![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এবছর স্কুলের প্রথম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকে কোমলমতি বাচ্চাদের অক্ষর চিনানোর জন্য "ও" তে ওড়না ব্যবহার করা হইছে। আর বাক্য হচ্ছে "ওড়না চাই " :O
বেপারটা প্রশাংসার দাবীদার। অত্যন্ত ভাল একটা আইডিয়া।
ওড়না হচ্ছে পাকিস্তানের সংস্কৃতি। এরসাথে বাঙালির কোনো সম্পর্ক নাই। এটা একটা সাম্প্রদায়িক পোশাক। বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে কোথাও ওড়নার কথা লেখা নাই। অথচ আজ স্বাধীনতার ৪৫
বছর পরও সেই ওড়না পরতে নারীদের বাধ্য করা হচ্ছে। অত্যন্ত আফসোরে সাথে বলতে হয়।
ক্লাস ওয়ানের পাঠ্যবইয়ে লেখা "ও তে ওড়নাচাই"! এ নিয়ে বিতর্ক হচ্ছে। "ওড়না চাই" থেকে কোমলমতি শিশুরা নারী পুরুষের বৈষম্য শিখবে, সাম্প্রদায়িকতাশিখবে। অথচ শিক্ষার উদ্দেশ্য হচ্ছে নারী পুরুষের বিভেদ দূর করা, সাম্প্রদায়িকতা দূর
করা। আজ ওড়না চাই, কালকে বলবে হিজাব চাই,
পরশু বলবে জিহাদ চাই। এভাবেই হয়তো ছোট্ট
শিশু সাম্প্রদায়িক হয়ে ওঠবে।
আসলেই ওড়নার কি কোন প্রয়োজন আছে? শাহবাগের আপুরা তো কেউ ওড়না পরে নাই। তাই বলে কি ওনারা খারাপ হয়ে গেছে? নাহ,বরং তারাই তো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারাই তো সবচেয়ে মেধাবী। তারাইসবচেয়ে দেশপ্রেমিক প্রগতিশীল। তাহলেওড়নার দরকারটা কি? সানিয়া মির্জারা
যখন ওড়না ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ব জয়
করছে তখন আমাদেরকে এই এক টুকরো কাপড়
পেছনে ধরে রাখছে। কামিজের সুন্দর কারুকাজ করা ডিজাইনটাথাকে, গলার কাছে। কিন্তু এই ওড়নাটার
কারনে ডিজাইনটা দেখা যায় না। অথচ ওড়না না থাকলে কত্ত সুন্দর লাগতো।
ওড়না পরার কারণে অনেকএক্সিডেন্ট হতে পারে। ভূমিকম্পের সময় দৌড়দিলে প্যাচ লেগে পড়ে মরে যেতে পারে।প্রায়ই শোনা যায়, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে
আত্মহত্যা করলো অমুক কিশোরী। ওড়না যদি
না থাকতো, এসব কিশোরী আত্মহত্যা করতে
পারতো না। বেঁচে যেত অনেক প্রাণ।
ওড়না না থাকলে ইভটিজিং অনেক কমেযেতো। সিনেমাতে দেখতাম মিশা সওদাগরপপির ওড়না নিয়ে দৌড় দিতো। ওড়না নাথাকলে কি এভাবে ইভটিজিং করা যেতো?তাছাড়া গতবছর পহেলা বৈশাখে ঢাকাভার্সিটিতে মেয়েদের ওড়না ধরে
টানাটানি করা হইছিল। যদি ওড়না না থাকতো,
তাহলে এসব টানাটানিও হতো না,বিশৃঙ্খলাও হতো না। ওড়না মানেই তো অপচয়। সারাদেশে দুইকোটি মেয়ে যদি ওড়না পরে প্রতিটা ওড়নার দাম ৫০ টাকা করে হলেও ১০০ কোটি টাকা।ক্যান ইউ বিলিভ? এই ১০০ কোটি টাকা দিয়েআমরা গাছ লাগাতে পারি।
যে জাতি যত কম ওড়না পরে সে জাতি ততবেশি উন্নত। আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র ভারতেরদিকে তাকাতে পারি। এরা এতদিন ওড়নাপরতো বলে অনুন্নত ছিল। ওড়না ছাড়ার পরথেকে ভারত খরগোশের গতিতে উন্নত হচ্ছে।ভবিষ্যতে পৃথিবীর এক নম্বর রাষ্ট্রে পরিণতহবে ভারত।
©somewhere in net ltd.