![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শহুরে ডিপ্রেশনে আবদ্ধ.....
ঈশ্বরের বুকে ব্যথা দিয়ে
স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছিলো
অস্বস্তি তার বুক কামড়ে
মাকড়ের মতো চিরেছিলো
.
খুব ক্ষুধার্তের মতো বুবুক্ষ সেজে
পায়ে ময়লা চুকিয়ে
ঘুরে বেরিয়ে দুহাত ভরে কতো অর্থ
সমাজের ময়লা কীটই যত্রতত্র
.
ঈশ্বর কি ছাড়ে...
১০ টাকা নিয়ে শরৎদের পাড়ায় যাওয়া
শঠতার মতো শোনালেও চোখ ছিলো আড়চোখা
আর পোড়া পোড়া আরশোলা খেয়ে
মাঠে বসে পানাম নগরী ভাবতো সেই ছেলেটা রোগা
.
ভদ্রতা নিয়ে মশারীর নিচে
সে ভাবতো কে কোন বীচে
পতঙ্গের...
শীর্ষ সময় হাহাকারের ছবিতে ফুটে তোলে কোনো কবি
এসব দেখেই নির্লিপ্ত ছিলো রবি
চেনাজানা সব দেহের বাকে
রংতুলি একটু একটু করে আচড় টানে
আচল যদিও বা মাটিতে লুটে
কবি সেগুলো তুলে খায় খুটে
.
দম বন্ধ করা...
কতো আইনের মার-প্যাচ যেনো শৃংখল
কতো সত্য অসাবধানে আজ অচল
কিছু ভুরি ভুরি কাগজ
আর মোটা ভূড়ির ঠেস দেয়া পেট
কতো অবাধ্য মিথ্যেয় ছড়িয়েছে আবেগ
.
এই ডেস্ক জানে কতো অদ্ভূত
বাহানায় পাপ...
তার জানালার পাশের পুকুর
রাত যদিও জাগে ডেকে যায় কুকুর
.
কতো ছায়া পড়ে
মায়াময় জলে
মনটা যদিও মরা
একটু হলেও গলে
.
সারাদিন কতো ভালো কতো শখ
একটু রাত হলেও পুরোনো মতলব
মাথা ধরে যায় ঝিম মেরে বসে...
এরপরে বইমেলায় কেমন নিখোঁজ নিখোঁজ ভাব
আমার সস্তা কাব্য নিয়ে চলছিলো লাফঝাঁপ
হঠাৎ কই থেকে কোন পাশ ফিরে চাওয়া
কোনো চোখে চোখ লেগে
কি যেন কার ভালো গেলো লেগে
.
মশার কামড়ে রাত মোটামুটি বারোটা...
এরপর মানুষ চায় কুকুর এক অনুগত
শুকর এক শয্যাগত
.
কিন্তু সব কুকুর এক নয়
কারো মনে থাকে না ভয়
.
কেউ পাখির মতো উড়ে
কিছু ডালে ঘুরে
পৃথিবী করে উপভোগ
নিয়ে বিশাল ভাইলোগ
.
মানুষ জানে কুকুর...
তুমি বোকার মতো ছন্দ মেলাতে চাও বলে
এতো অন্তঃমিল খুজে পাওয়া যায় না শহরে
আনাচে কানাচে যত ভদ্র সমাজে
আধিখ্যেতা দেখা পুড়ে যায় কাগজে
.
কি সব দোষ চাপাও
কলাগাছের মোথায়
ভাতই নষ্ট হয়ে যায় আর
চরিত্র...
আকাশ কবে ছিড়ে গেলো
ককেরাশ থেকে কবিরাজ পর্যন্ত
ঝড় বয়ে গেলো
.
আনপ্ল্যানড কোনো শহরের
গলিগুলোতে ঘুঘুরা ঘুরঘুর করতে করতে
দম নিশ্বাস বন্ধ করে
কবিতা পড়তো..
.
আর কবিরা কি সব কাব্য লিখতো
অক্সিজেনের হা-হুতাশে
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে
সবার...
সিংহল,মালয় থেকে যেসব ভালোবাসা মার্কা
অনেক মার্কসের স্টোরী দেখে চোখ ভেজাতে
সেসব জায়গায় তোমার প্রতিচ্ছবি দেখি
চোখ ভিজে ওঠে...
.
সেই ভরাট মলাটের খাতায় অনেকদিন আগে কিছু লিখেছিলে
গাল-গল্প কবিতা যেভাবে রচেছিলে
তাতে যদি একটুও সময়...
অনেক সত্য যদি ঘুণাক্ষরেও প্রতিপত্তি লাভ করতো
তবে প্রতিপক্ষ প্রতিরাতে
পোর্ট এরিয়াতে
যেসব মরণাস্ত্র ফেলে
তার কোনো কূল কিনারা হতো
.
শেষ রাত্ব বেলাশেষে দেখে যারা ঘুমুতে যায়
তাদের অগোচরে কেউ কুকড়ে উঠতো
স্মৃতি নিঝুম...
শীত এবার সর্ষের মাঝে
কবে সাধুবাদ জানিয়েছিলো
এখানে কিছু ওয়াজমাহফিলে
কতো জনগণের ভীড় ছিলো
.
মানুষ ভালো হওয়ার ওষুধ নিয়ে
খারাপ হয়ে যায়
মাঝরাত্রিরে মাঝে মাঝে
চুরিতে মজে যায়
.
কেউ করে ছেলেখেলা
ছেলে নিয়ে ছেলেধরা
কেউ আকার - ইঙ্গিতে
অস্কার যোগার...
আর্সেনিক দূষণের মতো
অনেক কাল যাবৎ শোষণ করে
যাচ্ছে মৃত জনমানব
এ জঙ্গল ছাড়া মানুষ বাচে না
তালের শাষের মতো মানুষকে
আগলে রাখে যে জঙ্গল
তাদের কি কেউ আদৌ করে মঙ্গল
সৃষ্টি সমাজ সেই...
ছোটো খাটো ভাবে ক্লাসে ফোন বেজে
যেন বিরত থাকে সহসা কেউ
কারো ঘুমের ব্যাঘাত হলে
কুকুর করে ওঠে ঘেউ
.
প্রতি রাতে অপরাধে
নিজেকে নিংড়ে ফেলা
চিরতার নামে কিসব
শেকড় পানিতে গুলিয়ে গিলে ফেলা
.
কি ভাবে কোনো স্মৃতির অবরোধে
উগড়িয়ে...
তোমাদের কোন কোথায় প্রাত্যহিক সৌন্দর্যে
কিছু মানুষ যাদের কাছের ভেবে
সহযোগীতার হাত বাড়িয়েছিলাম অন্দরে
কে কি ভেবে নিলো?
কিছু তথ্য এলোমেলো
সব গুলিয়ে এক আজগুবি সম্পর্কে
.
যাদের হাত ধরে বানাবো ইমারত
যাদের ঐশ্বর্যে পারি দিবো মারানত
তারাই...
©somewhere in net ltd.