থাকবে সেটা ধর্ম পরিচয় দেখে ঠিক হবার কথা নয় গণতন্ত্রে। কোনও দেশের গণতন্ত্রেই তা হয় না। মনমোহন এখন প্রধানমন্ত্রী, কিন্তু শিখ বলে নয়, বা এ পি জে আবদুল কালামুরাষ্ট্রপতি ছিলেন মুসলিম বলে নয়।
ড জাকির হুসেন, ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ বা জ্ঞানী জৈল সিং আগে রাষ্ট্রপতি ছিলেন মুসলিম বা শিখ হিসেবে নয়, ভারতীয় হিসেবে। প্রণব মুখোপাধ্যায় হিন্দু হিসেবে এখন রাষ্ট্রপতি নন। একসময় মনমোহন প্রধানমন্ত্রী আর আব্দুল কালাম রাষ্ট্রপতি ছিলেন ভারতে। ধর্মীর সংখ্যাগুরুরা কোনও অসুবিধা বোধ করেন নি, কেনই বা করবেন? বিজেপি আর এস এস ও তো এ নিয়ে কোনও প্রচার চালায় নি।
আকাশবাণীতে সব ধর্মের প্রসঙ্গই থাকে, এ নিয়ে মিথ্যা প্রচারে কোনও লাভ নেই, ভারত রাষ্ট্র এসব বিষয়ে সতর্ক।
আর দুর্নীতি নিয়ে যেমন সরকারের সংস্থা ক্যাগ তার সরকারের বিরুদ্ধেই আওয়াজ তোলে, তেমনি সমস্যা নিয়ে সাচার বা রঙ্গনাথন কমিটি। এরা দেশের সমস্যা দেখার জন্য দেশের ভেতরের ব্যবস্থা, যাদের সুপারিশ মেনে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হয়। এরা ইউ এন বা অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশানাল এর কমিশন নয়, যে বলা যাবে ভারত এসব থেকে মুখ ফেরাতে চেয়েছিল, বাইরের কেউ প্রকাশ করে দিয়েছে।

১৯| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৪২

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: @নাজ_সাদাতঃ শুধু হিন্দু মন্ত্রপাঠই হয়? বাইবেল, কোরান বা বৌদ্ধদের ত্রিপিটক কি পাঠ করে না?

কিছুদিন আগে বাংলাদেশের জামাত শিবিরের হিন্দুদের ঘরবাড়ি পোড়ানো আর হেফাজতিদের দৌরাত্ম দেখে কিছুটা হীনমন্যতায় ভুগতেছিলাম। আপনার মন্তব্য সত্য হলে সেই হীনমন্যতা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাব।

তবে পশ্চিমের ঘটিদের আমার সুবিধার মনে হয় না। ঘটিগুলার বাঙ্গালিত্বে সমস্যা আছে। বাঙ্গালগুলা হিন্দু হলেও বাংলাদেশের জন্য মন পোড়ে। বিদেশেও বাঙ্গালগুলা হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে বাঙ্গালিদের প্রতি দরদ দেখায়। ঘটিগুলার একটু সমস্যা আছে। কিপটা কিসিমের। বাঙ্গাল মুসলমানগুলা মুসলমান হয়েও পাকিস্তান ভাংলো, কিন্তু ঘটি মুসলমানগুলা এখনও অনেকেই পাকিস্তান পছন্দ করে। আবার বাঙ্গাল হিন্দুগুলা এত মার খাবার পরেও বাংলাদেশেরেই ভালা পায় ভারতের চেয়ে বেঈমানের মত। কিন্তু ঘটি হিন্দুগুলা ভারত বলতে অজ্ঞান। হাজার হইলেও বাঙ্গাল থেকেই বাঙ্গালি। যাক একটু জাতিবিদ্বেষ্মূলক মন্তব্য কইরা গেলাম। ;)

২০| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

েবনিটগ বলেছেন: পোস্ট পর্যবেক্ষন

২১| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: শুধু হেসেই গেলাম আপনার পোস্ট পড়ে, অনেক কিছু বলার ছিল কিন্তু দেখলাম অনেকেই সেগুলো বলে ফেলেছেন...যুক্তরাষ্ট্র র সাথে ভারতের গনতন্ত্রের অনেক মিল এ ধরণের কথাও দেখলাম...শুধু গনতন্ত্রই নয়...যুক্তরাষ্ট্রর মতই দখলদার একটা স্বভাব ভারতের রয়েছে....সিকিম দখল তো খুব বেশী পুরনো ঘটনা নয়...কাশ্মীর/হায়দ্রাবাদ দুটোই দখলে রেখে দিয়েছে....নেপাল আর ভূটান তো মোটামুটি করদ রাজ্যই.....

আর বন্ধুরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে পানি নিয়ে যে আচরণ তাতেই আসল স্বরূপ বেরিয়ে আসে...

২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:২৭

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: মুক্তিদাতা ভারতকে ভুলে গেলেন ? পাকিস্থানের হাত থেকে আপনাদের মুক্তিদাতাদের ? ভারত দখলদার না মুক্তিদাতা, আপনার নিজের দেশের ইতিহাস কি বলে ?

২২| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
তবে কি দাদা, বিহারের যুবক কে যখন পিটিয়ে মেরে ফেলে রাজ্যগত পরিচয়ে, আর নিতিশ-লালু-পাসোয়ান যখন একাট্টা হয়, বলে বিহারীরাও ভারতীয়, ভাবতে হবে।
এসব কিন্তু আমরা আপনাদের চ্যানেল মারফতই দেখি।
এইযে আসাম, মেঘালয়, জম্মুর অধিকাংশ নিজেদের পরিচয় চায়,
স্বাধীনচেতা কিংবা নিজের পায়ে দাঁড়ানো পশ্চিমবঙ্গীয়রা যখন মাথা তুলে দাড়াতে চায়, তার খবর ও আমরা পাই।

আর দিল্লীওয়ালাদের নমোঃ নমোঃ করে চলা ভারতীয় ভূখন্ডে আশ্রয় মাত্র (আশ্রয় ই বললাম) থেকে গুন গাওয়া আপনি/আপনারা ও আছেন। তাইতো তেলের অভাব হয় না।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২১

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: ভারতীয় রাজনীতির অ আ ক খ জ্ঞানও কি নেই ? নাই থাকতে পারে, কিন্তু জেনে নেওয়া ভালো। দিল্লিওয়ালা যাদের বলছেন, অর্থাৎ সংসদের এম পি, তাদের বিভিন্ন রাজ্যের লোকসভা আসন থেকেই জিতে আসতে হয়। যে লোকসভা দেশটা চালায়। আর লোকসভার সঙ্গে সঙ্গে যে রাজ্যসভা আইন তৈরি করে দেশের, সে রাজ্যসভার সাংসদরা রাজ্যগুলির বিধায়কদের দ্বারা নির্বাচিত হয়ে আসেন। তাই ভারতীয় রাজনীতিতে ফেডারেল স্ট্রাকচার ধাতুর অন্তর্গত একটা বিষয়। দিল্লিওয়ালা দিল্লিওয়ালা বলে কি যে আবোল তাবোল বলেন, শুনলে এ দেশের বাচ্চা ছেলেরাও হাসবে, যাদের স্কুলেই খানিক রাজনীতির জ্ঞান হয়ে গেছে। আপনাদের সঙ্গে বাকবিস্তার বোধহয় বৃথা। অ আ ক খ না জেনে বাকবিস্তার করতে এসেছেন।

