নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌভিকের চিন্তাচর্চা

চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি

সৌভিক ঘোষাল

পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা

সৌভিক ঘোষাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রুখতে হবে যে কোন ধরণের সাম্প্রদায়িক মৌলবাদ

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০১

এই লেখাটি তৈরি হয় অন্য এক ব্লগারের সঙ্গে আমার একটি ব্লগের ভিত্তিতে কথোপকথনের সূত্রে। আমার ব্লগে আমি মালালা প্রসঙ্গে একটি বিতর্কর কথা তুলেছিলাম। সেটি পাবেন এর ঠিক আগে লেখা আমার ব্লগটিতে। উক্ত ব্লগার নাজ সাদাতের সঙ্গে কথোপকথনে যা বলেছি তা একটি নতুন ব্লগে সবার কাছে রাখা দরকারী বলে মনে হল।

আমি কয়েকটি প্রশ্ন রেখেছিলাম

মালালার প্রতি অভিযোগগুলি সূত্রবদ্ধ করা যাক

১) মালালাকে শুধু স্কুলে যাবার জন্য/পড়াশুনো করার জন্য গুলি করা হয় নি। আরো হাজার হাজার মেয়ে এখানে স্কুলে যাচ্ছে, পড়াশুনো করছে। স্কুলও তালিবানরা একারণে উড়িয়ে দেয় নি, যে তারা মেয়েদের পড়াশুনোর বিরোধী। গোটা বিষয়টিকে দেখতে হবে একটি সমর কৌশলের অঙ্গ হিসেবে। আদনান রশিদ এর মতে স্কুল পাকিস্থানের আর্মিও উড়িয়ে দেয়, তালিবানিরাও ওড়ায়। গোটা ব্যাপারটা শিক্ষার বিরোধ সমর্থনের সঙ্গে যুক্ত নয়। আসলে স্কুলগুলি যুদ্ধের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, বিপক্ষ যাতে এই চলমান যুদ্ধে এই ঘাটির দখল নিতে না পারে, তাই স্কুল ওড়াতে হয়। মালালা এই বিষয়টি বোঝেন নি।

২) এই সমর কৌশলের বিষয়টি না বুঝে মালালা যে প্রচারে সামিল হয়েছেন তা তালিবানদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে। ইউরো আমেরিকানদের সাথে ইসলামিক দুনিয়ার যে যুদ্ধ (তালিবান/ইসলামিক জেহাদীদের হাত ধরে) চলছে তাতে মালালার অভিমত আরো বেশি বেশি করে কালো/বাদামী চামড়া আর ইউরোপীয় মননের মানুষের জন্ম দিচ্ছে। (আর তাতে ইউরোপ আমেরিকার সুবিধা হয়ে যাচ্ছে)।

৩) কালো/বাদামী চামড়া আর ইউরোপীয় মননের মানুষের সংখ্যা বাড়িয়ে তোলার জন্যই ইউরোপীয়/ আমেরিকান মিডিয়া এইসব কাজ করছে। জাতিসঙ্ঘ মালালাকে সামনে রেখে প্রচারে সামিল হয়েছে।

৪) তালিবান আর ইউরো আমেরিকানদের লড়াইটা ঠিক কোথায়, সেটা পত্রলেখকের স্পষ্ট ভাষাতেই উল্লেখ করে দেওয়া প্রয়োজন, অনুবাদের প্রয়োজন নেই।"The Taliban Want To Implement What Is In The Book Of ALLAH And UNO Want[s] To Implement What They Have In Man-Made Books; We Want To Connect The World To Its Creator Through The Book Of Allah And UNO Want[s] To Enslave The World"

৫) পত্রলেখকের জবানীতে পরিষ্কার কিরকম শিক্ষা তালিবানরা চান ও বিশ্বজুড়ে প্রচলিত আধুনিক শিক্ষাকে তারা কি চোখে দেখেন।

"You say a teacher, a pen, and a book can change the world; yes I agree with [this], but which teacher, which pen, and which book? It is to be specified [that] Prophet Muhammad, peace be upon him, said: I am sent as a teacher, and the book He sent to teach is the Quran. So a noble and pious teacher with prophetic curriculum can change the world, not with satanic or secular curriculum."

