নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌভিকের চিন্তাচর্চা

চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি

সৌভিক ঘোষাল

পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা

সৌভিক ঘোষাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বের দেশগুলি : ধর্মবিশ্বাসের বিন্যাসের দিক থেকে একটি জরিপ

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১১:০৬

বিশ্বের ধর্ম সংক্রান্ত কিছু পরিসংখ্যান নিয়ে নাড়াচাড়া করার ইচ্ছা থেকে এই লেখাটা। গোটা বিশ্বের ধর্ম রাজনীতি সমাজব্যবস্থা নিয়ে উইকিপিডিয়ার পরিসংখ্যানগুলো মোটামুটি প্রামাণ্য। তাই সেদিকেই চোখ রাখলাম।

প্রথমে ধর্ম বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা। বিশ্বের প্রধান তিনটি/ মতান্তরে চারটি ধর্ম হল খ্রীষ্টান, ইসলাম ও হিন্দু - বৌদ্ধ ধর্ম। এর মধ্যে খ্রীষ্টান ধর্মকে ক্যাথলিক ও প্রোটেস্টান, ইসলামকে সুন্নি ও শিয়া, হিন্দু-বৌদ্ধকে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মে বিভক্ত করা যেতে পারে। বুদ্ধকে হিন্দু ধর্মের দশম অবতার বলে ধরা আর এই দুই ধর্মের মিল অমিলের বেশ কিছু দিক থাকায় এই দুই ধর্মকে একটি ধর্মের বিভাগ না দুই পৃথক ধর্ম বলা হবে, সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক চলে। একই বিতর্ক ইদানীং উঠেছে খ্রীষ্টান ও ইহুদী সংক্রান্ত ধর্ম নিয়েও। আমরা এই বিতর্কে এই পরিসরে খুব বেশি না ঢুকে কোন ধর্মে কত মানুষ আস্থাশীল তা দেখে নি।

১) খ্রীষ্টান - ২১০ কোটি। এর ঘনিষ্ঠ ইহুদী ১কোটি ৫০ লক্ষ।

খ্রীষ্টানদের মধ্যে ৮৫ কোটি প্রোটেস্টান আর ক্যাথলিক ১২৫ কোটি।

২) ইসলাম - ১৫০ কোটি। এর মধ্যে ১২০ কোটি সুন্নি ও ৩০ কোটি সিয়া।

৩) হিন্দু - বৌদ্ধ ধর্ম - ২২০ কোটি। এর মধ্যে বৌদ্ধ ১২০ কোটি, হিন্দু ১০০ কোটি।

এই তিনটি/চারটি প্রধান ধর্মের পাশাপাশি আছেন বড় সংখ্যক নিরীশ্বরবাদী। তাদের সংখ্যা ১১০ কোটি।

খ্রীষ্টান ধর্মবিশ্বাসীরা বেশি সংখ্যায় মূলত ছড়িয়ে আছেন ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা - এই তিনটি মহাদেশ জুড়ে। আফ্রিকার দক্ষিণাংশেও তাদের আধিক্য। আফ্রিকার উত্তরাংশ, পশ্চিম এশিয়া জুড়ে মূলত ছড়িয়ে আছেন মুসলিমরা। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া জুড়ে ছড়িয়ে আছেন হিন্দু ও বৌদ্ধরা। অবশ্য এই অংশের তিনটি দেশ বাংলাদেশ, পাকিস্থান ও ইন্দোনেশিয়ায় মুসলিম জনগোষ্ঠীর আধিক্য।

