“নিপা ভাইরাস”

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৫:৩৭

মালয়শিয়ায় ১৯৯৮ সালে প্রথম এই ভাইরাসটির সংক্রামনের কথা জানা যায়। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি। ১৯৯৮ সালে এটি সম্পর্কে জানা যায়।অজ্ঞাত রোগ হিসাবে ২০০১ সালে সারা দেশে এই ভাইরাসের আক্রমণের কথা নজরে আসে এবং ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্টের পরীক্ষার মাধ্যমে এর নাম দেন নিপা ভাইরাস।

নিপা ভাইরাস অতি ভয়াবহ যার ফলে সারা দেশে ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। শীতকালে বাদুরের মাধ্যমে মানুষ এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রন্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে। খেঁজুরের রস থেকে মানুষে এ ভাইরাসে সংক্্েরামতি হচ্ছে। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন।

“মৃত্যুর সম্ভাবনা”

এ ভাইরাসে আক্রান্তে মুত্যু ৮০%। তবে খেজুরের রস পান থেকে বিরত থাকলে ১০০% নিরাপদ থাকা সম্ভব। সম্প্রতি রাজবাড়ি, ঝিনাইদহ, নওগাঁ, নাটোর, ও গাইবান্ধায় ছয় জন নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এর পাঁচ জনই মারা গেছেন। নাটোওে আট মাসের শিশু সন্তান রেখে মা মারা গেয়েছে। তার সন্তানের শরীরেও এ ভাইরাস আক্রমিত হয়েছে।

“লক্ষণ”



সাধারণত শীতকালে বাদুরের মাধ্যমে খেজুরের রস থেকে মানুষে এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়। জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে বাংলাশেদে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি থাকে।

ভাইরাস আক্রমনের আট দিনে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে জ্বর,প্রলাপ বকা এবং অজ্ঞাত হয়ে পড়া।

“প্রতিকার”

এ রোগে একবার আক্রান্ত হলে প্রতিকার কঠিন। তবে খেজুরের রস পান থেকে বিরত থাকলে ১০০% নিরাপদ থাকা সম্ভব। এবং আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।

৪ টি +০/-০