নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেন মৃত্যু হচ্ছে লোকালয়ে প্রতিদিন,মরে যাচ্ছি আজাবে সুদহীন...

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা

শহুরে ডিপ্রেশনে আবদ্ধ.....

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভ্যাম্প্যায়ার সৃষ্টির আদি-অন্ত.... ;-)

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ দুপুর ১:৪১

মূলত মনীষা আপুর ব্লগ দেখলাম।তো আমার মনে হইলো লেখাটায় অনেক ঘাটতি আছে।তাই নিজেই উইকি ঘেটে লিখতে বসলাম.....



যাই হোক শুরু করা যাক তাইলে... :-)



আমরা মুসলিম রা সবাই জানি আদম আঃ ও হাওয়া আঃ পৃথিবীতে নির্বাসিত হয়েছিলেন এবং আমি যতদূর জানি নূহঃ আঃ এর অনেক পর পর্যন্ত ও পৃথিবীতে অনেক অলৌকিক ঘটনা ঘটত এবং আল্লাহ এগুলো ঘটতে দিতেন।তাই এই ভ্যাম্প্যায়ার বিষয়টি আপাত দৃষ্টিতে সত্য বলেই মনে হয়....



যদিও আমি এর উপর পুরোপুরি বিশ্বাস করি না।তবে বাইবেলের ওল্ড স্টেটমেন্টে এই টাইপের কিছু কথা আছে যার উপর base করেই article টা দ্বার করালাম....



যাই হোক,অনেকেই জানেন বাইবেলের ওল্ড এবং নিউ স্টেটমেন্ট অনুযায়ী আদম কে এডম এবং হাওয়া কে ইভ বলা হয়....



এদের দুজন ছেলে ও দুজন মেয়ে ছিল....



দুজন ছেলের কোরআন শরীফ অনুযায়ী নাম আবিল এবং কাবিল....



যদিও হিব্রু ভাষার বাইবেলে এদের এবেল এবং কেইন আছে...



এরা যেখানে থাকত সেটা মূলত বাইবেলে ইডেন নামে পরিচিত....



এর পূর্ব দিকেই নড নগরী।যার অর্থ ঘুমের রাজ্য।এখানে mainly সবাই ঘুমাত না। তারা মোগাচ্ছন্ন অবস্থায় জীবন মৃত্যুর মাঝামাঝি কোননো অবস্থায় থাকত....



যদিও এই ইডেন জায়গাটা শ্রীলঙ্কা বলে পরবর্তীতে জানা যায়।কিন্তু নড টা এক্সাক্টলি কোন জায়গাটা আমি কোথাও খুজে পাইনি... :-/



আর যে ঘটনাটি বলছি এটা 200000 BC এর ঘটনা বলে বাইবেলে পাওয়া যায়.... :-)



তো জানা যায় কেইন ছিলো চাষী এবং এবেল ছিলো শেফার্ড বা রাখাল বালক....



আম্রা জানি আগে কুরবানী দেয়া হলে আল্লাহ সাথে সাথে বজ্রপাতের সহিত উৎসর্গকৃত বস্তুকে উপরে উঠিয়ে নিয়ে যেতেন....



বাইবেলে যদিও এরপরের কাহিনীটুকুর পরিচয় পাইনি তবে কোরআন শরীফে বলা আছে আদম আঃ এর দুটো মেয়ের মধ্যে একটা ছিলো কুৎসিত এবং তাদের কুরবানী যারটা কবুল হবে সেই ওই মেয়েকে বিয়ে করবে....এবং কুরবানী দিতে হবে প্রত্যেকের প্রিয় বস্তুকে....



প্রথমে আবিলের জবাই করা দুম্বা কবুল হয়ে যায় সাথে সাথেই এবং বাইবেলের কাহিনী অনুযায়ী কেইন হিংসার বশবর্তী হয়ে আবিলকেই কুরবানী করে এই বলে সে তার প্রিয় বস্তু।



স্বাভাবিক দৃষ্টিতেই বোঝা যায় মোটেও এটা তার কুরবানীর উদ্দেশ্য ছিল না।তাই ঈশ্বর এর নির্দেশে তাকে তার পিতা cursed করে দেয়...



