নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

$

জেনারেশন সুপারস্টার

$

জেনারেশন সুপারস্টার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকানরা কেন পৃথিবীর সেরা জাতি!?

০৫ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১০:১১




এরা প্রত্যেকেই সামরিক অভ্যুত্থান করে দেশের ক্ষমতা দখলের কৌশলকে মনে প্রাণে ঘৃণা করে।তার চেয়ে সাংবিধানিক বৈধ পন্থায় " একজন সিভিলিয়ান হিসেবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হব" এই বোধ নিয়ে এগিয়ে যায়।

আমেরিকান আর্মি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই পৃথিবীজূড়ে মিলিটারী রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে।আর এটার ব্যবস্থা করে ফেলে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকেই। প্রশ্ন হল কিভাবে?ওদের ছিলেন জেনারেল জ্যামস প্যাটন।উনি বুঝেছিলেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে থেকেই সেনাবাহিনীকে যদি ঘোড়া,তলোয়ার আর কাঠের বন্দুকের যুগ থেকে বের করে নতুন ধরণের রণকৌশলে অভ্যস্ত করে সাজানো না যায় তাহলে আমেরিকা কমিউনিস্টদের হাতে হারতে থাকবে।বেঁচে ছিলেন মাত্র ৬০ বছর লোকটা।এই ছোট্ট জীবনেই আমেরিকান সেনাবাহিনীর মোড় ঘুড়িয়ে দেন।তাঁর হাত ধরেই আমেরিকান সেনাবাহিনী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অষ্টাশি হাজার ট্যাংক মাঠে নামায়।আর এধরণের সামরিক মেধাগুলোকে প্রতিবারই ঠিকমত খুজে র‍্যাংক দিয়ে উপরে উঠিয়ে এনে ধারালো করতে আমেরিকান সরকার সবসময় সঠিক সিদ্ধান্তের প্রমাণ দিয়ে আসে।এরপরের আমেরিকান প্রেসিডেন্টদের অবস্থা দেখেনঃ

"রোনাল্ড রিগ্যান-আমেরিকান আর্মির ক্যাপ্টেন;জন এফ কেনেডি-আমেরিকান নেভীর লেফট্যানেন্ট; জর্জ বুশ- আমেরিকান এয়ারফোর্সের পাইলট;বুশের বাবা সিনিয়র বুশ- নৌবাহিনীর পাইলট;বুশের ২০০৪ নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী+ওবামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন ক্যারি(ওবামার সময় গতবছর বাংলাদেশে আসছিলো)- আমেরিকান নৌবাহিনীর নাবিক;জিমি কার্টার- লেফট্যানেন্ট(নেভী);জেরাল্ড ফোর্ড- আমেরিকান নেভীর লেফট্যানেন্ট কমান্ডার;ডোনাল্ড ট্রাম্প নিউইয়র্ক মিলিটারী একাডেমির ক্যাডেট ১৮ বছর বয়সে;এদের বাইরে বিল ক্লিনটন কিশোর বয়সে ভিয়েতনাম যুদ্ধে ডাক পড়লেও পরে আর যান নি।এক বারাক ওবামা ছাড়া গত ৩০ বছরের এবং এর আগের প্রায় সব প্রেসিডেন্ট কোন না কোনভাবে এভাবেই সামরিক জগতের স্বাদ নিয়ে তারপর রাজনীতিতে বসে।"

আমেরিকার মত ইংল্যান্ডেও একই অবস্থা।২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর টুইনটাওয়ারে হামলার পর প্রিন্স হ্যারি নিজ উদ্যেগে ইংল্যান্ডের সেনাবাহিনীতে কমিশন্ড অফিসার হিসেবে যোগ দেন।হ্যারি জানতেন একদিন তিনি ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হবেনই;তাই এই বয়সে কি করব?সেনাবাহিনী থেকে ঘুরে আসি।আমেরিকার নেতৃত্বে আফগানিস্তানের 'ওয়ার অন টেরর'এর যুদ্ধে নিজেই অংশ নেন।আর এখন বয়স ৩৩; সামরিক বাহিনী থেকেও বের হয়ে আসেন।এই ছেলেটা মূলত আমেরিকানদের ফলো করে তার দেশে একই ব্যাপার এপ্লাই করতে চাচ্ছে।এর মানে তাঁর সময় চলে আসছে।

একারণেই এসব দেশে কখনও একনায়কতন্ত্র আর সামরিক শাসন আসেনা।কোনদিন আসবেওনা।আসে শুধু পাবলিকের ভোটের নির্বাচিত গণতন্ত্রিক সরকারের ব্যবস্থা।একারণেই ওদের সশস্ত্রবাহিনীগুলোর রণকৌশল দুনিয়াব্যাপি শীর্ষস্থানীয়।চালাক দেশগুলো এভাবেই আগায় যেন নিরবিচ্ছিন্ন গণতন্ত্র বজায় থাকে।আমাদেরও সময় এসে গিয়েছে এদের দিকে চোখ মেলে তাকানোর।এসব দেশে বিপ্লবী বিদ্রোহী টাইপ হরতাল-অবরোধ নাই যা ব্যবসা বাণিজ্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারে।তাই ব্যবসায়ীরা কোন ফালতু বাঁধা ছাড়ায় বিনিয়োগ করতে পারে।পরের ধাপে ওদের অর্থনীতির ভিত খুব শক্ত হয় আর সামরিক বাহিনীর পেছনে সেরা সেরা সম্পদগুলো খরচ করতে পারে।একারণেই ওদের সামরিক বাহিনীগুলো তীব্র গতিপূর্ণ অবস্থায় পরিণত হয়।আর এভাবে অন্য দেশকে বড় বড় প্রস্তাব দিতে পারে আর অন্য দেশ এসব দেশের সাথে দুই নাম্বারী করতে পারেনা।

এধরণের দেশ তাই বাইরের দেশে দরকার হওয়া মাত্রই অভিযান শুরু করতে পারে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১:০০

আলামিন১০৪ বলেছেন: সেরা জাতি আাম্রকা না, ইহুদী! এদের বুদ্ধি সবার সেরা। আল কোরআনে, ইহুদী জাতির শ্রেষ্ঠত্বের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, এদের একটাই দোষ, এরা ভয়ানক-বিশ্বাসঘাতক আর স্বার্থপর-মিথ্যাবাদী-কপট। প্যালেস্টাইনীদের একটা ছোট রাস্ট্র দিয়ে শান্তি চুক্তি করলে ক্ষতি কি হতো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.