নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রঙের মানুষ

সপ্তম৮৪

রঙের মানুষ

সপ্তম৮৪ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভেঙ্গে মোর ঘরের চাবি কে আমারে নিয়ে যাবি

১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৫০

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় পেতে জামাতের সামনে প্রধান বাধা কি?
১/ বিএনপি
২/ ৭১
৩/ ভারত
৪/ মাঠে না থাকা আওয়ামী লীগ।

স্বাধীনতার পরে মানে ৭৫’র পর থেকে জামাত ক্ষমতার স্বাদ নিতে পারেনি। আসলে তেমন সুযোগ পায়নি। প্রতিবারই তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৭১ সালে তাদের ভূমিকা। ৯১’এ বিএনপির বদান্যতায় সামান্য সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু এতে ক্ষুধা মেটার কথা না। তারা চায় বাংলাদেশের সংসদে পূর্ণমাত্রায় আধিপত্য নিতে। এতদিন বৃহৎ দুইটি দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির চাপে তাদের সামনে আসার সুযোগ হয়নি। এবার আওয়ামী লীগ নাই। তাই বিএনপি এবং জামাতই মাঠে প্রধান দু’টি দল।

দেখা যাচ্ছে জামাতের সামনে প্রধান বাধা বিএনপি। কিন্তু দেশের মানুষ বিএনপিকে আগে ক্ষমতায় দেখেছে। তাদের কর্মকাণ্ড কারো অজানা নয়। গত ১৫ মাসে আরো বেশি করে বিএনপি’র রূপ দেখতে পেয়েছে জনগণ। তাহলে কি বলা যায় বিএনপি নামক বাধা সহজেই তারা কাটিয়ে উঠতে পারবে?

৭১ সালে জামাতের ভূমিকা নিয়ে এতদিন জনগণ খোটা দিয়েছে। জেনজি প্রজন্ম সে ভূমিকাকে বড় ব্যাপার মনে করে না। "তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার” স্লোগানই সেটা প্রমাণ করে দেয়। জেনজিদের বড় একটা অংশ এখন ক্ষমতায়। তারা ৭১ সালের বিষয়টা সেটলমেন্ট করতে চায়। তাছাড়া ৭১’র ভূমিকার জন্য তাদের গণহত্যাকারী দল বলা হয় সেটাও তারা আওয়ামী লীগ দিয়ে রিপ্লেস করে দিয়েছে। এখন দেশে গণহত্যাকারী দল একটাই সেটা আওয়ামী লীগ। অতএব ৭১’র বিষয়টাও তারা এবার সহজেই পার পেয়ে যাবে। ভোটের ক্ষেত্রে বাধা হওয়ার কথা না।

ভারত বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব সময়ই ভূমিকা রেখে আসছে। তারা সব সময় চেয়েছে মহল্লার বড় ভাইয়ের মত আশপাশের ছোটদের উপর মাতবরি করতে এবং বাংলাদেশে যে সরকারই ক্ষমতায় আসুক তারা যেন সালাম ঠুকে চলে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ধর্মের জনগণ ভারতের কাছে বড় একটা রাজনৈতিক ব্যাপার। যার জন্য ইউনুস সরকারের আমলে গত দুই পুজোতে দেখা গেছে জামাতের অদ্ভুত আচরণ। জেনজিদের রাস্তায় নামিয়ে “দিল্লি না ঢাকা” স্লোগানে ভারতবিরোধী মনোভাব পোষণকারী পাবলিকের মন জয় করলেও জামাতের নেতারা পুজোয় গিয়ে নেচেছেন, বেদের শ্লোক মুখস্ত করে শুনিয়েছেন, রাত জেগে অনেক জায়গায় পূজার মণ্ডপ পাহারা দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা ভারত যেন রেগে না যায় এজন্য বড় বড় ভারতবিরোধী বুলি আওড়ালেও আওয়ামী লীগের আমলে ভারতের সাথে করা অনেক চুক্তিই ইউনুস সরকার বাতিল করেননি। অর্থাৎ ভারতের পয়েন্টও জামাত সহজেই কাটিয়ে যাবে ভোটের মাঠে।

আওয়ামী লীগ যেহেতু মাঠে নাই তাই জামাতের জন্য সামনের নির্বাচনে তারা তেমন কোন বড় বাধা নয়। এছাড়াও জামাতের পক্ষে বেশ কিছু প্লাস পয়েন্ট আছে। বিএনপি, আওয়ামী লীগ উভয় দলের নেতারা পাবলিকের কাছে দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, অবৈধ দখলকারী ইত্যাদি ইত্যাদি। তাদের কারণেই পাবলিক (বিশেষ করে জেনজি) মনে করে রাজনীবিদ মানেই কলঙ্কওয়ালা।

মাশাল্লা জামাত এসবের মধ্যে নাই। চাঁদের কলঙ্ক থাকলেও জামাতের কোন কলঙ্ক নাই। অনেকেই গর্বের সাথে বলে জামাতের নেতাদের দুর্নীতির প্রমাণ দেখান। জামাত মানেই মেধাবী। জামাতের বড় অংশ আইনজীবী, ডাক্তার, শিক্ষক। অনেকেই বলেন, জামাত ক্ষমতায় আসলে নারীদের বস্তাবন্দি হতে হবে। আর জামাতের সমর্থক নারীরা আফগানী নারীদের মত আগাগোড়া বোরকায় ঢাকা থাকবে। জামাত মানেই ১৪০০ বছর আগের পৃথিবী। অথচ ওরা দেখে না সেহরিন মোনামীর মতো স্মার্ট, প্রগতিশীল নারীরাও জামাত করেন। মাহমুদুর রহমানের মতো ক্লিন সেভড ৬০+ ভদ্রলোকও জামাত করেন। অর্থাৎ জামাত মানেই আফগান ব্যাপারটা একটা আওয়ামী বয়ান।

এত এত পজিটিভ পয়েন্ট থাকার পরেও জামাতের ক্ষমতায় যেতে আসলে বাধা কোথায়!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২৪

স্বকীয়তা বলেছেন: দেশের বর্তমান জনসংখ্যার প্রায় ৫০% অনূর্ধ্ব ৩৫, মানে জেনজি। শিবিরও প্রতিটি ক্যাম্পাসে পজেটিভ অবস্থানে আছে। আবার, নেতাদের নারী বা অর্থ নিয়েও কোনো কেলেঙ্কারি নেই। খুবই শৃঙ্খল একটি কর্মীসভা করেছে।
অর্থাৎ, বিএনপি কোনো বাধা নয়।
বাকিগুলো বাধা।

২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:১৩

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: জামাত মানেই ১৪০০ বছর আগের পৃথিবী।
...........................................................................
তাহলে এই ব্যাক ডেটেড দলকে কেন
জনগন ভোট দেবে ???
জামাতের উৎপত্তি ও লালন স্হল হলো
দিল্লী ও পাকিস্হান
সেখানে তাদের কোন অবস্হান নেই
তাহলে , যত মড়া সব
বাংলাদেশের জন্য ???

৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ ভোর ৬:৫৯

বাজ ৩ বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষনের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.