নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো---ছোঁও--- সম্পূর্ণ পাথর হয়ে গেছি কিনা দেখো।

স্পর্শিয়া

স্পর্শিয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাথরকুঁচি ও একটি রুপকথা- ৮ম পর্ব

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৩


দ্বিতীয় জীবন- ১ম পর্ব
পাথরকুঁচির জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়ের আগের অংশটুকু -২য় পর্ব
পাথরকুঁচি জীবনের দিন ও রাত্রীগুলো - তৃয় পর্ব
পাথরকুঁচি জীবনের স্বপ্ন ও কান্নারা -৪র্থ পর্ব
পাথর চোখে দেখা পাথরকুঁচি জীবন- ৫ম পর্ব
পাথরকুঁচি ও একটি কুঁড়ি -৬ষ্ঠ পর্ব
পাথরেও ফোটে পাথরকুঁচির ফুল- ৭ম পর্ব

দিন যত গড়াচ্ছে, আমার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার অসুখটাও যেন ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। রুপকথার মুখের দিকে তাকালেই এক অজানা আশংকায় বুক কেঁপে ওঠে আমার। এ অনুভুতি বড় অদ্ভুত, বড় কষ্টময়। অজ্ঞাত কষ্ট ও আশংকার এ এক মিশেল অনুভুতি, যা কাউকে কখনও বুঝানো যাবে না। এই অনুভুতির সাথে আমার আগে কখনও পরিচয় হয়নি। শৈশব, কৈশোর বা আমার তারুন্যের প্রারম্ভবেলায় আমার আনন্দ ও উচ্ছলতার দিনগুলির সাথে সাথে আমার কিছু বেদনা ছিলো, কষ্ট ছিলো। কিন্তু এ যেন সম্পূর্ণ অভূতপূর্ব কোন এক অনুভুতি। যা কষ্ট, শঙ্কা ও বেদনার।

রুপকথা যখন খিলখিল করে হাসে,ইদানিং আমার আর হাসি আসেনা। হাসতে গিয়ে থমকে যাই আমি। ভয়ে জড়িয়ে ধরি ওকে। বুকের ভেতর হু হু করে ওঠে আমার। মনে হয় এ প্রিয় মুখ, এ প্রিয় হাসির সাথে আর দেখা হবেনা আমার। আর কখনও ওকে জড়িয়ে ধরা হবেনা। অভিমানে ও যখন ঠোঁট ফুলিয়ে কান্না কান্না মুখ করে, আমার তখন মনে হয় স্বর্গেও বুঝি এমন কোনো দৃশ্য দেখা যায়না। সে মুখটা আর কখনও দেখতে পাবোনা আমি। এসব কথা যখন ভাবি, আমার দুচোখে ঝরে অবিশ্রান্ত বর্ষণ। ওর সাথে আমার নেই কোনো রক্তের সম্পর্ক, নেই কোনো আত্মীয়তার দাবী, কোন অধিকারে ওকে ধরে রাখবো আমি? কোন দাবীতে আমার বুকের কাছটিতে জড়িয়ে রাখবো আমি ওকে সারাটাজীবন? সারাটাক্ষন মনে মনে কোনো এক পন্থা খুঁজে বেড়াই আমি। আমার ধ্যান জ্ঞান ও সকল অনুভুতিতে এখন রুপকথা।

নরওয়েতে আমাদের এনজিও এর সেই হাসপাতালে আমার চাকুরীর ব্যাপারটা খুব শিঘ্রই পাকাপাকি হয়ে যাবে বলে জানলাম। খুব ভয়ে ভয়ে ম্যাডাম প্যাট্রেসিয়ার কাছে জানতে চাইলাম, রুপকথার কথা। আমি চলে গেলে কি হবে ওর? ওর বাবা মা বা আত্মীয় পরিজনের তো আজও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ম্যাডাম বললেন ওর ব্যাবস্থাও করা হবে। খুশীতে উজ্জ্বল হয়ে উঠলো আমার দুচোখ। আমি আনন্দের আতিশয্যে ম্যাডামকে ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।

