![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা
কেউ খুন করেনি শঙ্কররামনকে। এমনটিই সাব্যস্ত হলো মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ে। শঙ্কররামন হত্যা মামলায় বেকসুর খালাস পেলেন কাঞ্চির শঙ্করাচার্য জয়েন্দ্র সরস্বতী। ২০০৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ভারাদারাজাপেরুমল মন্দির চত্বরে খুন হন মন্দিরের ম্যানেজার এ শঙ্কররামন। এই খুনের ঘটনায় শঙ্করাচার্য জয়েন্দ্র সরস্বতী, তার সহকারী বিজয়েন্দ্র সরস্বতী-সহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে ২৭ নভেম্বর, ২০১৩ বুধবার সব অভিযুক্তকেই সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে বেকসুর মুক্তি দিল পুদুচেরির এক বিশেষ আদালত। রায় দিতে গিয়ে আদালতের বক্তব্য,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট মজবুত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি৷ অর্থাৎ শঙ্কররামনকে কুপিয়ে খুন করা হলেও,তার খুনি কে তা জানা গেল না। ক্ষমতাশালীরা অভিযুক্ত হলে খুনিকে খুঁজে না পাওয়ার ধারা বিভিন্ন আদালতের রায়ে বারেবারেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। পাটনা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়গুলিও জানাতে পারেনি বাথে বাথানির মত দলিত গণহত্যাগুলির খুনি কারা, সব অভিযুক্তকেই সেখানে একইভাবে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।
শঙ্কররামন হত্যা মামলায় ১৮৭ জন সাক্ষীকে জেরা করা হয়েছিল৷ তার মধ্যে ৮৩ জনই পরে বয়ান বদল করেন৷ শেষ শুনানিতে ২০ জন সাক্ষীকে সওয়াল করেও হত্যার সম্পর্কে নাকি কোনও প্রামাণ্য তথ্য পাওয়া যায়নি৷ আশ্চর্জনক হলেও এমনকী শেষমেষ এও দেখা গেল হত্যার মূল প্রত্যক্ষদর্শী যারা ছিলেন, সেই শঙ্কররামনের স্ত্রী,পুত্র ও কন্যা অভিযুক্তদের মধ্যে কাউকেই হত্যাকারী বলে শনাক্ত করতে পারেননি৷ ওনুমান করা যায় শনাক্ত না করার জন্য কি বিরাট পরিমাণ চাপ তাদের ওপর ছিল।
এই প্রসঙ্গে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য মঠে দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়ে ২০০৪ সালের ৩০ অগস্ট যে চিঠিটি লেখেন শঙ্কররামন,এবং যে চিঠির কারণেই তাঁকে খুন হতে হয় বলে অভিযোগ,তা নিয়েও সন্তোষজনক ভাবে তদন্ত করা হয়নি বলে অভিমত দেয় আদালত। দীর্ঘদিন ধরে ক্রমাগতই মঠের বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতি ফাঁস করার চেষ্টা করছিলেন শঙ্কররামন। তাঁর মূল অভিযোগ ছিল,জয়েন্দ্র সরস্বতী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ক্রমশ দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠছে শতাব্দীপ্রাচীন ও হিন্দুদের মধ্যে অত্যন্ত পবিত্র বলে গণ্য এই মঠ। শুধু পত্র-পত্রিকা নয়,শঙ্কররামন নিয়মিত চিঠি লিখতেন মঠের বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষক ব্যক্তি ও সংস্থাকেও৷ এর ফলে মঠ সম্পর্কে একটা সময় রীতিমতো বিরূপ ধারণা তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এ ভাবেই শঙ্করাচার্যের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছিলেন শঙ্কররামন। শেষপর্যন্ত ৩০ অগস্ট একটি সংবাদপত্রে পাঠানো তাঁর চিঠির প্রেক্ষিতেই শেষপর্যন্ত তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে দাবি ওঠে বিভিন্ন মহলে।
