নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌভিকের চিন্তাচর্চা

চারিদিকে দেখো চাহি হৃদয় প্রসারি

সৌভিক ঘোষাল

পেশায় সাহিত্যের শিক্ষক। মতাদর্শে মার্কসবাদী। কোলকাতার বাসিন্দা

সৌভিক ঘোষাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

পারিবারিক আইন ও মুসলিম নারীদের অধিকার আন্দোলন

০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:২১

পারিবারিক আইনের সারসংগ্রহ তৈরিতে আসগর আলি ইঞ্জিনিয়ারদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে



[দেশ জুড়ে মাঝে মাঝেই ইউনিভার্সাল সিভিল কোড নিয়ে বিতর্ক ওঠে। বিজেপি যথেষ্ট গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর সেই নিয়ে বিতর্ক আবারো সামনে এসেছে। এই বিতর্কে গণতান্ত্রিক শক্তি বিশেষভাবে নারীর ক্ষমতায়নের প্রশ্নে ‘মুসলিম পার্সোনাল ল’ বা পারিবারিক আইন ও তার সংস্কারকে কীভাবে দেখতে পারে, তা নিয়ে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে একটি মতামত গঠনের লক্ষ্যে এই লেখা।]



আসগর আলি ইঞ্জিনিয়ার চলে গেছেন এক বছর হল। সারা জীবন তিনি ইসলাম ও আধুনিকতার সম্পর্ক নিয়ে ভেবেছেন, মুসলিম নারীদের অধিকার আন্দোলন নিয়ে লড়াই করেছেন। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন এক প্রতিনিধি স্থানীয় মানুষ, যিনি নিষ্ঠা দক্ষতা জ্ঞান ও আন্তরিকতার মিশেলে শেষপর্যন্ত এক শ্রদ্ধেয় প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছিলেন। রাজস্থানের সালুম্বারে এক দাউদি বোহ্‌রা আমিল (যাজক) পরিবারে তাঁর জন্ম হয়েছিল। বাল্যেই তাঁর পিতা শেখ কুরবান হুসেনের কাছ থেকে তিনি আরবি ভাষা শেখেন। প্রথম জীবনেই তাঁকে কোরানের তফসির (টীকা), তব্‌ইল (সুপ্ত অর্থ), ফিক্‌ (ব্যবহারশাস্ত্র) এবং হাদিস (পয়গম্বরের শিক্ষা ও বাণী)-এর শিক্ষা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে বৃহৎ মুম্বই মিউনিসিপাল কর্পোরেশনে কাজ করেছিলেন। ১৯৭০ সালের গোড়ায় তিনি তাঁর চাকরি থেকে স্বেচ্ছা অবসর নিয়ে নিজের দাউদ বোহ্‌রা সমাজের সংস্কারের কাজে সম্পূর্ণ আত্মনিয়োগ করেন। একই সঙ্গে তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা এবং সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন। এই কর্মকাণ্ডের অঙ্গ হিসেবে ১৯৮০ সালে ‘ইন্সটিট্যুট অব ইসলামিক স্টাডিজ’ এবং ১৯৯৩ সালে ‘সেন্টার ফর স্টাডি অব সোসাইটি অ্যান্ড সেকুলারিজম্‌’ প্রতিষ্ঠা করেন। ইসলামে বিশ্বাসী হওয়া সত্ত্বেও তিনি অন্য ধর্মকে শ্রদ্ধা করতেন এবং সমান চোখে দেখতেন। তাঁর লেখা প্রায় পঞ্চাশটি বইয়ে তাঁর এই চিন্তাভাবনা ছড়িয়ে রয়েছে। তাঁরই দাউদি বোহ্‌রা সমাজের কট্টরপন্থীদের হাতে তিনি একাধিকবার নিগৃহীত হয়েছেন। তবু জীবনের শেষদিন পর্যন্ত আসগার আলি ইঞ্জিনিয়ার গোঁড়া ধর্মান্ধদের কাছে কখনো মাথা নোয়াননি। ১৯৯০ সালে কলকাতায় ‘লোকবিদ্যা কেন্দ্র’র এক সভায় আসগার আলি ইঞ্জিনিয়ার ইসলামের সেকুলার তাৎপর্য্য নিয়ে বলেছিলেন। তিনি সেকুলারিজমের ‘ধর্মহীনতা’র অর্থে বিশ্বাস করতেন না।

