![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহুরে ডিপ্রেশনে আবদ্ধ.....
আজ একটা ছেলের গল্প শোনাই.....
রাফিয়ান....
বাবা-মায়ের বড় সন্তান।তিন ছেলের মধ্যে সেই সবচেয়ে বড়।বাবা-মা কলেজ টিচার হওয়া সত্ত্বেও সে আর্থিক দুর্দশার মধ্যে বড় হতে থাকে।মুল কারণ তার দাদার ফ্যামিলি।দাদা র ফ্যামিলি থেকে তার বাবাকে পটিয়ে বেতনের এক তৃতীয়াংশ তার দাদা বাড়ি নিয়ে যায়।ছোট বেলা থেকেই সে যেহেতু এই নাটকের মধ্যে বড় হচ্ছে তাই এটা স্বাভাবিক ভাবেই সে নিয়েই সে বড় হতে থাকে।একটু অন্য রকম মন মানষিকতার হওয়াতে তার ফ্যামিলির সাথে সবসময় ঈ গ্যাপ থেকে যায়।যার দরুন তার আবশ্যিক খরচ গুলোও সে তার বাবা মায়ের কাছে চাইত না (যদিও তার ছোট ভাই গুলো চাইত) ।ফলে ফ্রেন্ড সার্কেল ও তেমন গড়ে ওঠে নি।কারন সবাই যখন টিফিনে সিংগারা,পেটিস খেত সে দাড়িয়ে দাড়িয়ে তাদের খাওয়া খেত।এমন ভাবেই তার দিন কাল যাচ্ছিল।এমন ভাবেই স্কুল লাইফে তেমন ভাল বন্ধু গড়ে ওঠে নি।জাস্ট সবার সাথে আগলা খাতির।হাত খরচ কাকে বলে তা শুধু শুনেই গেছে হাতে পায়নি।
ছোট বেলা থেকেই যেহেতু একটু অন্য রকম স্বভাবের। বাংলা ভাষায় যেটাকে ঘাড়ত্যাড়া বলে তাই মা বুদ্ধি করে বল্লেন "তুই একদিন ভাল হয়ে থাকলে তোকে ২ টাকা দিব। "
ক্লাস এইটে পড়া একটা ছেলে যখন কোনোদিনও হাত খরচ পায়নি প্রতিদিনের ওই ২ টাকাই অনেক।তাই সে যথাসম্ভব চেষ্টা করে।কিন্তু প্রতিদিন ই তার ছোট হলেও একটা ভুল হত।তাই ৮ দিন পর ও সে এক পয়সাও পেল না তাই এইসব ফালতু আশা বাদ দিল।বুঝলো বাবা মা তাকে ধোকাই দিবে।
ছোট বেলায় বলত "টাকা পেলে তুমি নষ্ট হয়ে যাবে।"তাই টিফিনের টাকাও দেয় নি।
আর একটু ব্র হয়ে "তুমি যা চাও সব এনে দিব"
কিন্তু কিছু চাইলেই তার একগাদা মন্দ দিক উপস্থাপন করা হত।বাট জিনিসটা দেয়া হত না।
তাই ছোট বেলা থেকেই বাবা মা কে ধোকাবাজ হিসেবেই জানে।অন্য বাবা মা কে গালি দিলে ছেলে মেয়েরা যখন চেতে যায় নিজের বাপ মা কে গালি দিলে রাফিয়ান মাথা নিচু করে থাকে।
আজ পড়াশোনার খাতিরে সে দূরে। অথচ প্রতিবার বাড়িতে আসলেই সে টাকা নিয়ে ভেজালের সম্মুখীন হয়।তার বাবার একটাই কঅথা "বসে বসে খাও তো বোঝো না।"হাহা হা। কি কথা....???
যেই ছেলে কলেজের বন্ধুগুলার সাথেও ঠিকমত মিশতে লজ্জা পায় টাকার অভাবে।যেই ছেলে সারাদিন ঘরে বসে থাকে টাকার অভাবে।যে তার প্রাইভেটের খরচ আর কলেজের বেতন বাদে একটা অঅতিরিক্ত পয়সাও নেয় না সে বসে বসে খায়???
ভালোই তো।বিভৎস রকমের ভাল।
এরপরেও ছেলেটা চায় মানুশের মত মানুশ হতে।বুড়ো হয়ে গেলে বাপ মা কাছে রাখতে চায় ভালোবেসে না।তাদের ঋণ পূর্ণ করে দেয়ার জন্যে....
পৃথিবীর সব লোক স্বার্থপর। বাবা মা ও এর বাইরে নয়।তারাও নিজেদের দশ মিনিটের সুখের জন্যে রাফিয়ান কে পৃথিবী র আলো দেখিয়েছে।বড় করেছে বুড়ো বয়সে ছায়ার খোজে।আর এসময় যখন দেখছে তাদের দেখ ভাল করার মত আরো বিশ মিনিটের দুইজন ফসল আছে তখন ই ভেবেছে একজনকে কিছুটা বঞ্চিত করলে কিছুই যায় আসে না.....
সকলের কাছে অবিশ্বাসের মত মনে হলেও এমন বিশ্বাস নিয়েই বড় হচ্ছে সে........
২| ২১ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:২৮
নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা বলেছেন: দোয়া করবেন সেই সফলতার দেখা যেন পাই
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:২৪
Homo_Sapiens বলেছেন: দুঃখ কইর না ব্রো। কষ্টের মধ্যে সফলতা আসবেই, তখন অনেক ভালো লাগবে। কষ্ট বৃথা যায় না।