এই ঘটনা যখন প্রকাশ্যে আসে,তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার সঙ্গে শঙ্করাচার্যের সম্পর্ক তখন অত্যন্ত ভালো ছিল বলেই ওয়াকিবহল মহলের বক্তব্য। কিন্ত্ত সব হিসেব উল্টে দিয়ে ১১ নভেম্বর অন্ধ্রপ্রদেশের একটি মন্দিরে পুজো চলাকালীন তামিলনাড়ু পুলিশ গ্রেপ্তার করে শঙ্করাচার্যকে৷ ঠিক দু'মাসের মাথায় গ্রেপ্তার হন তার প্রধান সঙ্গী বিজয়েন্দ্র। জয়ললিতার সঙ্গে শঙ্করাচার্যের মনোমালিন্যের তত্ত্ব এই সময় থেকেই প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,বিরোধী ডিএমকে-র সঙ্গে বেশ কিছু বিষয়ে সহমত পোষণ করায় জয়ললিতার বিরাগভাজন হন জয়েন্দ্র সরস্বতী। গ্রেপ্তারির সময় জয়ললিতা অবশ্য দাবি করেছিলেন,শঙ্করাচার্যের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ আছে বলেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে৷ গঙ্গা গোদাবরী দিয়ে অনেক জল গড়ানোর পর তামিলনাড়ুর মসনদে এখন আবার সেই জয়ললিতাই। গ্রেপ্তারীর সময়ের সেই তথ্যপ্রমাণ এখন কোথায় গেল সে প্রশ্ন তাই স্বাভাবিক ভাবেই উঠছে।
৯ বছর আগে এই ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশে। তবুও দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া পেরিয়ে পুদুচেরী বিশেষ আদালতের রায় সুবিচার দিতে পারলো না সংবেদনশীল এই মামলাকে। থেকে গেল অজস্র প্রশ্ন৷ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও নেতাদের আঁতাত এ দেশের রাজনীতিতে কোনও নতুন ঘটনা নয়৷ শেষপর্যন্ত তার জেরেই কি ন্যায় পেলেন না শঙ্কররামন? বিশেষত রায় ঘোষণার এই সময়পর্বটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। আসন্ন লোকসভা ভোটে দেশের প্রধানমন্ত্রীত্বের জন্য বেপরোয়া ভাবে এগোতে চাইছেন বিজেপির নরেন্দ্র মোদী। আর বিজেপির পক্ষে হিন্দু ভোটের মেরুকরণ আটকাতে কংগ্রেসও ‘নরম হিন্দুত্ব’ থেকে আরেকটু চড়া মেজাজে উঠেই ভোট ময়দানে খেলতে চাইছে। রাহুল গান্ধীর প্রকাশ্য জনসভায় দাঙ্গা কবলিত এলাকার মুসলিম যুবকদের মধ্যে সন্ত্রাসবাদী হয়ে ওঠার প্রবণতা নিয়ে ব্যক্ত চিন্তা সহ নানা মন্তব্য ও ঘটনাতে যার ছাপ স্পষ্ট।
লোকসভা ভোটের আগে শঙ্করাচার্যের বেকসুর খালাস হওয়া তাই এক অর্থে আশ্চর্যজনক কিছু নয়। শুধু ধর্মীয় সংগঠনগুলির মধ্যে নয়,ভারতীয় রাজনীতিতেও কাঞ্চীর বর্তমান শঙ্করাচার্যের প্রভাব অপরিসীম৷ আর এ বিষয়ে কংগ্রেস বিজেপি সহ শাসক দলগুলির বিশেষ পার্থক্য নেই। মনে পড়তে পারে তাঁকে গ্রেপ্তার করার পরেই প্রতিবাদে একজোট হয়েছিলেন কংগ্রেস-বিজেপির তাবড় নেতারা। বস্তুতপক্ষে জাতীয় রাজনীতিতে এমন ঐক্য বেশ বিরল ঘটনাই। এক শঙ্করাচার্যকে বাঁচাতে অনশনে বসেছিলেন লালকৃষ্ণ আদবানি থেকে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চন্দ্রশেখর এর মতো তাবড় ব্যক্তিত্ত্ব।
সে সময় এই গ্রেপ্তারির প্রবল সমালোচনা করে বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অযোধ্যায় রামজন্মভূমি বিতর্কে মধ্যস্থতা করার জন্য রাজধানীর অলিন্দে প্রচুর ক্ষমতাশালী 'বন্ধু' তৈরি হয়েছিল শঙ্করাচার্যের৷ তার গ্রেপ্তারীর পর দিল্লিতে গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি পি ভেঙ্কটরামন৷ জয়ললিতাকে ‘সতর্ক’ হওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। এমনকি যে ডিএমকে এই গ্রেপ্তারিকে প্রাথমিক ভাবে স্বাগত জানিয়েছিল,অনতিপরে তদন্তে কারচুপির অভিযোগ আনে তারাও। এর মধ্যেই পুলিশের তরফে দাবি করা হয়,জেরায় ভেঙে পড়ে সব দোষ স্বীকার করেছেন সরস্বতী। এই দাবির বিরুদ্ধেও চলে বিক্ষোভ৷ একাধিকবার নামঞ্জুর হয় শঙ্করাচার্যের