![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহুরে ডিপ্রেশনে আবদ্ধ.....
রাফিয়া....
আধুনিক যুগের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে...
আইপডে গান শুনতে শুনতে অন্যান্য দিনের মতো কোচিং ফেরত শান্ত বিকেলের খুবই শান্ত এক মেয়ে...
হঠাৎ বুঝতে পারে তারই সমবয়সী কোনো বালক তাকে ফলো করছে।এইটা বুঝতে পারলেও বুঝতে পারে না তার মনের অজান্তেই বালকটি তার মনে ধীরে ধীরে স্থান করে নিচ্ছে....
এক মাস পর....
ভোর এখন আগের মতো হয়না।এখনকার ভোর অনেক স্নিগ্ধ।সব কিছুতে এক প্রেম ময় প্রেম ময় ভাব।বিছানার পাশের আদুরে বিড়াল গুলোকে বড্ড বেশি আদুরে মনে হয়।মনে না হওয়াটাই বেশিই অস্বাভাবিক কারণ মনে এখন তার বসন্তের দোলা...
এক বছর পর ....
বালকের সাথে বালিকার ঘনিষ্ঠতা আগের চাইতেও বেশি।অনেকটা হঠাৎ করেই বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত।বিয়েও করে ফেলে তারা।ছেলেটা তাকে একটু বেশিই ভালোবাসে।সংসার ভালোই চলছিল।সদ্য এইচএসসি পাস করা মেয়ে।মা বাবাকে ছেড়ে খুব কমই কষ্ট হচ্ছিল।স্বামীর আদরের কাছে এগুলো পরমাণুর চাইতেও ক্ষুদ্রতর.....
কোনো এক চঞ্চলা বিকেলের কথা,স্বামীর বাহুতে মাথা রেখে পুরোনো স্মৃতিচারণ করছিলো রাফিয়া।গত দেড় বছরে অনেক কিছু বলা হলেও একটা কথা কখনোই বলা হয়নি।কিন্তু আজ সে বলতে চায়।শর্ত একটাই স্বামী তাকে কিছু বলতে পারবে না।স্বামী শর্ত মেনেও নেয়।কিন্তু শর্ত টা রাখতে পারে না।না রাখাই স্বাভাবিক।কারণ কেউই তার স্ত্রীর পুরোনো প্রেমিকের সাথে শারিরীক সম্পর্কের কথা খুব বেশি বড় মনেরর অধিকারী না হলে মেনে নেওয়ার কথা না।রাফিয়ার ক্ষেত্রেও ঠিক একই জিনিসই হয়।
কিন্তু একটা বাজে জিনিস ও হয়ে যায়।তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ....
অনেকটা ঘড়হারা পক্ষীর মতো একটা স্যুটকেস নিয়ে এক কাপড়েই বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হয় রাফিয়ার....
সামনে তিনটে পথ খোলা...
এক,একটা এইচএসসি পাস মেয়ের ভালো কোনো জায়গায় চাকরি হওয়ার কথা না কয়েকজন মোটা,বাজে শলাকাকাঠির দুর্গন্ধ যুক্ত শরীরের নিচে পিষ্ট হওয়া ছাড়া....
দুই,মানসম্মানের মাথা খেয়ে বাবা মায়ের কাছে ফেরত গিয়ে আবারো অন্য কোনো অপুংশক পৌরষত্ব ধারী কোনো সুপুরুষের সাথে তৃতীয়বারের মতো স্বপ্ন না ভাঙার স্বপ্ন দেখা।যেটা বড্ড বেশি সস্তা কিন্তু আত্তসম্মানের কাছে ছোটো হয়ে যাওয়া বিষয়...
তিন নম্বরটা সবচেয়ে সহজ।সোজা নিচে চলে যাওয়া।মানে, এই ফ্লাই ওভার থেকে একবার আকাশের দিকে তাকিয়ে দুই হাত দুদিকে ছড়িয়ে স্যুটকেস টাকে এককী অপেক্ষা করতে দিয়ে সোজা নিচের দিকে গমন....
পৃথিবী থেকে আরেকটা জনসংখ্যা কমবে।পোষ্টমর্টেম শেষে পুলিশ হয়তো ড্রাইভারকে ২০ টাকা দিয়ে বলবে....
"এই বেওয়াড়িশ লাশটাকে গোরস্তানে ফেলে আয় তো...."
অন্ধকারে অন্ধ গ্রহে চলে যাবে একটা মেয়ে এক বুক দূঃখ ভরা শান্তির দীর্ঘশ্বাস নিয়ে...
আর স্বামীটা....???
অন্যকাউকে বউ করে নিয়ে এসে ঘন শ্বাস ছাড়বে মধ্যরাতের বিছানায়।এতে কোনো পাপ নেই।এর জন্য কেউ তাকে ডিভোর্স দিবে না....
একটু বেশিই ঘন সেই নিঃশ্বাস......
©somewhere in net ltd.