নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবণ আহমেদ (নিরব)\nট্রেইনার অব \"উই আর স্টুডেন্টস\" ঢাকা।

শ্রাবণ আহমেদ

শ্রাবণ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমালাপ

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

প্রেমালাপ
পর্ব-৩
.
ভেবেছিলাম এই বিয়ের সুবাদে অন্তত একটু কথা বলার সুযোগ পাবো। কপালে বোধ হয় সেটাও জুটলো না। যখনই তার সাথে একটু কথা বলতে যাই, তখনই কেউ না কেউ এসে হাজির হয় কিংবা কেউ না কেউ তার সাথেই থাকে।
নিরব কিছু না বলে ছাঁদ থেকে নেমে আসে। সে রুমে এসে সোমাকে কল দেয়।
রিং হচ্ছে, কিন্তু সোমা ফোন ধরছে না। নিরব মনে মনে বলছে, কেন যে আসলাম এই একদিন আগে? যার জন্য আসলাম তারই খোঁজ নেই।
- তুমি হঠাৎ চলে গেলে কেন ছাঁদ থেকে? (সোমা ফোন রিসিভ করে অপর প্রান্ত থেকে কথাটা বলে)
সোমার কথায় ভাবনা থেকে ফিরে এসে নিরব বলে
- তুমি একটু নিচে আসো। কথা আছে।
- কি কথা?
- নিচে আসো বলছি।
- পারবো না, তুমি ছাঁদে এসো।
- আচ্ছা তোমার নিচে নামতে হবে না। আমি বলছি শোনো, দেখো চার বছরের সম্পর্কে তোমার সাথে একটা দিনও মন খুলে কখা বলতে পারি নি। যখনই কথা বলতে গিয়েছি, ঠিক তখনই কেউ না কেউ......
- নিরব...  নিরব..... নিরব বাবা তুমি এখানে?
নিরব ফোনটা রেখে বলে
- জ্বী ফুফু আমি এখানে।
- দেখোতো বাবা তোমার ফুফি তোমাকে ডাকছে কেন?
- আচ্ছা আমি আসছি,  তুমি যাও।

যাহ শালা, ফোনে কথা বলার সময়ও বাঁধা। বাঁধা আর বাঁধা। কারো রুমে ঢোকার আগে তো নক করা উচিত। নক না করেই সোজা রুমে ঢুকে পড়েছে। জীবনটা শেষ। নিরব শূন্যে একটা ফাও লাথি দেয়।
.
পরদিন সকালে নিরব অনুভব করে তার মাথায় কে যেন হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। শীতের সকাল, তাই সে এখনও ঘুম থেকে ওঠে নি। কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে সে। তার উপর আবার কারো হাতের ছোঁয়া, আরো বেশি বেশি ঘুম পাচ্ছে তার।
হঠাৎই তার মনে হলো, এই সাত সকালে কোন দরদী তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে! ভাবতেই সে চোখ খুলে তাকিয়ে দেখে সোমা।  সে অবাক হয়ে যায়।  সূর্য আজ কোনদিকে উঠেছে তার বড্ড জানতে ইচ্ছে করছে।
- কখন এলে তুমি? (নিরব)
- মাত্রই (সোমা)
- তো হঠাৎ?
- কেন আসতে পারি না নাকি?
নিরব এক ঝটকায় সোমাকে টান দিয়ে বিছানায় টেনে নিয়ে বললো
- আসতে পারবে না কেন? কতদিন তোমাকে এমন কাছে থেকে দেখি না, কতদিন তোমার সাথে হাতে হাত রেখে ঘুরতে পারি না। তবে আজ তোমায় মন ভরে দেখবো।
- দুষ্টুমি করবে না একদম?
- করলে দোষ কোথায়? আমি না করলে কে করবে?
- হুম
- কি হুম?
- কিছু না।

হঠাৎই দরজায় কেউ কড়া নাড়ে।  সোমা নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে নিরবের হাতে তার জন্য আনা চা টা ধরিয়ে দিয়ে চলে যায় রুম থেকে। আর যাওয়ার সময় বলে যায়, চা টা খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি।
নিরব হা করে তাকিয়ে থাকে। হায়রে কপাল! সে চা দিতে এসেছে আগে বলবে না? চা টা তো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে।
সে সোমাকে ডাক দিতে গিয়ে দরজার দিকে তাকিয়ে দেখে নিশাত দাঁড়িয়ে। নিশাত তার দিকে এগিয়ে এসে বলে.....
.
অপেক্ষা করুন চতুর্থ পর্বের...

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: হিউম্যান রিলেশনটা অনেক বদলে গেছে। সারাদিন মানুষ এত কথা বলে তবু একজন আরেকজনের সাথে কমিউনিকেট করতে পারছে না।
চারপাশে একটা শূন্যতা তৈরি হচ্ছে- ঘরে-বাইরে, বন্ধুর সাথে বন্ধুর, স্বামীর সাথে স্ত্রীর, ছেলের সাথে বাপের, ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের, এমনকি প্রেমিকার সাথে প্রেমিকের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.