নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবণ আহমেদ (নিরব)\nট্রেইনার অব \"উই আর স্টুডেন্টস\" ঢাকা।

শ্রাবণ আহমেদ

শ্রাবণ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমালাপ

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

প্রেমালাপ
পর্ব-২
.
সোমা নিরবের আসার কথা শুনতেই তার রুম থেকে ছুটে বাইরে চলে যায়। গিয়ে দেখে নিরব দাঁড়িয়ে। নিরবকে ঘিরে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা হৈ হুল্লোর করছে। একজন বলছে, ভাইয়া আমার জন্য কি এনেছো? আরেকজন বলছে, ভাইয়া আমার জন্য একটা গাড়ি আনার কথা বলেছিলে।
নিরব সবাইকে তাদের জন্য আনা জিনিস গুলো দিচ্ছে। হঠাৎই তার চোখ পড়ে সোমার চোখে। সোমা তার দিকে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে রয়েছে। সে সোমার দিকে তাকানো মাত্রই সোমা চোখ নামিয়ে নেয়। সে নিরবের দিকে এগিয়ে গিয়ে বাচ্চাদের মতো বলে, ভাইয়া আমার জন্য কি এনেছো? তার মুখে ভাইয়া ডাক শুনতেই নিরব রাগি চোখে তার দিকে তাকায়। এতে সে ভয় না পেয়ে বরং আরো আনন্দিত হয়।
নিরব সোমার জন্য আনা লাল টুকটুকে শাড়িটা তার দিকে বাড়িয়ে দিতেই ঘরের মধ্যে থেকে রুমা তাকে ডাক দিয়ে বলে, সোমা একটু এদিকে আয়তো!
সে নিরবের হাত থেকে শাড়িটা ছোঁ মেরে নিয়ে দৌঁড়ে চলে যায় তার বোনের রুমে। নিরব অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। এতোদিন পর সে আসলো, আর সোমা তার সাথে একটু কথাও বললো না। নিরব মনে মনে বলে, এটাই তাহলে আমাকে মিস করার নমুনা, এটাই তাহলে আমাকে অনেকদিন না  দেখার নমুনা?
.
রাত হয়েছে। আকাশ জুড়ে তারার মেলা বসেছে। সবগুলো তারার মাঝখানে একটি মাত্র চাঁদ। চাঁদটাকে দেখে মনে হচ্ছে যেন সে একজন গল্পকার। আর তার গল্প শোনার জন্যই বোধ হয় তারাগুলো তাকে ঘিরে ধরেছে। আহা চাঁদটাও যেন অতি সুখে, পরমানন্দে তাদের গল্প শোনাচ্ছে।
অথচ নিরব আর সোমার মাঝে এর ব্যাপক বিপরীত ব্যবধান। কেননা তাদের চার বছরের সম্পর্কে নিরব কখনও সোমার সাথে মন খুলে একটু প্রেমালাপ করতে পেরেছে কিনা সেটা সন্দেহ।

নিরব ভাবছে এইতো সুযোগ। কতদিন পরে এসেছি প্রেয়সী, তাও আবার তোমার বোনের বিয়েতে। একমাত্র তোমার জন্যই বিয়ের একদিন আগে চলে এসেছি। সবাই এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ আর এখন তোমার আর আমার কথা বলার মাঝে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।

নিরব খাওয়া দাওয়া শেষে সোমাকে খুঁজতে থাকে। সোমার রুমে না পেয়ে সে রুমার রুমে ঢুকে পড়ে। নিরবকে হঠাৎই রুমে ঢুকতে দেখে রুমা চমকে যায়। সে বলে, ভাইয়া তুমি হঠাৎ?  নিরব বলে, আপু সোমা কোথায়? রুমা তাকে ছাদে যাওয়ার কথা বলে।
নিরব খুশি মনে নাচতে নাচতে ছাঁদে যায়। ছাঁদের দরজার কাছে আসতেই নিরবের খুশি খুশি মনটা নিমিষেই বিষাদে ভরে যায়। কেননা সে ছাঁদ থেকে একাধিক মেয়েলি কন্ঠের আওয়াজ শুনতে পায়। ধীর পায়ে সে ছাঁদের দিকে এগোয়। ছাঁদে পা রাখতেই একটা মেয়ে বলে, আরে নিরব ভাইয়া না? আসুন আসুন, বসুন। একসাথে আড্ডা দেই।
নিরব মাথায় হাত দিয়ে মনে মনে বলে, হায়রে পিরিতি! এতো বছর ধরে যার সাথে পিরিতি করলাম, তার সাথে আজ পর্যন্ত একটু সময় করে কথাও বলতে পারলাম না। ভেবেছিলাম এই বিয়ের সুবাদে অন্তত একটু কথা বলার সুযোগ পাবো। কপালে বোধ হয় সেটাও জুটলো না।
.
অপেক্ষা করুন তৃতীয় পর্বের....

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: নিরব আর সোমা ---
সেই পুরাতন ব্যাপার স্যাপার।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৭

শ্রাবণ আহমেদ বলেছেন: হ্যাঁ, একদম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.