এর মধ্যে খ্রীষ্টান প্রধান দেশগুলিতে অভ্যন্তরীণ অশান্তি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তুলনামূলকভাবে কম। সেগুলি অর্থনৈতিকভাবেও বেশ অগ্রসর। তবে আফ্রিকার দক্ষিণ অংশের খ্রীষ্টান প্রধান দেশগুলি অর্থনৈতিকভাবে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে। হিন্দু বৌদ্ধ প্রধান দেশগুলি - জাপান, কাম্বোডিয়া, থাইল্যাণ্ড, চীন, ভারত, শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, লাওস, ভিয়েতনাম মোটামুটি সুসংহত রাজনৈতিক স্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে। [ বৌদ্ধ প্রধান মায়াম্মারে রয়েছে দীর্ঘ সেনাশাসন।] এর অনেকগুলিই আর্থিকভাবে অতি সমৃদ্ধ, অনেকগুলিতে দ্রুত আর্থিক বিকাশ ঘটছে।

মুসলিম প্রধান দেশগুলির মধ্যে রয়েছে ইরাক, ইরান, সৌদি আরব, লিবিয়া , মিশর এর মতো তেল সম্পদে ধনী দেশ। মূলত মাটি থেকে তোলা তেল বিক্রি করেই এই সমস্ত দেশগুলি আর্থিকভাবে উন্নত। কিন্তু আফগানিস্থান, কাজাকিস্থান, পাকিস্থান, সোমালিয়া, সুদান, নাইজের - প্রভৃতি দেশ দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিশ্বের পিছিয়ে পড়া দেশগুলির মধ্যে অন্যতম। রাজনৈতিক দিক থেকেও মুসলিম প্রধান পশ্চিম এশিয়া বা উত্তর আফ্রিকায় বেশ সঙ্কট। ইরাক বা আফগানিস্থান সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধে বিধ্বস্ত, য়াবার তাদেরই ধ্বংসকারীদের ক্রীড়নক সৌদি আরব এর মত মুসলিম বিশ্বের অন্যতম নেতৃত্বকারী শক্তি। লিবিয়া, মিশর, সিরিয়া গৃহযুদ্ধে দীর্ণ।

নিরীশ্বরবাদীরা বেশি করে ছড়িয়ে আছেন চীন, জাপান, সুইডেন, ডেনমার্ক, হংকং, ফ্রান্স, গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানী, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, নিউজিল্যাণ্ড প্রভৃতি দেশে। এই সমস্ত দেশগুলি আর্থিক বিকাশ, সুস্থিত রাজনৈতিক ব্যবস্থা ও গণতান্ত্রিক পরিসরের ব্যাপ্ত প্রকাশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নিদর্শন বলেই বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:০৬

লুক্কায়িত বলেছেন: আপনি সম্ভবত মুসলিমদের নিয়ে অনেক চিন্তা ভাবনা করেন।।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: আসলে আমি যে স্কুলে পড়াই সেখানকার ৭৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী মুসলিম। আর বুঝতেই পারছেন তারা স্থানীয় এবং এলাকায় মুসলিম বসতি যথেষ্ঠ। আমার অনেক সহকর্মীও মুসলিম। স্বাভাবিকভাবেই আমার সহকর্মী, সন্তান সন্ততি সম ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবক ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিত্য ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূত্রে আমি ব্যক্তিগতভাবে নিরীশ্বরবাদী হলেও ইসলাম সম্পর্কে খানিক আগ্রহ জন্মানো স্বাভাবিক।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২০

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: দিনে দিনে আরো কতকিছু দেখতে হবে! গৌতম বুদ্ধ এখন ব্যাবসার খাতিরে হিন্দুদের অবতার হয়েছেন। কয়দিন পরে নেপাল হবে ভারতের প্রদেশ!

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:২২

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: না না গৌতম বুদ্ধ বহু শতাব্দী ধরেই হিন্দু দশ অবতারের একজন বলে পূজিত। আজকের ব্যাপার নয়। দশ অবতারের নাম আপনার অবগতির জন্য জানালাম - মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রামচন্দ্র, বলরাম, বুদ্ধ ও কল্কি। আপনি স্বকপোলকল্পিত দেখা বন্ধ করতে চাইলে পড়তে পারেন আরো, তাতে বিভ্রান্ত হবেন না।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

