![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা
মালাউন সম্পর্কে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন (লিংক পরে রইলো)
"মালাউন কারা ?
মালাউন শব্দ এর অর্থ 'অভিশপ্ত'
বা 'ঈশ্বরের করুণা থেকে বঞ্চিত,
শব্দটি আরবি" ﻣﻠﻌﻮﻥ" থেকে উদ্ভূত।
সাধারণত উগ্র, এবং অশিক্ষিত মানুষ
শব্দটি ব্যবহার করে।
হিন্দু মানুষ ঈশ্বরে বিশ্বাস
করে এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে।
সুতরাং, প্রশ্ন হল যদি মালাউন শব্দ এর
অর্থ 'অভিশপ্ত' হয়,
তবে হিন্দুরা কিভাবে মালাউন হয় ?
শুধুমাত্র খারাপ মানুষ ঈশ্বরের
করুণা থেকে বঞ্চিত হয়।
সুতরাং, হিন্দুরা মালাউন
হতে পারে না ।
যারা এই শব্দটি বলেন, তারা মালাউন ।
কারণ যারা এই
শব্দটা বলে তারা বোমা বিস্ফোরণ,
গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, লুণ্ঠন,
এবং অগ্নিসংযোগে বিশ্বাস করে,
এবং তারাই ঈশ্বরের
করুণা থেকে বঞ্চিত হয়।
যদি কোন অশিক্ষিত, এই সম্পর্কে হিন্দু
দের কিছু বলে, তবে বলে দিবেন তুই
মালাউন, তুই মালাউন"
লিংক - Click This Link
আমি এই শব্দটি আগে এই ব্লগে অনেক শুনেছি। কিন্তু এই শব্দটির সঠিক অর্থ জানতাম না। মনরঞ্জন সিনহা কিছু সূত্র দিলেন। তিনি অবশ্য অন্যদের মালাউন ডাকার যে নিদান দিয়েছেন, আমি তাকেও অতিক্রম করতে চাইবো। কারণ আমি নিরীশ্বরবাদী। পৃথিবীতে নিরীশ্বরবাদীদের সংখ্যা অসংখ্য। আমি ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বর বিশ্বাসী না হলেও বিশ্বাসীদের আঘাত দেওয়ার দরকার বোধ করি না, বরং তাকে অসমীচীন মনে করি। সমস্যাটা বাঁধে ধর্মকে রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্ত করার প্রচেষ্টার মধ্যে। এটা খুবই ভালো যে নেপাল হিন্দু রাষ্ট্র থেকে সেকুলার রাষ্ট্র হয়েছে। খ্রীষ্টান রাষ্ট্রগুলি ধর্ম আর রাষ্ট্রযন্ত্রকে অনেকটাই পৃথক রাখে। আরব দুনিয়ার বাইরে অনেক ইসলাম প্রধান রাষ্ট্রেও সেই চেষ্টা অনেকটা আছে, যদিও দ্বন্দ্ব আছে। বৌদ্ধ প্রধান রাষ্ট্রেও ধর্ম আর রাষ্ট্রকে আলাদা রাখা হয়। ধর্ম আর রাষ্ট্রকে আলাদা রেখে অন্যের বিশ্বাসকে মর্যাদা দিয়ে তার সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা, তর্ক করার পরিবেশ যদি তৈরি করা যায়, তবে পৃথিবী এবং তার নাগরিকদের সম্পর্ক আরো সুন্দর হতে পারে।
২| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৫
আমিনুর রহমান বলেছেন:
চমৎকার বলেছেন। এই শব্দের অর্থ আগেই জানতাম।
আমি বা আপনি যাই বিশ্বাস করি না কেন আমাদের কখন উচিৎ নয় তার বিশ্বাসে আঘাত করা। আমরা যদি একে অপরের বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা রাখতাম তাহলে এতো বিবাদ সৃষ্টি হতো না।
পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১১
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: আমি এটা জানি। তবে কথা হলো কেন মানুষ হিন্দুদেরকে মালাউন বলে এটা আমার জানা নেই। তবে মনে হয় অজ্ঞ এবং মূর্খরাই এই শব্দটি ব্যবহার করে।
৪| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৭
হেমন্ত দা বলেছেন: dadA darun hoice
৫| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০০
গোয়েন্দাপ্রধান বলেছেন: এই সব গালা গালি শুরু করেছিলেন আজ আমাদের কাছে অসাম্প্রদায়িকের ধবজা ধারী রবি ইশ্বর গুপ্ত বঙ্কিম তাদের ভাষায় মুসলিম রা ছিল যবন ইত্যাদি অনেক ভাষায় তা প্রকাশ করেছেন এবং এইসব সেকুলার দের মাথা ব্যাথা হল ইসলাম । আপনি গালি গালাজ করবেন আর আরেক ধর্মের লোক চুপ চাপ শুনে যাবে তাই না ,। পহেলা বৈশাখ কে সার্বজনিন উতসব বলবেন কিন্তু পহেলা বৈশাখ হল হিন্দু দের নানা পুজা চড়ক চৈত্র সংক্রানিতি শিব মেলা ইত্যাদির উপিলক্ষ্য । আর হ্যা ইসলামে রাস্ট্র ব্যবস্থার সকল হুকুম আহকাম আছে তাই অন্য ধর্ম রাস্ট্র থেকে আলাদা রাখলেও ইসলাম তা রাখে না রাখতে পারে না।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৭
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: বেশিরভাগ মুসলিম প্রধান দেশে শরিয়ত প্রধান আইন নয়। আইন স্যেকুলার না হয়ে ইসলামিক হলে মুসকিল হবে বলে আমার ধারণা। কারণ আইনকে ফ্লেক্সিবল হতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে হয়। সপ্তম শতাব্দীর আরব ভূখণ্ডের পিছিয়ে থাকা উপজাতিদের সমাজের আদর্শ কাজের চিন্তার কল্পনার ভিত্তিতে নির্মিত আইন কে সর্বজনীন করলে দেশ কাল পাত্রর ধারণাকে বিকৃত করা হয়। বিশ্বাস কে বিশ্বাসের জায়গায় রাখতে হবে, বাস্তবতাকে বাস্তবতার জায়গায়। আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রর সুযোগগুলি যদি কেউ নিতে না চান, সপ্তম শতাব্দীর চিকিৎসা পদ্ধতিতে আটকে থাকতে চান, তবে তিনি নৈতিকভাবে সপ্তম শতাব্দীর আইনে আটকে থাকার দাবী তুলতে পারেন। যদিও সে রকম কি কেউ নিজে বা আত্মীয় পরিজন অসুস্থ হলে করবেন ? না বিকশিত বিজ্ঞানের সাহায্য নেবেন। ইসলামিক রাষ্ট্রের বিজ্ঞান বইতে কি বিবর্তনবাদকে পড়ানো হবে না বা তাকে ভুল বলা হবে ?
৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:০৫
শাহ আজিজ বলেছেন: পাকিস্তানিরা এই শব্দের ব্যাপক ব্যাবহার করেছে বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানে । দেশ স্বাধীনের পরে কিছুটা কম ছিল এটার প্রকোপ কিন্তু গত দু দশকে জঙ্গি,দল,লিগের কল্যানে এটা এখন জাতীয় ভাষায় রুপ নিয়েছে । হিন্দুরা গোপনে মুসলিমদের বলে "নেড়ে" । আমরা চাইলেই এই শব্দ বিলুপ্ত হবেনা তার প্রধান কারন জাতিগত সহিংসতায় এখন রাষ্ট্রই মদতদাতা ।
৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: জাতিগত সহিংসতায়র ইন্ধনদাতা তো খোদ রাস্ট্র নিজে। সুতরাং সাম্প্রদায়িকতা থাকবে এদেশে, রাস্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায়!
৮| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫১
ক্যাচালবাজ বলেছেন: নেড়ে মানে কি? @ শাহ আজিজ
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৮
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: নেড়ে বোধহয় মুণ্ডিত মস্তক বৌদ্ধভিক্ষুদের বলা হত। ন্যাড়াঁ থেকে নেড়ে।
আর কোনও কিছু কারো জানা থাকলে জানাবেন।
৯| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৬
আদিম পুরুষ বলেছেন: বাঙালি হিন্দুরা মুসলমানদের "যবন" নামের গালি দেয়। ঠিক যেমনি মুসলমানেরা হিন্দুদের মালাউন বলে গালি দেয়। যবন ছাড়াও মুসলমানদেরকে হিন্দুরা ম্লেচ্ছ বলে গালি দেয়। এই দুইটা গালি নিয়ে আপনার কাছ থেকে গবেষণা মূলক পোস্ট আশা করছি। পোস্ট ভালো লাগল।
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩০
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: যবন বা ম্লেচ্ছ শব্দের প্রয়োগ এখন যে তেমন শুনি না, এটা ভালো লক্ষণ।
১০| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৩৬
সীমানা ছাড়িয়ে বলেছেন: আমি যে কোন ধরনের সাম্প্রদায়িক শব্দ ব্যবহারের বিপক্ষে, সেটা হোক মালাউন বা ম্লেচ্ছ বা অন্য কিছু। পোস্টে ভাল লাগা।
১১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:২৮
দি সুফি বলেছেন: লেখক বলেছেন: ............ সপ্তম শতাব্দীর আরব ভূখণ্ডের পিছিয়ে থাকা উপজাতিদের সমাজের আদর্শ কাজের চিন্তার কল্পনার ভিত্তিতে নির্মিত আইন কে সর্বজনীন করলে দেশ কাল পাত্রর ধারণাকে বিকৃত করা হয় ..........
ইসলাম কোন কল্পনাপ্রসূত ধারনা নয়। আপনি বিশ্বাস না করেন, আপনার মত থাকেন। কেন অন্যের বিশ্বাস নিয়া উল্টা-পাল্টা বকেন????
১৩ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০০
সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: আপনি বুঝতে ভুল করেছেন আমার কথাটি। ইসলামকে কল্পনা প্রসূত ধারণা বলা হয় নি, মানুষের কেমন হওয়া উচিৎ তার কল্পনার কথা বলা হয়েছে, এখানে কল্পনা কথাটি ভাবনা শব্দের প্রতিশব্দ হিসেবে ধরতে পারেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৩৭
এই আমি রবীন বলেছেন: আমিও এই শব্দটি আগে ব্লগে, টভিি নাটক, সিনেমায় অনেক শুনেছি। কিন্তু সঠিক অর্থ জানতাম না।
পরিতাপের বিষয়, যারা কুপমুন্ডক, যারা জানেনা মহাসাগর কি তারাই বক্তৃতা, বিবৃতি, স্লোগানে উচ্চকন্ঠ!