নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেন মৃত্যু হচ্ছে লোকালয়ে প্রতিদিন,মরে যাচ্ছি আজাবে সুদহীন...

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা

শহুরে ডিপ্রেশনে আবদ্ধ.....

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম কাহিনী.... :(

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:২৬

আমার রিলেশন ফেবু থেকেই শুরু।ও আমার কবিতার

ফ্যান ছিল ( যদিও সব বাজে লেখা) ।দেন

ফ্রেন্ডশিপ অফার করল।আমি আবার

বোকা টাইপের। এম্নি পট পট করি ফেবুতে বাট

বাস্তবে ফ্যামিলির কিছু প্রবের

কারনে সবাইকে শত্রু মনে হয়

আর তাই কখনো কারো সাথে মেশা হয়নি।ক্লাসের

ফ্রেন্ডগুলার সাথেও। আর বেস্ট ফ্রেন্ড

তো লাইফে পাই ই নি।আমার চেহারা কেমন

জানি না। হয়ত খ্রাপ। বাট আমি অনেক লম্বা।

হীরা বলত ওর কিছু বান্ধবী ওই একটা কারনেই পছন্দ

করে আমাকে। তো যাই হোক বন্ধুত্বের দিন

ভালোই

কাটছিল

একটা টাইমে ফেবুতে এক ভাইয়া র সাথে পরিচয়

হয়।

যে আমাকে খুব স্নেহ করতে শুরু করে।কিন্তু

হীরা য়ার কাছ

থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেষ্টা করে

একটা টাইমে গিয়ে বুঝি ভাইয়াটা তাকে অনেক

লাভ করত।তার বাসা ছিল যশোর।সে ফরিদপুরে বন্ধু

বান্ধব হোটেলে গিয়ে থাকত শুধু হীরাকে এক্নজর

দেখার জন্যে।অনেক বড়লোকের ছেলে ছিল।

হীরা আমাকে ওর কথা এড়িয়ে যেত (যদিও

আমি নাকি তার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলাম) ।কিন্তু

লোপন ভাইয়া একে একে সব বলল।প্রায় হাজার ৭০

টাকা খরচ করছিল পুরো এক ইয়ারে সে

আমার লাইফে একটা ই ফ্রেন্ড একটা ই জিএফ

এরপর আমাকে হীরা ধীরে ধীরে আপন

করে নিতে শুরু করল আর লোপন

ভাইয়া কে দূরে সরিয়ে দিতে থাকল।এক সময় ও

লোপন কে বলে দিল "দেখ তোমার সাথে কখনোই

রিলেশন ছিল না আর করা সম্ভব ও না " এর আগেও

লোপন ভাই হীরার জন্যে কয়েক বার

হায় কাটছিল।বাট এরকম বাজে কিছু হয় নাই।যাই

হোক তারপর বহু কাহিনীর মধ্য দিয়ে লোপন অধ্যায়

শেষ হল ( কাহিনী অনেক।

সাম্নে দেখা হলে একদিন বলব)

আমার অধ্যায় স্টার্ট হল

আমাকে ওর ই একটা ফ্রেন্ড না জানিয়ে নাম্বার

নিয়ে দুইদিন কল দিল।আমি আবার হীরাকে বললাম।

হীরা তো রেগে মেগে অস্থির।পরে দেখা গেল

মেয়েটা আমাকে পছন্দ করে।হীরাকে বলল

"হীরা তুই তো ওর ফ্রেন্ড আমার একটু লাইন করায়

দে " (কথাটা অনেক পড়ে শুনছিলাম হীরার কাছ

থেকে)।

হীরা সেদিন বিকেলে অন্য একটা নাম্বার

থেকে ফোন দিয়ে বলল ....

-সৃজু আমার ফোন ভেঙে ফেলছি

-ক্যাম্নে???

-নীলার মুখে মাইরে

-হোয়াট???