জামিনের আবেদন৷ কিন্ত্ত ২০০৫ সাল থেকেই মোড় ঘুরতে আরম্ভ করে সংবেদনশীল এই মামলার। প্রথমে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে মামলাটি মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে পুদুচেরিতে সরাতে সক্ষম হন বিজয়েন্দ্র সরস্বতী। এর পরেই মামলার এক বিচারপতির ওপর জোর খাটানোর অভিযোগ ওঠে শঙ্করাচার্যের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে তদন্ত করে সেই বিচারপতিকে সরানোও হয়। একই সময়ে তামিলনাড়ুতেও ঘটে রাজনৈতিক পালাবদল। রাজ্য সরকারে নতুনভাবে ক্ষমতাসীন ডিএমকে শঙ্করাচার্যকে নিয়ে নরম মনোভাব দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। একে একে বয়ান বদলান ৮৩ জন সাক্ষী। রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় অন্যতম অভিযুক্ত কাঠিরাবণের৷ পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে বিভ্রান্তি বাড়ায় শঙ্কররামনের পরিবারও৷ সেই অদ্ভুত ঘটনামালা বাড়তে বাড়তে এই মামলাকে শেষপর্যন্ত এইখানে নিয়ে এলো, যেখানে পরিবারের লোকজন তথা প্রত্যক্ষদর্শীরা পর্যন্ত ‘চিনতে পারলেন না’ শঙ্কররামনের খুনিদের। বেকসুর খালাস পেলেন কাঞ্চীর শঙ্করাচার্য ‘মহামহিম হিন্দুগুরু’ ও তার অনুচরেরা।
এই মামলার রায় মনে করিয়ে দিলো বিহার হাইকোর্টের দেওয়া সাম্প্রতিক কালের কিছু রায়কেও। পাটনা হাইকোর্ট সম্প্রতি ১৯৯৭ সালের লখিমপুর গণহত্যার যে রায় দিয়েছে তাতেও গোটা দেশ একইভাবে স্তম্ভিত হয়েছে। যে গণহত্যায় নারী ও শিশু সহ ৫৭ জন দলিত মানুষকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল, তার কোনও একজন খুনিকেও শাস্তি দেবার উপযুক্ত বলে পাটনার ‘উচ্চ’ আদালত খুঁজে পায় নি। ৯ অক্টোবর, ২০১৩ লখীমপুর বাথে গণহত্যার রায় দিতে গিয়ে পাটনা হাইকোর্ট এমনকী নিম্ন আদালতের রায়কেও সম্পূর্ণ উলটে দেয়। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন রণবীর সেনার যে ২৬ জনকে উচ্চ আদালতের এই রায়ে বেকসুর খালাস করা হয়েছে নিম্ন আদালত তাদের মধ্যে ১৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা দেবার মত মারাত্মক অপরাধের প্রমাণ পেয়েছিল।
গত দেড় বছরের মধ্যে বিহার হাইকোর্ট লখিমপুর বাথে এবং বাথানিটোলা সহ তাদের দেওয়া চারটি রায়ে দলিত হত্যায় অভিযুক্ত এবং নিম্নতর আদালতে ফাঁসি বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মত চরম সাজা প্রাপ্তদেরও বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। বাথে গণহত্যার রায়ের আগে বাথানিটোলা, নাগরি এবং মিয়াপুরের দলিত গণহত্যা সংক্রান্ত তিনটি মামলার রায়ে এরকম অদ্ভুত প্রহসন লক্ষ্য করা গেছে।
১৯৯৬ এ সংগঠিত বাথানিটোলা গণহত্যার রায় দিতে গিয়ে ১৭ এপ্রিল ২০১২ পাটনা হাইকোর্ট নিম্ন আদালতে সাজা পাওয়া রণবীর সেনার ২৩ জন অপরাধীকে বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য বাথানিটোলার ঘটনায় ২১ জন দলিতকে হত্যার দায়ে নিম্ন আদালত এই ২৩ জনের মধ্যে ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছিল। ২০১৩ র ১লা মার্চ পাটনা হাইকোর্ট ১৯৯৮ এর নাগরি গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ১১ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছে। নাগরি গণহত্যার ঘটনায় রণবীর সেনা ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল, এদের মধ্যে ৩ জনকে নিম্ন আদালত মৃত্যুদণ্ড ও ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। ৩ জুলাই মিয়াপুর গণহত্যার রায় দিতে গিয়ে পাটনা হাইকোর্ট নিম্নতর আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তিপ্রাপ্ত ১০ জনের ৯ জনকেই বেকসুর খালাস করে দিয়েছিল। ২০০০ সালে সংগঠিত এই গণহত্যায় ৩২ জন দলিতকে খুন করে রণবীর সেনার লোকজন।