ধর্মের আওতায় থেকেই মুসলিম পার্সোনাল ল কে যুগোপযোগী করার কথা তিনি ভেবেছেন আর তা মুসলিম ধর্মতত্ত্বর তাত্ত্বিক আইনি ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েই করা সম্ভবপর বলে তাঁর মনে হয়েছে। ভেতর থেকে সংস্কার এর গ্রহণযোগ্য এই পদ্ধতিটি শুধু ইসলামিক সমাজের জন্য নয়, সারা ভারতের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কাছেই অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ। ২০১২ সালে মৃত্যুর এক বছর আগে তিনি ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক স্টাডিজ এর পক্ষ থেকে মুসলিম পার্সোনাল ল এর চেহারা কেমন হতে পারে তার একটি পূর্ণাঙ্গ খসড়া হাজির করেন সংশ্লিষ্ট বহুসংখ্যক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে।

কেন এই আইন সংগ্রহ প্রয়োজন তার বিস্তারিত ব্যাখ্যাও তিনি দিয়েছেন। গোটা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই বিভিন্ন সময়ে মুসলিম মহিলারা জানিয়েছেন তারা শরিয়তি আইনের ভুল প্রয়োগের মাধ্যমে পুরুষদের দ্বারা নানাভাবে শোষিত হয়েছেন। আসগর আলি মনে করেছেন এই ভুল প্রয়োগ সম্ভব হয়েছে শরিয়তি আইনের কোনও সর্বজনমান্য আইনি সার সংগ্রহ রূপে না থাকায়। বিচারে ব্যক্তির নিজস্ব বিচারধারাই সক্রিয় থেকেছে এবং সেখান থেকেই এই সমস্ত ভুলগুলি ব্যাপক আকারে ঘটেছে। ভুলগুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে আইন গুলির মৌলিক স্পিরিটটিই এই সমস্ত রায়ে লঙ্ঘিত হয়েছে। সমস্ত মুসলিম প্রধান দেশে তো বটেই, ভালোসংখ্যক মুসলিম জনগোষ্ঠী বাস করেন এমন সমস্ত অ-মুসলিম দেশেও মুসলিম পারিবারিক আইন সুসংবদ্ধ সার সংগ্রহ হিসেবে বিদ্যমান রয়েছে। পরমাশ্চর্য হলো ভারতে তা নেই এবং এই ব্যতিক্রম এর নিরিখে বিশ্বে ভারতই একম অদ্বিতীয়তম। মনে রাখতে হবে ইন্দোনেশিয়ার পরে ভারতেই সর্বাধিক মুসলিম জনগণের বাস। মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এর বিরোধিতাতেই ভারতে এক ব্যতিক্রমী ব্যাপার চলছে এবং মুসলিম মহিলারা নানারকম বিড়ম্বনার স্বীকার হচ্ছেন।

এই আইনি সার সংগ্রহ তৈরির চেষ্টার সঙ্গে যে শরিয়তি আইনকে বদলে ফেলার কোনও সম্পর্ক নেই, সেটাও আসগর আলি স্পষ্ট করেছেন। মুসলিম পারিবারিক আইনের পূর্ণাঙ্গ খসড়াটি হাজির করার আগে তিনি মুসলিম আইনের বিভিন্ন ধারার কথাও তুলেছেন। ইসলামিক আইন যে দেশকাল নিরপেক্ষ হতে পারে না সে বিষয়ে যুক্তি দিতে গিয়ে তিনি এনেছেন ইমাম শাফির ধ্রুপদী দৃষ্টান্ত। শ্রদ্ধেয় এই আইনবেত্তা সেকালে মদিনা থেকে মিশরে গিয়ে তাঁর আইনগত ধারণাবিধিকে অনেকখানি বদলে ভিন্ন দেশের নিজস্ব প্রেক্ষিতের কথা মাথায় রেখে। প্রথম দিকে ইসলামিক আইন বিষয়ে প্রায় শতাধিক ধারা (ইসলামিক স্কুলস অব ল) ছিল, এখনো তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ধারাই সক্রিয় ও অনুসৃত হয়, যেমন হানাফি, শাফি, মালিকি, হানবালি। ভারতে বেশিরভাগ মুসলিম হানাফি ধারাই অনুসরণ করেন, যদিও কোঙ্কন উপকূল, কেরালা আর তামিলনাড়ুর অনেক মুসলিম অনুররণ করেন শাফি ধারা। এই ভিন্নতার নির্দিষ্ট কারণও রয়েছে। কোঙ্কন, তামিলনাড়ু ও কেরালার মুসলিম সংযোগে রয়েছে সমুদ্রপথ, অন্যদিকে উত্তর ভারতের মুসলিমরা মূলত ইরাক, আফগানিস্থান ভূখণ্ডের সঙ্গে স্থলপথে সংযুক্ত থেকেছেন।