- ও তোমার নামে বাজে কথা বলে

(পুরা ঘটনারেই সে পাল্টায়ে দিল )

লিমা নামের ওর আরেকটা ফ্রেন্ড আবার

সেদিনি ফেবুতে ভুলে ভুলে আমাকে ঘটনা টা বলে

পরে সিউর হলাম সে রিয়েলি ভালবাসতে শুরু

করছি ( লোপন ভাইয়ের সাথে ব্রেকাপের টাইমেই

বুঝছিলাম সে পছন্দ করে আমাকে)

আমি আবার খুব চকলেট পছন্দ করি।আর ওর

সাথে দেখা হলেই ও অনেক চকলেট খাওয়াত

( আমার বাবা মা দুজন ঈ কলেজ টিচার

মানে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলি।আমার ছোট ভাই

দুইটাকে টাকা দিলেও

আমাকে কখনো হাতে টাকা দেয় না তেমন।কারন

আমি ছোট বেলা থেকেই অবাধ্য, উশৃঙ্খল।

আমাকে তারা ভাল বাসে না।হীরা সেটা জানত

আমি যখন চকলেট খেতাম ও আমার দিকে তাকায়

থাকত সবসময় ই।বাট একদিন দেখলাম তাকায়

থেকে কি যেন ভাবছে.....

-বুট্টু কি হইছে।

-কিছু না

-আরে বল না। কি হইছে???

-সৃজু আমার বয়ফ্রেন্ড হবা....???

আমি কিছুক্ষনের জন্যে থমকায় গেলাম ।

আমি কখনোই ভাবি নাই হীরা আমাকে প্রপোজ

করবে ( কারন ওর চেহারা সুন্দর না হলেও

চঞ্ছলতা দেখে অনেক বড়লোক

ছেলে ওকে প্রপোজ করছিল।আর

আমি ওকে কয়েকটা গিফট ছাড়া কখনোই কিছু

দিতে পারি নি।এমনকি রিক্সায় উৎলে ওই

রিক্সা ভাড়া দিত)

আমি চুপ করে থেকে ছোট করে মাথা নাড়লাম।ও

আমার গালে একটা চুমো দিয়ে চলে গেল।ও

হ্যা সেদিন বাসায় এসে দেখি ও আমার ব্যাগ

ভরে কোন ফাকে যেন একগাদা চকলেট

দিয়ে গেছে।

তো রিলেশন ভালোই চলছিল। আমি একদিন

মাঝখানে মাদবাড়ি করে লোপন ভাইয়ের

সাথে দেখা কর্লাম।লোপন ভাই সব শুনে জাস্ট

আমাকে জড়ায় ধরল আর আমার পায়ে চোখের জল

অনুভব করলাম

( আমি লোপন ভাইকে খুব ভয় পেতাম।সে যশোরের

অনেক বড় মস্তান।হীরাকে এক ছেলে গালি দিছিল

বলে তার হাত কেটে ফেলছিল কব্জি থেকে।

জেলেও ছিল ৪ দিন

আমাকে খুব স্নেহ করত বলে আমাকে কিছু বলে নাই

প্রেম ট্রেম ভালোই চলল এক বছর।কিছুদিন পরেই

বাধলো বিপত্তি।আমি একটু একটু স্বপ্ন দেখতাম

ইন্টারের পর বিয়ে করে ঢাকায় চলে আসব।আর

ফেবুতে কয়েকটা মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ তা ( বন্ধু) শুরু

হলে দেখলাম হীরা জেলাস ফিল কর্তেছে।পরে ওর

দিকে তাকিয়ে সব মেয়ের সাথে কথা বলা বাদ

দিলাম

ফেবুতে ( বাস্তবে হীরা বাদে কারো সাথে কথা বল

কিন্তু ফেবুতে দেখলাম সুজা নামে এক

ছেলে হীরার প্রোফাইলে কমেন্ট করছে।এক সময়

গিয়ে বুঝলাম ওর সাথে হয়ত কোনো ফ্রেন্ডশিপ

হইছে।আমি এবার জেলাস ফিল কর্তে শুরি কর্লাম

28 minutes ago

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা

একটা টাইমে গিয়ে দেখলাম হীরা রাতের কিছু সময়

আমার সাথে বিভিন্ন

অজুহাতে কথা বিলছে না (লাইক আম্মু ফন

করবে আমার ফোন থেকে।

)

