![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহুরে ডিপ্রেশনে আবদ্ধ.....
আকাশ.....
ঢাকার কোনো এক ছোট্ট বস্তিতে জন্ম।
অনেক গরীব তারা। তার উপর বাবা নেই।
বাবা আদৌ ছিল কিনা এটা তার অজানা ।
মা ই অনেক কষ্ট করে তার খাওয়া পড়ার খরচ চালান।
মা মানুষের বাড়িতে কাজ করেন দিনের বেলায়।
আর রাতে নিজেদের বাড়িতেই কি যেন একটা কাজ করেন।
আকাশ শুধু রাত হলে বড় বড় লোককে বাসায় আসতে দেখে।আর ওর মায়ের রুমে ঢোকে।মাকে বোধহয় অনেক মারেন তারা।এইজন্যেই মা শিতকার দিয়ে ওঠে।
আকাশ ওই লোক গুলোকে অনেক ভয় পায়।
একদিন মা কে জিজ্ঞেস করেছিল
"মা,ওরা তোমাকে প্রতিরাতে মারে কেন.? "
মায়ের চোখ জলে চিকচিক করছিল বলেছিল "ওরা আমাকে কষ্ট দিয়ে আমাকে টাকা দেয়।
তুই অনেক বড় অফিসার হয়ে আমার কষ্ট দূর করবি "
আজ আকাশ একটা কন্সট্রাকশন করা বিল্ডিং এর ছয় তলায় ওঠে।সে আজ আকাশ দেখবে।
আকাশ ভাবে আকাশের মত বিশাল হতে পারলে তার মায়ের বোধহয় কোনো কষ্ট থাকত না.......
অভ্র......
বড়লোক মায়ের একমাত্র সন্তান।
মা বল্লাম এজন্যেই যে বাবা বা বাবাকূলের আতআত্বীয় র খোজ মায়ের মুখ থেকে বের করতে পারে নি।
নানীবাড়ির সবাই ও কোনো এক অজানা কারনে তার মায়ের সাথে যোগাযোগ করে না।
মা সারাদিন বাসায় বসে থাকে।
তার ডিউটি থাকে রাতে।
।
কি কাজ করে এটাও অভ্র জানে না।
অনেক সাজুগুজু করে সে বাইরে যায় কাজে।
অভ্রকে প্রায়শই ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।
কোনো এক ভয়ানক রোগে সে আক্রান্ত।
হয়ত বেশি দিন বাচবে না।
ডাক্তার আনকেলের ইংরেজি কথা হাল্কা পাতলা সে বুঝতে পারে।তার মা ও স্বম্ভবত এই রোগে আক্রান্ত।
কিন্তু রোগটার কনো চিকিৎসা নেই বোধহয়।
না হলে মা তার চিকিৎসা করাতো।কারন ওদের অনেক টাকা।
মার কাছে যা চায় তাই ই পায়।
আজ ওর অনেক বেশি খারাপ লাগছে।
মরার সময়টা বোধহয় ঘনিয়ে আসছে। প্রায় ই অজ্ঞান হয়ে পড়ছে।
আজ সকালেও একবার হইছিল।
এখন সুস্থ।
একটু ছাদ থেলে ঘুরে আসা যাক।
ডিএসএলার এ কয়েকটা পাখির ছবি তুলবে সে।
নাহ,আজ অভ্র র ছবি তুল্লে কেমন হয়??
এই অভ্র ও নিজে না।
দুনিয়ার কোনো যন্ত্রই হয়তো এই অভ্রকে আটকাতে পারবে না।
ডি এস এল আর এr ৩ ইনচি স্ক্রিনে আকাশকে বন্দি করতে চায় সে।
অভ্র হয়ে অভ্রকে বন্দী করার ঝামেলা অনেক।
অভ্র এর সিনোনিম বোধহয় আকাশ। এমন কিছুই দেখেছিল গুগল ডিকশনারি তে সে.....
©somewhere in net ltd.