নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইচ্ছের ঘুড়ি

নিজের সম্পর্কে বলার কিছু নাই,কারন প্রতি মুহূর্তে নিজেকে আবিষ্কার করি নতুন করে......

ইচ্ছের ঘুড়ি › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রশ্নগুলোর উত্তর জানা আছে কি কারো ? ? ?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০

আমি লন্ডনে যে বাসায় থাকি সেখানে আমাদের সাথে বাসার মালিকের ভাগ্নেও থাকেন।আমাদের মালিকের ভাগ্নে TESCO কিংবা SAINSBURY'S এর মুরগি খান না কারন এগুলো "আল্লাহু আকবর" বলে জবাই করা হয় না,খুবই ভালো কথা কিন্তু ভাগ্নে নারী সংক্রান্ত এমন কোন আকাম নাই যে করেন নাই......এই হল আমাদের ধর্ম তথা ধর্মীয় মূল্যবোধ,আমরা মুরগির মধ্যে ধর্ম খুঁজে বেড়াই কিন্তু নৈতিকতার মধ্যে না।



আমাদের এলাকায় আমি ব্যাক্তিগতভাবে এমন কয়েকজন চালের আড়ৎদারকে চিনি যারা প্রতি মৌসুমেই চাল ইচ্ছে করে নিজেদের গুদামে সংরক্ষণ করে রাখেন যাতে পরে দাম বাড়লে বিক্রি করতে পারেন।আপনারা হয়তোবা উনাদেরকে খুব খারাপ ভাবছেন কিন্তু খারাপ ভাবার কোন কারন নেই কারণ উনারাও নিজেদের আড়তে আল্লাহ এর ৯৯ নাম এমনকি আল্লাহ-রসূলের নাম সম্বলিত পোস্টার ঝুলিয়ে রাখেন যাতে আল্লাহ ব্যবসায় রহমত দেন......... বলা বাহুল্য,কৃত্তিম সংকট সৃষ্টি করে চালের দাম বাড়িয়ে উনারা আল্লাহ্‌র বিশেষ রহমত হাসিল করতে চান।



আমাদের এলাকা থেকে কিছু দূরে এক মদখোর থাকতেন,কি মনে করে বছর দুয়েক আগে তিনি হজ্জে গেলেন।হজ্জ করে আসার পর প্রথম ৪০ দিন উনি লাল পানি ছুঁয়ে দেখেন নাই কারণ এতে হজ্জ নষ্ট হয়ে যাবে তবে ৪০ দিন পর তিনি আবার আগের জীবনে ফিরে গিয়েছিলেন...............হজ্জ করা এখন একটি সামাজিক স্ট্যাটাস,বয়স ৪৫ পেরুলেই নামের সামনে হাজি কিংবা আলহাজ্জ লাগানো বড়ই দরকার,হজ্জ করার পর প্রথম ৪০ দিন একটু দেখে শুনে চলতে হবে এরপর যাই করেন সব শুদ্ধ,পাথরে চুমা দিয়া আপনি তো নিষ্পাপ হবার সার্টিফিকেট নিয়াই নিছেন,আপনাকে আর ঠেকায় কে ?



আমার দেখা,এক গাঁয়ে হলুদের অনুষ্ঠানে মেয়েরা সেরকম সাজগোজ করে আসছে কারণ ভিডিও এবং SLR ক্যামেরার ছবিতে ঐশ্বরিয়াময় একটা লুক হইতে হবে।যেই মাত্র এশার আযান দিল,চিকনি চামেলিরা তখন মাথায় কাপড় দিয়া বিবি ফাতেমা হইতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন............ আমাদের কোন হাদিস কিংবা পবিত্র ধর্মগ্রন্থে মনে হয় লিখা আছে,সারাদিন যেভাবে ইচ্ছে সেভাবে চলেন কোন সমস্যা নাই,কেবল আযানের সময় একটু খেয়াল কইরা মাথার কাপড় দিয়া পর্দাশীল হবার চেষ্টা করবেন.........



আমার চাচা নাকি একজন সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাকে চিনতেন যিনি কিনা নিজের ঘুষের টাকা থেকে বাচ্চার স্কুল ফি এবং শিক্ষকের বেতন দিতেন না কারণ এই টাকা ঘুষের টাকা।ঘুষের টাকায় ছেলেকে পড়ালে ভবিষ্যতে ছেলের অমঙ্গল হইতে পারে...........একবার ভাবেন ঐ ভদ্রলোকের অবস্থা।



কিছু কথা - আমি এই লিখাটা পোস্ট করার আগেই চিন্তা করে রাখছিলাম,আমি এই ঘটনাগুলোর কোন বিশ্লেষণে যাবো না।আমি এই ঘটনাগুলো সবার সামনে তুলে ধরে কেবল সবার বিবেকের কাছে কয়েকটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছুড়ে দিতে চাইছি ? প্রশ্নগুলো কি সেটা আশা করি আমাকে ভেঙ্গে বলতে হবে না..................