উনি বললেন রুপকথার জন্য ভালো এক চাইল্ড হোমের সন্ধান পাওয়া গেছে। আমি যাবার পর ওকে সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। ওর পড়ালেখা বা জীবনে দাঁড়ানোর মত ব্যাবস্থার কোনো অসুবিধা হবেনা । আমার বাক রোধ হয়ে গেলো। বোবা কান্নায় আমি স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম কতখন জানিনা। রুপকথা চাইল্ড হোমে চলে যাবে? রুপকথার জীবনে আর কত দূর্ভোগ পোহাতে হবে তাকে? আর কত পরিবর্তনের পথ পাড়ি দিতে হবে আমার ছোট্ট রুপকথাকে? আমি কিছু বলার চেষ্টা করলাম ম্যাডামকে কিন্তু আমার গলা দিয়ে কোনো শব্দই বের হচ্ছিলো না।

সেদিন বিকালে রুপকথা সামনের বাগানের সবুজ ঘাসের উপর ছুটাছুটি করছিলো। একটা লালরঙের ফড়িং দেখে ভীষন খুশি হলো সে। ফড়িংটা যত ওর উপর বিরক্ত হয়ে উড়ে উড়ে গিয়ে অন্য কোথাও বসে ও তত খিলখিল করে হাসে আর ফড়িংটাকে দৌড়ে দৌড়ে ধরতে যায়। দু একবার উলটিয়ে পড়েও গেলো ও। আমি অবাক হয়ে চেয়ে থাকি। রুপকথার এই আনন্দগুলো আমি মিস করবো আমার সারাটা জীবন ধরে। ওকে ধরে রাখার কোনো শক্তিই নেই আমার। রুপকথা শুধু ক্ষনিকের অতিথি। সে এসেছিলো আমার জীবনে খুব অল্প সময়ের জন্য। আমার জীবনের পেছনে ফিরে দেখলে আমি একটা জিনিস ভেবে অবাক হই। সব প্রিয় মানুষগুলোর স্থায়ীত্বকাল খুব কম ছিলো আমার জীবনে। প্রিয় মানুষেরা খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে গেছে আমাকে বা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আমার ভাগ্যটাই বুঝি এমন।

একদিন আমার প্রয়োজনে রুপকথাকে আমার কোলে তুলে দেওয়া হয়েছিলো। সে ছিল এক অপূর্ব মায়াবী কৌশল। সে কথা জানতে আমার আর আজ বাকী নেই। আমার সীমাহীন নিসঙ্গতা কাটিয়ে কিছু নিয়ে যেন ব্যাস্ত থাকতে পারি আমি। ক্রমশ নিসঙ্গতার কারণে আমার ভেতরে যে Pareidolia টাইপ নানা মানষিক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিলো। এই নিষ্পাপ শিশুটির সঙ্গ আমাকে ভুলিয়ে দিয়েছিলো সে কষ্টের অনেকটাই। আমার পেরিডোলিয়া টাইপ অসুখ বলতে গেলে হারিয়েই গেছে একেবারে। যে হীনমন্যতা, হতাশা বা পেরিডোলিয়া অসুখে ভুগছিলাম আমি তার কোনো সিম্পটম বলতে গেলে কিছুই নেই আর আজ আমার মাঝে।

হয়তো আমাকেও প্রয়োজন ছিলো রুপকথার। ওরও প্রয়োজন ছিলো মমতাময়ী মা বা মায়ের মত কারো কোল। আজ সেও বেশ সামলে নিয়েছে, এ পরিবর্তনকে, এ নতুন জীবনকে।। তার নিজ রক্তের আত্মীয় পরিজনহীন মানব সঙ্গ ওকে সারভাইব করতে শিখিয়েছে। যে কোনো প্রতিকূলতাতেই ঠিকই দাঁড়িয়ে থাকবে রুপকথা। আমি যখন থাকবো না আমাকে ছাড়াও সে ঠিকই পেরে যাবে ওর মত করে ওর দুনিয়ায় বাঁচতে।

