নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যেন মৃত্যু হচ্ছে লোকালয়ে প্রতিদিন,মরে যাচ্ছি আজাবে সুদহীন...

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা

শহুরে ডিপ্রেশনে আবদ্ধ.....

নির্বাসিত শব্দযোদ্ধা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আত্মকথন #১

২০ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:১৮

বাবা খুব ঘটা করেই জানালেন, "সরকার ঘোষনা দিছে বুড়া বয়সে ছেলে মেয়ে না টানলে মামলা করা যাবে...."



খুব সম্ভবত তিনি খুব চিন্তায় ছিলেন। যদিও তিনি বুড়া বয়সে পেনশনের টাকা পাবেন তাও চিন্তার কারণ বুঝতে পারলাম না...



তবে বাবা আমার চাইতেও অনেক বেশি সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা করেন।খুব সম্ভবত তিনি মিন করছেন,প্যারালাইজড টাইপের কিছু হয়ে গেলে টানা টানির ব্যাপারটা।আমি সরকারের ঘোষনা অনেক আগেই পেয়েছিলাম।পেপারে খুব ক্ষুদ্র একটি কলামে নিউজ টা পড়ছিলাম।এসব নিউজ পেপার আলারা ছাপতে চান বা।খুব সম্ভবত তার ছেলে নেই।মেয়েরা এম্নিতেই স্বামীর উপরে চাপ সৃষ্টি করে বাপ মায়ের দেখাশোনার ব্যবস্থা করেন।তাই তারা নিশ্চিন্ত...



কিন্তু বাবা খুব বেশি নিশ্চিন্ত না।তিনি চিন্তিত মে বি। চিন্তার অবশ্য কোনো কারণ ই নেই।আমি তার এই আমার মতো একটা আজন্ম জানোয়ার ছেলেকে জন্ম দেয়ার অপরাধে পুরষ্কৃত করতে চাই।এক্সাক্টলি পুরষ্কৃত না।আমি তাদের সব দেনা পাওনা শোধ করে দিতে চাই। এইটা মে বি সম্ভব না।সবাই বলে আরকি।সবাই অনেক জ্ঞানী আমি মূর্খ আমি তাই সবাইকে সাপোর্ট করি।বাবা কবে জানি বলছিলেন, বোবার শত্রু নাই।আমি অবশ্য বাস্তবে বোবা। কিন্তু ভার্চুয়ালি বোবা না।সবাই শব্দযোদ্ধা বলে ডাকে। আসলেই শব্দ নিয়ে যুদ্ধ করি মনে হয় এইজন্যেই আমার এতো শত্রু।অনেকেই আমাকে শত্রু ভাবে।বাবা মা ও ভাবে আমাকে।তাদের ধারণা বড় হয়ে মে বি আমিমি খুন করে তাদের সম্পত্তি নিয়ে ভাগবো এই জন্যেই আমাকে শিক্ষিত করতে চান।কিন্তু শিক্ষা আমাকে আসলেই আগাতে পারেনি।কিংবা ২ হাত আগালে ৩ হাত পিছিয়ে দিয়েছে।বানরের অংটার মতো।আসলে আমাকে ভার্চুয়ালি যেমন শব্দযোদ্ধা বলে জানে বাস্তবে বোকা বিলাই বাবা মা র জানোয়ার,বদমাইশ, শয়তান শব্দগুলোও মে বি একই।আমি মনে হয় এতোটা হিংস্র না কাউকে মেরে টেরে ফেলবো।অবশ্য ফেলতেও পারি। শুনেছি রাগের মাথায় মানুশ সব করতে পারে।আমার আবার রাগ বেশি।ঘাড় তেড়া লোকের রাগ বেশি থাকে।শুনেছি জন্মের সময় যার পা আগে বের হয় তারা ত্যাড়া হয় বেশি।আমাকে সিজার করে বের করলে কীভাবে ত্যাড়া হলাম বুঝতে পারলাম না।



যা বলছিলাম সরকার বাবা মা কে না দেখলে মামলা করার বিধান দিলো অথচ ছেলে মেয়েকে না দেখলে মামলা করার বিধান দিলো না কেনো? বিষয়টা ক্লিয়ার না আমার কাছে ...



এতো বুঝে অবশ্য কাজ ও নেই। মা বলেন আমি বেশি বুঝি।আর আমি বলি তোমরা কিছু বুঝো না।আসলেই বাবা মা কেনো যে মাঝে মাঝে এতো অবুঝ হয়ে যায় আমার জানা নেই।কোনো যন্ত্র দিয়ে মাপা গেলে বিশ্বের বিরল কিছু বাবা মা কে দেখা যেত...



মাথায় গোন্ডগোল হচ্ছে মনে হয়।যার বাবা মা নেই তার নাকি মাথার উপরে ছাদ থাকে না।আসলে মানুষ ছাদ টা দেখতে পায় না।আকাশ টা কি ছাদ না???



আমার বাবা মা ও আছে।ছাদ ও আছে।আমি জানালা দিয়ে সেই ছাদ দেখি খুব সম্ভবত আকাশের তারাও আমাকে দেখে...



আমার বাবা মা র আমাকে দেখার সময় নেই ডিগ্রি,এইচ.এস.সির খাতা এক সাথে আসছে।খুব ব্যস্ত সময় পার করছে তারা...



আকাশের খুব সম্ভবত কোনো ব্যস্ততা নেই।ধুমকেতু আসলে গেলেও এদের নির্বিকার ভাবে চেয়েই থাকতে ভালোবাসে।এরা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শক।টেস্ট খেলা দেখতেও অনেক ক্রিকেট খোড় এর বিরক্তি লাগতে পারে কিন্তু পৃথিবীর এই খেলা দেখতে খুবসম্ভবত মোটেও ক্লান্ত না মহাকাশ তাই হয়তো তাকিয়ে আছে আমার দিকে হা করে। হেডফোনে নেমেসিসের "শোনাবো শেষ বারের মতো এই সুর...."



শেষ বার আর আমার জীবনে আসে না।নেমেসিসের জোহাদ ভাই ও অনেক দিন বেচে আছেন।এই বিষয়টাও গোলমেলে।আমার খুব দ্রুতই প্রস্থান করা উচিৎ।আকাশের উপর থেকে আকাশ কে দেখতে ইদানীং খুব ইচ্ছে হচ্ছে.....

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.