২৩| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: যত যাই বলেন ভাই ভারতবাসীর মুল সমস্যা মানেই হল ধর্ম। ধর্মীয় নিরাপত্তাহীনতাই আসলে এই ভারত পাকিস্তান রাস্ট্রের জন্ম দিয়েছে। যদি ধর্মীয় বাঁধা না থাকত তাহলে এখানে ভারত পাকিস্তান না আসলে জন্ম হত একাধিক রাস্ট্রের যারা ভাষা এবং জাতিগত পরিচয়ে পরিচিত হত। অবাক হওয়ার কিছু নাই ইঊরোপেও তেমনটাই হয়েছে। প্রবল পরাক্রান্ত ভ্যাটিকান ও পারেনি জার্মান, ফ্রাঙ্ক, ইতালিয়ান জাতিগুলোকে একীভূত রাখতে।

আপনি পশ্চীমবঙ্গের অধিবাসীদের বৃহৎ ভারতের মাঝে লীন হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাকে যতই সরলীকরণ করার চেষ্টা করুন না কেন বিশ্বাস করুন আপনাদের মত চিন্তা করলে আজকে আমরা পাকিস্তানের মাঝে খুব শান্তিতে বাস করতে পারতাম। দিল্লী খুব গর্বিত আপনাদের নিয়ে আপনারা আপনাদের ভারতীয় সত্বা বর্জণ করেননি একইভাবে পাকিস্তানীদের আবার আমাদের নিয়ে গোস্যা যে আমরা পাকিস্তানী চেতনাকে লালন করিনি। একবার ভাবুন তো আমরা যদি পাকিস্তানি হয়ে যেতাম তাহলে কি একাত্তর আসত? এভাবে ৩০ লাখ লোক মরত? আমার তো মনে হয় শেখ মুজিব বিনা ওজরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারত।

আপনাদের পশ্চীমবঙ্গের মানুষদের ভারতীয় সেনাবাহিনীতে পজিশন কেমন জানিনা তবে পাকিস্তানে আমাদের পজিশন তেমন খারাপ ছিলনা মনে হয় যদি আপনাদের সাথে তুলনা করি। ব্রিগেডিয়ার মজুমদার সহ আরো কয়েক বাঙ্গালী অফিসার দের নিয়ে পাকি সেনাবাহিনীর সন্দেহ না থাকলে তারা আরো ভালো পজিশনে থাকত সে সময়। পাকিস্তানী বিমান বাহিনীতে এখনো সবচেয়ে গর্বিত বিমানসেনা কিন্তু দুজন বাঙ্গালী। এটা প্রমাণ করে লয়ালিটি দেখাতে পারলে ওরাও প্রতিদান দেয়। কিন্তু আমরা বাঙ্গালরা ওদের গোলামী করিনি চেয়েছি বাংলাদেশকে মহিমান্বিত করতে।

রুনা লায়লা, চিত্রনায়ক নাদিম, চিত্রনায়িকা শবনম, আরো অনেক গায়ক গায়িকা কিন্তু সাচ্চা পাকিস্তানী হতে পারার কারণে সেখানে শীর্ষ সেলিব্রেটির মর্যাদা পেত। মাঝে মাঝে মনে হয় রুনা লায়লা বুঝি বাংলাদেশের চেয়ে এখনো পাকিস্তানে বেশীই জনপ্রিয়। বাংলাদেশের এক কৃকেটার তো পাকিস্তান টিমে চান্সই পেয়ে যেত। কিন্তু বাচ্চা রকিবুল সাচ্চা পাকিস্তানী হতে চায়নি।

এভাবে দেখলে দেখা যাবে পাকিস্তানী হতে পারলে আমরা এই দেশের বাঙ্গালীরা আজকে এখনকার চেয়ে ঐশ্বর্যে, সামরিক সামর্থ্যে অনেক উচুতে থাকতাম। আমরা ঐক্যাবদ্ধ থাকলে হয়ত জঙ্গীবাদও পাকিস্তানে এভাবে গেড়ে বসতনা। আমরা অবশ্যই সবক্ষেত্রে আপনাদের সাথে সমান দাপট নিয়ে কথা বলতে পারতাম। বলতে পারতাম আমরাও বিশ্বকাপ কৃকেট চ্যাম্পিয়ন হয়েছি আমরা আপনাদের সাথে কৃকেট দ্বৈরথে এগিয়ে। কিন্তু কেন বলিনি জানেন? কারণ আমরা আমাদের বাঙ্গালীত্বকে হৃদয়ে ধারণ করি। পাকিস্তানিরা যখন তার চিরশত্রুর স্মৃতিচিহ্ণ সম্বলিত প্রতিটি জিনিসকে ঘৃণা করতে বলেছে আমরা বোকা বাঙ্গালরা প্রতিবারই ঘাড়ের রগ ত্যারা করে তার বিরোধিতা করেছি। আমরা যদি আপনাদের মত কম্প্রোমাইজ করতাম তাহলে দেখতেন একাত্তর, বায়ান্ন কিছুই আসতনা। আমরা হয়ত দুনিয়ার একটি সবল অর্থনীতি আর সেনাশক্তি সম্বলিত অহংকারি আর দাম্ভিক রাস্ট্রের নাগরিক হিসেবে আপনাদের মত দাত কেলিয়ে পৃথিবীময় ঘুরে বেড়াতাম।

বাঙ্গালী রক্ত দিয়েছে বাংলার ভাষার জন্য, বাঙ্গালী সত্বার জন্য, মানবতার জন্য পৃথিবীর বুকে ভারত পাকিস্তান নামক দুটো দানভ তৈরীর জন্য না। আপনারা গর্ব করতেই পারেন সিকিম, হায়দরাবাদ, কাশ্মীর দখল করার জন্য, আপনারা গর্ব করতে পারেন শয় শয় পারমাণবিক বোমা বানিয়ে নিজদের কে বিশ্বের জন্য হুমকি বানানোর জন্য। আপনারা গর্ব করতে পারেন হাজার বছর ধরে বয়ে চলা নদীর গতিপথ ঘুরিয়ে দিয়ে কোটি কোটি মানুষ, পশু, পাখির মৃত্যুর কারণ হবার জন্য। আমাদের এই পূর্ব বাংলার মানুষ এসব করার জন্য জন্ম নেয়নি। আমরা ছলাকলা জানিনা যা বলি সামনা সামনি বলি। এতে নিজেদের হয়ত ক্ষতি হয় কিন্তু আশেপাশের পাড়া প্রতিবেশীর ক্ষতি হয়না। এইরকম মানুষদের পক্ষেই সম্ভব হয় নতুন রাস্ট্র জন্ম দেয়া, নিজেদের ভাষাকে জাতিসংঘে পূর্ণ সম্মানে অধিষ্ঠিত করা। আপনাদের মত যারা অনেক অংক কষতে পারেন তারা এগুলো পারবেননা। এমনকি অনুভবও করতে পারবেননা এসব করার আনন্দ টা কেমন? তাই আমাদের আবেগ মাখা কথাবার্তা নিয়ে মাইন্ড না করে অন্য কাজে মন দিন ভাই। আমাদের বোঝাতে পারবেননা। আমরা আপন মনে চলি আপন মনে গাই এবং আপন মনে হাসি। ইচ্ছা হলে সঙ্গী হতে পারেন ইচ্ছা হলে না। আপনাদের কী জোড়াজুড়ি করবেনা।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২৭

