নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌভিকের চিন্তাচর্চা

চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি

সৌভিক ঘোষাল

পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা

সৌভিক ঘোষাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপমহাদেশের শান্তি সুস্থিতি ও ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশের বিকাশের স্বার্থে তালিবানি, হিন্দুত্ববাদী, জামাতি/হেফাজতি শক্তিকে রোখাটা বিশেষ জরুরী

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৮

কংগ্রেসের একের পর এক দুর্নীতি আর নয়া উদারবাদী, আমেরিকাপন্থী, আমীরপন্থী নীতিমালা দেশের জনগণকে তাদের প্রতি ক্রমশই ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তাদের প্রতি সমর্থন ক্রমশ কমছে, আর কোনও প্রগতিশীল বিকল্প ভারতে পাওয়া যাচ্ছে না, যারা কংগ্রেস শাসনকে প্রতিস্থাপন করতে পারে। বামেরা গোটা তিন চার রাজ্যের বাইরে বেশ দুর্বল। পশ্চিমবঙ্গে সদ্য শেষ হওয়া কয়েক দশক ব্যাপী অপশাসন, শেষদিকের গণহত্যা, দেশী বিদেশী পুঁজির পক্ষে ওকালতি করে কৃষক হত্যা, শ্রমিকদের সঙ্গে ইউনিয়ন নেতাদের লাগাতার বিশ্বাসঘাতকতা - তাদের নৈতিক জোরটাও একেবারে ধ্বসিয়ে দিয়েছে। একারণেই যথেষ্ট সুযোগ থাকা স্বত্বেও দেশব্যাপী এস ই জেড বিরোধী লড়াইয়ে তারা অংশ নিতে পারে নি, যে লড়াইয়ে মূলত বিভিন্ন প্রদেশে বিচ্ছিন্নভাবে নকশালবাড়ির পর আবার একটা বলিষ্ঠ কৃষক আন্দোলন ও পটপরিবর্তনের ইঙ্গিৎ দিয়েছিল।উল্টে তারাই পশ্চিমবঙ্গে এই আন্দোলনের বর্ষামুখ হয়ে দাঁড়ায়। তার শরিকরাও সরকার ছাড়ার মোহ ছাড়তে না পারায় সি পি এমের সাথে সাথেই জনবিচ্ছিন্ন হন।

এস পি, বি এস পি, আর জে ডি, ডি এম কে, এ আই ডি এম কে-র মত আঞ্চলিক দলগুলিও চরম দুর্নীতিতে আক্রান্ত ও সে কারণেই গুরূত্বপূর্ণ সময়ে সি বি আই জুজুর ভয়ে তারা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে নি।

এমন একটা অবস্থায় সবচেয়ে বেশি গণভিত্তি সম্পন্ন প্রধান বিরোধি দল বিজেপি ক্ষমতার কাছে এক দশক পর আবার আসার স্বপ্ন দেখছে। এজন্য তারা সামনে রাখছে তথাকথিত 'হিন্দু হৃদয় সম্রাট' বলে পরিচিত মোদীকে। মোদীও যথেষ্ট আক্রমণাত্মকভাবে কংগ্রেসের মোকাবিলা করে চলেছেন। বিজেপির মধ্যে আদবানী বা সুষমা স্বরাজের বিরোধিতা তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠর কাছে তেমন গণ্য হচ্ছে না, অবশ্য এন ডি এ শরিকদের কেউ কেউ বিশেষত নীতীশ কুমার ও তার দল জে ডি ইউ যেভাবে মোদীতে আপত্তি তুলছেন তাতে এই জোট রাজনীতির যুগে মোদী ও বিজেপি নেতৃত্বকে খানিক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এখন বিজেপি স্বাগত, কিন্তু মোদী নয় - এই অবস্থানের হিন্দুত্ববাদ বিরোধী সারবত্তা কতটা সেটার সঙ্গে এটাও দেখার হিন্দি হিন্দু হিন্দুস্থান এর আওয়াজ রুখতে এটা কতটা সাহায্য করে।

তবে যাই হোক এক জটিল অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে ২০১৪ র লোকসভা নির্বাচনের পর ভারতীয় রাজনীতির ক্ষমতার বিন্যাস কি হবে সেই অঙ্ক। ভারতের প্রগতিশীল মানুষ দুর্নীতির দায়ে কলঙ্কিত কংগ্রেসকে যেমন দেখতে চায় না, তেমনি হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির কোনও পুনরুত্থানও প্রত্যক্ষ করতে চায় না।

