![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কেউ না।
কুকুর একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের দুটো ধুরন্ধর চোখ ও কান আছে এবং ধারলো চোখ দাঁত আছে। কুকুর খুবই প্রভুভক্ত হয়ে থাকে, তথাপি এরা হিংস্র প্রাণী। এরা মাতৃগর্ভে হতে পরিপূর্ণ কুকুর শিশু হয়ে জন্মে থাকে। জন্মের পর অনুকূল পরিবেশ প্রাপ্তি সাপেক্ষে খুবই দ্রুত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়। এদের দৈহিক বৃদ্ধির সাথে সাথে এদের হিংস্রতাও বৃদ্ধি পেতে থাকে।
কুকুর বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন চরিত্রের হয়ে থাকে। কোনটি খেক শিয়াল প্রকৃতির, কোনটি শিকারী, আবার কোনটি ডালকুত্তা নামে পরিচিত। আকৃতিতে যাই হোক, ছোট বড় সব কুকুরের ধর্ম মোটামুটি একই। সাধারণ ও নিরপরাধ মানুষের জীবন ও সম্পত্তিতে আক্রমন করাই কুকুরের ধর্ম।
কুকুরের দাঁত খুবই ধারালো এবং খুবই ভয়ংকর। কুকুর খুব সহজেই তার শিকারকে কাবু করে ফেলতে পারে। এর আছে তীক্ষ্ণ থাবা ও শক্ত চোয়াল। কুকরের আছে বিস্তীর্ণ নেটওয়ার্ক, অনেক দূর হতেও এরা তার শিকারের অবস্থান বুঝতে পারে। যদিও কুকুরকে দিনের বেলা চলাচল করতে দেখা যায়, তথাপি রাতের বেলা এরা অধিক সচল থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদালয় যখন কুকুর দ্বারা আক্রান্ত হয়, তখন এদেরকে আক্রমনের জন্য রাতকেই বেছে নিতে দেখা গেছে। এরা দ্রুত দেীড়াতে পারে, অন্ধকারেও অনায়াসে পথ চলতে পারে। তাই খুব সহজে আক্রান্ত হয় না। তবুও যদি কখনো জনতার ধাওয়া বা পুলিশের দাবড়ানি খায় অথবা জনতা বা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে, তাকে রক্ষার জন্য তার প্রভু সর্বদা প্রস্তুত থাকে, তাই সাধারণত এরা অপঘাতে মারা পড়েনা, আইনের জালেও আটকায় না।
কুকুর স্তন্যপায়ী প্রাণী, খাদ্য তালিকায় ভাত, মাংস, দুধ থাকলেও এদের নোংরা এবং বেহালাল খাবারের প্রতি এদের ঝোক বেশী এবং এই হারাম খাবারই বেশী খেয়ে থাকে।
কুকুর সাধারণত প্রভুভক্ত হয়ে থাকে। এরা প্রভুকে অনুসরণ করে চলে । কুকুরের নিজ প্রভুর নির্দেশ পালন করতে এরা যে কাউকে আক্রমন বা খুন করতে পারে। কুকুরের মালিক কুকুর দ্বারা বহুভাবে ফায়দা লাভ করে থাকে। তথাপি মালিকের সাথে স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে এরা মালিককেও আক্রমণ করতে ছাড়েনা। কুকুর যে শুধু নিরপরাধ মানুষের ওপর আক্রমন করে তা কিন্তু নয়, বরং এরা কর্তৃত্বপরায়ণ বলে এদের নিজেদের মধ্যে প্রায়শঃ দলীয় পদ নিয়ে মারামারি হয়ে থাকে। শিকারকৃত খাবারের ভাগাভাগিতে গোলমাল দেখা দিলে এরা একে অপরকে আক্রমন করে, এমনকি হত্যা পর্যন্ত করে। ঈদানিং তো কুকুর প্রজাতির নিজেদের মধ্যে খুনোখুনির ব্যাপারটা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে।
কুকুর দ্বারা তার মালিক ফায়দা লুটলেও, আম জনতার জন্য কুকুর একটা আতঙ্কের বিষয় এবং একটি ঘৃণিত ও অপবিত্র প্রাণী। যেহেতু কুকুর একটা লোভী প্রাণী, তাই কুকুর প্রায়শই খাবারের লোভে নিরপরাধ মানুষের জান ও মালের ওপর আক্রমণ করে থাকে। কখনো কখনো কুকুর পাগল হয়ে যায়, তখন এদেরকে পাগলা কুত্তা বলা হয়। পাগলা কুত্তার কামড় খুবই ভয়ংকর, কুকুর দ্বারা আক্রান্ত হলে আধুনিক চিকিৎসা নিয়েও অনেকে বাঁচতে পারেনা। তাই এই ধরনের কুকুর দেখামাত্র গুলি করে হত্যা করা উচিৎ।
কুকুরের উৎপাত অত্যধিক বেড়ে গেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে কুকুর নিধন অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এখন দেশে যে হারে কুকুরের উৎপাত বেড়ে গেছে, তাতে করে এমন একটি কুকুর নিধন অভিযান অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠেছে; দুই তৃতীয়াংশের বেশী সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকার নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থকে বলি দিয়ে জাতীয় স্বার্থে পারবে কি কুকুর নিধনের মতো একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে? আমি মনেকরি গরু-ছাগল অপেক্ষা কুকুর শতগুন ভয়ংকর প্রাণী। সারাদেশে কুকুরের এমন উন্মত্ম হিংস্রতা ও তান্ডবের পরও কি সরকার ক্রমাগতভাবে কুকুরের পক্ষ নিতে থাকবে?