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৭

রিওমারে বলেছেন: ১ নম্বর টারে লাথি দিয়া জানালা থেকে নিচে ফালাইতে পারলে মুরগী খাওয়া শুরু করবে।। এরা সবাই জ্ঞান পাপী।।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩১

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: ভাই, আমি তো একই বাসায় থাকি তাই আমার পক্ষে সম্ভব না,আপনি আইসা নিচে ফালাইয়া দেন...............

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮

সুলাইমান হাসান বলেছেন: সবখানেই এই অবস্থা চলতেছে :( :( :(

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: জি,ঠিক ধরছেন.........

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১০

রৌহান খাঁন বলেছেন: সব ঈ ঢঙ্গ আর রঙ

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩২

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: হুমম ...

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২০

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: বক ধর্মিক বলা হয় এদের... তবে সবাই খারাপ না.. আমি অবশ্য ধর্মহীন মানুষের থেকেও এই ধরনের মানুষ বেশি অপছন্দ করি.... X( X(

আমার এক মামা আছে, সব ঠিক, কিন্তু পেনশনের টাকা ডিপোজিট করছে !! B:-)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: আমি অবশ্য ধর্মহীন মানুষের থেকেও এই ধরনের মানুষ বেশি অপছন্দ করি..সহমত

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২১

িশশু দর্পন বলেছেন: আপনি একেবারেই সত্য কথাটা তুলে দিলেন ভাই , এজাতীয় আরও উদাহরন দেয়া যাবে । আমি আবার উদাহরন দিতে গেলে ব্যান খামু ।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: থাক ভাই,ভদ্রলোকের জন্য ইশারাই যথেষ্ট...আপনার শুধু শুধু ব্যান খাওয়ার দরকার নাই .........

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৪

বাংলার হাসান বলেছেন: হুমম আসলে আমরা নিজেরা নিজেকে অনেক ভাল মনে করি। যদিও আমার মাঝে যে ভুল সেটা দেখি না।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: আমরা সব সময় নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ধর্মকে নিজেদের মত ব্যাখ্যা করি...............

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩১

আমিনুল ইসলাম সজিব বলেছেন: জ্ঞান পাপীদের বর্জন । নিজ সর্বোচ্চ চেষ্টা করি ভালো থাকার---- কোরআন হাদিস মানার ...

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: আল্লাহ আপনার তথা সবার মঙ্গল করুক .........

৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

ইভা_110 বলেছেন: আপনার উপস্থাপিত বিষয়টি পড়ে আমার কাছে মনে হয়েছে । আপনি অত্যন্ত মুর্খ একজন মানুষ। লন্ডনে থাকাটা বড় বিষয় নয় আরও অনেকেই লন্ডনে আছেন।
যে বিষয়টি আপনি উপস্থাপন করেছেন ধর্মীয় অনুভুতি দিয়ে ধর্মকে আঘাত করতে চেয়েছেন। উল্লেখিত অবস্থা শুধু আপনার পাশে কেন পৃথিবীর যেখানে যাবেন সেখানেই পাবেন। সৌদি বাদশাদের প্রায় সবাই মদ, নারী ... আর যত আকাম কুকাম আছ সবই করেন। যার কিছুটা মিডিয়াতেও আমরা জানতে পাই। মক্কা শরীফের খাদেম যখন একজন বেগানা নারী হস্তমর্তন করেন ?!
আপনাকে বুঝতে হবে ধর্ম এবং ধার্মিক দুটি আলাদা বিষয়। অতএব যারা ধর্ম পালন করেন তাদের অক্ষমতা বা ত্রুটিকে ধর্মের উপর লেপে দিলে চলবে না।
আপনার এই বিষয়টি পবিত্র কুরআনে এবং হাদীসে রয়েছে ।
মহান আল্লাহ বলেন :
{وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَعْبُدُ اللَّهَ عَلَى حَرْفٍ فَإِنْ أَصَابَهُ خَيْرٌ اطْمَأَنَّ بِهِ وَإِنْ أَصَابَتْهُ فِتْنَةٌ انقَلَبَ عَلَى وَجْهِهِ خَسِرَ الدُّنْيَا وَالآخِرَةَ ذَلِكَ هُوَ الْخُسْرَانُ الْمُبِينُ}(الحج/১১).
এবং জনগণের মধ্যে এমনও আছে যারা শুধু মুখে মুখে আল্লাহর ইবাদাত করে [কাজে ও অন্তর থেকে নয়] তাই যদি তাদের কোন লাভ ও কল্যাণ আসে তখন সন্তুষ্ট থাকে; কিন্তু সে যদি কোন পরীক্ষার [অভাব,অকল্যাণ, অনিষ্ট বা . .] সম্মুখীন হয় তখন সে ধর্মের প্রতি বিমুখ হয়ে যায়, এ ব্যক্তি [তার এজাতিয় আচারণের ফলে] দুনিয়া এবং পরকালে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর এটা [দু’মুখো আচারণ বা মুনাফেকি] এমন এক ক্ষতি যা সকলের কাছে সুস্পষ্ট। সুরা হাজ্জ ১১ নম্বর আয়াত।
ইমাম হোসেইন (রা.) বলেন :
قال الإمام الحسين بن علي ( ع ) : " النَّاسُ عَبِيدُ الدُّنْيَا ، وَ الدِّينُ لَعِقٌ عَلَى أَلْسِنَتِهِمْ ، يَحُوطُونَهُ مَا دَرَّتْ مَعَايِشُهُمْ ، فَإِذَا مُحِّصُوا بِالْبَلَاءِ قَلَّ الدَّيَّانُون
নি:সন্দেহে মানুষেরা দুনিয়ার বান্দা দাস পার্থিব স্বার্থান্ধ, আর ধর্ম হচ্ছে তাদের মুখের বুলি মাত্র, তাই যতক্ষণ তাদের স্বার্থ হুমকীর সম্মুখীন হয় না বা সুখে জীবনযাপন করে ততক্ষণ ধার্মীক থাকেন আর যখন তাদের স্বার্থ ক্ষতির স্বীকার হয় বা বিপদে পতিপন্ন হয় তখন তদসামান্যই প্রকৃত ধার্মিক মানুষ পাওয়া যায়।

