![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা
সমস্ত ঈশ্বর মানুষের কল্পনাতেই সৃষ্টি। আমাদের এক কবি যেমন সহজ ভাষায় লিখেছিলেন
"মানুষই দেবতা গড়ে
তাহারই কৃপার পরে করে দেব মহিমা নির্ভর"।
জগতের সমস্ত কিছু মানুষের ব্যাখ্যা লব্ধ হয়ে ওঠেনি। এই ব্যাখ্যার অসম্পূর্ণতা থেকেই দৈবি মহিমার জন্ম।
যারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন তারা কি আজকের দিনে নিজের বা পরম আত্মীয়ের কোনও সাধারণ অসুখে, ধরা যাক জ্বরে বা সর্দিতে আল্লাহ বা গড বা ব্রহ্মকে ডেকে বলবেন, আমার সর্দি জ্বর সারিয়ে দাও? সম্ভবত না। একটা ট্যাবলেট কিনে খাবেন। কিন্তু সেরিব্রাল অ্যাটাকে আত্মীয় বন্ধু অচৈতন্য হয়ে থাকলে, কোমায় চলে গেলে? ওপেন হার্ট অপারেশনের আগে? বিশ্বাসী হলে নিশ্চয় আল্লা গড ভগবানের কথা মনে পড়বে। কারণ সুস্থতা সেখানে তুলনায় কম অনিশ্চিত। এই অনিশ্চিতি ব্যাখ্যার বাইরের ধূসর জমিতেই ঈশ্বরের জন্ম। এরকমটাই আমার মনে হয়। তবে এটাও ঠিক বিশ্বাসীরা তাদের সংকটের মুহূর্তে বা দুর্বল মুহূর্তে তাদের ভগবানের বিশ্বাসের জন্য অনেক শক্তি পান। ধর্ম বিশ্বাস যেখানে শুভ শক্তির উৎস সেখানে সমস্যা নেই, কিন্তু যেখানে তা অন্যকে আঘাত করতে উদ্যত, জেহাদের নামে রক্তের হোলিখেলায় বা দাঙ্গায় উন্মত্ত, সমস্যা সেখানেই। সেখানে ঈশ্বরে বিশ্বাসের থেকেও পার্থিব জিঘাংসাই বেশি সক্রিয় বলে মনে হয়।
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৬
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: শুধু মোদী বললে মনে হবে বিপদ বুঝি শুধু হিন্দু সাম্প্রদায়িকতা। হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বিপদ মোদী ছাড়াও আছে, যেমন শিবসেনা, আর এস এস এর বিভিন্ন ফ্রন্ট। তবে মোদ্দা কথাটা হল আসলে কোনও সাম্প্রদায়িকতাকেই ছাড়া যাবে না। হিন্দু খ্রীষ্টান ইহুদী কোনও সাম্প্রদাইকতাকেই। কেউ ভাববেন না মুসলিম সাম্প্রদায়িকতাকে ছাড় দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে কারণ আমেরিকা তাকে দায়ী করেছে, অতএব আমেরিকা যার বিরুদ্ধে আমরা তারই পক্ষে। মানতেই হবে সবচেয়ে ভয়ংকর বিশ্বজোড়া মুসলিম সাম্প্রদায়িকতা যা জেহাদের নেশায় সারা পৃথিবীকে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্থ রক্তাক্ত করছে। আল কায়দা থেকে তালিবান, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন থেকে জামাত ই ইসলামী, মুসলিম ব্রাদারহুড থেকে আর্মি অব ইসলাম, বোকো হারাম থেকে ইজিপ্সিয়ান ইসলামিক জেহাদ, হামাদ থেকে হিজবুল্লা, জৈসি মহম্মদ থেকে সিমি বা লস্কর ই তৈবা - নামের তালিকা শেষ করা মুসকিল।
২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১
কাফের বলেছেন: ইশ্বরে প্রবল বিশ্বাসে মানুষ নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও সৃজনিশক্তি অনেকটাই হারিয়ে ফেলে, আমাদের দেশের অলস হুজুর গুলা দেখলে আমার তাই মনে হয়।
৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২
দিশার বলেছেন: ভালো লাগলো। আপনি কি কলকাতায় থাকেন ?
৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২
মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান শরীফ বলেছেন:
"যখন সমুদ্রে তোমাদের উপর বিপদ আসে, তখন শুধু আল্লাহ ব্যতীত যাদেরকে তোমরা আহবান করে থাক তাদেরকে তোমরা বিস্মৃত হয়ে যাও। অতঃপর তিনি যখন তোমাদেরকে স্থলে ভিড়িয়ে উদ্ধার করে নেন, তখন তোমরা মুখ ফিরিয়ে নাও। মানুষ বড়ই অকৃতজ্ঞ। (Al-Israa: 67) "
এই কথা মানতেই হবে মার্কিনিরা সবচেয়ে ভয়ংকর বিশ্বজোড়া ব্যাবসায়িক যুদ্ধের নেশায় সারা পৃথিবীকে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কগ্রস্থ রক্তাক্ত করছে।
সন্ত্রাস তাদের সৃষ্ট অজুহাত মাত্র, আর যুদ্ধের মাধ্যমে ব্যাবসা বাগানো তাদের একমাত্র কাজ।
সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাক্য অমুসলিমরাই বেশি ছড়ায়।
একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে বিভিন্ন জঙ্গিদল স্বাধীনতা এবং অমুসলিমদের অত্যচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লড়াই করছে। আর মিডিয়া তাদেরকে সন্ত্রাসী বানাচ্ছে ।
৭৫০ কোটি মানুসের মধ্যে ৬০০ কোটি মানুষ হয় অমুসলিম অথবা মুসলিম বিদ্বেষী।
কাজেই বেশী সংখ্যক অমুসলিমরা মুসলিমদেরকে যে ভাবে ইচ্ছা সেই ভাবেই উপস্থাপন করতে পারে।
সোজা কথা জোর যার মূল্লুক তার।
অবশ্য কিছু সন্ত্রাসী দলও আছে, কিন্তু মূল সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন এই সব সন্ত্রাসীর দায়-দায়িত্ব কেন মুসলিমদের উপর দেয়া হয় ? এটা অন্যায়।
তারা যদি সন্ত্রাসীদেরকে লালনই করতো তবে কি সন্ত্রাসীরা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হতো বা আত্মগোপন করতো বা পুলিসের ভয়ে পালিয়ে বেরাতো ? নিশ্চই না।
রাজনীতিবীদরা ক্ষমতা দখলের জন্য ধর্মকে কাজে লাগায়, অথচ তাদের কোন দোষ হয় না।
সবাই নির্বোধের মত ধর্মকে দোষ দিতে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৬
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
এবং যেখানে মোদিরা ক্ষমতার গন্ধ পায় সেখানে হিংস্রতা, পাশবিকতা সমানে অপেক্ষা করে।