![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহুরে ডিপ্রেশনে আবদ্ধ.....
ব্যস্ততা আর্ধেক গিলে ফেলে
আমি নিঃশেষ হয়ে যাই
শিয়ালের মতো মাঝ রাতে
হু হু করে কেঁদে উঠি
.
কে আমাকে থামায়?
মাঝ রাতে চুল সরিয়ে দেয়
.
আমি সিংহের মতো
নত হতে শিখিনি
আমার শব্দকোষে
ঘুণেরাই শোষে
.
আমি নিঃশেষ হয়ে যাই
ক্লান্ত ছেলের...
ধাঁনসিড়ি জীবানান্দ লিখেছিলো বুড়ো বয়সে
এক কুড়ি ভালোবাসা জমেনি কুড়িতে
কোড়ানো আম পাতা কোকনে
কলম খসে যায় শয়নে
.
শরতের চট্টোপাধ্যায় বাবু
বাবাইদের মতো হেটে যেতো
গ্রামের মেঠো পথ ধরে
এ দেখে বসে যেত বকনী একটা নিয়ে
.
কি মায়া...
মৃত্যুগুলোয় যতটা ছিলো আত্মঘাত
তার চাইতেও বেশি অশ্রদ্ধা
অবশ্যই নিজের প্রতি
ঘরে আজও আলো আসে
তবে পাশের বাসা থেকে
বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেদ করে
যখন আলো শিয়রে দাঁড়ায়
ভাবি, কতোটা ভালোবাসা পেয়েছিলো
.
পেরেক ঠুকে কাঠের কফিনে
বাবা জল মুছলো
সাদা রুমাল...
বেচে ছিলে তো সেই শীতকালেই
এরপরে শুকনো পাতার মতো ঝরে গেলে
আমার বুক নতুন কোনো পাতার মতো
অন্য কারো হৃদস্পন্দন অনুভব করলো
.
শীত চলে গেলো
তোমাকে কোনো পাতাকুড়ানিরা
তুলে নিয়ে গেলো
বস্তা বন্দী তুমি
.
যাকে আমি প্রচুর আবেগে
স্নিগ্ধ...
শোরগোল কি ফেরত নেবে
আমার অমাবশ্যা কি বেশ্যার মতো ছুটবে?
ঘন ঘন মুহূর্তে ঘাম ঝরে
এভাবে গাব আঠা মেলানো সুতোয় মাজন ওঠে
আর ছিঁড়ে যায় ঘুড়ি
অকালে ঝড়ে যাওয়া ষাট বছরের বুড়ি
.
একে একে ছিঁড়ে...
সেই দীর্ঘকাল চলছে
ভবানীপুরের সেই বাড়ি
যেখানে কলম গোলাপে
নড়ে উঠেছিলো আসমানী
.
এটা কবতে ছিলো বটে
নাম কবি জসীম আর মধুর
চেটে পুটে খাওয়া সব ঝিঝে
বাচ্চা থেকে বড় চোখ বুলাতো কুজে
.
সময় সম্ভাবা যতো মৃত ডেবিট...
কে স্বরুসতীকে প্রথম পুজেছিলো কে জানে
জ্ঞান এসোছিলো পৃথিবীতে
করিডোরে জমা হতো বইখাতা
কারো ব্যাকপাকে
কেউ গালি দিতো ছাতার মাথা
.
সব স্বর্বৈদ্য সত্য লাট পাকিয়ে
এ ভূবনে দিয়েছে গেড়ো
মাথার ঘিলুর চাইতেও কোনো প্যাচ
প্যাভিলিয়নের প্রতি পদক্ষেপের...
আমি রাত জেগে থাকা এটিএম বুথের পাহাড়াদারের মতো
পাহাড়গুলো শত শৃঙখলভাবে দাঁড়ানো
মেঘের চাদরে মোড়ানো
গায়ে ওঠা শ্যাওলা-শরত
ঢেকে রাখে প্রতি পরত
প্রতি শব্দ অনেক রাতের মতো
শতাব্দী ধরে জেগে থাকে মৃত আগত
.
কেউ ঈশ্বরের প্রার্থনায় রত
কেউ...
সত্য নিয়ে অনেক মিথ্যে গল্প
তৈরী ছিলো পুরাণে
কতো আবহ নিয়ে তৈরী
সব সভ্যতা কুরানে
.
ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রতি অনেক ক্ষোভ
আর ক্ষমতার যত লোভ
নিজেকে যদিও বা বসিয়ে তার স্থানে
মানুষ সৃষ্টির সেরা নিজেরায় মানে
.
তবে কে করে...
আমার এ কি ভয়ানক অধিকার
তোমায় দেখলেই করতে ইচ্ছে করে সৎকার
এতো প্রেম সেই সময়কার
ডিসি বাংলো রোড আর আমার
.
কি অদ্ভূত পাতায় লেগে থাকা শোক
করতে নিষেধ ছিলো স্মোক
এক আধটু তবু গিলেছি কোক
গরম পিচের...
সৌন্দর্য নামে যেসব ঐশ্বর্য পাখা মেলে
তার আড়ালে থাকে কতো হিংস্র জানোয়ার
যদিও শস্য নামে সম্পর্ক সব
কে ভবানী পালোয়ান?
.
উপর থেকে দেখা নৈসর্গ
কাশীপুরে লুকিয়ে খাওয়া বিসর্গ
এতো দেখা রাত ঘুমে
সব কিছুই আলোকিতো
.
একটা শেষ চাই...
সহজ পথগুলোতেই সব আড়ষ্ঠতা
চোখে-মুখে অতুলনীয় মুগ্ধতা
ভয় হয় অনেক
পা পিছলে যাবার
.
পৃথিবী এক নকল ভন্ডামীর স্বীকার
স্বরবর্ণের শেষের কোনো আকার
এখানে স্মৃতি যদিও ভস্মীভূত
বাইরের রাজ্য থেকে আগত
কোনো মিথ্যে সম্ভাবনায় ভেঙে যায়
অনেক দিনের সম্পর্ক
.
কঠিন কিছু...
মহাদেশের পর মহাদেশ পাড়ি দিলেও
আটলান্টিকের মধ্যভাগে মধ্যাহ্ন তে
নতুন কোনো গান মাথায় ঘোরে না বলে
সবার অভিযোগ পিষ্ট হয় রোলে
.
শীতকালে মৃত্যু আঁকলে
আমাদের অবসন্ন মন ভাবলে
এটা কেমন ভাবনা
বলো আকাংক্ষিত বস্তুগুলো কোথায় লুকোনো?
.
এই...
ধরা যাক,এভাবেই
রাতের পর রাতের রাত না খেয়েই
দুঃস্বপ্নগুলো ফ্রি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিলো
কতোদিন তোমাকে দেখে না একচোখ
গ্লাসগুলোতে চোখের পানির স্তর পড়ে
নোনতা স্বাদের সেই ক্ষারত্ব
.
এভাবে যদিও কেটে যায় বা যাচ্ছে বলে
হাহাকার অবাক...
©somewhere in net ltd.