নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার মত আমি

আসুক যত ঝড় বিপতি বাধা.... উননত করি শির ,নোয়াবোনা মাথা

মাহামুদ রোমেল

মোর নাম এই বলে খ্যাত হোক আমি তোমাদেরি লোক আর কিছু নয় এই হোক শেষ পরিচয়

মাহামুদ রোমেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপ্রকাশিত প্রেমের গল্প

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৪২

ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটির নাম কোয়েল। শুধু সুন্দরী না বলে মহা সুন্দরী বলা যায়। প্রথম দেখাতেই অনেকটা গলে গেলাম আমি। চোখ ফেরাতে পারছিলাম না । বুকের ভিতরটা কেমন যেন নড়ে উঠল।ভাবলাম প্রেমের খরায় ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া হ্রদ্য় টাতে এবার বুঝি বৃষ্টির পূবাভাস দেখা দিল।বয়েজ স্কুলে পড়ার কারনে ইচ্চা থাকা স্বত্তেও কিছু হলোনা। মনে মনে কত অঙ্ক কষে রাখলাম,কলেজে উঠে সুদে আসলে পুষিয়ে নেব সব। কলেজে উঠলাম, কিন্ত অভাগার মন্দ কপাল। মেয়ে থাকলেও,সেপারেট ক্লাস। বেরসিক প্রিন্সিপালের অফিসের দেয়ালে অন্য ছেলেদের মত কত মাথা ঠুকলাম। সেখানেও কিছু হল না। শেষ ভরসা ছিল ভাসিটি। ভাবলাম এবার কিছু একটা করতেই হবে। চলার পথে রাস্তায় হুড তোলা রিষ্কায় যখন মডান কাপল দের খুনসুটি দেখি, ভিতরটা কেমন যেন হাহাকার করে উঠে। মনের অজান্তেই শিল্পির সূরে তাল মিলিয়ে গাইতে ইচ্ছে করে,আর কত কাল একা থাকব.....। নিজের অবস্হা দেখে গায়িকার জন্য দু্ঃখ হয় আমার। মনে মনে ভাবি,অনেক সহ্য করেছি আর নয়।প্রথম দেখার পর থেকেই কোয়েল কে নিয়ে মনের গহীনে একটা স্বপ্ন আঁকতে শুরু করি।যদিও নাম নিয়ে খানিকটা বিপত্তি দেখা দিল। ক্লাসের দুষ্ট ছেলে জিকু বলে উঠল ,আরে কোয়েল আবার মানুষের নাম হয় নাকি। সত্যিই তো, এটা আবার কেমন নাম। এই মডান যুগে এতসব মডান নাম ফেলে কোয়েল রাখার কি বা দরকার ছিল। হবু শ্বশুর শ্বাশুড়ির প্রতি খানিকটা রাগও হয় আমার। কোয়েলের মুখের দিকে তাকিয়ে অল্পতেই ঝরে যায় রাগ। এই গরিব দেশে এতসব জোড়াতালি আর ভেজাল এর মাঝে শতভাগ ফ্রেশ জিনিস পাওয়ার আশা করা তো বোকামিই বটে। মনকে সান্তনা দিই আমি। একটা নামই তো। এত সুন্দরী একটা মেয়ের জন্য এই সামান্য ছাড়টুকু দিতে পারব না , এতটা কনজারভেটিভ নই আমি। আলেকজান্ডার দ্যা গ্রেটের মত অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটতে লাগলাম ভালবাসা নামক ঐশ্বয মন্ডিত রাজ্য জয়ের নেশায়। প্রতিজ্ঞা করলাম সিডর আইলা যতই আসুক, কোয়েল কে আমার চাই ই চাই। হুড তোলা রিষ্কায় ঢাকা শহর ঘুরে বেড়াব কোয়েলকে নিয়ে,ইস ভেবেই আমি পুলকিত।