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বিষয়টা আদৌ বাংলাদেশ গঠনের ন্যায্যতা নিয়ে নয়। আমার ধৃষ্টতা কি যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রগঠন নিয়ে প্রশ্ন তুলবো। আমি এর বিচারকেই অনধিকার চর্চা বলে মনে করি। আপনাদের যা ন্যায্য মনে হয়, তাই করেছেন, বেশ করেছেন। এ বিষয়ে আমি আপনি রাম শ্যাম যদু মধু বলার কে ?
বিষয়টা ঠিক উলটো। আমাদের অনেকেই আপনাদের দেশের দিল্লির উপনিবেশ ইত্যাদি বলেন। আমাদের বক্তব্য বাংলার দুই খণ্ডের মধ্যে সাংস্কৃতিক সংযোগ হোক খুব ভালো। কিন্তু এ পার বাংলাকে দিল্লির উপনিবেশ ইত্যাদি বলা বন্ধ হোক। এসব অযাজিত মন্তব্য, আর সত্যও নয়।

২৪| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: আপনাদের কী জোড়াজুড়ি করবেনা।

< আপনাদের কোন জোড়াজুড়ি করবনা।

২৫| ২৫ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

ওবায়েদুল আকবর বলেছেন: কেউ কেউ মানুষকে ইতিহাস অজ্ঞ ভেবে মজা পেতে পারে কিন্তু তাই বলে অন্যরা বকলম থেকে যায়না। লেখক মৌর্য আমল থেকে ব্রিটিশ আমলের ভাতৃত্বের ইতিহাস বয়ান করে গেলেন কিন্তু বাস্তবতা বললেননা।

মৌর্য্য সাম্রাজ্যের রাজ্যবিস্তার কি গলে গলে হয়েছিল নাকি তলোয়ার আর কুটিল ষঢ়যন্ত্রের মাধ্যমে হয়েছিল। কিছুটা বৈবাহিক কুটচালও নাকি কাজ করেছিল বলে জানি। মুসলমানরা ভারতে আসার আগে ভারত একদম এক ব্যাক্তির অধীনে ছিল!!! সুলতানরা স্থানীয় রাজাদের সাথে লড়াই করেননি। করেছেন দিল্লীর রাজার সাথে!!! মুঘল আমলে স্থানীয় রাজাদের সাথে মুঘল সম্রাটদের যুদ্ধ করতে হয়নি। ব্রিটিশরাও একে একে স্থানীয় রাজাদের পরাজিত করে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠিত করেনি করেছে বাহাদূর শাহ জাফরকে ল্যাং মেরে ফেলে দিয়ে!!!

আরে ভাই মুসলমান শাসনকে উৎখাতের জন্যই যেখানে ভারতের হিন্দুরা এক রাস্ট্র হতে পারলনা হাজার বছরের ইতিহাসে। সেখানে প্রবল শক্তিধর ইংলিশ রাজকীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করে স্বাধীনতা লাভের জন্য একাত্বতা প্রকাশের প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। ইংরেজরা রেলপথ, জলপথ আর সড়ক পথের বিস্তার না ঘটালে এখনো ভারতবাসীর কাছে নিজেদের দেশের অনেক কিছুই অচেনা থেকে যেত।

ইংরেজরা আসলে একটা বলদ। ওরা নাকি ডিভাইড এন্ড রুল নীতিতে দেশ শাসন করছে? ওরা যদি বেশী চালাকি না করে শাসন্তান্ত্রিক জটিলতা দূরিভূত করার উদ্দেশ্যে ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট নামক প্যাচাল না পেরে পুরো ভারতের সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন গড়ে তুলত তাহলে ভারতবাসীর আজকেও বৃহৎ ভারত নামটা শুনা লাগতনা ।

ইউরোপীয়ানরাও এক সময় মুসলমানদের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ধর্মীয় পরিচয়ে ইঊরোপে আর ইঊরোপের বাইরে এক হয়েছিল। এমনকি ঔপনিবেশিক আমলেও অনেক জাতির রাস্ট্রীয় স্বীকৃতি ছিলনা। কিন্তু পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদের উথথানে সবাই পৃথক পৃথক রাস্ট্রীয় পরিচয়ে পরিচিত হয়। ইঊরোপ হয় মুক্ত আর আমরা সেই একই জাতীয়তাবাদের ফসল হিসেবে হয়ে পড়লাম শৃঙ্খলিত। এর জন্য মুঘল আর ব্রিটিশদের আমি ইহ জীবনেও মাফ করবনা।

২৬| ২৫ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: বাংলা ভারতের অন্যতম ভাষা। ভারত আলাদাভাবে জাতিসঙ্ঘে বাংলার জন্য দরবার করতে পারে না। তাহলে তামিল, তেলেগু, মলয়লম, পাঞ্জাবী, গুজরাটী, মারাঠী - সবার জন্যই বলা উচিৎ।

তাহলে হিন্দি বা হিন্দুস্তানির জন্য দিল্লী কেন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে? কথাটা যে বললেন, ঠিক বললেন কি? হিন্দির পেছনে দিল্লী কেন এত টাকা খরচ করে? কেন হিন্দিকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা বানাতে চায় ভারত? বাংলার জন্য দরবার করতে পারে না, কিন্তু হিন্দির জন্য ঠিকই দরবার করে কিভাবে? দিল্লীর এ প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তামিলরা সক্রিয় আর ভারতীয় বাঙ্গালিরা ঠুটো জগন্নাথ হয়ে বসে আছে। তামিলদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা উচিত পশ্চিমবঙ্গীয় আর ত্রিপুরীদের। এরা না থাকলে হিন্দি পুরো ধুয়ে দিত।

ভাষা আমাদের অন্যতম সত্তা, একমাত্র সত্তা নয়। ভাষা নিয়ে আবেগ খুবই জরুরী, কিন্তু যুক্তির বাইরে গিয়ে আপনি উন্মত্তের মতো বলছেন কেন যে বাংলাকে সম্মান দিলে ভারতের কি ক্ষতি হবে ? বহুভাষিক দেশে ওরকম করা যায় না।

করছে ঠিকই। হিন্দির জন্য করছে। হিন্দি দিবস পালন করছে। এখন দেখেও না দেখার ভান করলে কিছু বলার নাই।

আমাদের দেশটি ধর্মনিরপেক্ষ। আপনাদের মতো কোনও রাষ্ট্রধর্ম আমাদের নেই। আমরা চাই না কোনও সংখ্যাগুরুর ধর্ম রাষ্ট্রধর্ম হয়ে উঠুক।
আপনাদের দেশে একটি ধর্মকে স্বাধীনতার পরে রাষ্টধর্ম করতে হলো কেন ? একাত্তরের ধর্মনিরপেক্ষতা কি সমস্যা তৈরি করছিল ? শুধু ভাষার আবেগে দেশের ঐক্য থাকছিল না ?