এদেশে মুসলিম পারিবারিক আইনের একটি সারসংগ্রহ তৈরির জরুরী কাজটি করতে গিয়ে আসগর আলি ইসলামের দুটি মৌলিক বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। সে দুটি হল সাম্য ও ন্যায়। এই দুটি আদর্শকে মান্য করতে না পারলে শরিয়তি আইন ইসলামের মূল আদর্শকে রক্ষা করতে পারবে না। নারীর সমানাধিকারের প্রশ্নটি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে আসগর আলি কয়েকটি দৃষ্টান্ত এনেছেন প্রফেট মহম্মদ এর নির্দেশিকা থেকে। ভারতের অনেক ইসলামিক আইন বিশেষজ্ঞই পুরুষের দ্বারা নারীর শোষণের প্রশ্নটি তুলেছেন এবং তাকে ইসলামের মৌলিক সাম্য নীতির বিরোধী বলে গণ্য করেছেন। মৌলবী মুমতাজ আলি খান ও মৌলবী চিরাগ আলি এ বিষয়ে দুটি উল্লেখযোগ্য নাম। মৌলবি মুমতাজ আলি খান ‘নারীর অধিকার’ (হুকুক আল নিশান) নামে একটি বই লিখেছিলেন। সেখানে তিনি কোরান এবং সুন্নার ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন কোরান অনুযায়ী নারী অবশ্যই পুরুষের সমানাধিকারের দাবিদার এবং সে কোনবিচারেই পুরুষের থেকে কম কিছু নয়। এই বইটিকে সুকৌশলে চেপে দেওয়া হয়েছে এবং ইসলামের মৌলিক আদর্শ বিরোধী পুরুষ আধিপত্যবাদী আইনী ব্যবস্থা চালু রাখা হয়েছে। অথচ কোরানের ২.২২৮ সংখ্যক সূক্তটি অনুসরণ করলে নারীর সমানাধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। প্রফেট মহম্মদের জীবনের কিছুটা সময় বাদ দিলে ইসলামিক সমাজে প্রায়শই চতুর্থ শতাব্দীর প্রাক ইসলামী ইরান ও মধ্য এশিয়ার সামন্তী সমাজের পুরুষতান্ত্রিক রূপগুলি আধিপত্য করেছে। ভারতেও তারই প্রকোপ দেখা যায়। বিপ্রতীপে কোরানের ব্যাখ্যা করে আসগর আলি দেখিয়েছেন যে কোরানে পুরুষের আধিপত্যসূচক স্বামী স্ত্রী (বাউল) মাত্র দুবার ব্যবহৃত হয়েছে, পরিবর্তে প্রায় সর্বত্র দম্পতি (জায়জ) শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে, যেটি সমানাধিকারের অর্থ বহন করে। কোরানের মনোযোগী পাঠ থেকে দেখা যায় স্ত্রী, মা, কন্যা বা বোনের অধিকার রক্ষা বিষয়ে পুরুষকে বারবার সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, প্রায় কোথাওই কিন্তু স্ত্রীকে স্বামীর প্রতি কর্তব্য পালনের নির্দেশ দেওয়া নেই।