ভারতে হিন্দুত্ববাদের জাগরণের অর্থই দুই প্রতিবেশী দেশ পাকিস্থান ও বাংলাদেশে মুসলিম মৌলবাদের পালটা উত্থানের জমি তৈরি হয়ে যাওয়া। কে না জানে এক মৌলবাদ আরেক মৌলবাদের দিকে জনগণের নজর ঘুরিয়ে নিজের শক্তি সঞ্চয় করে এক উত্তেজনাপূর্ণ আবহাওয়ায়। বাংলাদেশের মুসলিম মৌলবাদীরা গোপনে একারণে বিজেপিকে আর বিজেপি একারণে গোপনে বাংলাদেশে জামাত বা হেফাজতের মত শক্তির উত্থান বা পাকিস্থান আফগানিস্থানে তালিবানি শক্তির উত্থান কামনা করতেই পারে, যাতে তাদের নিজেদের উত্থানের পরিবেশ জোরদার হয়। গোটা উপমহাদেশের শান্তি সুস্থিতি ও ধর্মনিরপেক্ষ পরিবেশের বিকাশের স্বার্থে তালিবানি, হিন্দুত্ববাদী, জামাতি/হেফাজতি শক্তিকে রোখাটা বিশেষ জরুরী।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩৭

নাজ_সাদাত বলেছেন: সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে এই তিন দেশ বেশ হাত পাকিয়েছে। তবে ভারত হল সব থেকে কুখ্যাত। বাকি দুটো দেশ সাম্প্রদায়িকতা রুখতে কিছু পদক্ষেপ করলেও ভারত তা করে না। আজ পর্যন্ত এক জন ও দাঙ্গাকারী সাজা পায়নি ভারতে। হিন্দুত্ববাদের শিকড় এতটাই গভীরে যে বিচারব্যবস্থা ও পক্ষপাতদুষ্ট। কিছু না করে ও গুরুর ফাঁসি হয় আর গণখুনী মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকে।

২| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১২:১৫

ভাম_বেড়াল বলেছেন: পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্য-টির ঘটিবাম হিন্দুরা যে হিন্দুত্ববাদী জানোয়ারগুলোকে সাপোর্ট দেবে, আর ঘটিবাম মুসলিমগুলো যে পাকিস্তানি তালেবানদের সাপোর্ট দেবে তাতে আর আশ্চর্য কী?!

৩| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

নাজ_সাদাত বলেছেন: ভাম_বেড়াল আপনার পশ্চিমবঙ্গ সম্পর্কে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম জনগোষ্ঠী সম্পর্কে বিন্দু মাত্র জ্ঞান নেই। ফলে ফালতু মন্তব্য করে ফেলেছেন। ১৯৪৭ থেকে বারবার আক্রান্ত হয়েছে মুসলিম জনগোষ্ঠী। ১৯৪৭ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত কয়েক লক্ষ মুসলিম খুন হয়েছেন ধর্মীয় কারনে। ৩৪ বছরের বাম আমলে যদিও গণখুনের ঘটনা ঘটেনি কিন্তু বিক্ষিপ্ত হাঙ্গামা চলেছে। ধর্মীয় স্বাধীনতার বিন্দু মাত্র মুসলিমরা পাননা। মুসলিমদের বাধ্য করা হয় পূজা করতে। বিশেষ করে প্রতিটি মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীকে সরস্বতী পুজা করতে হয়। রাষ্ট্রের মদতে স্কুলগুলতে হয় এই পুজা। এত প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশকে ভাল বেশে মাটি কামড়ে পড়ে আছে এরা। যার নজির খুজে পাওয়া মুশকিল। ফলে পাকিস্তান বা তালেবান বলার আগে ভাল করে জেনেশুনে মন্তব্য করবেন।

৪| ১৩ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫১

ভাম_বেড়াল বলেছেন: @ব্লগার নাজ_সাদাত: এত প্রতিকূলতার মধ্যেও দেশকে ভাল বেশে মাটি কামড়ে পড়ে আছে এরা।

কারণ এরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা পায়। বাঙালী মুসলিম গর্বের সাথে নিজেদের বাঙালী পরিচয় তুলে ধরে। যেটা এরা কখনোই করতে পারবেনা। সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে এরা মত্ত থাকে। তাই এখনো পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যে পড়ে আছে আর পাকিস্তানের স্বপ্ন দেখছে। ঘটি মুসলিমদের এতো বড় সাহস যে প্রকাশ্যে কলকাতা শহরে জামাতীদের সমর্থনে সভা করে!!! বাংলার মুসলিমদের কাছে এরা ঘৃন্য।