৬) ফলে এটা পরিষ্কার হয়ে যায় মালালার প্রতি তালিবান পত্রলেখকের কিরকম আহ্বান থাকে। মাদ্রাসায় শিক্ষা গ্রহণ, মুসলিম উম্মার প্রতিষ্ঠার জন্য কলমকে ব্যবহার করা।

I advise you to come back home, to adopt the Islamic and Pushtoon culture, to join any female Islamic madrassa near your home town, to study and learn the book of Allah; to use your pen for Islam and [for the] plight of the Muslim Ummah, and to reveal the conspiracy of [the] tiny elite who want to enslave the whole of humanity for their evil agendas in the name of a new world order.

এই লেখায় আমেরিকি ইজরায়েলি বাহিনীর ড্রোন হামলা, পাকিস্থানী বাহিনীর নিজেদের ধর্মের মানুষের হাতে নিরীহ মুসলিমদের হত্যা নিয়ে মনস্তাপের সঙ্গী হবেন সবাই। পাশাপাশি সবারই মনে থাকার কথা আফগানিস্থান বা ইরাক যুদ্ধের সময় গোটা বিশ্ব জুড়ে কিরকম প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। সিরিয়া আগ্রাসনের সম্ভাবনাকে কীভাবে গোটা বিশ্ব বাধা দিল। যাইহোক এটা কেই বা অস্বীকার করবে মুসলিম বিশ্বের বেশীরভাগ রাষ্ট্রনেতাই আমেরিকার অনুচর।

এইবার যদি কয়েকটি বিনীত প্রশ্ন রাখা যায় মুসলিম সমাজকে

১) আপনারা কি তালিবানি ভাবনা মেনে মনে করেন বুক অব আল্লা বা কোরাণের নিয়ম মতে গোটা দুনিয়াকে চলতে হবে ? অন্তত মুসলিম প্রধান দেশগুলিকে কোরাণের নির্দেশিকা, হাদিসের নির্দেশিকা মেনে শরিয়তি আইন মেনে চলতে হবে ? ধর্ম ব্যক্তিগত আচার পালনের পাশাপাশি রাষ্ট্রের সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করবে ?

২) গোটা বিশ্বজুড়ে মুসলিম উম্মা স্থাপনের জন্য লড়াই জারী রাখতে হবে? ধর্মান্তরীতকরণের প্রক্রিয়াকে জোরদার করে সারা বিশ্বকে মুসলিম বিশ্ব বানাতে হবে আর এভাবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে মুসলিম উম্মা ?

৩) কোরাণের শিক্ষা, ইসলামিক শিক্ষা ব্যতীত যে শিক্ষা, সেক্যুলার শিক্ষা তা নাকি শয়তানের শিক্ষা ? শুধুই কোরাণের বা তার অনুমোদিত শিক্ষাই থাকবে বাকি সব কোতল ?

নাজ সাদাত জানিয়েছিলেন

বিশ্ব জুড়ে হিন্দু-খ্রিষ্টান-ইহুদী চক্র এক শয়তানি অক্ষ গড়ে তুলে মুসলিমদের উপর হামলা চালাচ্ছে। মালালা হয়ত এই চক্রের স্বীকার। হতে পারে মালালা আর এক গোধরা। হিন্দু-খ্রিষ্টান-ইহুদী চক্রই হয়ত মালালার উপর আক্রমণকারী। এই বৃহৎ শয়তানী শক্তির বিপক্ষে যারাই বুকচিতিয়ে মানবতার পক্ষে লড়ছে তাঁদের কণ্ঠ আমাদের কাছে না পৌঁছানোর কারনে আমরা আপনাদের এক পক্ষের কথাই শুনতে বাধ্য হচ্ছি। কিন্তু আপনাদের কথা বিশ্বাস করছি না। আরএসএসের এই চক্র একদিন ফাঁস হবেই হবে বলে মনে করি।