খসড়া আইনি সার সংগ্রহ তৈরির প্রক্রিয়ায় প্রচলিত ধারণাগুলিকে আসগর আলি অনেক সময়েই নস্যাৎ করেছেন। যেমন বহুবিবাহ। বর্তমান ভারতে মুসলিমদের ক্ষেত্রে এটি নিবারণের কোনও বিধি সেভাবে নেই। কিন্তু খুশিমত চারটি পর্যন্ত বিবাহ করা কোরানের স্পিরিট এর প্রতি অবমাননা। কোরান মোটেই বহুবিবাহকে উৎসাহ দেয় না বরং নারীর প্রতি ন্যায়ধর্ম পালনকেই সর্বাগ্রে গুরূত্ব দেয়। এটা বিশেষভাবে মনে রাখার একাধিক বিবাহের প্রসঙ্গটি কোরানে এসেছে (৪.৩ নং সূক্ত) উহুধ যুদ্ধের প্রেক্ষিতে বিধবা ও শিশুদের অধিকার রক্ষার প্রসঙ্গে, কেননা সেই যুদ্ধে প্রায় দশ শতাংশ মুসলিম পুরুষ মারা গিয়েছিলেন এবং বহু নারী বিধবা হন, বহু শিশু অনাথ হয়ে যায়। আজকের দিনে অনেক উলেমারাই পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিকোণে রক্ষা বহুবিবাহকে সমর্থন করে বসেন এবং যুক্তি দেন এটা বন্ধ করলে সমাজে বেশ্যাবৃত্তি উৎসাহ পাবে। তারা কোরানকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেন এবং ভুলে যান কোরান বলেছে একাধিক স্ত্রীকে সমমর্যাদা দিতে না পারলে একটি বিবাহই বাঞ্ছনীয়। পৃথিবীর নানা দেশেই মুসলিম পার্সোনাল ল কে আইনি সার সংগ্রহর আকার দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে একাধিক বিবাহের ক্ষেত্রে বহুবিধ রক্ষাকবচ রাখা হয়েছে। প্রায় কোনও দেশেই আইনি নিরীক্ষার বাইরে গিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করা মুসলিমদের পক্ষে সম্ভবপর নয় এবং ভারতই এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ব্যতিক্রম। একই কথা প্রযোজ্য তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদের প্রসঙ্গেও। অন্যান্য দেশে এ বিষয়ে নারী অধিকার সম্বলিত যে রক্ষাকবচগুলি রাখা হয়েছে, ভারতে তা নেই। স্বাভাবিকভাবেই আসগর আলি ও তাঁর সহকর্মীরা খসড়া আইনি সার সংগ্রহ তৈরির সময়ে এ বিষয়গুলির প্রতি যত্নবান হয়েছেন।

বিজেপির মত সংগঠন অনেকদিন ধরেই ইউনিভার্সাল সিভিল কোডের প্রচলনের মধ্য দিয়ে সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত নির্দিষ্ট কিছু অধিকার, যেমন মুসলিম পারিবারিক আইনকে তুলে দিতে চাইছে। তাদের অজুহাতের অন্যতম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে মুসলিম সমাজে নারী অধিকারের প্রশ্নটি, যদিও তারাই আবার সামন্তী মানসিকতার সবচেয়ে তীব্র প্রথাগুলির মদতদাতা, যার মধ্যে রয়েছে খাপ পঞ্চায়েত এর মাধ্যমে ভিন জাতের মধ্যে বিবাহকে রোখা, সমকামী অধিকারকে কোতল করা, নারীর অধিকারকে মনুস্মৃতির আদলে বোতলবন্দি করার মত অসংখ্য দিক। বিপরীতে আমাদের রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এর মতো শাসক দলকে দেখছি মুসলিমদের কেবল ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করতেই তারা সচেষ্ট। মুসলিম সমাজ সংস্কারের প্রতি সদর্থক মানসিকতার পরিবর্তে ইমাম মোয়াজ্জেনদের তুষ্ট করার নানা পদ্ধতি গ্রহণ করে মুসলিম সমাজকে মৌলবীদের তাঁবে রেখে দিতে চায় তারা। এই দুই বিপরীত প্রক্রিয়াকে একই সঙ্গে বর্জন করা দরকার। ভারতের মত বহু সংস্কৃতির দেশে গণতান্ত্রিক শক্তি ও আন্দোলনকে অবশ্যই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে কিছু বিশেষ অধিকার দিতে হবে এবং সেই সমাজের ভেতর থেকে উঠে আসা প্রগতিশীল সংস্কার আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে হবে। ইউনিভার্সাল সিভিল কোডের মাধ্যমে মুসলিম পারিবারিক আইন এর বিলোপ নয়, আসগর আলি ইঞ্জিনিয়রদের মতো তার জরুরী সংস্কারের দিকে এগোনোই যথার্থ রাস্তা হতে পারে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: আপনি বরং ভারতে হিন্দু নারীদের সামাজিক অবস্থা নিয়ে কিছু লেখেন।
সেখানে ধর্ষণের এত ঘটনা ঘটছে কেন উৎসাহী মন জানতে চায়।

২০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৩

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: সে নিয়ে লেখা হচ্ছে প্রচুর। আপনি এই ওয়েব সাইটটিতে চোখ রাখতে পারেন।
http://www.cpiml.org

২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:০৪

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী লেখা। পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।

২০ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৪

সৌভিক ঘোষাল বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.