আর ইতিহাসের প্রশ্ন যখন তুললেন তখন আমিও একটা তথ্য দিই, বিহারি রাজাকাররা যখন বাংলাদেশীদের হত্যা করছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের ঘটি মুসলিমরা তাতে প্রচ্ছন্ন সায় দিয়েছিলো। একাত্তর বোধহয় আপনি দেখেননি। সে আমি দেখেছি, আমার শিশুকালে। আমার নিরীহ হিন্দু গৃহশিক্ষক রতনস্যারকে যে হত্যা করেছিলো সে পশ্চিমবঙ্গের ঘটি মুসলিম। আমাদের বাড়ির সামনে তাঁকে কোতল করা হয়। আমরা ভাইবোনেরা আম্মুর সাথে ঘরের ভিতর লুকিয়ে ছিলাম।

পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের মুসলিম এবং বিহারী মুসলিমদের হাতে বাংলাদেশের মানুষের রক্ত লেগে আছে। দুই বাংলা এক হতে পারতো, দিল্লী আর হিন্দির আধিপত্য থেকে মুক্ত হতে পারতো। পশ্চিমবঙ্গবাসীদের সাম্প্রদায়িকতার কারণেই সেটা হয়নি। আর কোনও ক্ষমা নেই। পশ্চিমবঙ্গের সাথে আমাদের সম্পর্ক চুকেবুকে গেছে।

পাকিস্তান-তালিবানরা তো দূরের শত্রু। তাদের মিনিয়েচারাইজড ভার্সান যারা "বন্ধুপ্রতীম"(!!!) রাষ্ট্র ভারতের অঙ্গরাজ্য পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়ে আছে তারাই আসল হায়েনা!!!

৫| ১৪ ই জুন, ২০১৩ রাত ৩:০৬

নাজ_সাদাত বলেছেন: ভাম_বেড়াল কারণ এরা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশী নাগরিক হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা পায়।

উত্তর ঃ পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা কেন নিজেদের কে বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে তুলে ধরবে?? যে দেশপ্রেমের জোরে আজ ও হিন্দুদের হাজার অত্যাচার সহ্য করে দেশের মাটিতে পড়ে আছে সেই দেশপ্রেমের জোরেই এরা নিজেদের ভারতীয় পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করে। প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের মত দেশ ছেড়ে ভিন দেশে এরা পাড়ি জমাইনি।

ভাম_বেড়াল সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে এরা মত্ত থাকে।
উত্তরঃ পশ্চিমবঙ্গে যতবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়েছে তার বেশীরভাগ ছড়িয়েছে ভিনদেশ থেকে আসা হিন্দু লোকজন। মুসলিমরা দাঙ্গা করেনা। মুসলিমদের দাঙ্গাকারী বলার আগে আপনার স্বধর্মের বিধান রায় প্রসঙ্গে ঘটি অন্নদাশঙ্কর রায় এর আত্মজীবনী পড়ে নেবেন।

ভাম_বেড়াল
ঘটি মুসলিমদের এতো বড় সাহস যে প্রকাশ্যে কলকাতা শহরে জামাতীদের সমর্থনে সভা করে!!! বাংলার মুসলিমদের কাছে এরা ঘৃন্য।

উত্তরঃ কলকাতা শহরে জামাতিদের সমর্থনে সভা হয়েছে এই সংবাদ আপনার বন্ধু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কাছে পেয়েছেন বুঝি?? কলকাতাতে যে সভা হয়েছিল তা হয়েছিল বাংলাদেশে মুসলিমদের উপর বিশ্ব হিন্দু পরিষদের স্নেহধন্যা হাসিনা সরকারের অত্যাচারের বিপক্ষে। আপনার অবগতির জন্য জানাই জামাতিদের ভারতীয় শাখা জামাতে ইসলামী হিন্দ ভারতীয় মুসলিমদের কাছে ব্রাত্য। ওদের খুঁজতে গেলে আতস কাঁচ লাগে। তাই বলুন বাংলার সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদের কাছে দেশপ্রেমিক পশ্চিমবঙ্গের ধর্মপ্রান মুসলিমরা পরিত্যাজ্য।