এটা ঠিক বলেছেন। আমাদের মূল সংবিধানটিতে কোন রাষ্ট্রধর্ম ছিল না। আমাদের মূল সংবিধানটি ছিল চমতকার একটি সংবিধান। পরবর্তীতে ষড়যন্ত্রের যাতাকলে পড়ে আমাদের সংবিধানটিকে বিকৃত করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানটিতে কোন রাষ্ট্রধর্ম ছিল না। অনেক পরে এক সামরিক শাসকের হাতে এতে রাষ্ট্রধর্ম যোগ হয়। তবে এটা থাকবে না চিরকাল। সময়ের সাথে, মানুষের মানোন্নয়ের সাথে, শিক্ষাদীক্ষা বাড়লে আমরা আবার আমাদের সংবিধানটিকে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যাব। তবে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বানালেও অন্যান্য ধর্মের সমান মর্যাদা সেখানে এখনও আছে।

আমাদের সংবিধানে লিখা আছেঃ "প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন"

অন্য ধর্মের প্রতি খুব একটা অবমাননাকর কি? তবে হ্যা এটা ঠিক না। রাষ্ট্রের কোন ধর্ম থাকা উচিত না। আমি আমার সংবিধানের এ অংশটি নিয়ে গর্বিত নই।

তবে আমাদের জাতীয় টেলিভীশনে কোরান পাঠ দিয়ে যেমন শুরু হয় অধিবেশন, তেমনি কোরান পাঠের পরে গীতা, বাইবেল এবং ত্রিপিটক পাঠও করা হয়।

জাতিসত্তা আর জাতীয়তা নিয়ে অনেক বলেছেন। ভাষাকে জাতীয়তা করেই থামা যাচ্ছে না, ধর্মও তার অংশ হতে চাইছে এইবার। ভাষা নিয়ে নয় একটা স্তরে সীমিত ছিলেন, ধর্ম নিয়ে তো ইতোমধ্যেই জামাত, হেফাজতে 'তালিবানি' ফতোয়া দেওয়া শুরু করেছে। এর প্রতি সমর্থন থাকলে এক, আর না থাকলে তো কি হচ্ছে দেখা যাচ্ছে। প্রজন্ম চত্বর সাময়িক বিরতি না নিলে তো দেশে গৃহযুদ্ধের অবস্থা তৈরি হয়েছিল। বহুত্ববাদকে মানতে না পারলে ভাষার আবেগ বাঁচাবে না আপনাদের।

হেফাজতিদের কিভাবে দশ মিনিটে শাপলা চত্ত্বর ছাড়া করলো দেখলেন না? প্রজন্ম চত্ত্বর ধরা খাইছে নাস্তিকতার ফাদে। এখানে অন্য ধর্মের প্রতি মানুষ বিদ্বেষী ছিল না, বিদ্বেষী ছিল নাস্তিকদের প্রতি। প্রজন্ম চত্ত্বকে হিন্দু চত্ত্বর বলে অভিহিত করলে হেফাজতিরা ভাত পেত না। মানুষ ঐসব মানতো না। কিন্তু নাস্তিক বলে ধরাটা খাওয়াইছে। তাও শুধু নাস্তিক হলেও সমস্যা ছিল না। ইসলামের নবীকে নিয়ে যৌনাত্মক ব্যাঙ্গমূলক লিখা দেখার পরে পাবলিক খেপছে। এরপরে হেফাজতিরা যখন কোরানে আগুন দিল, এখন পাবলিক হেফাজতিদেরও দেখতে পারে না। পাবলিক বহুত্ববাদ মানে, যতক্ষণ না তাদের ধর্মের উপর আঘাত না আসে। এটা সত্য নাস্তিকদের সহ্য করার মত বা নিজ ধর্মের প্রতি কটুক্তি সহ্য করার মত এত উদার আমরা এখনও নই। তবে আমি এসব ব্যাপার নিয়ে গর্বিতও নই, বরং লজ্জ্বিত।

তবে কথা হচ্ছে, রাষ্টধর্ম ইসলাম থাকুক আর যাই থাকুক, দিন যত যাবে, মানুষ গোড়ামী থেকে ততটা মুক্তি পাবে। রাষ্টধর্ম একসময় ঠিকই বিলুপ্ত হবে। কিন্তু বাংলা থাকবে আর দিন যত যাবে বাংলা ততবেশী শক্তিশালী হবে। পশ্চিমবঙ্গীয়রা ধর্মনিরপেক্ষতা পেতে পারে কিন্তু বাংলাকে ঠিক রাখতে তাদের ঘাম ছুটবে। অবশ্য তারা বাংলাকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ না ভাবলে অন্য কথা। সেক্ষেত্রে আমার কিছু বলার নাই। এবং সেক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশীদের কাছে বাঙ্গালি হিসাবে এপ্রোচ না করে ভারতীয় হিসাবে এপ্রোচ করলেই ভাল। তাহলে কোন টিটকারীও কেউ মারবে না, আত্মশ্লাঘাও কেউ দেখাবে না।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: হিন্দি আর ইংরাজী ভারতের সংযোগের দুটি ভাষা, সেটা বহুভাষিক দেশে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে দরকার। মাতৃভাষার পাশে হিন্দি আর ইংরাজীর মধ্যে একটা ভাষা জানা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য খুবই জরুরী অন্য প্রদেশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য।
হিন্দি বহু মানুষের ভাষা। তার সাহিত্যিক সমৃদ্ধিও যথেষ্ট। তার প্রসারে দোষের কিছু নেই। ভারতকে কোনও একটি ভাষা রাষ্ট্রসঙ্ঘে 'প্রমোট' করতে হলে সেটা তো ইংরাজী হবে না, হিন্দিই হবে। আর দ্বিতীয় কোনও ভাষার কথা এলে আমি তামিলের পক্ষে। কারণ এটি ইন্দো ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর বাইরের একটি ভাষা এবং সংস্কৃতের মতোই তার ধ্রুপদী ঐতিহ্য বিশাল।

২৭| ২৫ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: ভারত মুক্তিদাতা ???? রাজনৈতিক ভাবে ভারতের জন্য খুবই দরকারী ছিল পাকিস্তান কে ভেঙ্গে দেওয়া সেই কারণের ভারত এই কাজটা করেছে...ইচ্ছে ছিল সিকিমের মত যদি এদেশটাকেও দখল করা যায় কিনা পরখ করে দেখার...এবং সেটা যত কম ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে করা যায় সেই জন্য যুদ্ধ যখন প্রায় শেষ তখন ৬ই ডিসেম্বর ভারতীয় সৈন্য এদেশে প্রবেশ করিয়ে....আর যুদ্ধ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বেশ কিছুদিন এদেশে ভারতীয় সৈন্য রেখে দিয়ে....

রাজনৈতিক কথা বাদ থাকুক। আমরা বাংলাদেশীরা আজও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি এদেশের লাখ লাখ লোককে মুক্তিযুদ্ধের সময় আশ্রয় দেওয়ার জন্য, তাদের খাওয়া দাওয়া থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য....তাতে ভারতীয় সরকার হয়ত অনেক লাভক্ষতির হিসেব করেছে, কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষ শুধু ক্ষতিই স্বীকার করে আমাদের আশ্রয় দিয়েছে...

কিন্তু আপনি যদি বলেন যে ভারত ছিল এদেশের মুক্তিদাতা তাহলে শুধু আপনাকে অনুরোধ করব মানকেশের আত্মজীবনি একবার পড়ে দেখবার জন্য...

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: মানকেশের বইটির সঙ্গে আমি একেবারেই পরিচিত নই। একটু বিস্তারিত জানান লেখকের ও বইটির বিস্তারিত পরিচয় সহ। অজানা জিনিষ জানা খুবই দরকার। সূত্রের জন্য আগাম কৃতজ্ঞতা নেবেন।

২৮| ২৫ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

রাতুল রেজা বলেছেন: লেখক বলেছেন: মুক্তিদাতা ভারতকে ভুলে গেলেন ? পাকিস্থানের হাত থেকে আপনাদের মুক্তিদাতাদের ? ভারত দখলদার না মুক্তিদাতা, আপনার নিজের দেশের ইতিহাস কি বলে ?