প্রথম ক্লাসে পাসের খালি আসনটিতে বসার সাহস না হলেও কোয়েলের পেছনের আসনটিতে ঠিকই বসলাম। ভাবলাম হোক না পেছনে, কাছে তো থাকা হল। এভাবে কাছে থাকার সাধনায় আমার দিন রাত কাটতে লাগল। ওদিকে মোটাসোটা উন্নত স্বাস্থ্যবান ছেলে হিমেলের সাথে কয়েকদিনেই বেশ জমে উঠেছে তার। আমি তো আপসেট। আজকালকার মেয়েদের যে মোটাসোটা ছেলে পছন্দ তা জানা ছিল না আমার। আয়নায় নিজেকে দেখে খুব অসহায় বোধ করলাম। এতকাল পর মনের মধ্যে যে প্রেম উঁকি দিল, অঙ্কুরেই তার সলিল সমাধির আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে উঠলাম আমি। চিন্তা ভাবনা করে একটা স্বস্থ্য প্রকল্প হাতে নিলাম। একজন সস্তা ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হলাম যদি কোনো উপায় পাওয়া যায়। ডাক্তার বললেন, এভরিথিং ইজ ওকে।পারফেক্ট স্বাস্থ্য। এর বেশি দরকার নেই। মনে মনে বলি ঠিক আছে তো আমিও জানি, ঐ মেয়ে কি আর তা বুঝে। প্রেসক্রিপশনের পরিবতে বতমান স্বাস্থ্যাবস্থার জন্য শোকরিয়া আদায় করতে বললেন ডাক্তার। আমি আলহামদুলিল্লাহ বলে শোকরিয়া আদায় করে চলে এলাম। ভাবলাম যে করেই হোক কোয়েলের সামনে নিজেকে জাহির করতেই হবে। বিশ্বস্ত বন্ধু রনক মেয়ে পটাতে বেশ ওস্তাদ। এ লাইনে তার যথেষ্ঠ সুনাম। কুটনীতিক হিসাবে তাকেই এপয়েন্টমেন্ট দিলাম। কেএফসি তে গোটা কয়েক চিকেন সাবাড় করে বন্ধু রনক হাই তুলতে তুলতে বলল, এটা কোন কাজ হল। ওয়ান টুর ব্যপার। বাসায় গিয়ে নাকে তেল দিয়া ঘুমা। আমি নাকে তেল দিয়ে না ঘুমালেও অনেকটা আশান্বিত ছিলাম। কিছু একটা হবেই। কিন্তু দিন কয়েক পর আবিষ্কার করলাম,বন্ধু রনক নিজের জন্যই প্রস্তাব দিয়ে বসে আছে। লোকে বলে কারো সাথে বন্ধুত্ব ভাংতে চাইলে টাকা ধার দাও। এখন তো দেখি, টাকা হারানোর চিন্তা নাই। নারীতেই কাজ হয়। কি আর করা, বিশ্বসঘাতক বন্ধুর জন্য তো আর নিজের ভালবাসা গঙ্গাজলে বিসজন দেওয়া যায় না। নিজেকেই কিছু একটা করতে হবে। শেষে বুদ্দিটা পেয়েই গেলাম। ময়লা বাবার ময়লা অনুমান হিসাবে অব্যথ । কোনোমতে একবার গায়ে মেখে দিতে পারলেই কেল্লা ফতে। পাখি নিজেই এসে খাঁচায় ধরা দিবে। একটা ভালো দিন দেখে বাবার দেওয়া ময়লা নিয়ে ক্লাসে হাজির হলাম। ইতোমধ্যে বিরাট কান্ড ঘটে গেছে। ক্লাসের মন্টু গ্রুপ কতৃক রামধোলাই খেয়ে মটকু হিমেল হাসপাতালে। বন্ধু রনককে ধানমন্ডি লেকে চুবানো হলো একশত বার। ত্রিভুজ প্রেমের চিত্রনাট্যে ভিলেনের অনুপ্রবেশ দেখে আমি তো মমাহত। সেই সাথে খুশিও হলাম এই ভেবে যে, রাস্তাটাতো ক্লিয়ার হলো। এখন শুধু ময়লা ঠিক ভাবে কাজ করলেই হয়। ময়লা নিয়ে কোয়েলের কাছে যাব, ঠিক সেই মুহুতেই ঘটল বিপত্তি। প্রেমের খুটিতে শেষ পেরেকটি মেরে দিল মন্টু বাহিনীর প্রধান খুরা মন্টু। সদম্বে সে ঘোষনা করল সবার সম্মুখে, কোয়েলের দিকে হাত বাড়ালে তার হাত কেটে গলায় ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। আমি অসহায় ভাবে আমার হাত দুটির দিকে তাকালাম। ভাবতে লাগলাম হাত না থাকলে কি হয়। নিজের হাত দুটির জন্য বেশ মায়া লাগলো আমার। ধীরে ধীরে জানালার দিকে এগিয়ে গেলাম আমি। ছুঁড়ে ফেলে দিলাম ময়লার প্যাকেট। সেই সাথে সদ্য ভ্রুন থেকে ফোটা আমার নবজাতক প্রেম।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ২:২১

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: সাবলীল লিখনি ভাই :)
শুভকামনা :)

২| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:১২

মাহামুদ রোমেল বলেছেন: ধন্যবাদ অপূর্ন

৩| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৪

আফিক ১২৩ বলেছেন: Apni ei postta ekhaneo korte paren. http://valobasar-forum.wapka.mobi/

৪| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৩:৩৫

আফিক ১২৩ বলেছেন: Apni ei postta ekhaneo korte paren. http://valobasar-forum.wapka.mobi/

৫| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ বিকাল ৪:০৮

আর.হক বলেছেন: ময়লা কিতা ? বুঝাইয়া কন

৬| ৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:৩৬

মাহামুদ রোমেল বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। বুইঝা লন নিজের মত।

৭| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:৩৯

শাহীন_আলম বলেছেন: ভাই আপনার সাথে যোগাযোগ করতে চাই।
[email protected]

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.