অবশ্যই প্রত্যেক মুসলিমকে শরিয়ৎ মেনে চলা কর্তব্য। বাকীদের বিষয়ে কোন মুসলিমের কোন বক্তব্য নেই। আমারও নেই। তারা তাঁদের মতে চলবেন। কিন্তু ধর্মান্ধ হিন্দু-খ্রিষ্টান-ইহুদী চক্র অপপ্রচার করে মুসলিমরা সকলকে এক আইনে বেঁধে ফেলতে চায়। আপনি ও আরএসএসের মত প্রচার করছেন তবে ভিন্ন ভাবে।



গোটা পৃথিবীতে মানবতা আক্রান্ত ধর্মান্ধ হিন্দু-খ্রিষ্টান-ইহুদী চক্রদ্বারা। যে লড়াই চলছে তা মানবতা বনাম জানোয়ারের লড়াই। মুসলিমউম্মা মানবতারক্ষার লড়াইয়ে আপসহীন সৈনিক মাত্র। মনে রাখবেন এই সংগ্রামে মানবতার পক্ষে বেশ কিছু অমুসলিম আছেন যাঁদের মানবিকগুনগুল কোন আসারাম বাপুর মত কার কাছে বন্ধক নেই। ধর্মান্তকরন কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয়, মানবতারপক্ষে থাকা মানুষজন মানবিকটানে ইসলামে দীক্ষিত হন অনেক সময়। এটা কোন জোরের বিষয় নয়। তামিল লেখিকা বা এআর রহমানকে বা অন্য কাউকে জোর করে ইসলামে দীক্ষিত করা হয়েছে এটা প্রমান করতে পারবেন কি?



কোন শিক্ষাই বাতিল শিক্ষা নয়। হাদিসে বর্ণীত আছে শিক্ষার প্রয়োজনে সুদূর চীনে যেতে হলেও যেতে হবে। এ বিষয়ে আপনি যা বলতে চাইছেন তা আপনাদের অপপ্রচার মাত্র।



মানবতার বিপক্ষে চলমান এই লড়াই কোন দেশ-কাল-গণ্ডীতে বেঁধে রাখা যায় না। চলমান এই সংগ্রাম নিপীড়িত মানবতার পক্ষে কয়েকদিনেই জয় এনে দেবে এমন নয়। যখন শয়তানী চক্র অনেকবেশী শক্তিধর। ফলে আরব ভূখণ্ড শুধু নয় এই লড়াই নিপীড়িত মানবতার সর্বজনীন লড়াই।

----------

যারাই মানবতার পক্ষে তারাই আজ আক্রান্ত শয়তানী অক্ষদ্বারা। ভারত ভূখণ্ডে এই আক্রমণ ও যথেষ্ট তীব্র। কিছুদিন আগে ঘটা মুজাফফরপুর তার উদাহরন। তবে নিশ্চয়ই আপনাদের কল্পনায় আছে মুসলিমহীন এক বিশ্ব। তবে তা অলীক কল্পনা মাত্র। কারন মানবতার বিন্দুমাত্র অংশ যতদিন থাকবে মুসলিম তত দিন থাকবে। কারন মুসলিম আর মানবতা সমর্থকশব্দ হিসাবেই বিবেচিত হয়। এই যেমন ধরুন না মোদীজী মুসলিমদের তথা মানবতাকে নিকেশ করার যে প্রকল্প নিয়েছিল তার বাস্তাবয়ন করার পর ও গুজরাটে এখন ও মুসলিম আছে। শুধু আছে বলা ঠিক নয় বরং মানবতার পক্ষে নূতন নূতন বন্ধুর ও সন্ধান দিয়েছে যেমন তিস্তা দি তার উদাহরন। এমন অনেক নাম এখন ই বলা যায়।