ভাম_বেড়াল বিহারি রাজাকাররা যখন বাংলাদেশীদের হত্যা করছিল, তখন পশ্চিমবঙ্গের ঘটি মুসলিমরা তাতে প্রচ্ছন্ন সায় দিয়েছিলো। একাত্তর বোধহয় আপনি দেখেননি। সে আমি দেখেছি, আমার শিশুকালে। আমার নিরীহ হিন্দু গৃহশিক্ষক রতনস্যারকে যে হত্যা করেছিলো সে পশ্চিমবঙ্গের ঘটি মুসলিম। আমাদের বাড়ির সামনে তাঁকে কোতল করা হয়।
উত্তরঃ হিন্দুত্ববাদী জহরলাল ও বল্লভ প্যাটেল মুসলিমদের ক্ষমতায় অংশগ্রহনে বাধা সৃষ্টি করার কারনে শেষ পর্যন্ত যখন দেশ ভাগ হল তখন সর্বস্ব হারানো অল্প কিছু মানুষ যারা মূলত বিহারী তারা দেশত্যাগী হয়ে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যায়। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা দেশত্যাগী হননি। শুধু মাত্র যে সব পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা অবিভক্ত দেশ থাকাকালীন ওই দেশে চাকরী করতেন তারাই ওখানে থেকে যান। আবার যখন রাজনৈতিক কারনে মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের ডাক দেন তখন পাইকারি হারে এদের খুন করা হয়। বাধ্য হয়ে এদের বড় অংশ আবার মাতৃভূমিতে ফিরে আসে। অল্প কিছু বিহারী এখন ও বাংলাদেশে আছে কিন্তু তারা মানুষের বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা পায়না বলেই শুনেছি। রতন সারের যে গল্প বললেন এই গল্প আমি প্রায় শুনি, শুধু নাম পাল্টে যায় মাত্র। আসলে এই গল্প সৃষ্টি করা হয়েছে সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করার মানসে। রামায়নের মত এই গল্পের ও বাস্তব ভিত্তি নেই, সবটাই কাল্পনিক। যখন প্রান বাঁচানোতে ব্যস্ত মুসলিমরা, পালিয়ে বাঁচতে মাতৃভুমির দিকে দৌড়াচ্ছে তখন কাউকে খুন করে পরিস্থিতি আরও জটিল করবে এই গল্প এক মাত্র কল্পনাতেই সম্ভব।

ভাম_বেড়াল পশ্চিমবঙ্গ অঙ্গরাজ্যের মুসলিম এবং বিহারী মুসলিমদের হাতে বাংলাদেশের মানুষের রক্ত লেগে আছে। দুই বাংলা এক হতে পারতো, দিল্লী আর হিন্দির আধিপত্য থেকে মুক্ত হতে পারতো। পশ্চিমবঙ্গবাসীদের সাম্প্রদায়িকতার কারণেই সেটা হয়নি। আর কোনও ক্ষমা নেই। পশ্চিমবঙ্গের সাথে আমাদের সম্পর্ক চুকেবুকে গেছে।

উত্তরঃ মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন কেন? যে দেশ নিয়ে গলা ফাটাচ্ছেন সেই দেশের ইতিহাস জানুন আগে। বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে লড়াই হয়েছিল খান সেনাদের। হাজারে হাজারে বাংলাদেশী মানুষ যখন সীমান্ত পেরিয়ে আসেন তখন তারা আশ্রয় নিয়েছিলেন সীমান্তবর্তী মুসলিম গ্রাম গুলতেই। আর আসলেই কি সম্পর্ক চুকিয়ে দিয়ে পেরেছেন? নাকি পারবেন কোন কালে?? এখন ও পর্যন্ত সীমান্ত পেরানোর যে উন্মাদনা চলছে তার কি কোন খবর রাখেন? প্রতিদিন পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক বাংলাদেশী বস্তি তৈরি হচ্ছে। যদি আমার মেহেমান হন তা হলে সেই সব বস্তি আপনাকে আমি দেখিয়ে দেব।

পরিশেষে বলি ভারতবাসী হিসাবে আমরা গর্বিত। খাওয়া হোক বা নাই হোক, দাঙ্গার বলি হই বা না হই এই দেশের মাটি ছাড়তে প্রস্তুত নই আমরা। সারা পৃথিবীর কাছে দেশপ্রেমের উজ্জ্বল নজির হয়েই থাকবে মুসলিমরা।

৬| ১৪ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

ভাম_বেড়াল বলেছেন: ভাইজানের কল্পনাপ্রসূত গল্পটি বেপুক পছন্দ হইল। এইটেই বুঝি জামাতের ঘটিশাখা + হিন্দু সাম্প্রদায়িক দলগুলোর গোপন সম্মেলনে স্থির করা নতুন প্রোপাগান্ডা?!