রামন বলেছেন:
আপাতত জরিপ করে কোন লাভ নেই আর যদি করতেই হয় তাহলে মুসলমানদের বাদ দিয়েই করুন । বর্তমানে প্রতিনিয়ত যা হারে মুসলিম মারা যাচ্ছে বা মারা হচ্ছে তাতে আপনার এই জরিপ আগামী কালই ভুল প্রমানিত হবে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: ইসলামের মত প্রগতিশীল ধর্ম আর কোনটি আছে কিনা সন্দেহ। জাকাত এর ধারণা, সমানতার ধারণা, সুদের বিরুদ্ধে তার অবস্থান, মানবীয় সম্পর্কগুলির ক্ষেত্রে জাতপাত সহ যাবতীয় কিছুর বিরোধিতা যেভাবে ইসলামে আছে, তা বিশেষভাবেই শিক্ষণীয়। কিছু কিছু বিষয়ে দেশকালের দূরত্মে তার সঙ্গে ভিন্নমত হওয়া বিষ্ময়কর কিছু নয়, তবে মোটের ওপর তার একটা প্রগতিশীল আদল কে অস্বীকার করবে ? কিন্তু শান্তির ইসলাম, দর্শনের ইসলাম, প্রয়োগের নানা ক্ষেত্রে, জেহাদ ইত্যাদির অতিকায় সন্ত্রাসের হাতে পরে সমস্যায়িত হয়ে উঠে আজ অনেকক্ষেত্রে এক সঙ্কটের চেহারা নিয়েছে। সেটা প্রয়োগের সমস্যা। তার সমাধান নিশ্চয় সম্ভব। বিশ্বের এক চতুর্থাংশ মানুষকে সঙ্কটে রাখার অর্থ বিরাট বিশ্ব সঙ্কটের অবতারণা করা।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৪৬

সাইফুল আলী বলেছেন: স্যার আপনার লেখা আমার খুব ভাল লাগে।আমার দেখে মতে আপনিই প্রথম এবং একমাত্র ইন্ডিয়ান লোক যাকে আমার কাছে ইসলাম বিদ্বেষী মনে হয় নি।তাছাড়া আপনাদের দেশের অন্য সবাই খুব জঘন্য মন-মানুসিকতার।উপরেও একজন ইন্ডিয়ান কি কমেন্ট করে গেল দেখুন।এই লোক নিজেকে বাংলাদেশী মনে করে বিভিন্ন জায়গায় ফ্লাডিং করে।ছোট বেলা থেকেই আমাদেরকে হিন্দু-মুসলিমকে নিয়ে মিলেমিশে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শেখানো হয়েছে।কিন্তু অনলাইনে এদের ইসলাম বিদ্বেষী প্রচারনা দেখে আমি একদম হতবাক।এই বন্য পশুদের প্রতি এত ঘৃণা জন্মেছে যে আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না।রামনদের মত ইন্ডিয়ানদের নিয়ে একদিন লিখবো সময় করে।কয়েকজনের দৃষ্টি এই ব্যাপারগুলোতে আকর্ষণ করা প্রয়োজন।স্ক্রীনশট হিসেবে কিছু প্রমান আমি রেখে দিয়েছি।পরবর্তী সরকার চেঞ্জ হলে তখন কাজে দেবে।যাই হোক আপনার পোস্ট নিরপেক্ষ এবং ভাল লেগেছে।+++++ দিয়ে গেলাম

পরে আলোচনা করার ইচ্ছা আছে

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: প্রথমত - মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র আর ইসলামি রাষ্ট্রের মধ্যে বিশাল তফাত বিদ্যমান। উপরে খারাপের তালিকার রাষ্ট্রগুলার কোনোটাই পূর্ণাঙ্গ ইসলামিক রাষ্ট্র নয়। ইরান ইসলামিক-গণতন্ত্র (ভন্ডামী) রাষ্ট্র। সৌদি বাদে বাকি সবই সুডো ইসলামিক। সৌদি রাষ্ট্র ব্যবস্থা নিয়ে ও সমস্যা আছে তবে তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম সেটা ইসলামিক রাষ্ট্র।