বিহারের রায়গুলিতে যদি সামন্তী শক্তির দাপটের সুর শোনা যায়, তবে পুদুচেরীর বিশেষ আদালতের ‘মহামহিম হিন্দু ধর্মগুরু’ কে অনুচর সহ খুনের মামলা থেকে মুক্তি দেবার রায়ে দেশজোড়া হিন্দুত্বের তথা তার প্রধান রাজনৈতিক দলের ক্ষমতার পথে যাত্রার মরিয়া চেষ্টার উচ্চকিত স্বর শোনা যাচ্ছে। সামন্তী সাম্প্রদায়িক শক্তি কর্পোরেট মদত নিয়ে যেভাবে আগ্রাসী হতে চাইছে, তা দেশের গণতান্ত্রিক বাতাবরণের সামনে নিঃসন্দেহে গভীর বিপদ। কংগ্রেসের একই রকম কর্পোরেট ঘনিষ্ঠ ‘নরম হিন্দুত্ব’র রাজনীতি বিজেপির উগ্র সামন্তী সাম্প্রদায়িক কর্পোরেট বান্ধব রাজনীতির (একই মুদ্রার) উলটো পিঠ এর বেশি কিছু নয়। কেন্দ্র রাজ্য সংক্রান্ত কিছু বিতর্কের ধুয়োর মধ্যে যাবতীয় সমস্যাকে আড়াল করে জাতীয় রাজনীতির মূল বিপদগুলিতে নীরব থাকা ও প্রাদেশিকতাকেই মূলমন্ত্র বানানো, প্রয়োজন মতো ধর্মীয় ও নানা সুবিধাবাদী কার্ড খেলা ও কখনো বিজেপি, কখনো কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ হয়ে ভোট বৈতরণী পার হওয়ার মমতা, নবীন, নীতীশ ধর্মী কৌশল স্বাভাবিকভাবেই এই বিপদের সামনে কোনও প্রতিরোধ তৈরি করার দাবি রাখে না। আঞ্চলিক বুর্জোয়া বিভিন্ন দলের, এমনকী বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসের পেছনে সি পি এম, সি পি আই এর মতো সংসদ সর্বস্ব বামেদের লেজুরবৃত্তির মধ্যেও এর কোনও উত্তর মিলবে না। সাধারণ মানুষ কৃষক শ্রমিকের বুনিয়াদী দাবি দাওয়ার ভিত্তিতে জনতার জাগ্রত আন্দোলনগুলিই পারে চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক এই পরিবেশকে চ্যালেঞ্জ জানাতে। গণতন্ত্রের শেষ ভরসা যে বিধানসভা, সংসদ বা এমনকী বিচার ব্যবস্থা বা আদালত চত্বরও নয়, বরং মানুষ ও তার আন্দোলনের ময়দান, বাথে বাথানি শঙ্কররামন হত্যা মামলার রায়গুলি সেটা আরেকবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।
২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯
নাজ_সাদাত বলেছেন: ক্ষমতার দাপট না ধর্মের দাপট? ওটা হিন্দু না হয়ে যদি মুসলিম হত তা হলে তাহলে দেখতেন প্রমান হত ওটা খুন করেছে। এমনকি না করলেও। এই যেমন শওকত গুরু কে ফাঁসি দিল কিন্তু কোন প্রমান কি লেগেছে এটা করতে। লাগেনি। আসলে হিন্দুত্ব রাষ্ট্রের মজ্জায় মজ্জায় ঢুকে গেছে। এটা সারার নয় সহজে।
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: সাদাত ভাই, ধর্ম এখানে ক্ষমতার অন্যতম স্তম্ভ হয়ে উঠেছে। ধর্মকে রাষ্ট্রকাঠামোর বাইরে রাখতে পারার ব্যর্থতা ভারতীয় গণতন্ত্রের অন্যতম ব্যর্থতা বলেই আমাদের মনে হয়। এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা বাস্তবে হয়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন ধর্মকে রাষ্ট্র কর্তৃক মদত দেওয়া। হওয়ার কথা ছিল ঠিক উলটোটাই। রাষ্ট্র পরিচালনা ব্যবস্থা থেকে ধর্মকে দূরে রাখা হবে। ধর্ম ব্যক্তির বিশ্বাসে পালনে থাকবে, রাষ্ট্র কোনও ভাবে ধর্ম বিষয়ে জড়াবে না। কিন্তু সেই শুভরাষ্ট্র বহুদূরে আজ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সাবধান!
আপনি কিন্তু আদালত অবমাননা কারী হিসাবে অভিযুক্ত হবেন। আদলদের মান সম্মান অনেককককককক বেশী (?)