তো আমি একটা টাইমে গিয়ে ভাবলাম আম্মু এত

রাতে কার সাথে দুই দিনপর পর কথা বলবে এতক্ষণ

ধরে।কি ভেবে ফেবু থেকে সুজার নাম্বার

টা নিলাম। দেখল্ম বিজি।কয়েকবার

ধরা খাইলো হীরা এই সুজারে নিয়ে বার বার

কমিটমেন্টে যাইত আর কথা বলবে না

যাই হোক এরকম ধরা খাওয়া না খাওয়ার মধ্যেই

যাচ্ছিল। এরপর দেখলাম তার আরেক ছছেলের

সাথে ফ্রে ড শিপ হইছে ঢাকায় থাকে।সেও

মস্তান।

সেও তাকে অনেক ভালবাসে।বাট লোপন, সুজার

মত

এই ছেলেটাকেও সে পেছনে ঘোরাত। আমি অনেক

কাণনাকাটী করে নিষেধ করলাশুনলো অনেলদিন

পরে।ছেলেটার নাম ছিল সাদী।ও আমাকে ফোন

দিয়ে অনেক কাদছিল।বাট আই হ্যাড নাথিং টু ডু

23 minutes ago

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা

এইটা পড় Click This Link -

শব্দযোদ্ধা/সেই-ধোকাবাজিনীর-বড়-কিন্তু-

সবচেয়ে-ছোট-গল্প-/634614736578481/?refid=21

23 minutes ago

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা

একটা টাইমে দেখলাম তার আরেকটা ফ্রেন্ড হইছে।

যার নাম প্রবাল। যে ফরিদপুরে র টপ নেতাদের

একজন।তো আমি এই সময় ও সারারাত অন্য সিম

দিয়ে ওই ছেলেদের সাথে কথা বলত আর

আমি কাদতাম সারা রাত জেগে।একদিন সহ্য

কর্তে না পেরে ওই ছেলেকে ফোন

দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করি।

কিন্তু ও সেদিন মদ্যপ অবস্থায় ছিল।ও

রেগে গিয়ে উল্টা আমারে মার্তে চাইলো।তখন

এস এস সির রেজাল্ট দিল ।প্লাস পাইলাম।বুঝলাম

এই শহরে আমার আর থাকা হচ্ছে।থাকলে লাশ

হয়ে থাকতে হবে ( সুজাও ফরিদপুরের বড় নেতাদের

একজন ছিল)

আমি অনেক কাহিনী করে যশোর চলে আসলাম।

18 minutes ago

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা

ওকে অনেক ভালবাসতাম। তার উপর চাচ্ছিলাম

আমার পড়াশোনা টা চলুক ।

ওকে ছেড়ে দিলে পড়াশোনা শিকেয়

উঠবে ( শিকাতেই উঠছে এখন )

কিন্তু বারবার ওয়ার্নিং দেয়া সত্ত্বেও মস্তান

ছেলেদের সাথে কথা বলত। ২৮ বারেত বার

ভাবল্মাম অনেক ওয়ার্নিং দিছি আর না ব্রেকাপ

করাই শ্রেয়।

কারন ওর বদ্ধমূল ধারনা ছিল

ওকে আমি ছাড়তে পারব না।

এরপর দুই একদিন খুব খ্রাপ গেল। এরপর আমার সব

স্ট্যাটাস দেখে আনিকা নামের এক বড় আপু

আমাকে প্রতিদিন ফোন দিয়ে ৪-৭ ঘন্টা কথা বলত।

মেন্টাল সাপোর্ট দিত।ওনার সাথে এরকম ৪ মাস

কথা বলছিলাম।উনিও একজনের কাছে ছ্যাক

খাইছিল।

11 minutes ago

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা

এরপর ওনার ও বিএফ হয়ে যায়।আমার

সাথে কথা বলে কমতে কমতে এখন ফোন ই দেয়

না (আসলে সে তার প্রেজেন্ট বি এফ কে অনেক

ভালবাসে।কোনো ছেলের সাথেই কথা বলে না)

আর আমিও একা হতে থাকি।এখন আর কেউ

প্রোপোজ ও করে না।আমার জিএফ পাওয়া হয় না ।

মেন্টাল সাপোর্ট ও হয় না।পড়াশোনাও হয় না।

এক্সাম ও ভাল হয় না।হয়ত হবেও না।

খ্রাপ লাগে এইটা ভেবেই আমি মধ্যবিত্ত

ফ্যামিলি র ছেলে আর সব মেয়ে চায় উচ্চবত্ত।

হীরা সাথে থাকলে হয়ত উচ্চবিত্তের সমান

না হতে পারলেও কাছা কাছি যেতে পারতাম

কিন্তু

সেই যাওয়া আর হল না।

মা বাবার স্বপ্ন ও অপূর্ণ থেকে গেল।

মরে যেতে ইচ্ছা করে বুঝলা...???

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

ডুয়েট বলেছেন: গল্পটা কি সত্যি? হলে খুবই কষ্ট পেলাম।আর মেয়ে মানুষের জন্য কষ্ট পাওয়ার কোন মানে হয়না।
আপনি পড়ালেখায় মন দেন।

২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা বলেছেন: এটা আমার নিজের জীবনের গল্প :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.