তাই ধর্ম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ও নৈতিক ও আত্মিকভাবে নিজেকে যারা গড়ে তুলেননি তাদের অধিকাংশ ওরকমই থাকবে। মনে কিছু নিবেন না কথাগুলো স্পষ্ট ভাষায় বললাম।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২২

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: আপনার মূল্যবান অবজারভেশন এর জন্য ধন্যবাদ। কোন কিছু না বুঝলে দয়া করে ভালো করে পড়বেন কিন্তু আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন প্লীজ।আমি যেটা বুঝাতে চেয়েছি আপনি সেটাকে নিজের মত ব্যাখ্যা করে একটা মন গড়া অবজারভেশন করলেন।" যে বিষয়টি আপনি উপস্থাপন করেছেন ধর্মীয় অনুভুতি দিয়ে ধর্মকে আঘাত করতে চেয়েছেন" - আমার পোস্টের আপনি ভুল একটা ব্যাখ্যা দাড়া করিয়েছেন।আমার এই পোস্টের মুল উদ্দেশ্য ছিল যে,আমরা নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ধর্মকে যেভাবে অপব্যাখ্যা করি সেটা সবার সামনে তুলে ধরা।আমি প্রশ্নগুলো ছুড়ে দিয়েছি সেসব মানুষের দিকে যারা ধর্মকে নিজেদের মত করে অপব্যাখ্যা দেন।
" লন্ডনে থাকাটা বড় বিষয় নয় আরও অনেকেই লন্ডনে আছেন"- আপনি এভাবে বাক্তিগত আক্রমন করার কারণ কি?আমার পোস্টের কথায় এমন কি ছাপ আছে যে,আমি লন্ডনে থাকাটাকে বড় করে দেখতে বলেছি। আমি দেশ এবং বিদেশের মাটিতে আমার দেখা কিছু ঘটনা তুলে ধরেছি মাত্র কিন্তু আপনি যেভাবে মন্তব্য করলেন সেটা মোটেও সমীচীন নয়। আয়াতসহ রেফারেন্স দিলেন কিন্তু কিভাবে মানুষকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয় সেটা জানেন না,এটা সত্যিই দুঃখজনক ............

৯| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১২

পণ্ডিত মশাই বলেছেন: এগুলো "আল্লাহু আকবর" বলে জবাই করা হয় না,খুবই ভালো কথা কিন্তু ভাগ্নে নারী সংক্রান্ত এমন কোন আকাম নাই যে করেন নাই......এই হল আমাদের ধর্ম তথা ধর্মীয় মূল্যবোধ

সেই লোক যদি ঐ মুরগি খেত তাহলে কি ভালো করত? দুটি পাপ কাজ ভালো না একটি? আর সৃষ্টিকর্তা কিন্তু আমাদের প্রতিটি খারাপ এবং মন্দ কাজেরই হিসেব নিবেন। সে তার খারাপ কাজের শাস্তি পাবে এবং ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত হবে। তাই নয়কি?

