নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবণ আহমেদ (নিরব)\nট্রেইনার অব \"উই আর স্টুডেন্টস\" ঢাকা।

শ্রাবণ আহমেদ

শ্রাবণ আহমেদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু কথা

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:১৪

বেশ কয়েকদিন আগে একটা পোস্ট করেছিলাম বোনদের পোশাক পরিচ্ছদ নিয়ে। সেখানে যা বলেছিলাম, তার সারাংশ হলো "প্রিয় বোন, আপনি দামি নোংরা পোশাক না পড়ে শালীন পোশাক পরিধান করুন। এতে আপনি পুরুষের কু-নজর হতে রেহাই পাবেন এবং মহান আল্লাহ তা'আলাও আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবেন।"

এই কথার কমেন্টে একজন ব্লগার "রুপক বিধৌত সাধু" বলেছিলেন, পর্দানশীল নারীরাও তো ধর্ষিত হচ্ছে হরহামেশাই। এ ক্ষেত্রে করণীয় কী?

প্রিয় দাদা, এ ক্ষেত্রে করণীয় বিষয়টা আমাদের মা বোনদের থেকে রাষ্ট্রপ্রধানের বেশি। যদি "রাষ্ট্রপ্রধান" অর্থ্যাৎ "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী" দেশ প্রশাসনকে আদেশ দেন জনসম্মুখে প্রতিটি ধর্ষকের লিঙ্গ কেটে ফেলার। তবে দেখবেন, "আমার, আপনার এবং সবার মা বোনেরা অতি অভিন্ন পদাচরণে বাংলার বুকে হেঁটে বেড়াতে পারছেন।
আশাকরি আপনার প্রশ্নের যথোপযুক্ত প্রত্যুত্তর দিতে পেরেছি।
.
আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন, পকেটমার কিংবা চোরের শাস্তি আমরা আমপাবলিকরাই দিয়ে থাকি। কিন্তু কোনো ধর্ষকের শাস্তি আমরা সেই চোরদের শাস্তির মতো দিতে পারি না। কিন্তু কেন?

এই "কেন" এর উত্তর হচ্ছে, আপনি বা আপনারা সেই ধর্ষককে শাস্তি দিলে প্রশাসন হতে আপনাকে বা আপনাদের চৌদ্দ সিকের ভাত খাইয়ে ছাড়বে। ধর্ষক পার পেয়ে যাবে ঠিকই। আর আপনি নাকাল মশাই জেলে পঁচে মরবেন।
.
আমি বলেছিলাম, "প্রিয় বোনদের শালীনতা বজায় রেখে পোশাক পরিধান করতে এবং নম্রতার সহিত পথে চলাফেরা করতে। এতে হাতে গোণা কয়েকজন পুরুষ ছাড়া কেউ আপনাদের দিকে চক্ষুগোচর করবে না। আপনাকে নিয়ে কু-চিন্তা তার মাথাতেও আসবে না।"

কিন্তু ধর্ষকের চিন্তাভাবনা ভিন্ন রকম। তারা পর্দানশীল নারীর মধ্যেও নিজের ভোগ্য বস্তুটা দেখতে পায়। তাদের হাত থেকে রেহাই পাবার প্রাথমিক কিংবা প্রধান উপায় হচ্ছে "কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা।"
এদেশে আইনানুগ ব্যবস্থা সূক্ষ্ম হলেই ধর্ষকেরা ধর্ষণ হতে বিরক্ত থাকবে।
.
আসুন আমরা সোচ্চার হই। ধর্ষকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই। চোর, পকেটমারের মতো ধর্ষককেও পিটিয়ে শাস্তি দেই এবং জনসম্মুখে তার লিঙ্গ কেটে শিরচ্ছেদ করার আহ্বান জানাই পুলিশ প্রশাসনকে।
.
লেখক: শ্রাবণ আহমেদ

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

নতুন বলেছেন: প্রতিটা এলাকাতে গুটি কয়েজন ছেলে মেয়েদের উক্তত্য করে থাকে, তাদের কেউ কিছু বলে না কেন?

কারন তারা প্রভাবশালী তাই তাদের কিছু বলতে পারবেন না।

তাই মেয়েগের কাপড়ের বস্তা বানাতে উপদেশ দেয়।

রাস্তায় যেন কেউ নারীকে বিরক্ত না করে সেটা নিয়ে আগে উপদেশ দেওয়া উচিত।

কারন সেটা অন্যায়, কিন্তু নারী সুন্দর পোষাক পড়বে সেটা অন্যায় না।

আগে অন্যায়ের প্রতিবাদ করা দরকার।

২| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৬

ইসিয়াক বলেছেন: আইন এভাবে নিজের হাতে তুলে নেয়া তো অপরাধ। ভীড়ের মধ্যে দোষি কি নির্দোষ তা অনেক সময় নির্ণয় করা কঠিন।সে ক্ষেত্রে আপনি আমি যে কেউ যখন তখন বিপদে পড়ে যেতে পারি। তখন......।
ধন্যবাদ

৩| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব আমারও কথা

লিখিও এ নিয়ে,

৪| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


ধর্ষণের শাস্তি হিসেবে, আপনি বলছেন, পুরুষের পুরুষাংগ কেটে ফেলতে? আপনি নিশ্চয় ভয়ংকর ইডিয়ট; এই ধরণের কিছু বলার জন্য আপনার শাস্তি হওয়ার দরকার; আপনি এই মনোভাব নিয়ে কিসব বালছাল কবিতাও লেখেন?

৫| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



শাস্তি হিসেবে মানুষের শরীরের অংগ কাটার কথা যারা বলে, এগুো হলো জল্লাদ; এদের স্হান হলো জেলের ভেতর।

৬| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: কয় কি? হাতে গোনা কয়েকজন পুরুষ ছাড়া কেউ আপনাদের দেখবে না। আরেক জন মহিলা নিকের ব্লগার দেখি তাল দেয়।

৭| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ধর্ষণ, টিজিং রোধে প্রচলিত যে আইনকানুন আছে সেগুলোর সুষ্ঠু প্রয়োগ হলে ধর্ষণ, টিজিং অনেক কমে যাবে।
আমাদের দেশে আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ কম হয়, তাই অপরাধ ও অপরাধী বাড়ে!!

৮| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: এসব নিয়ে হাউকাউ করা দেখলে বিরক্ত লাগে

৯| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: মানুষকে মাথায় হাত দিয়ে, আদর করে বুঝাতে হবে। তারা যেন সবাই ভালো হয়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.