বি.দ্র. কুকুর একটি চতুষ্পদ প্রাণী হলেও ঈদানিং একপ্রজাতির দ্বিপদ কুকুরের উৎপাত অধিক হারে বেড়ে গেছে, এই রচনায় চতুষ্পদ কুকুরের বৈশিষ্টের সাথে দ্বিপদ কুকুরের বৈশিষ্টের মিল খুজবার প্রয়াস নেয়া হয়েছে, পাঠক খুজে নেবেন। আমার রচনাটি সকল দ্বিপদ কুকুর মালিকদের প্রতি উৎসর্গকৃত।
১৪ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:০৮
মিতভাষী বলেছেন: দুই তৃতীয়াংশের বেশী সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকার নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থকে বলি দিয়ে জাতীয় স্বার্থে পারবে কি কুকুর নিধনের মতো একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে?
২| ১৪ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:৩৬
আরিয়ানা বলেছেন: কুকুর সম্পর্কে তো আপনি কিছুই জানেন না। এরা সবচাইতে সৎ বন্ধু ও প্রভু ভক্ত প্রানী। নিজের জীবন দিয়েও সে মানুষের মত নীচ প্রানীর প্রান রক্ষা করে। মানুষ অসততা করে কিন্তু কুকর নয়। না জেনে অকারনে অযথা নেগেটিভ কথা লিখবেন না বাংগালী মানুষদের আরো নিচু প্রানীতে পরিচিত করতে। আমার একটা কুকুর ও কখনও ছিল না তবু আমি এসব জানি। নিজেদের অশিক্ষিত বলে পরিচিত না করলে ভাল হয়।
১৪ ই মে, ২০১০ সকাল ৭:৪৯
মিতভাষী বলেছেন: দুঃখিত আরিয়ানা, আমার বিদ্যার জোর যাই হোক, আমি যে কুকুরের চরিত্র বিশ্লেষণ করেছি, আপনি বোধহয় সেই কুকুরের পাল্লায় পড়েননি, তাই আমার লেখার বিষয়বস্তুটা ধরতেই পারেননি। এই ব্লগে কুকুর নিয়ে আরো অনেক পোস্ট হয়েছে, যদি সেগুলো না দেখে থাকেন, তাহলে আমার পোস্ট আপনার না বুঝবারই কথা। লেখাটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আবার পড়ুন, তারপর ভেবে দেখুন আমি ঠিক কোন্ কুকুরদের নিয়ে লিখেছি!!
৩| ১৪ ই মে, ২০১০ সকাল ৮:৫৫
ইশতে আশিক বলেছেন: অসাধারন একটি লেখা। দ্বীপদ কুকুরের উত্তম বৈশিষ্ট গুলো ফুটে উঠেছে।
কিন্তু সেনাবাহিনীর ইঞ্জেকসন পুশের ব্যাপারটি বুঝলাম না। এরকম হয়ে ছিল নাকি কখনো?
১৮ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:০৭
মিতভাষী বলেছেন: হ্যাঁ বাংলাদেশ সেনা বাহিনী চতুষ্পদ কুকুরের উৎপাত বেড়ে গেলে বিষাক্ত ইনজেকশন পুশ করে কুকুর নিধন অভিযান পরিচালনা করে থাকে। এখন যে হারে দ্বিপদ কুকুরের উৎপাত বেড়ে গেছে, তাতে করে একটি দ্বিপদ কুকুর নিধন অভিযান অতি জুরুরি হয়ে পড়েছে।
৪| ১৪ ই মে, ২০১০ সকাল ৯:৫৩
সবুজ সাথী বলেছেন: চরম হইছে, পিলাচ পিলাচ।
১৪ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২০
মিতভাষী বলেছেন: ধইন্যা ধইন্যা...
৫| ১৪ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:১০
শামীম শরীফ সুষম বলেছেন: জগতের সকল মাকুর (মানবকুকুর) নিপাত যাক
১৭ ই মে, ২০১০ রাত ১১:২৬
মিতভাষী বলেছেন: জগতের সকল মাকুর (মানবকুকুর) নিপাত যাক;
.
..
...
.....
......
.......
........
দুই তৃতীয়াংশের বেশী সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকার নিজেদের ক্ষুদ্র স্বার্থকে বলি দিয়ে জাতীয় স্বার্থে পারবে কি কুকুর নিধনের মতো একটা অতীব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে?
৬| ১৪ ই মে, ২০১০ সকাল ১০:৫৬
রাজসোহান বলেছেন: +
১৪ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১৯
মিতভাষী বলেছেন: এতো পরে ক্যান, আপনার কাছে পুত্তুম পিলাস আশা কর্ছিলাম
৭| ১৪ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:৪৬
একাকী বালক বলেছেন: খ্যাক খ্যাক। আরিয়ানা আফা ব্যাপারটা ধরতে পারে নাই। তবে চতুষ্পদ কুকুর খুবই ভাল।
৮| ১৪ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪০
দেবজিত বলেছেন: কুত্তাদের ভাল লােগ
১৭ ই মে, ২০১০ রাত ৯:০৩
মিতভাষী বলেছেন: তাই নাকি? তা সেই কুত্তাগুলো কি দ্বিপদ না চতুষ্পদ তা বল্লেন না তো?
৯| ১৬ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:১২
নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা বলেছেন: কুকুর সম্প্ররকে আপনার জ্ঞানের অনেক অভাব >_<
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই মে, ২০১০ ভোর ৬:৪১
সততার আলো বলেছেন: এখন দেশে যে হারে কুকুরের উৎপাত বেড়ে গেছে, তাতে করে এমন একটি কুকুর নিধন অভিযান অত্যাবশ্যকীয় হয়ে ওঠেছে