পরিশেষে বলি ভারতবাসী হিসাবে আমরা গর্বিত।

আপনারা বাঙালী জাতীয়তা ত্যাগ তো করেছেনই, এখন আস্তে আস্তে হিন্দির দিকে ঝুঁকতেছেন। একটা দেশ, যে দেশ পাশের প্রতিবেশী দেশটার উপর ক্রমাগত অত্যাচার চালাচ্ছে, সামনে-পিছনে ** দিচ্ছে, আর আমরা পুটু পেতে ** খেয়ে চলেছি - সেই দেশটার পক্ষে স্রেফ সেখানে জন্ম নিয়েছেন বলেই এতো সাফাই গেয়ে চলেছেন?! ভালো! সবারই একদিন সবকিছুর জবাবের দিন আসবে। তখন এই আপনাদের ঠিক আগের প্রজন্মটার পাপের কী জবাব দেবেন ভেবে রাখেন।

আর বিহারিদের জন্য দরদ দেখে হাসিই পেলো। বাঙালী ভাইদের জন্য দরদ নাই, বিহারিরাই এখন আপন!! অসাধারণ দেখালেন!

জেনে রাখুন, পশ্চিমবঙ্গ যদি ভারতের আসল স্বরূপ বুঝে কোনওদিন বাংলাদেশের কাছে স্বাধীন হতে সহায়তা চায়, তাহলে আর যেই সাহায্য করতে চাক না কেন, আমি এর প্রতিবাদ করবো। কারণ পশ্চিমবঙ্গের লোকজন আর বাঙালী নেই। সময় আসলে ওরা বাঙালীদের চেয়ে বিহারিদের এবং ভারতীয় অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীদের সাপোর্ট দিবে!!!

৭| ১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

নাজ_সাদাত বলেছেন: ভাম_বেড়ালঃ আর বিহারিদের জন্য দরদ দেখে হাসিই পেলো। বাঙালী ভাইদের জন্য দরদ নাই, বিহারিরাই এখন আপন!! অসাধারণ দেখালেন!

উত্তরঃ আসলে আমরা পশ্চিমবঙ্গবাসীরা মানবতার জয়গান গাই। তাই যখন মানবতা আক্রান্ত হয় তখন মজলুমের পাশে থাকি। যখন স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনের প্রশ্নে হানাহানিতে মেতে উঠেছিল আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রটি তখন সেই দেশ ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয় চেয়েছিল যে সব বাংলাদেশী প্রতিবেশীরা তাদের বুক পেতে আশ্রয় দিয়েছি। আবার যখন যাদের আশ্রয় দিয়েছি তারাই বিহারীদের উপর আক্রমণ নামিয়ে আনল তার ও বিরোধিতা করেছি। এই মানবতা আমাদের থেকে যদি বাকিরা শিখত, হানাহানি তাহলে কমে যেত।

ভাম_বেড়ালঃ পশ্চিমবঙ্গ যদি ভারতের আসল স্বরূপ বুঝে কোনওদিন বাংলাদেশের কাছে স্বাধীন হতে সহায়তা চায়, তাহলে আর যেই সাহায্য করতে চাক না কেন, আমি এর প্রতিবাদ করবো। কারণ পশ্চিমবঙ্গের লোকজন আর বাঙালী নেই। সময় আসলে ওরা বাঙালীদের চেয়ে বিহারিদের এবং ভারতীয় অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীদের সাপোর্ট দিবে!!!
উত্তরঃ স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে আবার স্বাধীনতা চাইব কেন আমরা। কল্পনা শক্তি আপনার ব্যাপক দেখছি।

৮| ১৪ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

নাজ_সাদাত বলেছেন: ভাম_বেড়ালঃ আপনারা বাঙালী জাতীয়তা ত্যাগ তো করেছেনই, এখন আস্তে আস্তে হিন্দির দিকে ঝুঁকতেছেন। একটা দেশ, যে দেশ পাশের প্রতিবেশী দেশটার উপর ক্রমাগত অত্যাচার চালাচ্ছে, সামনে-পিছনে ** দিচ্ছে, আর আমরা পুটু পেতে ** খেয়ে চলেছি - সেই দেশটার পক্ষে স্রেফ সেখানে জন্ম নিয়েছেন বলেই এতো সাফাই গেয়ে চলেছেন?! ভালো! সবারই একদিন সবকিছুর জবাবের দিন আসবে। তখন এই আপনাদের ঠিক আগের প্রজন্মটার পাপের কী জবাব দেবেন ভেবে রাখেন।