দ্বিতীয়ত - সফলতার মানদণ্ড কেবল অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নই হতে পারে না। সামাজিক ও পারিবারিক সুখ-শান্তি, নৈতিকতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, আদব-আখলাকও বড় বিষয়। উদাহরণ - আপনাকে যদি এমন একটি জীবনের অফার দেয়া হয় যেখানে আপনি জীবনের প্রথম ৪০ বছর পৃথিবীতে সকল প্রকার আমোদ-ফুর্তি অবাধে করতে পারবেন, আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি ব্যক্তি হবেন কিন্তু শেষ ৪০ বছর একা কাটাতে হবে, এমন কি মৃত্যু সজ্জায় ও কেউ পাশে থাকবে না। আপনি গ্রহন করবেন? মূলত আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় তাই হচ্ছে। অঢেল সম্পদ, কিন্তু পারিবারিক বন্ধন-ভালোবাসা নেই বলে শেষ জীবন বৃদ্ধাশ্রমে কাটাতে হয়। আমাদের দেশে এক ঐশী নিয়ে কি তোলপার, অথচ আমেরিকা-ইউরোপে এগুলো দৈনন্দিন ব্যাপার। আপনি তো পরিসংখ্যানের মানুষ। আপনি জানেন কি, আমেরিকার ১৩% মানুষ Incest (মা-ছেলে/বাবা-মেয়ে/ভাই-বোনের যৌন সম্পর্ক) করে! এই দিক থেকে দেখুন তো মুসলিম দেশ গুলার কী অবস্থা! খারাপ না ভালো? জেনে রাখুন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় মাদক মুক্ত জনগোষ্টি আমরা মুসলমানরা!

তৃতীয়ত - আমরা দুনিয়ার লাভের আশায় ইসলাম পালন করি না, পরকালের লাভের আশায় করি। তবে ইসলাম আমাদের বোনাস হিসেবে দুনিয়ার কল্যাণ ও এনে দেয়।

সব শেষে - আপনার পরিসংখ্যান প্রিয় মনের জন্যে আমার একটি পোস্ট পড়ে দেখার আমন্ত্রণ রইল - Click This Link

"কথায় আছে "মিথ্যা ৩ প্রকার -
১) মিথ্যা, ২) ডাহা-মিথ্যা, ৩) পরিসংখ্যান।"

৬| ২০ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০১

রামন বলেছেন:
সাইফুল আলী @

আমাকে নিয়ে আপনার উদ্দেশ্যমূলক মন্তব্য এবং বারাবারির সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। আপনি কোথায় দেখেছেন আমার কর্মকান্ডে সম্প্রদায়িকতা এবং ইসলাম নিয়ে বিদ্ধেষপূর্ণ লেখা। ফ্লাডিং তো আপনি করছেন । সবার ব্লগে গিয়ে নাকে কান্না করে আমার নামে কুৎসা ও গীবত গেয়ে বেড়াচ্ছেন । আপনার কার্যকলাপ ইসলামের দৃষ্টিতে মুনাফেকের পর্যায়ে পরে। আপনি হলেন ইসলামের পরিভাষায় বর্ণচোরা এবং ইসলামের প্রকৃত শত্রু। এ যবত আপনাকে আমি এড়িয়ে যাচ্ছিলাম, এখন দেখি সুযোগ নিয়ে গায়ে চড়ে বসতে চাইছেন। এর একটা বিহিত করা জরুরি হয়ে পরেছে।

আর একটি কথা সৌভিক বাবু সাম্প্রদায়িক বা অসাম্প্রদায়িক কি না সেটা উপলব্ধি করার ক্ষমতা আপনার মত মাদ্রাসায় পড়ুয়া ব্যক্তিদের এখন হয় নাই।

৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

ভাঙ্গাচুরা যন্ত্রপাতি বলেছেন: আপনার এই থিওরি চায়নায় যাইয়া খাওয়াইতে পারেন কিনা দেখান। এককালে হিন্দুদের দ্বারা নেড়ে বলে গালি দেওয়া বৌদ্ধরা এখন ধর্মের ভাই হইছে হিন্দুদের। পশ্চিমা বিশ্বের উঠতি যুবসমাজের বৌদ্ধধর্মের প্রতি আগ্রহ দেখে ট্যুরিজমের মাধ্যমে দু-চার পয়সা কামানোর জন্য ভারত এখন হিমালয় পর্বত ভারতে, বুদ্ধের জন্ম ভারতে, এইসব নির্লজ্জ্ব মিথ্যা বলতেও পিছপা হচ্ছে না। ট্যুরিজমের পয়সাটা না থাকলে এইসব হিন্দু-বৌদ্ধ যুগলবন্দির চিহ্নও থাকতো না। বৌদ্ধদের যখন কচুকাটা করেছে হিন্দুরা তখন বুদ্ধের অবতার মর্যাদা ক্ষেতার তলে লুকিয়ে ছিল। সবই হচ্ছে বাণিজ্য। বাণিজ্যের খাতিরে হিন্দু ফিল্মস্টাররাও খাজা মঈনুদ্দীন চিশতির দরবারে যেয়ে শিন্নি দিয়া আসে।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: Click This Link

৮| ৩০ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৩৬

নাজ_সাদাত বলেছেন: মাস্টার মশাই বুদ্ধ ও হিন্দুকে এক সঙ্গে দেখালেন বটে কিন্তু বুদ্ধরা হিন্দু নয়। তারা হিন্দু থেকে রূপান্তরিত। ধর্মের পুস্তক যদি এই মিলনের সেতু বন্ধন হয় তা হলে বলতে হয় খ্রীষ্টান-ইহুদী-মুসলিমরাও এক। কারন আল কোরানে বলা হয়েছে এই ধর্মগুল সব আল্লার প্রেরিত ধর্ম। এমন কি ঈশা নবী আবার পৃথিবীতে আসবেন ও ইসলামের পক্ষে দাড়িয়ে আক্রমণকারী প্রতিহত করবেন।

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:২৬

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বিতর্কের কথাই লিখেছি, এক লিখিনি। আপনাকে এবং ভাঙাচোরা নিক যিনি ব্যবহার করেন, তাকে এটা দেখতে বলি আবার। তিন/মতান্তরে চার এরকমই লেখা হয়েছে। দু রকম মতই পাবেন। স্বামী বিবেকানন্দের একটি মত খুব জনপ্রিয় হয়েছিল সারা বিশ্বে। সেটি চিকাগো বক্তৃতায় তিনি রেখেছিলেন। সেটির লিংক দিলাম।
Click This Link
প্রসঙ্গত বলি এটাকে আমার মত বলে ধরে নেবার কোনও কারণ নেই। আমি এ নিয়ে বিভিন্ন মতের কথাই উল্লেখ করেছি।

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:১৭

নাজ_সাদাত বলেছেন: বিবেকানন্দ পড়ার বা শোনার কোন আগ্রহ দেখিনা। ধর্মান্ধ শয়তান নয় এমন কার লেখা পড়তে আমার আপত্তি নেই অবশ্য

১০| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১১

েবনিটগ বলেছেন: :)

১১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৩৩

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
হিন্দু বৌদ্ধ একসাথে কেন? হিন্দু ধর্র্মে গৌতম বুদ্ধের জন্ম বলে? নাকি ধর্ম বিশ্বাস- সংস্কৃতির মিল? বিস্তারিত জানার আগ্রহ রইলো।

আর হিন্দু বৌদ্ধ ধর্মের দ্বন্দ্ব ও তো ঐতিহাসিকভাবে সত্য। ভারতবর্ষে মুসলিমদের উত্থানে এই দ্বন্দ্ব ও তো ভূমিকা রাখছে।

আর হিন্দু ধর্মের বিস্তার বললে তো এখনো ভারত আর নেপাল কেন্দ্রিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.