কিন্তু কি করে সহ্য করবো আমি? রুপকথাবিহীন হাতছানি দেওয়া উজ্জ্বল ভবিষ্যত আমাকে ভেংচি কাটতে থাকে। আমি ভাবতে পারিনা । রুপকথাটা ছাড়া আমি একটা মুহুর্তও ভাবতে পারিনা আর। আমি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ি। আমি মানতে পারিনা রুপকথা থাকবেনা আমার সাথে। কি করে বাঁচবো আমি রুপকথাকে ছাড়া? রোজ সকালে উঠে ওর ঘুমন্ত মুখটাতে চুমু দিতে পারবোনা আমি। আমাকেও মা বলে ডাকবেনা আর রুপকথা। তবে কি আমাদের দুজনের কাছে দুজনের প্রয়োজন ফুরালো? নিষ্ঠুর নিয়তি কি সবসময় হাসবে কিছু দূর্ভাগা মানুষের পিছে?

কিছুতেই মানতে পারিনা আমি। আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে আমি এবার নিজেই বুঝতে পারি।

অনেকদিন পর আমি নেটে খুঁজতে বসি আবিরকে।

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +২০/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৭

দরবেশমুসাফির বলেছেন: খুব ভালো হচ্ছে আপনার লেখা। লেখাকে প্রফেশনালি নিতে পারেন। উন্নতি করবেন আশা করি। শুভকামনা।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ দরবেশ মুসাফির। আপনার মন্তব্যে অনুপ্রেরিত হলাম। শুভকামনা।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩২

দরবেশমুসাফির বলেছেন: বাই দা ওয়ে! পোস্টের ছবিটা কার আঁকা?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: আমি জানিনা। তবে আমার আঁকা নয়। এটা নেট থেকে নেওয়া।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: আরেকটা খুব টাচি পর্ব। সামনে কি ঘটবে জানবার অপেক্ষায় রইলাম।

শুভকামনা রইলো।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ শত্দ্রু। আর শুধু একটিই পর্ব লিখবো। সেখানেই জানিয়ে দেবো শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছিলো পাথরকুঁচির জীবনে। সময় শেষ হয়ে আসছে। আবার ফিরতে হবে পুরোনো পথে। ভালো থাকবেন। শুভকামনা সর্বদা।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

কথাকথিকেথিকথন বলেছেন: চমৎকার লেখা । ভাল লেগেছে খুব ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১১

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ কথাকথিকেথিকথন। ভালো থাকবেন সবসময়।

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অন্যান্য পর্বের চেয়ে তূলনামুলক মোটামুটি। +

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১১

স্পর্শিয়া বলেছেন: অন্যান্য পর্বের চাইতে এটা মোটামুটি লাগবে অনেকের কাছে এটাই মনে হয়েছিলো আমার। তবে নিজের কষ্ট ছাপিয়েও কখনও কখনও অন্যের কষ্ট বুকে বেশি বাজে যা হয়তো ভাষায় প্রকাশের ক্ষমতা নেই আমার। ধন্যবাদ গেম চেঞ্জার। শুভকামনা।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৪

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: আরেকটি অসাধারন পর্ব।পরতে পরতে মুগ্ধপাঠ। চলতে থাকুক পাথরকুঁচির আর রুপকথার আনন্দময় জীবন।চলতে থাকুক স্পর্শিয়া আপুনি তোমার লেখালেখি।এভাবে আরো লেখা উপহার চাই আপুনি।ভালে থাকুন অনেক অনেক...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: আর মাত্র একটি পর্ব লেখা হবে রুদ্র জাহেদ। তারপর শেষ হয়ে যাবে পাথরকুঁচির জীবন নিয়ে রচিত নাট্য কথামালা। আপনারা যারা পড়ছেন ও শেষ পর্যন্ত পড়বেন তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা।

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:২০

মি্রাজ বলেছেন: আপনার সব গুলো লেখাই পড়েছি নিরবে! অনেকবার মন্তব্য করতে গিয়েও করিনি। কি লিখব? কি বলে সান্তনা দিব! নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে, কারন আমিও এ সমাজের একজন। আমিই সেই অপরাধী! আমিই যে সমাজ।
আমাদের ক্ষমা করুণ।

চাই- আপনার লেখা চলতে থাকুক, আপনার সফলতাই হবে সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ!!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৮

স্পর্শিয়া বলেছেন: আমার লেখাগুলো পড়ার জন্য ধন্যবাদ। তবে সমাজে সবাই অপরাধী নয়। এখনও অনেকেই আছেন যাদের জন্য বেঁচে থাকাটা অনর্থক নয়। ভালো থাকবেন মিরাজ।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর+

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২০

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: স্পর্শিয়া ,




মানুষকে একসময় না একসময় , কোনও না কোনও ভালোবাসার কাছে এসে দাঁড়াতেই হয় , স্থিতু হতেই হয় ।
তখনই আবিরের রঙ ছড়িয়ে যায় জীবনে .....................