উত্তরঃ আমরা পশ্চিমবঙ্গের আদি নাগরিকরা কোন জাতীয়তাবাদের উপর বিশ্বাস রাখিনা। জাতীয়তাবাদ আসলেই সাম্প্রদায়িকতাবাদের প্রাথমিক স্থর। সমস্থ জাতীয়তাবাদের শেষ আশ্রয় হল সাম্প্রদায়িকতাবাদ। হিটলার যেমন ধীরে ধীরে তার অস্তিনের ইহুদী বিদ্বেষ বার করে আনেছিল শেষ পর্যন্ত তেমনি ভারত ও বাংলাদেশের তিনটি বৃহৎ রাজনৈতিক জাতীয়তাবাদী দল বিজেপি, কংগ্রেস ও আওয়ামী লীগ বার করে ফেলেছে তাদের মুসলিম বিদ্বেষী মুখ। এটা আমরা বুঝি বলেই মানবতাবাদে আস্থা রাখি।
ভারতের বিদেশনীতি নিয়ে আমাদের অসন্তোষ আছে। সেই অসন্তোষ আমরা প্রকাশ করি বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে। রাজ ক্ষমতায় সাম্প্রদায়িক শক্তি দীর্ঘ সময় থাকার কারনে এই বিদেশনীতি সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত নয়। ফেলেনির ঘটনা আমরাই প্রথমে বিশ্বের সামনে তুলে আনি। আমাদের দেশের সংবাদ মাধ্যম প্রথম এটা নিয়ে সংবাদ করে। তখন আপনারা গুমাচ্ছিলেন। কারন হল আপনার দেশের সরকার ও আমার দেশের সরকার দুটোই এক মুদ্রার এ পিঠ আর ও পিঠ। এদের মূল এজেন্ডা মুসলিম বিদ্বেষ। কিন্তু নাগরিক সমাজ যেহেতু মানবতাবাদী তাই প্রতিবাদ হয়েছে। প্রতিবাদ হবে। আমরাই এক মাত্র জাতি যারা অন্ধের মত কোন নেতার অনুসারী নই। জাতীয়তাবাদ নামক ভণ্ডামির আড়ালে উদ্দেশ্য ক্ষমতা দখল নাকি নাগরিক সমাজের উন্নতি ঘটানো সেটা বুঝে না নিয়ে স্রোতে গা ভাসিয়ে দেওয়ার পাত্র আমরা নই। তাই জহরলাল থেকে এখনকার নেতারা কেউ আমাদের কাছে নমস্য নয়। এ লড়াই চলবে। হয়ত অচিরেই কোন একদিন নূতন এক ভারত নূতন এক বিদেশনীতি আপনারা দেখবেন। জাতীয়তাবাদ ও তার সন্তান সাম্প্রদায়িকতা মুছে গিয়ে আন্তর্জাতিকতাবাদ হবে ভারতের মুল চলার পথ।

৯| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৪১

গেস্টাপো বলেছেন: এই পোস্ট এ হাজিরা দিয়ে গেলাম

ভাম_বেড়াল(আমি জানতাম এটা আচিপের নিক) এবং নাজ সাদাতের মন্তব্যগুলোকে নজরে রাখলাম

ওবাক লাগছে আচিপে(বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক) কিভাবে জেলখনায় বসে ব্লগিং করছে :||

১০| ২৬ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

ভাম_বেড়াল বলেছেন: @ব্লগার গেস্টাপো - ভাম_বেড়াল নিক তৈরি করা হয়েছিলো রাজনীতি ও পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ে বাংলাদেশের মেজরিটি মানুষের মতামত প্রকাশের উদ্দেশ্য নিয়ে। নিকটি দুজন চালু করেছিলেন। তাঁদের দুজনই বয়স্ক এবং দুজনে আলাদা রাজনৈতিক দলের সদস্য। দুজনে ভালো বন্ধু।। পরে একজন তরুণকেও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। সে এখনো পর্যন্ত এই নিকে কোনও ব্লগ বা মন্তব্য লিখেনি। প্রত্যেকেরই সামুতে নিজস্ব নিক আছে। এই তিনজন ব্লগারদের মধ্যে একজনও আসিফ নয় এবং আসিফের মতামতকে কেউ সাপোর্টও করেনা।

যদিও এই ডিসক্লেইমার দেওয়ার কোনও দায়বদ্ধতা ছিলোনা, তবুও দিয়ে দিলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.