ইভা_110 এর সাথে সহমত।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: জি ভাইয়া ঠিক বলছেন।তবে ঘরের মধ্যে মাকে ক্ষুধার্ত রেখে কেউ যদি মসজিদে তবারক দেয় তখনও নিশ্চয়ই আপনি একই কথা বলবেন যে, " সে তার খারাপ কাজের শাস্তি পাবে এবং ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত হবে"।

১০| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৭

তারছেড়া লিমন বলেছেন: এরা সবাই জ্ঞান পাপী।।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৭

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: সহমত .....................

১১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

পণ্ডিত মশাই বলেছেন: মসজিদে তবারক দেয়া ভালো কাজ! এটা কোথায় পেলেন?

যাইহোক আমি যেটা বুঝাতে চেয়েছি, সেটা হল একটা খারাপ মানুষ ভালো কাজ করলেও সেটা ভালো কাজ আর ভালো মানুষ ভালো কাজ করলেও সেটা ভালো কাজ।

তবে লোক দেখানো ভালো কাজটা অবশ্যই ভালো নয়। কিন্তু তার মনে কি আছে সেটা কিন্তু আমরা কেউ জানি না।

ধরুন একটা লোক ঘুষের হারাম টাকা উপাজন করল, এখন সেই টাকা কি সে আরেকটি হারাম কাজে ব্যয় করবে?

১২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০০

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: ভাই,ইসলাম একটি চেইন এবং পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।সবার প্রথম আপনার ঈমান আনতে হবে,আর ঈমান শব্দটা শুনতে যত সোজা মনে হয়,ব্যাপারটা মোটেও সেটা নয়।আমরা নামাজ পড়ি,রোজা রাখি কিন্তু আমরা খারাপ কাজ করা থেকে বিরত হই না।ইসলামে ঈমান আনা হচ্ছে পূর্বশর্ত,সব কিছুর আগে আপনার ঈমানকে শক্তিশালি করতে হবে, আমরা আমাদের ঈমানকে নিয়ে চিন্তিত না,আমরা সব সময় নিজেদের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ধর্মকে নিজেদের মত ব্যাখ্যা করি.....আমি কেবল এই ব্যাপারটা তুলে ধরতে চেয়েছি।
ইসলামের মৌলিক পরিভাষা হিসেবে ঈমান পরিভাষাটির মর্ম হলো- মহাবিশ্বের স্রষ্টা মহান আল্লাহর অস্তিত্ব, এককত্ব, অধিকার, ক্ষমতা ও গুণাবলী সম্পর্কে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্ট বুঝ, জ্ঞান ও ধারণা অর্জন করে তাঁর কাছে নিজেকে নিরংকুশভাবে সঁপে দিয়ে নিশ্চিন্ততা, স্বস্তি ও প্রশান্তি অর্জন করা এবং অন্যসব কিছু থেকে নির্ভয় ও নির্ভীক হয়ে যাওয়া।আল্লাহর বাণী আল কুরআনের দৃষ্টিতে :

১. মহান স্রষ্টা আল্লাহ ও মানুষের মাঝে সম্পর্কের ভিত্তি হলো ঈমান।
২. আল্লাহর জিম্মায় জীবনের প্রকৃত কল্যাণ ও সাফল্য লাভের পূর্বশর্ত হলো ঈমান।
৩. ঈমান ছাড়া হিদায়াত তথা সরল সঠিক পথ লাভ করা সম্ভব নয়।
৪, ঈমান বিহীন সৎকর্ম তলা বিহীন ঝুড়িতে রাখা মনিমানিক্যের মতোই নিষ্ফল।( সুতরাং, উনার হালাল খাওয়া যে আল্লাহর কাছে কোন পার্থক্য গড়ে দেয় না এটাই সেই প্রমান,আর জিনি পরনারীতে আসক্ত তার যে ঈমান নাই সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না)
আল্লাহর প্রতি ঈমানের দাবি

যে কেউ জেনে বুঝে সঠিক স্বচ্ছ জ্ঞানের মাধ্যমে মহাবিশ্বের মালিক মহান আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, তার প্রতি অনিবার্যভাবে বর্তায় আল্লাহর প্রতি ঈমানের কয়েকটি অপরিহার্য দাবি। সেই দাবিগুলো হলো :