গোটা প্রেক্ষিতে আমার বক্তব্য এরকম

মুজফফরপুরের ঘটনা কি আপনি গিয়ে দেখে এসেছেন ? কে জানিয়েছে? কাতার বা ইরাণের কোনও দূরদর্শন ? না। ভারতের মেইন স্ট্রিম মিডিয়া। ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বিজেপি কে একঘরে কি করে রাখতে চাইছে না এমনকী কংগ্রেস থেকে শুরু করে সব আঞ্চলিক দল? ব্যক্তিগতভাবে কমিউনিস্ট পার্টির এক সদস্য হিসেবে আমি বিজেপি আর এস এসের বিরুদ্ধে বরারবর প্রচারে সক্রিয় থেকেছি। থাকব। বিজেপি নিয়ে আমাদের পার্টির ধারাবাহিক স্টান্স আপনি দেখে নিন প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত এম এল আপটেড এ। লিংক দিলাম।

http://cpiml-lib.blogspot.in/



নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে এই নির্দিষ্ট লেখাটি দেখুন

http://cpiml-lib.blogspot.in/2013_09_01_archive.html



মনে হয় আপনার সঙ্গে ঠাণ্ডা মাথায় কিছু মত বিনিময় করা দরকার। আসলে আপনি পোড়া দেশে রক্তপাত ছাড়া আর কি আছে - এরকম মন্তব্য উত্তেজিত করার জন্য যথেষ্ট ছিল। রক্তপাত আছে, হয়েছে, হচ্ছে - সেটা বাস্তবতা। কিন্তু শুধু সেটাই যদি দেখেন, আমাদের লড়াইটা যদি অস্বীকার করেন, তাহলে গোটা দেশের এক খণ্ড চিত্রই আপনি হাজির করলেন। এর বিপরীতে আমাদের লড়াইটা মুছে দিলে কীভাবে আপনি আটকাবেন কমিউনাল ফ্যাসিজমকে।

আপনি মানবেন কিনা জানি না, ধর্মপ্রাণতা আর কমিউনাল ফ্যাসিজম কে পৃথক করা ও তার ভিত্তিতে কমিউনাল ফ্যাসিজমকে বিরোধ করাটা আমার যথেষ্ট গুরূতকপূর্ণ বলে মনে হয়। কমিউনাল ফ্যাসিজম হিন্দু, মুসলিম, ইহুদী, খ্রীষ্টান - নানা চেহারায় আসতে পারে। আমি নাস্তিক, হিন্দু পরিবারে জন্ম। ধরে নিলাম আপনি ভাবছেন আমি হিন্দুই। তা আমি নই। কিন্তু তর্কের খাতিরে কিছুক্ষণের জন্য সেটা স্বীকার করে যদি বলি হিন্দু বলে আমি হিন্দু ফাণ্ডামেন্টালিজমকে এড়িয়ে যাবো,বলবো এটা আসলে মুসলিম জেহাদের প্রতিক্রিয়া বা মুসলিম বলে আপনি বলবেন এটা আসলে মুসলিমদের ওপর হিন্দু ইহুদী খ্রীষ্টান চক্রের আগ্রাসনের স্বাভাবিক আউটকাম এবং মুসলিম ফাণ্ডালিজমের বিপদকে এড়িয়ে যাবেন, বা বুশের কোনও চ্যালা বলবেন যেহেতু ৯/১১ ঘটেছে, ৩৫০০ মানুষ মারা গেছে, তাই তার প্রতিক্রিয়ায় ইরাক বা আফগানিস্থান ঘটাটা ঠিক আছে, যেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরে ফেলা হয়েছে, কোটি কোটি মানুষের জীবন নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে - তাহলে প্রতিক্রিয়ার এই মতাদর্শই ক্রমশ ভারী হয়ে উঠবে। আর প্রতিক্রিয়ার মতাদর্শ গোধরার পর গুজরাট, বাবড়ির পর দাঙ্গা, ৯/১১ এর পর আফগানিস্থান ইরাক, আফগানিস্থান ইরাকের পর - আল কায়দা, জামাত, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন, মুজাহিদিন কে দেখিয়ে আর এস এস, বজরং দল এর প্রেতনৃত্য, মোদির আগ্রাসন - এসব ক্রমান্বয়ে চলতেই থাকবে। সুস্থ রাজনীতির, সমাজনীতির জায়গায় থাকবে শুধু হিংসা আর প্রতিক্রিয়া।

