![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্টার গ্যাং
লেখক: Srabon Ahmed ( অদৃশ্য ছায়া)
.
তৃষাতুর বৃদ্ধ এক ফোটা জলের আশায় দোকানদারের মুখপানে চেয়ে আছে। জীর্ণ শীর্ণ শরীর, উস্কুখুস্কু চুল দাঁড়ি, গা'য়ে ময়লা কাপড়। দোকানদার বুঝতে পারলো বৃদ্ধ লোকটি ক্ষুধার্ত রয়েছে। সে একটা রুটি আর এক গ্লাস পানি বৃদ্ধের দিকে এগিয়ে দিলো। অপর পাশে বসা একটি ছেলে উগ্রকণ্ঠে দোকানদারকে বলে উঠলো, আমরা মিনিট পাঁচেক আগে চা, বিস্কুট চেয়ে বসে আছি। আর তুমি আমাদেরকে আগে না দিয়ে এই ফকিরকে আগে দিলে?
- মামা আপনারা তো উনার মতো অতোটা ক্ষুধার্ত নন।
ছেলেটি তার পাশের বন্ধুকে বললো, "কিরে মামা, এই দোকানদার দেখি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে!"
- আমরা যে এই ফকিরের মতো ক্ষুধার্ত নই, সে কথা তোকে কে বললো?
দোকানদার মৃদুস্বরে বললো, শিষ্টাচারে ব্যক্তিত্বের পরিচয়। অপরিচিত ব্যক্তিদের সাথে "আপনি" সম্বোধনে কথা বলতে হয়।
ছেলেটি দোকানদারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলো। বললো, তুই আমাকে শিষ্টাচার শেখাস? জানিস আমি কে?
পাশে থাকা ছেলেটি বললো, বাদ দে। এই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে এতো প্যাঁচানোর কিছু নেই।
- বাদ দিবো মানে? এই ফকিরের বাচ্চা আমাকে শিষ্টাচার শেখায়!
- আরে বাদ দে না মামা। এমনিতেই প্যারার মধ্যে আছি। সেদিনের খুনের কেসটা ক্লোজড না হওয়া পর্যন্ত কোনো খুন-খারাপি করা যাবে না।
- মাথা গরম করে দিয়েছে এই শালা।
- চল, ওঠ তাহলে। আজ আর চা খাবো না।
ছেলেগুলো পেছনে ঘুরতেই দেখলো, বেশ কয়েকজন তাদের উপর বন্দুক তাক করে দাঁড়িয়ে আছে। পালাতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে বৃদ্ধ এবং চা'য়ের দোকানদার তাদের ধরে ফেললো। সাথে সাথে পুলিশের একটি ভ্যান এসে রাস্তার ধারে দাঁড়ালো। পুলিশ অফিসার "মেহেরাব হোসাইন" আদিত্য রায় দত্ত অর্থ্যাৎ সেই চা'য়ের দোকানদারের ছদ্মবেশে থাকা ডিটেক্টিভকে ধন্যবাদ জানিয়ে "স্টার গ্যাং" এর ছেলেগুলোকে তাদের ভ্যানে তুলে নিলেন।
পুলিশ চলে গেলে আদিত্য বৃদ্ধের পানে চেয়ে বললো, নিরব কাজ শেষ। এবার ছদ্মবেশটা খুলে ফেলো। পেছনের বন্দুক তাক করা ছেলেগুলো আদিত্যকে বললো, স্যার আমরা এখন আসি। কোনো দরকার পড়লে অবশ্যই স্মরণ করবেন । চলে আসবো আমরা।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: একদম আধুনিক গল্প।