১. তাকে তার এই ঈমানের সুস্পষ্ট মৌখিক ঘোষণা প্রদান করতে হবে।
২. আল্লাহ তায়ালা আরো যেসব বিষয়ের প্রতি ঈমান আনতে বলেছেন, সেসব বিষয়ের প্রতি তাকে ঈমান আনতে হবে, বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে।
৩. তাকে তার সামগ্রিক দৃষ্টিভংগি, জীবন পদ্ধতি ও কার্যক্রমে এই ঈমান বা বিশ্বাসের প্রতিফলন ঘটাতে হবে।(উপরোক্ত ঘটনাগুলোতে এখানে এসে সবাই আঁটকে যান)
৪. যে মহান আল্লাহ তার ঈমান ও বিশ্বাসের মূল ভিত্তি কেবল তাঁরই হুকুম মতো তাকে জীবন যাপন করতে হবে। জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁর হুকুম পালন করতে হবে। জীবনের কোনো অংশকে তাঁর আনুগত্যের বাইরে রাখা যাবেনা।
৫. তিনি যা যা নিষেধ করেছেন, নিষ্ঠা ও বিনয়ের সাথে তাঁর নিষেধ করা সকল বিষয় পরিহার ও বর্জন করতে হবে।
৬. আল্লাহর সর্বশেষ বার্তাবাহক মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ সা.-কে জীবনের সকল ক্ষেত্রে আদর্শ ও অনুকরণীয় মডেল হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৭. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জকেই জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।
৮. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং তাঁর আনুগত্য ও দাসত্বের নীতিমালার সাথে যা কিছুই সাংঘর্ষিক হবে, সবই বর্জন করতে হবে।
৯. পার্থিব জীবনকে পরকালীন অনন্ত জীবনের জয়-পরাজয়ের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে এবং পার্থিব জীবনকে পরকালীন জীবনের মুক্তি ও সাফল্যের রাজপথে পরিচালিত করতে হবে।

দয়া করে এতক্ষণে আপনার বুঝে ফেলার কথা যে,কেন আমি বলতে চেয়েছি যে, আমি এই পোস্টের মাধ্যমে কি বুঝাতে চেয়েছি ? আপনি বলেছেন " খারাপ কাজের শাস্তি পাবে এবং ভালো কাজের জন্য পুরস্কৃত হবে। তাই নয়কি?" - আপনার এই কথার উত্তর উপরের ব্যাখ্যাগুলো থেকে পেয়েছেন আশা করি।

মসজিদে তবারক দেয়া ভালো কাজ না! এটা আপনি কোথায় পেলেন? দয়া করে বলবেন কি ?

১৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

পণ্ডিত মশাই বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ, অনেক কষ্ট করে রিপ্লাই দিয়েছেন।

আপনি যা বলেছেন তা খুবই বেসিক, আশা করি আপনিও বিশ্বাস করেন যে আমি এগুলো সম্বন্ধে বেখেয়াল নই।

ঈমান হচ্ছে খুবই রিলেটিভ ব্যপার। আচ্ছা ঈমানের উপর যদি ১০০ মার্কসের পরীক্ষা নেয়া হয়, সবাই ১০০ তে ১০০ পেলেই কি সে খাঁটি ঈমানদার? যে ৩৩ পাবে তার কি হবে?

এমনকি কেউ যদি ৪/৫ নম্বর নিয়েও আল্লাহর কাছে যায়, আল্লাহ নিশ্চয়ই সেই কিছু নম্বরের ও প্রতিদান তাকে দিবেন। কারন আল্লাহ হচ্ছেন ন্যায় বিচারক। এবং পৃথিবীতে প্রতিটি ভালো কিংবা খারাপ কাজের হিসেব তিনি নিবেন।


মসজিদে তবারক দেয়া ভালো কাজ এই সংক্রান্ত কোন কথা আমি এখন পর্যন্ত কোরান কিংবা হাদিসের কোথাও খুঁজে পাইনি। আপনার রেফারেন্স জানা থাকলে জানাবেন। কৃতজ্ঞ থাকবো।

ভালো থাকবেন।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২২

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই,আপনি আসলেই পণ্ডিত...............তবে তর্কের খাতিরে তর্ক করা এবং যুক্তি দিয়ে তর্ক করার মধে পার্থক্য আছে। উপরের কমেন্টে আমি আপনাকে খুবই স্বচ্ছ এবং সাধারণ ভাষায় ঈমান সম্পরকে বুঝালাম তারপরেও আপনি আপনার মনগড়া ব্যাখ্যার ভাণ্ডার খুলে বসে আছেন.........

" ঈমান বিহীন সৎকর্ম তলা বিহীন ঝুড়িতে রাখা মনিমানিক্যের মতোই নিষ্ফল" - এই বাক্য দ্বারা আপনি কি বুঝছেন ??? তারপরেও আপনাকে আরও বুঝাচ্ছি,যেহেতু আপনি পণ্ডিত মানুষ কি আর করা -

রাছূলের (صلى الله عليه وسلم) দ্বীন অনুসরণ না করা, বিভিন্ন ফর্‌য কাজ ছেড়ে দেয়া এবং নানারকম পাপ কাজ করা জায়েয তথা বৈধ, যদি কেউ এরূপ কোন ধারণা-বিশ্বাস পোষণ করে, তাহলে তার ঈমান ও ইসলাম নষ্ট হয়ে যাবে এবং সে ব্যক্তি কাফির বলে গণ্য হবে।