তো দাদা, আপনি কি মনে করেন ভারত এগিয়ে না আসলে কোনোদিন বাংলাদেশ হতনা? আর ভারত ক্যানো এগিয়েছিল? নিজেদের স্বার্থেই, ২ পাশে পাকিস্তান থাকায় ভারত বিপদেই ছিল, বাংলাদেশের প্রতি সহানুভুতির কারনে নয়। যদি সেই সময়ে শুধু বাংলাদেশের জন্যে সহানুভুতি থাকতো তাহলে আজকে ভারতের এই আগ্রাসী রুপ দেখা যেত না। পানি নিয়ে ছেচরামি, সিমান্তে পাখির মত মানুষ হত্যা, বানিজ্যে ইচ্ছে করে পিছিয়ে থাকা, সারা বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল থাকলেউ ভারত্রে হিংসার কারনে বাংলাদেশের চ্যানেল নিষিদ্ধ করে রাখা, বাংলাদেশ কে সম্মান না দেখানো, আরো বলতে গেলে উপন্যাস হয়ে যাবে।

তাই মুক্তি দাতা ফুক্তি দাতা এইসব ফাউল কথা না বলে নিজের দেশের ঢোল নিজের দেশের ব্লগে গিয়ে পেটান। মুক্তিদাতা কথাটার সম্মান রাখতে পারতো ভারত যদিনা বর্তমানে তাদের ভাষায় প্রকাশ না করার মত কার্যকলাপ না করতো। আপনাদের পশ্চিমবংগ কিসের অংশ না কিসের উপনিবেশ সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথার কোনো কারন নাই।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৯

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: মুক্তিদাতা বলতে চাইছেন না ? তাহলে মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ের প্রধান বন্ধু ? এটা মানছেন ?

২৯| ২৫ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫০

কাফের বলেছেন: ভারত আমাদের মুক্তিদাতা খাইছে!
৭১রে ভারত আমাদের অনেক সাহায্য করেছিল এইটা অস্বীকার করার কিছু নাই কিন্তু সাহায্য কেন করেছিল এইটা এখন আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাইতাছি।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫১

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: মুক্তিদাতা বলতে চাইছেন না ? তাহলে মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ের প্রধান বন্ধু ? এটা মানছেন ? আর কি উদ্দেশ্য টের পাচ্ছেন এখন ?

৩০| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০৭

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
রাজনৈতিক অজ্ঞ আর যাই বলুন,
আপনাদের দিল্লী/মুম্বাই গিয়ে পেট বাচাতে বাঙালি নামটিও যে বদলে ফেলতে হয়, তা তো লজ্জার কি বলেন?

আর লোকসভা/রাজ্যসভার প্রতিনিধিত্ব আর একজন নাগরিক কে মূল্যায়ন যে ভিন্ন তা জানতে ভার্সিটি শিক্ষক হতে হয় না। এখানকার স্কুলে যাওয়া বাচ্ছাটিও জানে।

একজন প্রণব বাবু আর সৌভিক ঘোষাল কে মুল্যায়ন যে ভিন্ন মাত্রই এক পিচ্ছিকে জিজ্ঞেস করে দেখলাম, জানে।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: ভারতবর্ষে সমস্ত প্রদেশের সমস্ত ভাষার নাগরিকের নিজস্ব মূল্য আছে, কেউ কারো চেয়ে কম বেশি নয়। মুম্বাইয়ে মারাঠী, দিল্লি ও সংলগ্ন উত্তর ভারতে হিন্দি, পূর্ব ভারতে বাংলা অসমিয়া ওড়িয়া, দক্ষিণে তাদের তামিল তেলেগু মলয়লম, পাঞ্জাবে পাঞ্জাবী, গুজরাটে গুজরাটী, আবার আদিবাদীদের সাঁওতাল, হো , মুণ্ডা প্রভৃতি ভাষা - সবারই নিজস্ব অভিজ্ঞান, অস্মিতা আছে। সংযোগের ভাষা হিসেবে আছে হিন্দি ইংরাজী। এত বড় দেশ, এত ভাষা ধর্ম, তার এত বিভিন্নতা নিয়ে কীভবে এত শক্তিশালী গণতন্ত্র হিসেবে বিকশিত হয়েছে স্বাধীনতার পরে, দেশভাগের পরেও - সেটা ভালো করে অধ্যয়ন করুন, বুঝুন। তবে বাইরে থেকে বোঝা কঠিন। আর বুঝতে না পারলে এইসব হালকা অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্য - প্রণব সৌভিক এর পার্থক্য ইত্যাদি আসে। আর আসে সবাই দিল্লির উপনিবেশ - এসব অবাস্তব কথা।

৩১| ২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:২৩

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: হিন্দি আর ইংরাজী ভারতের সংযোগের দুটি ভাষা, সেটা বহুভাষিক দেশে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে দরকার। মাতৃভাষার পাশে হিন্দি আর ইংরাজীর মধ্যে একটা ভাষা জানা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য খুবই জরুরী অন্য প্রদেশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য।
হিন্দি বহু মানুষের ভাষা। তার সাহিত্যিক সমৃদ্ধিও যথেষ্ট। তার প্রসারে দোষের কিছু নেই। ভারতকে কোনও একটি ভাষা রাষ্ট্রসঙ্ঘে 'প্রমোট' করতে হলে সেটা তো ইংরাজী হবে না, হিন্দিই হবে। আর দ্বিতীয় কোনও ভাষার কথা এলে আমি তামিলের পক্ষে। কারণ এটি ইন্দো ইউরোপীয় ভাষাগোষ্ঠীর বাইরের একটি ভাষা এবং সংস্কৃতের মতোই তার ধ্রুপদী ঐতিহ্য বিশাল।


আমি শ্যাষ। একেবারে আমার থোতা মুখ ভোতা বানিয়ে দিলেন। প্রথমে বললেন বহুভাষিক দেষে কোন ভাষাকে আলাদা গুরুত্ব না দেবার অজুহাতে বাংলাকে জাতিসংঘে সমর্থন দেয় নাই। পরে যখন বললাম হিন্দিকে কেন সমর্থন দেয়, তখন হিন্দির পক্ষে সাফাই গাইলেন। তাহলে প্রথমে কেন বললেন যে কোন ভাষাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া ভারতের পক্ষে সম্ভব নয়?

তারপরে এখানেও থামলেন না। হিন্দির পরে তামিলের পক্ষে ভোট দিলেন। নীরোদ সি চৌধুরী একটা বই লিখেছিলেন "আত্মঘাতী বাঙ্গালি"। বাঙ্গালি আসলেই আত্মঘাতি। নিজের মা বাংলাকে উপরে না তুলে তামিলদের মা তামিলকে উপরে তুললেন? আপনার মা ছেড়া শাড়ি পরে, অন্যের মা জামদানী পরে, তাইতেই অন্যের মাকে বেশী গুরুত্ব দিবেন? যাই হোক এইসব আবেগী কথাবার্তা আপনারা বুঝবেন না। হিন্দি পর্যন্ত এগিয়েছিলেন, ঠিক আছে, শেষ পর্যন্ত তামিলকেও বাংলার উপরে স্থান দিলেন দেখে মনে কষ্ট পেলাম। অথচ এই আপনারাও ৭১ এর আগে একসময় নিজেদের দেশকে "বাংলাদেশ" বলতেন, নিজেদের "বাংলাদেশী" বলতেন। নিরোদ চৌধুরীতো আমাদের দেশের নাম "বাংলাদেশ" রাখারই বিরোধীতা করেছিল। সেইসব দিন কি শেষ হয়ে গেল? সেইসময়ের সেই "বাংলাদেশ"-এর রাজধানী কলকাতা কি একেবারেই শেষ? "লাইফ অব এ বাঙ্গালি কেমিষ্ট" এর লেখক প্রফুল্লচন্দ্র রায় সেই ব্রিটিশ আমলে যখন ইংরেজীর দোর্ন্দন্ড প্রতাপ, সে সময় ক্লাসে বাংলাতে লেকচার দিতেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের আশেপাশের বাসিন্দারা কি সেসব ভুলে গেছে? প্রফুল্ল রায়ের প্রিয় ছাত্র ডক্টর কুদরত-ই-খুদারা বাংলাদেশে বসে বাংলায় রসায়নের বই লিখেছে পরবর্তীতে। আপনাদের ওখানে কি প্রফুল্ল রায়ের কোন ছাত্র ছিল না? আমার বয়স খুবই অল্প, কিন্তু আমি এই ২০১৩ তে বসে এখনও রয়ায়নের সূত্র ধরে কুদরত-ই-খুদার হাত ধরে প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের আদর্শ খুজে পাই, আপনাদের তরুণরা কি সেটা পায় না?

