![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহবাগের গণজাগরণ সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে জামায়াত-শিবির এখন আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম বাহন ইন্টারনেটকে ব্যবহার করছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ব্লগের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে একের পর এক লেখা পোস্ট করছে তারা। ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নানা ধরনের ভুল তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বে। এসব লেখায় যুক্ত করা হচ্ছে শাহবাগ আন্দোলন সম্পর্কে নানা ধরনের অপমানসূচক ব্যঙ্গচিত্র এবং সংবাদপত্রের সাজানো কাটিং। সত্য-মিথ্যা নানা তথ্য উপস্থাপন করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়েও ছড়ানো হচ্ছে বিভ্রান্তি।
এসব অপপ্রচারণায় শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ইসলামের শত্রু এবং দেশ থেকে তারা ইসলাম ধর্মকে উৎখাত করতে চায়_ এমন কথাও বলা হচ্ছে। এসব প্রপাগান্ডার প্রতিবাদ করে শাহবাগের সমবেত জনতার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, 'অনলাইন রাজাকাররা যতই চেষ্টা করুক, যুদ্ধাপরাধীদের
কোনো রেহাই নেই।' এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ার জন্য জনগণের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইন্টারনেটে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে সুকৌশলে বিভিন্ন পদ্ধতি প্রয়োগ করে। ব্লগ বা বিভিন্ন ফোরামে সাধারণত ভুয়া ছদ্মনাম নিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হচ্ছে পোস্ট। বাংলা, ইংরেজি উভয় ভাষায় ইন্টারনেটে চলছে এ ধরনের বেশ কিছু ওয়েবসাইট। কোনো কোনো ওয়েবসাইট দেখে বোঝাই যায় না, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। এগুলো জামায়াতপন্থিরা পরিকল্পিতভাবে পরিচালনা করছে। 'স্টোরি অব বাংলাদেশ' ওয়েবসাইটটি দেখলে মনে হবে না, বাংলাদেশ নামে কোনো রাষ্ট্র আছে।
ওয়েবসাইটের মতো বিভিন্ন ব্লগেও চলছে শাহবাগের আন্দোলনের বিপক্ষে ও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে প্রচারণা। ওয়েবসাইটের সঙ্গে ব্লগের পার্থক্য হলো, কোনো ওয়েবসাইটে ঢুকলে একজন তা দেখা ও মন্তব্য করার সুযোগ পান। কিন্তু ব্লগ বা ফোরামে মন্তব্য করার পাশাপাশি একজন নিজেও লেখা দিতে পারেন। প্রযুক্তির এই সুযোগ বেশ সুচারুভাবে কাজে লাগাচ্ছে জামায়াত-শিবিরপন্থিরা।
সামহয়ারইন ব্লগে সুশীল নামে একজন শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একটি পোস্ট দিয়েছেন, যার শিরোনাম_ 'শোনা কথার ওপর ভিত্তি করেই কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে'। ভেজাল নামের একজন লিখেছেন, শাহবাগ আন্দোলনকারীদের প্রথম ও একমাত্র দাবি ছিল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি। দাবি জানাতেই পারে যে কেউ। কিন্তু আইনের বাইরে তো কারও যাওয়া সম্ভব নয়। শাহবাগে আন্দোলনকারীরা আইন ভঙ্গ করছে। সোনার বাংলা ব্লগে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে শাহবাগের গণআন্দোলনকে অপ্রয়োজনীয় প্রমাণ করায় ব্যস্ত রয়েছেন কয়েকজন।
ব্লগের চেয়ে ফেসবুক প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়ে। জামায়াত-শিবিরপন্থিরা এর যথেচ্ছ ব্যবহার শুরু করেছে। মুহূর্তের মধ্যে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে দেশবিরোধী নানা প্রচারণা। প্রতিদিন ব্যক্তিনামে অসংখ্য ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে এসব প্রচার চালানোর জন্য। তৈরি করা হচ্ছে দল ও পাতা। এসব দল ও পাতায় আসছে একের পর এক মন্তব্য, প্রকাশ হচ্ছে লেখা ও ছবি, চলছে আলোচনা। ব্যক্তিগত ভুয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চলছে কথোপকথন। এর মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে; দেওয়া হচ্ছে ভুল তথ্য।