যারা মূখে ঈমানের কথা বলে কিন্তু কাজে তা প্রতিফলিত করে না, অর্থাৎ ইছলামী শরী‘য়ত অনুযায়ী ‘আমল করে না, তাদের সস্পর্কে আল্লাহ্‌ বলেছেন যে, তারা ঈমানদার নয়।
আল্লাহ سبحانه وتعالى ইরশাদ করেছেন

(سورة النور-٤٧ )
অর্থাৎ:-তারা বলে, আমরা আল্লাহ্ ও রাছূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং আমরা আনুগত্য করি, কিন্তু অতঃপর তাদের একদল মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং তারা ঈমানদার নয়।
(ছূরা আন্‌নূর- ৪৭)
অতএব যে ব্যক্তি শরী‘য়তের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য কোন ‘উযর (কারণ) ব্যতীত দ্বীনের মৌলিক বিষয়াদীর জ্ঞান অর্জন থেকে এবং তদনুযায়ী ‘আমল করা থেকে বিরত থাকবে, তার ঈমান ও ইছলাম বিনষ্ট হয়ে যাবে এবং সে কাফির বলে গন্য হবে (সুতরাং আপনার মন গড়া ৪-৫ নম্বরের ব্যাখ্যা এখানে আনবেন না,যে পরনারীতে আসক্ত,রাতের পর রাত মেয়েদের সাথে কাটায় ঈমান যে নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেটা আশা করি বুঝতে পারছেন )

আর ১০০ মার্ক পেয়ে ইমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া এবং ৩৩ পেয়ে উত্তীর্ণ হওয়ার পার্থক্য - কোরআনে বেহেস্ত বা জান্নাত কে বোঝাতে মোট আট প্রকার শব্দ সমষ্টি ব্যাবহার করা হয়েছে । ক) ফেরদৌস খ) নায়ীম গ) মা’ওয়া ঘ)আদন ঙ)দারুস সালাম চ)দারুল খুলদ ছ)দারুল মাকাম জ)ইল্লিয়ন । তাই অনেকে মনে করেন , জান্নাতের সংখ্যা আট টি । আবার অনেকের মতে, এগুলি একটি জান্নাতের-ই আট টি স্তর । তবে জান্নাতুল ফেরদৌস ই হল এদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ । সহি মুসলিমঃ ১.০৩৬৩; ২০.৪৬৯০, ৪৬৯১
সবচেয়ে নিম্নমানের বেহেশতীদের জন্য থাকবে তাদের চাহিদার ১০ গুণ; সর্বোচ্চ মানের বেহেশতীদের (ওয়ারাসাতুল আম্বীয়াদের ) সিলেক্ট করবেন আল্লাহ তার নিজের পছন্দমত এবং আল্লাহ তায়ালা তদেরকে দিবেন এত বিলাশবহুল জীবন যাহা এই পৃথিবীর কোন মানুষ কখনো চোঁখে দেখে নাই, কানে শুনে নাই, এবং কখনো তাহা চিন্তাও করতে পারে নাই।
আশা করি, ১০০ এবং ৩৩ পেয়ে পাশ করার পর আল্লাহ তাদের কিভাবে মূল্যায়ন করবেন সেটা বুঝতে পেরেছেন?

আর মসজিদে তবারক ্দেওয়াই হয় গরিব মিসকিন এমনকি এতিমদেরকে উদ্দেশ্য করে,অনেকের বাসায় এতো মানুষ খাওয়ানোর মত ব্যাবস্থাও থাকে না,এতে খারাপ কি দেখলেন।মাজারের ব্যাপারটা হয়তোবা ক্ষেত্র বিশেষে বিতর্কিত কিন্তু মসজিদে তবারক দেওয়া তথা গরিবকে খাওয়ানোর মধ্যে কি দোষ? তারপরও পণ্ডিত মানুষ,আপনাকে তো উদাহরণ দিয়ে বুঝাতে হয় তাই দিচ্ছি -