আমরা না হয় দুইটা টিটকিরীই করেছি, একটু খোচাই মেরেছি, কিছু কটু কথাই বলেছি, তাই বলে নিজের বাঙ্গালিত্ব এভাবে হিন্দি আর তামিলের কাছে ছেড়ে দিবেন? একসময়ের বাংলার সাংস্কৃতিক মক্কা কলকাতা আপনাদের রাজধানী না? দিল্লীর মোহে কলকাতাকে এভাবে ত্যাগ করবেন? বাদ দেন বাংলাদেশের বাঙ্গালিদের আত্মশ্লাঘার ক্যাচাল, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ হিসাবে কি আপনাদের কোন দায়িত্ব নাই বাংলার প্রতি? বাঙ্গালি জাতি, বাংলা ভাষার উত্তরাধিকারী বলে কি আপনারা নিজেদের মনে করেন না? যদি মনে করেন তাহলে কেন হিন্দির কাছে বাংলাকে ছোট করেন? কেন তামিলের কাছে বাংলাকে ছোট করেন?

নাকি বাংলাদেশ হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের লোকজনের সব গা ছাড়া ভাব হয়ে গেছে। মানে আমরা তো আছিই বাংলাকে রক্ষা করার জন্য, শুধু শুধু কষ্ট করে আপনারা আর কেন যাবেন বাংলার জন্য প্রাণিপাত করতে। বাঙ্গালি, বাংলা, বাংলাদেশ, সব দায় তো এখন আমাদের কাধে। আপনারা হিন্দি ইংরেজী শিখে ধনী হবেন, আরামে থাকবেন, ভারতীয় রকেট মিসাইলের গর্ব করবেন আর মাঝে মাঝে একটু বাঙ্গালি হতে ইচ্ছে হলে টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে ঘুরে যাবেন। ঐসব বাঙ্গালি ফাঙ্গালি দিয়ে আপনাদের দিন এখন আর চলবে না।

যে মন্তব্য করছেন আপনি, আমি রীতিমত অপমানিত বোধ করলাম বাঙ্গালি হিসাবে। এর থেকে আমারে যবনের বাচ্চা বা চাড়ালের বাচ্চা বললেও এত কষ্ট পেতাম না। হিন্দিওয়ালারা বাংলার শত্রু না, বাংলার শত্রু খোদ পশ্চিমবঙ্গীয়রাই। দিল্লী ওখানে উপনিবেশ বানায় নাই, খোদ বাঙ্গালিরাই ওখানে উপনিবেশ বানিয়ে রেখেছে। আত্মঘাতী বাঙ্গালি।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: আপনার আবেহ নিয়ে লিখেছেন, সে আবেগকে সম্মানও করি। কিন্তু একটা যুক্তি ভুলে গেলেন ভাষাতত্ত্বগত, যেটা আমি তুলেছিলাম। হিন্দি একটি ইন্দোইউরোপীয় ভাষা, আর তামিল দ্রাবিড় দ্রাবিড়িয় ভাষাবংশের ভাষা। তৃতীয় কোন ভাষার কথা বলতে গেলে আমি অষ্ট্রিক ভাষা বংশের কোনও ভাষা, হয়ত সাঁওতালীর কথা বলব।

৩২| ২৬ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৫

নাজ_সাদাত বলেছেন: দাদা খুব সন্তর্পণে এড়িয়ে গেলেন স্কুল ও কলেজগুলতে সরকারী মদতে চলা সরস্বতী পুজার বিষয়টা, যেখানে মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের বাধ্য করা হয় এই পুজায় অংশগ্রহন করতে। তেমন ই এড়িয়ে গেলেন বাল ঠাকরে ও মোদীর সাজা না পাওয়ার বিষয়টা। মায়ের পেটে থাকা শিশুকে পেট চিরে বার করে এনে ত্রিশূলে গেঁথে সারা শহর প্রদক্ষিণ করে শেষে পেট কাটা অবস্থায় রাজপথে তড়পাতে তড়পাতে মারা যাওয়া মায়ের সঙ্গে শিশুটিকে আগুনে নিক্ষেপ করা বাবু বজরঙ্গীকে ধর্মনিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা সাজা দিল উমর কায়েদ। উল্টো দিকে অপরাধ না করে ও ফাঁসী হল গুরুর।
দাদা বোধহয় আকাশবাণীর এফ এম গোল্ড ও এফ এম রেনবো শোনেন না। না হলে এত অবলীলায় একটা সত্যকে মিথ্যা বলতে পারতেন না। প্রতিদিন এই চ্যানেল দুটোর দিন শুরু হয় শ্লোক পাঠের মধ্য দিয়ে। একদিন ও আমি কোরান বা অন্য কোন ধর্মপুস্তক পাঠের মধ্য দিয়ে দিন শুরু করতে ওদের আমি শুনিনি।
দাদা বোধ করি শুনে থাকবেন।

ড জাকির হুসেন, ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ বা আবুল কালাম এর মধ্যে বিন্দু মাত্র ইস্লামিয়াত থাকলে এরা কেউ রাষ্ট্রপতি হতে পারত না। এদের কেউ বলেন তিনি মারা গেলে যেন পুড়িয়ে দেওয়া হয়, আবার কেউ বলেন গীতা তাঁকে অনুপ্রাণিত করে। এর উল্টো বললে তার আর রাষ্ট্রপতি হওয়া হত না। অন্তত এখন ও পর্যন্ত কেউ হয়নি তেমন। কিন্তু কট্টর হিন্দুত্ববাদীর রাষ্ট্রপতি হওয়া আটকায় না। যেমন প্রনব।

আসাম এর নেলির দাঙ্গার মাষ্টারমাইন্ড এর কোন তদন্তের ও মুখে দাঁড়াতে হয় না।

অনেকবার দাবী জানানোর পর (এই দাবী জানানোর ক্ষেত্রে মুসলিমদের পাশে বেশ কিছু প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষ জন ছিলেন) সাচার ও রঙ্গনাথন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হয় সরকার বাহাদুর কিন্তু সেই রিপোর্ট হিমঘরে জায়গা পেয়েছে। শুধু ধর্মনিরপেক্ষ দেশের ৩০% মানুষ কিভাবে নিকৃষ্ট জীবন যাপন করছেন তার কিছু চিত্র ফুটে বেরিয়েছে মাত্র।

