![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শীতের গোসল
লেখক: Srabon Ahmed (অদৃশ্য ছায়া)
.
- কী রে গরম বীর? (আকাশ)
- কী... (আমি)
- তা এবারও কী শীতের সময় গরম পানি দিয়েই গোসল করবি?
- আরে শীতের দিন গোসল করা মানেই যুদ্ধ না করে বীর হওয়া। আর সেই গোসলটা গরম পানি হোক কিংবা ঠান্ডা পানি হোক।
- তুই আসলেও একখান জিনিস।
- কবে ছিলাম না?
- আচ্ছা বাদ দে। এখন একটা পরামর্শ দে।
- কী বিষয়ে?
- আমার চাচাতো ভাই আজ ১০ দিন হলো গোসল করে না। তাকে গোসল করানোর একটা ব্যবস্থা কর।
- কী? ১০ দিন? সে তো তবে খাটাসের খাতায় নাম লিখিয়েছে। খাটাসের খাতা থেকে নাম কাটাতে হলে চার্জ দিতে হবে।
- চার্জ?
- হ্যাঁ চার্জ।
আকাশ জানে চার্জ বলতে আমি কিসের কথা বুঝিয়েছি। আমার একটু খানি বুদ্ধির দাম ব্যাপক। তাকে ফ্রি ফ্রি আমি বুদ্ধি দেবো কেন?
খানিক সময় ভেবে সে বললো
- আচ্ছা কত দিতে হবে বল।
- যত টাকায় একমাস কোন অভাব ছাড়া চলা যায়।
মদনা আকাশ কী বুঝলো না বুঝলো। সে বললো, আচ্ছা দিবো। তবে বুদ্ধিটা আগে দে।
আমি বললাম, আগে টাকা পে কর।
সে তার মানিব্যাগ ঘেটে পাঁচশ টাকার একটা নোট বের করতেই আমি ছোঁ মেরে কেড়ে নিলাম। দেখলাম তাতে তার কোন রেসপন্সই নেই। মনে হচ্ছে যেন টাকাটা তার না। সে যাক গে, যার টাকা হয় হোক। এখন টাকাটা আমার।
আমি খানিক মাথা চুলকিয়ে বললাম
- তোদের বাড়িতে গরু আছে?
- হ্যাঁ আছে।
- কয়টা?
- এই পাঁচ ছয়টা হবে।
- প্রতিদিন পায়খানা করে তো?
- মানে?
- মানে গরু প্রতিদিন হাগে তো?
- হ্যাঁ হাগে।
- তাহলে এক কাজ করবি। যখন তোর চাচাতো ভাই ঘুমিয়েে থাকবে, তখন পাঁচটা গরুর গু নিয়ে তার পাছায় লাগিয়ে দিবি। পারলে কিছু তার হাত পায়েও লাগিয়ে দিস।
আমার অমন বুদ্ধির কথা শুনে আকাশ হা করে আমার দিকে চেয়ে রইলো। আমি বললাম,
- বেটা হা বন্ধ কর। নয়তো গরুর গু তোর মুখের মধ্যে যাবে।
সাথে সাথেই সে মুখ বন্ধ করে নিলো। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে সে কোন কথা না বলে পিছনে ফিরে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলো।
.
পরদিন বিকালে ব্রিজের উপর বসে আছি। হঠাৎই কোথ থেকে যেন আকাশ হাঁপাতে হাঁপাতে এসে আমার সামনে বসে পড়লো। একটু বিশ্রাম নিয়ে সে বললো,
- দোস্ত বাঁচা আমাকে।
আমি বললাম
- কেন? কী হয়েছে?
- কী হয়নি সেটা বল।
- কী?
- সাগর আমাকে তাড়া করেছে।
- সাগর কে?
- আমার চাচাতো ভাই।
- ও, ঐ খাটাস ছেলেটা?
- হ, দোস্ত তুই বাঁচা আমাকে। সে এদিকেই আসছে।
- চুপচাপ তুই বসে থাক এখানে। ওকে আসতে দে।
খানিকবাদে সাগর এসে হাজির। সেও হাঁপাচ্ছে। সে হাঁপাতে হাঁপাতেই বললো,
- কাইশ্যা তুই এখানে?
- আকাশ ইঁদুরের মতো আমার পাশ থেকে মুখ বের করে উঁকি দিলো।
সাগর আবার বললো,
- তুই আজকে যে কামটা করছিস। তা আমার জন্য খুবই লাভজনক।
লাভের কথা শুনতেই আকাশ মুখ বের বললো,
- লাভ? কিসের লাভ?
- আরে এতোদিন গোসল না করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।
- ও।
আকাশ আমার পেছন থেকে বের হয়ে সামনে এসে বসলো। কিন্তু দূর্ভাগ্য তার সহায় থাকায় সে বসার সাথে সাথেই সাগর এক পলথিন গোবর তার গায়ে ঢেলে দিয়ে বললো,
- যা এবার শীতকে দেখে আয়। শালা আমাকে তুই ঠান্ডা পানিতে চুবিয়েছিস। ভেবেছিলি তোকে ছেড়ে দিবো?
সাগরের কথায় আকাশ তার শরীর থেকে গোবর ঝাড়ছে আর বলছে,
- আরে আমি হলাম মহাপুরুষ। প্রতিদিন গোসল করি আমি। আজও করবো।
তার কথা শুনে সাগর ভ্রু কুচকিয়ে বললো,
- মদনা আবার মহাপুরুষ হয়েছে।
- তুই মহাপুরুষের কী বুঝবি? বীর পুরুষের সাথে যে থাকে, মহাপুরুষ বলে তাকে।
- বীর পুরুষ কে?
আকাশ এবার আমাকে দেখিয়ে বললো, এ হলো বীর পুরুষ।
আকাশের কথা শুনে সাগরের হাসতে হাসতে ড্রেনে পড়ার উপক্রম। সে বললো
- এটা তোর বীরপুরুষ? আরে এ তো আজ ১৫ দিন ধরে গোসল করে না। মাঝে মাঝে দেখি পুকুর পাড়ে। সেখানে কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে মাথায় খানিক পানি নিয়ে বাড়ি যায়। আর এটা তোর বীরপুরুষ?
মনে মনে বললাম, মান ইজ্জত সব গেলোরে।
আকাশ আমার দিকে অবাক চোখে চেয়ে বললো, কী রে কী শুনি এসব? তুই নাকি ১৫ দিন গোসল করিস না?
আমি আমতা আমতা করে বললাম, আরে ১৫ দিন তো কম, ১ মাস গোসল না করে রেকর্ড গড়বো।
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২২
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: গোছল, গোবর
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
রম্য লিখে আপনি হেসেছিলেন? এখন পড়লে, আপনার হাসি আসবে?
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:২২
রাজীব নুর বলেছেন: হাসি পায়নি।
অবশ্য আজকাল আমার কোনো কিছুতেই হাসি পায় না।
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১০
ইয়োডা বলেছেন: রম্য,পন্য,দ্রব্য কিছুই হয় নাই ।ভেবে লিখুন । অন্য পড়তে দিন লিখে তারপর হাসি পাইলে ব্লগে দিন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:১২
তারেক ফাহিম বলেছেন: ৫০০ টাকাই গচ্ছা