“মু’মিনকে মাহ ওসাল” কিতাবের ২৭ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন, “আশূরার দিন যে ব্যক্তি আহ্‌লে বাইতের গরীব-মিসকীনগণকে পেট ভরায়ে খাদ্য খাওয়াবে সে ব্যক্তি বিদ্যুতের গতির ন্যায় পুলসিরাত পার হবে।”
হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত আছে, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন্নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আশুরার দিন কোন মুসলমান যদি কোন ইয়াতিমের মাথায় হাত স্পর্শ করে এবং কোন ক্ষুধার্তকে খাদ্য খাওয়ায় এবং কোন পিপাসার্তকে পানি পান করায় তাহলে আল্লাহ পাক তাঁকে বেহেশতের দস্তর খানায় খাদ্য খাওয়াবেন ও জান্নাতের খালিস শরবত “সালসাবীল” ঝর্ণা থেকে পানি পান করাবেন।
"শপথ ভঙ্গ করা হলে, এর কাফফারা হলো, ১০ জন গরিব মিসকিনকে মধ্যম মানের খাবার খাওয়ানো, যা তোমরা সাধারণত তোমাদের পরিবার-পরিজনকে খাইয়ে থাকো। কিংবা তাদের (মধ্যম মানের) পরিধেয় বস্ত্র দান করা, অথবা একজন ক্রীতদাস বা দাসী মুক্ত করে দেওয়া। যে ব্যক্তি এর কোনোটাই পারবে না তার জন্য তিন দিন রোজা রাখা। শপথ ভাঙলে এ হলো কাফফারা। তোমরা তোমাদের শপথগুলো রক্ষা করো। আল্লাহ তায়ালা এভাবেই তার আয়াতগুলো তোমাদের কাছে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করতে পারো।" - [সুরা : আল মায়েদা, আয়াত : ৮৯]......এই গরীবদেরকে মসজিদে খাওয়ানো হলে কি সমস্যা ?

১৪| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৪৫

পণ্ডিত মশাই বলেছেন: ভাই,আপনি আসলেই পণ্ডিত...............

ধন্যবাদ আপনার কমপ্লিমেন্ট এর জন্য।

তবে তর্কের খাতিরে তর্ক করা এবং যুক্তি দিয়ে তর্ক করার মধে পার্থক্য আছে।

আপনার কোন কমেন্টটি থেকে মনে হল আমি তর্কের খাতিরে তর্ক করছি, অযৌক্তিক ভাবে। আপনার কমেন্টটি কিন্তু আপনাকেই ফিরিয়ে দিতে পারতাম, কিন্তু আমি তা করব না।


আচ্ছা, একটা কথা পরিস্কার ভাবে বলুনতো। আপনার মতে কি, যে লোক একটা হারাম কাজে ডুবে আছে সে কোন ভালো কাজ করতে পারবে না? আমার কিন্তু তাই মনে হল!

রিওমারে বলেছেন: ১ নম্বর টারে লাথি দিয়া জানালা থেকে নিচে ফালাইতে পারলে মুরগী খাওয়া শুরু করবে।। এরা সবাই জ্ঞান পাপী।।


আপনি কিন্তু উনাকে সাপোর্ট দিয়েছেন।

আপনার লেখাটির ২, ৩,৪ উদহারন আমি ও সহমত। আমার আপত্তি শুধু ১ম এবং শেষটি নিয়ে।

এমনকি হতে পারেনা, হয়ত আল্লাহ হয়ত তাদেরকে তাদের কৃত খারাপ কাজের ক্ষমা করে দিলেন।


আমার আপনার কাছে প্রশ্ন ছিল " মসজিদে তবারক দেয়া ভালো কাজ এই সংক্রান্ত কোন কথা আমি এখন পর্যন্ত কোরান কিংবা হাদিসের কোথাও খুঁজে পাইনি। আপনার রেফারেন্স জানা থাকলে জানাবেন।"

আপনি কি উত্তর দিয়েছেন কাইন্ডলি আরেকবার পরে দেখবেন। এটা আমাকে গরু এবং বর্ষাকালের রচনা বিষয়ক কৌতুকটার কথা মনে করিয়ে দিল। শুনেছেন নিশ্চয়ই। না শুনে থাকলে পরে শেয়ার দিব।

ভালো থাকবেন

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫১

ইচ্ছের ঘুড়ি বলেছেন: "এমনকি হতে পারেনা, হয়ত আল্লাহ হয়ত তাদেরকে তাদের কৃত খারাপ কাজের ক্ষমা করে দিলেন" - আর কতবার বুঝাব,যদি চোখে সমস্যা থাকে তাহলে চশমা লাগাইয়া পড়েন,উপরে আমার করা কমেন্টগুলো ।

আমি আপনাকে রেফারেন্স সহ দেখালাম উপরের কমেন্টগুলোতে,গ্রামে একটা কথা বলে 'বিচার মানি কিন্তু তাল গাছ আমার",আপনার অবস্থা সেই রকম।আপনার আন্দাজ থেওরির উপর ইসলাম চলে না,আপনি কুরআন-হাদিসের ব্যাখ্যার বিপরীতে বলবেন "এমনও তো হতে পারে.........", উপরের ঘটনাগুলোতে যাদের কথা বলছি উনারাও আপনার মত "এমনও তো হতে পারে........."থেওরি নিজের মন মত ব্যাখ্যা করেছেন,পাপ করিয়া গেছেন।
১২ নাম্বার কমেন্টের ৪,৫,৬ এবং ৮ দেখেন,উনারা ঈমানের মুল ভিত্তি থেকে সরে গেছেন।তারপরেও আপনার "এমনকি হতে পারে...."নামক মনগড়া ব্যাখ্যার উত্তর দিচ্ছি -

তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং খারাপ পথ। (সুরা বনী ইসরাইল- ৩২)
কোন ব্যভিচারী ব্যভিচারে লিপ্ত অবস্হায় মুমিন থাকেনা। কোন চোর চুরি করা অবস্হায় মুমিন থাকেনা, কোন শরাবখোর শরাব পান করার অবস্হায় মুমিন থাকেনা। মানুষের চোখের সামনে কোন নিরীহ লোকের উপর আক্রমণের সময় আক্রমনকারী মুমিন থাকেনা। (বোখারী, মুসলিম ও নাসায়ী)
বান্দা যখন ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন তার কাছ থেকে ঈমান বেরিয়ে যায় এবং মাথার উপর ছায়ার মত ভাসতে থাকে। অতঃপর সে যখন ব্যভিচার থেকে নিবৃত হয়, তখন আবার তার কাছে ফিরে আসে। (আবু দাউদ, তিরমিযি ও বায়হাকী)
যে লোক ব্যভীচার করে কিংবা মদ পান করে, আল্লাহ পাক তার ভেতর থেকে ঈমানকে সেভাবে বের করে নেন যেভাবে কোন লোক মাথার উপর দিয়ে পরিধেয় বস্ত্র খুলে ফেলে। (হাকেম)
আল্লাহর কাছে শেরক করার পর অবৈধ নারীর গুপ্তাঙ্গে বীর্যপাতের চেয়ে জগন্য কবীরা গুনাহ আর নাই। (আহমদ, তাবারানী)
যে লোক কোন মাহরাম অর্থাৎ নিষিদ্ধ রমণীর সাথে ব্যভিচার করে তাকে হত্যা রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন : 'হে মুসলিম সম্প্রদায়! তোমরা ব্যভিচার থেকে পরহেজ কর। কেননা এর ছয়টি খারাপ পরিণতি রয়েছে। যার তিনটি ইহলোকে এবং তিনটি পরলোকে সংঘটিত হবে। ইহলোকের তিনটি হচ্ছে, তার চেহারার সৌন্দর্য লোপ পায়, তার আয়ু হ্রাস পায় এবং চিরকাল সে দরিদ্রতার ভেতর থাকবে। পারলৌকিক তিনটি হচ্ছে, সে আল্লাহর অসন্তুষ্টি, কঠিন হিসাব এবং জাহান্নামের শাস্তির সম্মুখীন হবে। (হাকেম)” তারপরও যদি আপনি বলেন "এমনও হতে পারে..."তবে আপনাকে বুঝানোর সাধ্য আমার নাই।

ভাই,তবারক তো গরিব-মিস্কিন তথা মুসল্লিদেরকে খাওয়ানোর উদ্দেশেই দেওয়া হয়ে থাকে,অনেকে তো মসজিদে এতিমদেরকেও খাওয়ান,আপনার মত পণ্ডিত মানুষ এখানে দোষের কি পেলেন? এতিম,মুসল্লি কিংবা যে কোন মানুষকে খাওয়ানোই তো ইসলামের চোখে সওয়াবের কাজ,সেইসব আপনি এটা কি ভুল পেলেন দয়া করে বলবেন কি?আমার পূর্বের কমেন্টে আশুরার উদাহরণ টেনেছি,এই কারনে যে,হাজার হাজার মানুষ আশুরার দিন মসজিদে তোবারক খাওয়ান সেই জন্য।এমন অনেক মানুষ আছে,যাদের বাসায় একসাথে অনেক গরীবদেরকে খাওয়ানোর ব্যাবস্থা নেই,উনারা রান্না করে মসজিদে দেন,এতে আপনার আপত্তি কোথায় ?

আপনি আমার ২,৩ এবং ৪ এর সাথে কিভাবে সহমত হইলেন? আপনি ১১ নাম্বার কমেন্টে বলেছেন, " যাইহোক আমি যেটা বুঝাতে চেয়েছি, সেটা হল একটা খারাপ মানুষ ভালো কাজ করলেও সেটা ভালো কাজ আর ভালো মানুষ ভালো কাজ করলেও সেটা ভালো কাজ।"১৩ নাম্বার কমেন্টে বলেছেন-এমনকি কেউ যদি ৪/৫ নম্বর নিয়েও আল্লাহর কাছে যায়, আল্লাহ নিশ্চয়ই সেই কিছু নম্বরের ও প্রতিদান তাকে দিবেন। ২,৩,৪ নাম্বারেও তো কিছু ভালো কাজ ছিল কেবল ১,৫ এর প্রতিই আপনার দরদ উৎরাইয়া পড়ল?আপনার ভাষ্যমতে,"এমনকি হতে পারে...." এবং ৪/৫ নাম্বারের থিওরি এখানে কেন আসলো না ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.