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এসভাই। প্রার্থনা করি আবিরের রঙ ছড়িয়ে যাক সবার জীবনে।

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সুন্দর ! শেষ পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।
একটু ঘষে মেজে বই আকারে প্রকাশ করলে মন্দ হবে না । সপ্তম লাইক ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: অনুপ্রেরণাময় মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৫

সুমন কর বলেছেন: সব প্রিয় মানুষগুলোর স্থায়ীত্বকাল খুব কম ছিলো আমার জীবনে। প্রিয় মানুষেরা খুব তাড়াতাড়ি ছেড়ে গেছে আমাকে বা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। আমার ভাগ্যটাই বুঝি এমন। --- হুম, কঠিন সত্য।

পড়তে ভালো লাগল। +

চলুক.....

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩০

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ সুমন কর।

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯

এস কাজী বলেছেন: হুম আবার অ ভাল লাগার একটি পর্ব।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

স্পর্শিয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ এস কাজী।

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২০

উধাও ভাবুক বলেছেন: নিষ্ঠুর নিয়তি কি সবসময় হাসবে কিছু দূর্ভাগা মানুষের পিছে?

হয়তোবা...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩২

স্পর্শিয়া বলেছেন: আমারও একই ধারণা। শুভকামনা।

১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০

হাসান মাহবুব বলেছেন: নতুন বাঁকের অপেক্ষায় রইলাম। জীবন উপহার দিক অত্যাশ্চর্য কিছু।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব। ভালো থাকবেন।

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫

জেন রসি বলেছেন: আহমেদ জী এস বলেছেন: স্পর্শিয়া ,




মানুষকে একসময় না একসময় , কোনও না কোনও ভালোবাসার কাছে এসে দাঁড়াতেই হয় , স্থিতু হতেই হয় ।
তখনই আবিরের রঙ ছড়িয়ে যায় জীবনে .....................

নতুন পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।শুভকামনা রইলো।

++

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ জেন রসি। ভালো থাকবেন।

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার লেখা। সত্যিই মানুষকে কোন এক সময় ভালোবাসার কাছে এসে দাড়াতেই হয়। ধন্যবাদ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: ভালোবাসা বা ভালোবাসাহীন জীবন। দুটোই বড় রহস্যময়। কি জানি কিসের লাগি প্রাণ করে হায় হায়।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: রুপকথা স্পর্শিয়া রসায়ন খুব জমেছে।

" আজ সেও বেশ সামলে নিয়েছে, এ পরিবর্তনকে, এ নতুন জীবনকে।। তার নিজ রক্তের আত্মীয় পরিজনহীন মানব সঙ্গ ওকে সারভাইব করতে শিখিয়েছে। যে কোনো প্রতিকূলতাতেই ঠিকই দাঁড়িয়ে থাকবে রুপকথা। আমি যখন থাকবো না আমাকে ছাড়াও সে ঠিকই পেরে যাবে ওর মত করে ওর দুনিয়ায় বাঁচতে।

@ সবাই এভাবেই প্রকৃতির কাছ থেকেই শিখে নেয় টিকে থাকার মন্ত্র!

কিন্তু কি করে সহ্য করবো আমি? রুপকথাবিহীন হাতছানি দেওয়া উজ্জ্বল ভবিষ্যত আমাকে ভেংচি কাটতে থাকে।.."

ইংগিত দিচ্ছে বিচ্ছেদের। আসলেই কিছু সম্পর্ক হৃদয়কে একেবারে দুমড়ে মুচড়ে দেয়! জীবনকে উলট পালট করে দেয়! থাক বা না থাক সারাজীবন এর দাগ বহন করতে হয়!