বি জে পি বা আর এস এস কেন কালাম বা মনমোহনের বিপক্ষে প্রচার চালাবে?? ওরা তো জানেই এরা আসলে ওদের আজ্ঞাবহ দাস।

আচ্ছা বলুন তো ফেক এনকাউন্টারে যাদের মারা হয় তারা কেন শুধু মুসলিম হন? এই কিছুদিন আগে লিয়াকতকে যে ভাবে সাজানো ঘটনায় গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লী পুলিশ তাতে করে কাশ্মীর সরকার প্রতিবাদ না করলে তো ফাঁসীতে ঝুলিয়ে দিত হিন্দুত্ববাদীটা।

১৯৬৪ সালে গঙ্গার দুই পাড় জুড়ে ঝেটিয়ে বিদায় করা হয়েছিল মুসলিমদের। কফি হাউস গানের মইদুল ওই পর্বে দেশ ছাড়া হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ ছাড়া বাকি সব জেলায় রক্তে লাল হয়েছিল মাটি। এই দাঙ্গায় বিধান রায় এই কি ভূমিকা ছিল সেটা পাওয়া যায় প্রকৃত কমিউনিস্ট অন্নদাশঙ্কর রায় এর লেখা ক্রান্তিদর্শী ও জীবন যৌবন নামক লেখায়।

আপনার মার্কসবাদী মনন কি বলছে এই বিষয়গুলতে জানতে ইচ্ছা করে।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: সংখ্যাগুরুর দাপটের বিরুদ্ধে, সংখ্যালঘু মানুষের পক্ষে কমিউনিস্ট সহ সমস্ত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষকে লড়তেই হবে। এ বিষয়ে শিথিলতার কোনো প্রশ্নই আসে না। লড়াই চলছে, চলবেও। যতদিন না সাফল্য আসে।

৩৩| ২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৫

েবনিটগ বলেছেন: Click This Link

৩৪| ২৬ শে মে, ২০১৩ সকাল ৭:০৬

েবনিটগ বলেছেন: Click This Link

৩৫| ২৭ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৪

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
কমরেড দাদা কি হাওয়া হয়ে গেলেন?

৩৬| ২৮ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৩

ভাম_বেড়াল বলেছেন: সৌভিক ঘোষাল বাবুর পোস্টে আমি অনেকগুলো কথা বলতে আসছিলাম। কিন্তু ব্লগার ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি এর পোস্টগুলার পর বোধহয় আর কারুরই কিছু বলার নেই। ব্লগার ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতিকে স্যালুট জানাই। পোস্টের বিষয় প্রসঙ্গে আমার ব্যক্তিগত মনোভাব উনি সম্পূর্ণভাবে গুছিয়ে বলে দিয়েছেন।

৩৭| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৫২

নাজ_সাদাত বলেছেন: মিনেসোটা ভাই এর কথার বিরোধিতা করছি। কারন এ ভাবে ব্যক্তি আক্রমণকে সমর্থন করা যায় না।

৩৮| ২৯ শে মে, ২০১৩ রাত ২:৩৬

ভাম_বেড়াল বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গ একটা পরাধীন অঙ্গরাজ্য, আর বাংলাদেশ একটা স্বাধীন দেশ। ঈর্ষাটা তাই পশ্চিমবঙ্গের মানুষের তরফেই আসে। স্বাধীন দেশের তীব্র আকাঙ্খা যদিও আর তাদের মধ্যে নেই। দিল্লী আর হিন্দির দাসত্ব করাই তাদের প্রবৃত্তি।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: দুই বাংলা এক না হলেও সাংস্কৃতিক বিনিময় সর্বোচ্চ পর্যায়ের হওয়া উচিৎ। বিশেষত দুই বাংলা মিলে একটি অনুবাদ ও সৃষ্টিশীল রচনার প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে যৌথ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে, এমন স্বপ্ন দেখি আমি, যেখানে বাংলা ভাষায় পৃথিবীর ক্লাসিক ও আধুনিকতম জ্ঞানচর্চা সম্ভবপর করে তোলা হবে। অনেকটা জাপানে যেমন সব কিছু প্রায় জাপানী ভাষায় পাওয়া যায় (বলে শুনেছি), তেমনি।

৩৯| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১৪

ভাম_বেড়াল বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গের ঘটি হিন্দুরা কালচার ফলিয়ে বাংলাদেশের সাথে ওঠাবসা করে দিল্লীর কাছে নাম কামাতে চায়, আর ঘটি মুসলিমগুলো চূড়ান্ত সাম্প্রদায়িত চরিত্রের, তারা পাকিস্তান যাইতে চায়।

আমরা বাঙালরা স্বাধীন দেশ এ বসে ঔপনিবেশিক দাস ঘটিগুলোর নাচাকোঁদা দেখি আর বিনোদিত হই =p~


বর্ণবাদী কমেন্ট করলাম বটে, কিন্তু কমেন্টটা শতভাগ সত্য!

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: দুই বাংলা এক না হলেও সাংস্কৃতিক বিনিময় সর্বোচ্চ পর্যায়ের হওয়া উচিৎ। বিশেষত দুই বাংলা মিলে একটি অনুবাদ ও সৃষ্টিশীল রচনার প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে যৌথ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে, এমন স্বপ্ন দেখি আমি, যেখানে বাংলা ভাষায় পৃথিবীর ক্লাসিক ও আধুনিকতম জ্ঞানচর্চা সম্ভবপর করে তোলা হবে। অনেকটা জাপানে যেমন সব কিছু প্রায় জাপানী ভাষায় পাওয়া যায় (বলে শুনেছি), তেমনি।

৪০| ৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

মিনেসোটা বলেছেন: বাই দা ওয়ে দাদা, ইন্ডিয়ার সাহায্য না পেলেও স্বাধীন বাংলাদেশ বানাতে পারতাম। ইন্ডিয়ার এত এত সাহায্য পেয়েও চাকমাদের জুম্মল্যান্ড আর তামিলদের তামিল এলাম হয়নি। আপনি কি ভাবছেন বাংলাদেশ আজকে থেকে এসেছে? বাংলার ইতিহাস বারো ভূইয়ার ইতিহাস, সম্রাট আকবরের সেনাবাহিনী পর্যন্ত পর্যদুস্ত করতে পারেনি, পাকিস্তানি ভুট্টাপাঠানরা কি করে পারবে? হয়ত তিরিশ লাখের যায়গায় তিন কোটি মারা যেত, যুদ্ধ হত নয় মাসের জায়গায় নব্বই বছর, তবুও বাংলাদেশ স্বাধীন করে ছাড়তাম

৪১| ৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: বাশ খাইলে দাদা হাওয়া । এ আর নতুন কি ! বাম বাবু এক টু লেঞ্জা দেখান !
'মুক্তিদাতা ভারতকে ভুলে গেলেন ?'' বলুন সাহায্যকারী । মূল যুদ্ধ আমরাই
করেছি ।


এটা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিতে হবে না যে ভারত আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তা করেছে । সেজন্য আমরা ৪২ বছর ধরে ভারতের কাছে কৃতজ্ঞ প্রকাশ করে যাচ্ছি । ভবিষ্যতেও করব । আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই স্বাধীনতা যুদ্ধে আপনাদের অবদানের কথা জাতির পক্ষ হতে স্মরণ করেন ।
আমাদের সমর্থন দানের জন্য আমরা ভারতবর্ষের প্রতিটা জাতিগোষ্ঠীর কাছে কৃতজ্ঞ । সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ পশ্চিম বাংলার মানুষদের প্রতি । যে আবেগ , ভালবাসা আপনারা আমাদের প্রতি সেদিন দেখিয়েছেন তা অতুলনীয় ।