কাদের মোল্লার ফাঁসির অভিনয় করতে গিয়ে শাহবাগে একজন মারা গেছে_ এমন একটা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে ফেসবুকে। শাহবাগে সমবেত নারীদের নিয়েও করা হচ্ছে নানা নেতিবাচক মন্তব্য।
'বাঁশের কেল্লা' ফেসবুকের একটি পাতা। গতকাল পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৫৪০ জন পাতাটি পছন্দ করেছেন। পাতাটিতে ১ হাজার ৫৮৫টি ছবি ও ৪৭৩টি ভিডিও লিংক রয়েছে। এই পাতার মাধ্যমে সুকৌশলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে। এই পেজে গতকাল ফটোশপে এডিট করে বানানো একটি ছবি শেয়ার দিয়ে লেখা হয়েছে_ দিনের বেলায় যদি এই লীলাখেলা চলে, তবে রাতে কী হচ্ছে? লেখাটি ৪৫৭ জন পছন্দ করেছেন। ২৭৩ বার এটি শেয়ার হয়েছে এবং ২০৭টি কমেন্ট করা হয়েছে।
মতিঝিল স্কয়ার নামের পেজটি ৯৮৮ জন পছন্দ করেছেন। এই পেজে গতকাল নোমান নামের একজন লিখেছেন, 'স্লোগান চলবে একটাই, আন্দোলনের ঘোষণা চাই। আমরা কেন অনুমতির অপেক্ষায়! কেন আমরা জামায়াত-শিবিরের নেতাদের অনুরোধ করছি না, আজই ঘোষণা আসুক। আমরা প্রস্তুত। ঢাকা অচল করে দেব। শাহবাগকে ম্লান করে দেব।' পেজটিতে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে_ শাহবাগিদের নিশানা, বাংলাতে আর রাখব না। সম্প্রতি ফেসবুকের মাধ্যমে খোলা 'মাইক' নামের পেজে গতকাল স্ট্যাটাস দেওয়া হয়েছে_ রাধার খোঁজে এখন শাহবাগে!!!! ডুগি তবলা বাজিয়ে আন্দোলন করতে নামছে। যাত্রার সঙ্গে তুলনা করা যায়, এটাকে আন্দোলন বলা যায় না।
'আসলে আমরা সবাই পারি, ধরা পড়লে মনে থাকে না' পেজে বৃহস্পতিবার স্ট্যাটাস দেওয়া হয়, 'ফাইনাল গোল হচ্ছে ইসলামী রাজনীতি নিষিদ্ধ করা। শয়তান নড়াচড়া দিয়া উঠেছে শাহবাগে।' 'এসো আলোর পথে' পেজে বুধবার লেখা হয়েছে, 'একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ের কিছু ভারতীয় এজেন্ট মিলে শাহবাগে গত দুই-চার দিনে যা করছে তাকে আর যা-ই বলা হোক, আন্দোলন বলা যাবে না।'
শুধু কাদের মোল্লার ফাঁসি দিলেই কি হবে? দেশে আরও কত সমস্যা..., শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করি, কিন্তু আন্দোলনের নামে নারী-পুরুষের অসভ্যতা সমর্থন করি না। ওইটা নাস্তিকদের আন্দোলন, আমিও ফাঁসি চাই, কিন্তু যেই আন্দোলনে নাস্তিক জাফর ইকবাল বক্তব্য দেয়, সেই আন্দোলন আমি সমর্থন করি না_ এ রকম নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়েছে পোস্টেও।
সুত্র: সমকাল
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪
নায়করাজ বলেছেন: জামাত শিবিরের অর্থনৈতিক শক্তি ভেঙ্গে দেন। ওদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে বয়কট করুন। ওদের প্রতিটি অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানুন। ওদের প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করবেন না। বরং বিনিয়োগ বা অংশীদারিত্ব থাকলে প্রত্যাহার করুন। ইসলামী ব্যাংক থেকে সকল টাকা তুলে নিন। আপনার টাকা দিয়ে ওদের দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালাতে দেবেন না।
নিচের লিংকে গিয়ে লেখাটা কপি/পেস্ট করুন। শেয়ার করুন, ছড়িয়ে দিন। সবার সামনে ওদের মুখোশ খুলে দিন। জামাত শিবির পরিচালিত প্রতিষ্ঠানের বিস্তারিত তথ্য পাবেন এখানে : Click This Link
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪২
বোকামন বলেছেন: সমকাল !!!