আর আরেক পর্বেই শেষ করে দেবেন শুনেতো আমারও আপনার দশা! রুপকথার মতো লেখাটাইতো ছিল আমাদের রুপকথা! বেশ অপেক্ষায় থাকতাম পরের পর্বের! রুপকথাকে হারানো শংকায়তো বুকটা ঢিপঢিপ করছে!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

স্পর্শিয়া বলেছেন: আর আরেক পর্বেই শেষ করে দেবেন শুনেতো আমারও আপনার দশা! রুপকথার মতো লেখাটাইতো ছিল আমাদের রুপকথা! বেশ অপেক্ষায় থাকতাম পরের পর্বের! রুপকথাকে হারানো শংকায়তো বুকটা ঢিপঢিপ করছে!


আমার এ লেখা আপনাদের কাছে এইভাবে সাড়া পাবে আশা করিনি আমি। আন্তরিক ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু।

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

ডাঃ মারজান বলেছেন: আবারো + শেষ পর্বের অপেক্ষায়। অনেক অনেক শুভেচ্ছা।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

স্পর্শিয়া বলেছেন: শেষ পর্ব শুধু লেখার জন্য লেখা। জীবনের গল্পগুলো বড় দীর্ঘ। তার শেষ কোথায় জানা নেই আমার। অসংখ্য ধন্যবাদ ডাঃ মারজান।

১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৪

দর্পণ বলেছেন: পাথরকুঁচি ও রূপকথার জন্য শুভকামনা। দারুন হচ্ছে।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৪

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ দর্পন।

২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৮

কিরমানী লিটন বলেছেন: অনবদ্য ভাললাগায়-ছুঁয়ে গেলো-চমৎকার মুগ্ধতা,শুভকামনা রইলো ...

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:১৫

স্পর্শিয়া বলেছেন: শুভকামনা সর্বদা। প্রতিটা লেখার সাথে থাকবার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪০

তারছেড়া লিমন বলেছেন: নতুন পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।শুভকামনা রইলো।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৩:২৪

স্পর্শিয়া বলেছেন:


ধন্যবাদ লিমন।

২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

নেক্সাস বলেছেন: লিখে যান.। হাতে জোশ আছে

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস।

২৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ শত্দ্রু। আর শুধু একটিই পর্ব লিখবো। সেখানেই জানিয়ে দেবো শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছিলো পাথরকুঁচির জীবনে। সময় শেষ হয়ে আসছে। আবার ফিরতে হবে পুরোনো পথে। কেন? খুব জানতে ইচ্ছে হচ্ছে।

প্লিজ আরও নতুন নতুন লেখা চাই, প্লিজ, প্লিজ, প্লিজ। ভেবে দেখবেন লেখালেখি নিয়মিত করা যায় কি না।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

স্পর্শিয়া বলেছেন: আসলে সব কেনোর উত্তর হয় না কারণ উত্তরদাতা নিজেও সেই কেনোর উত্তর জানেনা।

আরও লিখবার চেষ্টা করবো ভাই।

ভালো থাকবেন।

২৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৩

মো: আশিকুজ্জামান বলেছেন: লেখা শেষ কিনা জানা না। তবে অসাধারন লিখেছেন। ১ম থেকে শেষ পযর্ন্ত পড়লাম। ভাললাগল। শুভকামনা রইল।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২২

স্পর্শিয়া বলেছেন: শুভকামনা আশিকুজ্জামান। ভালো থাকুন।

২৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: রূপকথা ও পাথরকুচির এ অপার্থিব সম্পর্কটা উভয়ের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং therapeutic ছিল। এ দুয়ের বিচ্ছেদ যে কতটা মর্মান্তিক হবে, সে কথা ভাবতেও শিউরে উঠছি।
এত চমৎকার একটা সিরিজ লিখেছিলেন আপনি! এটা নিয়ে খুব সুন্দর একটা মুভি বানানো যেত, কোন ভালো পরিচালকের হাতে স্ক্রিপ্ট পড়লে।
আফসোস, স্পর্শিয়া বুঝি ব্লগ থেকে একেবারে হারিয়েই গেল শেষ পর্যন্ত!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.