এটা ঠিক কাশ্মীরে যখন ৮০ হাজার তরুণকে খুন বা তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়, করে ভারতের সেনাবাহিনী, তখন সেখানে প্রতিক্রিয়ার জেহাদ অত্যন্ত স্বাভাবিক বলে মনে হয়। আবার সেই জেহাদকে দেখিয়ে আবার দমন শুরু করা যায়। এখন গণতান্ত্রিক শান্তির শক্তি যদি এই পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে প্রতিক্রিয়ার সমস্ত, হ্যাঁ সমস্ত ধরণের শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলে যেতে পারে স্পষ্ট ভাষায়, সমস্ত প্ররোচণাকে এড়িয়ে ন্যান্য কথাটা বলা যেতে পারে, তবেই দীর্ঘস্থায়ী এক লড়াইয়ের পর সাফল্য মিলতে পারে।

নাস্তিকতা নিয়ে, কমিউনিজম নিয়ে আপনার ভিন্নমত থাকতে পারে, আছে বলেই মনে হয় - সেটা থাকুক, কিন্তু এটা জানবেন আমরা কারোর ব্যক্তিগত বিশ্বাসে আঘাত করার পক্ষপাতী নই। সি পি এম বা ইত্যাদি শাসক কমিউনিস্টদের অসংখ্য ভুলের কথা তুলছি না, কিন্তু ভারতে কমিউনিস্টরাই কিন্তু সংখ্যালঘুরদের পক্ষে ধারাবাহিক কথা বলেছেন, সেটা তারা বলবেন। এজন্য তাদের ধর্মবিশ্বাসী হওয়ার দরকার হয় নি, হবেও না, তাতে সংখ্যালঘুদের পক্ষে, আগাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার গতি রুদ্ধ হবে না।

তাই আপনাকে অনুরোধ শুধু রক্তপাত আর পোড়া দেশ দেখবেন না, তার উলটো দিকটাও দেখুন, নাহলে উলটো দিকের লড়াইটা মর্যাদা পায় না, আশা রাখার জায়গা পাওয়া যায় না।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৭

সাদ আরেফিন বলেছেন: মাঝে মাঝে মনে হয় অসাম্প্রদায়িক মৌলবাদীদের দমন করা গেলে ...........সাম্প্রদায়িক মৌলবাদীরা এমনিতেই দমন হয়ে যাবে |-) |-) /:) /:)

২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

নাজ_সাদাত বলেছেন: আমি মুজাফফারপুর এ মুসলিম নিধন যজ্ঞ স্বচক্ষে দেখিনি তার মানে এই নয় মুজাফফরপুর শান্তির স্বর্গরাজ্য ছিল। বরং বাস্তব হল মুজাফফরপুর কিছুদিন আগে রামরাজ্যে পরিনত হয়েছিল। ভারতের সংবাদমাধ্যম আল্প কিছু ভাসা ভাসা বলেছিল বটে কিন্তু যারা ওখানে ত্রান নিয়ে গিয়াছিল তাঁদের বর্ণনা শুনে ওই হত্যাযজ্ঞের ভয়াবহতা উপলব্ধি করেছি। দেখুন কুম্ভীরাশ্রু আর সত্যিকারের কান্নার বেশ পার্থক্য আছে। ভারতের বেশীরভাগ রাজনৈতিক দল কুম্ভীরাশ্রু ফেলে মুসলিম নিধন প্রসঙ্গে। বাবু বজরঙ্গী বা মায়া কোডনানীর সাজা প্রসঙ্গে যে রায় এসেছে তা আমি কাউকে বলতে শুনিনি এটা হিন্দুত্ববাদী রায়। সকলে মুখে কুলুপ এঁটেছে এই ব্যাপারে। মুম্বাই হামলায় যত মানুষ মরেছিল তার থেকে বেশী মরেছে গুজরাটে, কিন্তু মুম্বাই-এ হামলাকারীর ফাঁসি হলেও গুজরাট এ মানুষ খুনের উৎসবের কুশীলবদের কিছুই হয়নি। এ ব্যাপারে সদর্থক প্রতিবাদ না হয়নি। প্রনব আজফাল গুরুর ফাঁসি দেওয়াতে যে ভূমিকা পালন করেছে তা পালন করেনি গুজরাট দাঙ্গাকারীদের সাজা নিশ্চিত করা প্রসঙ্গে। এর পর বলেন কি করে কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক নয়। সুদূর অতীতে কংগ্রেসের ভুমিকা যদি দেখতে চান তা হলে অন্নদাশঙ্কর রায় এর লেখা 'ক্রান্তদর্শী' ও "জীবন ও যৌবন" বইদুটো পড়ে দেখতে পারেন।

অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি খ্যামটা নাচ এর আসরে সকলেই ঘোমটা টেনে বসে আছে মাত্র। ৩৪ বছর বাম শাসনে কি করে সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত স্কুলগুলতে সরস্বতী পুজা হয়েছিল আর কেনইবা তাতে অহিন্দুদের অংশগ্রহনে বাধ্য করা হয়ে থাকে। আপনাদের দল যে এর প্রতিবাদ করছে সেটাও আমি শুনিনি।

যেদিন দেখবো কাগজে আর মুখে খই না ফুটিয়ে সত্যিকারের বিরোধ করছে হত্যাকারীদের সঙ্গে সেদিন কুর্নিশ করব। আমি মনে করি ভারতে বাম বলে যারা পরিচিত তারা যদি হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে নিরপেক্ষ অবস্থান নিত তা হলে এটার উৎপাটন সম্ভব হত। একজন তিস্তা সিতলাবাদ যদি হিন্দুত্ববাদী রক্তলোলুপদের কাঁপিয়ে দিতে পারে তাহলে আপনারা পারছেন না কেন? প্রশ্নটা আপনার বিবেকের কাছেই রাখলাম।

৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

নাজ_সাদাত বলেছেন: আপনার এই লেখা প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের এক মাত্র মজলুম জনতার বন্ধু অন্নদাশঙ্কর রায় এর "জীবন যৌবন" বইয়ের একটা লাইন শুধু বলতে চাই "হিন্দুরা ধর্মে উদার সমাজে উদার নয়। মুসলিমরা ধর্মে অনুদার সমাজে খুবই উদার" ফলে মুসলিম মৌলবাদ আপনাদের লেখনীতেই শুধু থেকে গেছে বাস্তবে সেটা ঘটেনি। হিন্দুত্ববাদ তথা মানবতাবিরোধী অপরাধীদের দমন করাটাই যে কোন মানুষের আশু কর্তব্য হওয়াই উচিত। তবেই শান্তি ফিরবে এই উপমহাদেশে। নচেৎ নয়।

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: অসামান্য অন্নদাশঙ্কর রায়ের অসামান্য মন্তব্যটি উদ্ধৃত করার জন্য আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: তিস্তা ....যে কিনা দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্ত দের টাকা মেরে দেয় ....না কবর থেকে ভুয়া মানুষ বার করে ।গুজরাটের মুসলিম দের কাছে তিস্তার কোনো মুখ দেখনোর জায়গা আছে ?
যত্ত সব আজাইরা ।

৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আর মার্কসবাদী দাদা ....আপনারা আগে ঠিক করেন কোনটা বেশি বিপদ ..সাম্রাজ্যবাদ ...না হিন্দুত্ববাদ ।জানি এই গল্প দিয়েই কংগ্রেসের হাত ধরবেন ।তারপর হায়দ্রাবাদে কংগ্রেস কুরেশীদের হাত ধরবে ।অথচ আপনারা মার্কসবাদী !!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.