ভারত সহায়তা না করলে কি হত ? ১ ) আমরা জয়ী হতাম । ২ ) পরাজিত হতাম । আমরা পরাজিত হলে সেটা সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর রক্ত- যমুনার সৌধের উপর হানাদারদের বিজয় অর্জিত হত । একজন দেশপ্রেমিক বাঙ্গালী বেচে থাকতে হানাদাররা জয়ী হতে পারতনা ।

আপনাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমরা যুদ্ধে নামিনি । আপনারা ৪৭ এর দুঃস্বপ্ন মেনে নিয়েই দিব্যি সুখে দিন গুজরান করছেন , আর আমরা স্বাধীনতা এনে ভুল সংশোধন করেছি । যে জাতি ভাষার জন্য , নিজেদের আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য অকাতরে রক্ত দিতে পারে সে জাতির শেষ পর্যন্ত কি হত তা বলা খুবই খুবই খুবই কঠিন ব্যাপার । আপনি খুব সহজেই প্রস্ন করতে পেরেছেন
কারন আপনাদের ভাষার জন্য , স্বাধীনতার জন্য , রক্তপাত করতে হয়নি । আপনাদের পক্ষে আমাদের অস্তিত্তের আবেগ ধারণ করা , বোঝা অসম্ভব । এই আবেগ ইস্পিহা প্রতিটা সচেতন বাংলাদেশি ধারন করেন । । রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে আমরা আমাদের স্বাধীনতা এনেছি , বাংলাদেশে খুব কম পরিবার আছে যারা ৭১ এ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি । জীবন দিয়ে কেনা স্বাধীনতার মূল্য অনেক । আপনাদের এই ইতিহাস নেই আপনারা বুঝবেন না । যা বলবেন ভবিষ্যতে বুঝে বলবেন ।
মুখে আসলো বলে ফেললাম এটা হবে না । তবে এটা ঠিক ভারত সহায়তা না করলে আমরা দ্রুত স্বাধীনতা পেতাম না আপনার এ কথা আমাদের ৩০ লাখ শহিদ , ২ লাখ বিরঙ্গনা ও ৭১ এ প্রতিটা ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটা বাঙ্গালির চেতনার প্রতি অশ্রদ্ধার সামিল । তবে এটা ঠিক ভারত সহায়তা না করলে আমরা দ্রুত স্বাধীনতা পেতাম না ।
ব্যস এটুকুই । আমাদের স্বাধীনতার অভিভাবক সাজতে যাবেন না দয়া করে । নেকড়ের কবল হতে মুক্ত হতে সাহায্য করে নিজেরাই ভালুকের মত আচরণ করবেন তা মেনে নেব না । শুধু ২ টা বিষয়ের ব্যাপারে আপনার বক্তব্য কি তা জানতে চাই । ফারাক্কা
ও তিস্তার ব্যাপারে ।

আরেকটা কথা । সাহায্য করে দয়া দেখান নি । কোন দেশই কোন দেশকে স্বার্থ ছাড়া সাহায্য করে না । ভারত স্বার্থ বিবেচনায় বাংলাদেশ কে সমর্থন করেছে , আবেগে নয় । আবেগে করলে ১১ ই এপ্রিল ই আমাদের স্বীকৃতি দিত ৬ ই ডিসেম্বর লাগত না ।

হতে পারি আমরা ছোট , দুর্বল তবে মেরুদণ্ডহীন নই ।



৪২| ৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

হাসির মানুষ বলেছেন: পাকা হোক তবু ভাই পরেরও বাসা
নিজ হাতে গড়া মোর কাচা ঘর খাসা।

আমরা বাঙালীরা তাও স্বাধীন জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে পারতেছি। কলকাতার ঘটিরা তাও পারেনা। ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীন করেছে এই বরিশালের বাঙালরা। কলকাতার ঘটি নেতারা কি ছিড়েছে সেটা সবাই জানে। এরা রবীন্দ্রনাথ আর বাংলা নিয়ে ফালাফালি করে, এরাই আবার ঠাকুরকে টেগোর ডাকে। ছাগল সব।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৫২

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: দুই বাংলা এক না হলেও সাংস্কৃতিক বিনিময় সর্বোচ্চ পর্যায়ের হওয়া উচিৎ। বিশেষত দুই বাংলা মিলে একটি অনুবাদ ও সৃষ্টিশীল রচনার প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে যৌথ রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে, এমন স্বপ্ন দেখি আমি, যেখানে বাংলা ভাষায় পৃথিবীর ক্লাসিক ও আধুনিকতম জ্ঞানচর্চা সম্ভবপর করে তোলা হবে। অনেকটা জাপানে যেমন সব কিছু প্রায় জাপানী ভাষায় পাওয়া যায় (বলে শুনেছি), তেমনি।

৪৩| ৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

হাসির মানুষ বলেছেন: দাদা হেফাজত আর জামাত ইসলামী দেখলেন, মাওবাদী দেখলেন না, শিবসেনা দেখলেননা, আরএসএস দেখলেননা??? নিজের পাছায় বড় গর্ত আবার উনি ফুটো খোজে।

৪৪| ৩০ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:১৩

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ভাষা রক্ষার ক্ষেত্রে আমরা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছি ।এতে কোন বিতর্ক থাকার কথা নয় ।

তয় দিন শেষে আমেরিকা, আমেরিকাই থাকে আর ইংল্যান্ড ,ইংল্যান্ডই থাকে ।
হলিউড করুক আর হ্যারি পটার করুক দিন শেষে যে যে রাউলিং এর দিকে থাকতেই হয় । ;)

৪৫| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ৩:২০

আমি ব্লগার হইছি! বলেছেন: আরে ভাই সাহায্য টাহায্য কিছুনা। শালাদের ঘাড়ে পা রেখে পাকিস্তানরে ভাগাইছি। আরেকটু সোজা হয়ে দাড়াই, তারপর ইন্ডিয়ারেও সাইজ করবো।

৪৬| ২৬ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:০৪

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: বুঝতে পারলেন না!!!আইচ্ছা আসল পয়েন্টে আসি।পূজিবাদের সমালোচনায় মুখর কমিউনিস্টরা।কমিউনিজমের গুরু রাশিয়ানরা দিনরাত পূজিবাদের সমালোচনা করল।রাতে ঠিকই পূজিবাদীদের তৈরী করা প্রযুক্তিসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহার করল।রাশিয়াআব্বাকে দেখে দুনিয়ার অন্যান্য কমিউনিস্ট ঘাঁটি যেমন চীন,পশ্চিমবঙ্গ ইত্যাদি ভাবা শুরু করল পূজিবাদের সমালোচনা করলেও তাদের কাছ থেকে জিনিসপাতি ক্রয় ও ব্যবহারে কোন লজ্জা নেই।কারণ পূজিবাদীরা মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা করে।আমরা তো আমাদের কারেন্সী খরচ করে কিনতেসি পূজিবাদীদের কাছ থেকে।তাই এতে কোন লজ্জা নেই।

৪৭| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:০১

েবনিটগ বলেছেন: এই লোটা ভর্তি কোটা নিয়ে যারা মোটা কথা বলে তাদের বোটাসহ মূলৎপাটন করলে গোটা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটা এখন সময়ের দাবি।

৪৮| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: জবাবের অপেক্ষায় আছি অনেকদিন ধরে /:)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.