যদিও কোরআন শরীফে এই বিষয়গুলোর উল্লেখ নেই.....



তারপরেও book of nod এ এই বিষয়ে বিস্তারিত লেখা পাওয়া যায়....



এরপর কেইন যথারীতি নির্বাসিত হয় nod নগরীতে....



যেখানে তার সাথে পরিচয় হয় লিলিথ নামের এক মেয়ের।যে ডার্ক ম্যাজিকে পারদর্ষী...



বিষয়টা ধীরে ধীরে প্রেমের দিকে গড়ায়.... :')



এবং এক সময় লিলিথের সাথে কেইন অন্ধকার জগতে যেতে চায় বাট লিলিথ যেহেতু সত্যি সত্যিই কেইন কে ভালোবাসতো তাই সে নিতে চাইতো না.....



কিন্তু ছেলে মানুষ গো ধরছে নিতে তো হবেই এক সময় নিতেই হলো অন্ধকার জগতে... :-/



একটি Ritual করা হলো, লিলিথ তার হাত

কেটে এক বাটি রক্ত কেইনকে পান করতে দিলো।

কেইন তা পান করার সাথে সাথে ঈশ্বরের

হয়ে ৩জন এঞ্জেল এর আগমন ঘটে। প্রত্যেকবার

একেক এঞ্জেল কেইনকে এবেল হত্যার

অনুশোচনা করতে বলে এবং প্রত্যেকবার কেইন

তা করতে অস্বীকৃতি জানায়। প্রত্যেকবার

না বলার জন্য একটা একটা করে মোট

৩টা অভিশাপ তার উপর দেয়া হলো-

1) A weakness to fire,

2) Vulnerability to sunlight, and

3) The Beast Within that hungers for blood



যেটা তাকে মারাত্বক অনুশোচনা দেয়....



এবং সে মানুষ হয়ে মানুশের রক্ত খাবে এ জিনিসটা সে মেনে নিতে পারে নি...



ফলস্বরূপ সে নিজেই নির্বাসনে যায়....



এখন পাড়ি জমায়...



উবার নগরীতে। যেটা সৌদি আরবের একটা শহর পরবর্তীতে ধ্বংস হয়ে যায়....



সবশেষে নূহ(আঃ) এর মহাপ্লাবনের সময় কেইনের

রাজ্যের সব কিছু ধবংস হয়ে যায়,

হাতে গোনা এন্টিডিলিউভিয়ান ছাড়া কেউ

সার্ভাইভ করতে পারেনি।



পরবর্তীতে সে নিরুদ্দেশ হয়ে যায় কারণ হিসেবে বলা হয়ে থাকে সে পৃথিবীর ঈ কোনো এক জায়গায় আছে এবং পৃথিবী ধ্বংসের আগ পর্যন্ত তাকে বেচে থেকে অভিশাপ গুলো বয়ে বেড়াতে হবে....



এবং আমার যতটুকু ধারণা "খড় দজ্জাল " নামে একটা টার্ম আছে মুসল্মানদের ক্ষেত্রে এটাই সেটা।যদিও আমি সিউর না।কারণ কোনো রেফারেন্সে এমন কিছু পাই নি।তবে মনে হলো....

যাই হোক লেখাটা যেই পড়েন আর না পড়েন ভালো রেসপন্স পেলে আরো লেখবো পরবর্তীতে :-)



দয়া করে আমার আর্টিকেল টা আমার অনুমতি ছাড়া কপি করবেন না। আপ্নি শেয়ার করেন দ্যাটস নট এ প্রব।কপি করলেই মেজাজ গরম হয়ে যায়.... :-/



আর এখনকার মেয়েরা আল্লাহর ওয়াস্তে টুইলাইটের সৌজন্যে ভ্যাম্প্যায়ার এর প্রমে পইড়ে যায়....



ওদের চেহারা সুন্দর হইতে পারে বাট ওরা cursed....



সো তাদের প্রেমে না পইড়ে আমাদের মতো ভালো ছেলেগুলার প্রেমে পড়ার জন্য অনুরোধ জানানো গেল.... B|





সৃজন

০১.০১.১৪

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:২২

ইখতামিন বলেছেন:
সুন্দর লিখেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.