নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নীর

ভালবসি এই দেশ কে, ভালবাসি আমাকে......

নীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা বা হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখুন

১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:০২



আপনার কি শ্বাস ছাড়তে কষ্ট হয়? আপনি কি সামান্য বৃষ্টিতে ভিজলে বা সামান্য বাতাসে হাঁটলে আপনার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়? আপনি কি বেগুন, পাকা কলা বা হাঁসের ডিম খেলে কাশি ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়? আপনার এলার্জি ও শ্বাসকষ্ট হলে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। কারণ বর্তমানে এর প্রতিকার ও অত্যাধুনিক চিকিত্সা পদ্ধতি রয়েছে।

হাঁপানির চিকিত্সা

হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। সঠিক চিকিত্সা এবং ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে হাঁপানি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যেসব উত্তেজকের (ট্রিগার) কারণে হাঁপানির তীব্রতা বেড়ে যায়, রোগীকে সেগুলো শনাক্ত এবং পরিহার করতে হবে।

এছাড়া সব হাঁপানি রোগীকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি নজর রাখতে হবে :

— ধূমপান এবং তামাকের ধোঁয়ার সংস্পর্শ পরিহার করতে হবে।

— ঠাণ্ডা বাতাস হাঁপানির তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। এ সময় ওষুধের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে হবে।

— ব্যায়াম ও শারীরিক পরিশ্রম নিরুত্সাহিত করা উচিত নয়। ব্যায়াম শরীর ভালো রাখে এবং উচ্চরক্তচাপ ও অন্যান্য জটিল রোগ-বালাই থেকে শরীরকে রক্ষা করে। সঠিক ওষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যায়ামের সময় বা পরে হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা পরিহার করা সম্ভব।

— বাড়ির পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে এবং বাড়িতে অবাধ বিশুদ্ধ বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

ওষুধ : দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়, যেমন :

১। হাঁপানি প্রতিরোধক

২। হাঁপানি উপশমকারক

হাঁপানি প্রতিরোধক : যেসব ওষুধের ব্যবহার হাঁপানি রোগে আক্রান্ত হওয়া প্রতিরোধ করে, সেগুলোকে হাঁপানি প্রতিরোধক বলা হয়। সাধারণত দুই ধরনের ওষুধ হাঁপানি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে :

এন্টি ইনফ্লামেটরি ওষুধ : এসব ওষুধ শ্বাসনালির প্রদাহ নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হাঁপানি প্রতিরোধ করে। এই শ্রেণীর বহুল ব্যবহৃত বুসোনাইড, ক্লোমিথাসেন, ফ্লুটিকাসোন ইত্যাদি।

ব্রঙ্কোডাইলেটর বা শ্বাসনালি প্রসারক : এসব ওষুধ দ্রুত শ্বাসনালিকে প্রসারিত করে হাঁপানির তীব্রতা প্রতিরোধ করে।

হাঁপানি উপশমকারক : ব্রঙ্কোডাইলেটরগুলো উপশমকারক হিসেবে কাজ করে। ব্রঙ্কোডাইলেটরগুলো শ্বাসনালিকে দ্রুত প্রসারিত করে। ফলে ফুসফুসে সহজে বায়ু চলাচল করতে পারে এবং এর মাধ্যমে হাঁপানিতে আক্রান্ত রোগীর উপসর্গগুলো দ্রুত উপশম হয়।

দুই ধরনের ব্রঙ্কোডাইলেটর বা শ্বাসনালি প্রসারক আছে, যেমন :

ক্ষণস্থায়ী ব্রঙ্কোডাইলেটর : যেমন : সালবিউটামল। এসব ওষুধ দিনে তিন-চারবার ব্যবহার করতে হয়।

দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কোডাইলেটর : যেমন—ব্যামবিউটামল। এসব ওষুধ দিনে একবার ব্যবহার করতে হয়।

মৃদু বা মাঝারি হাঁপানিতে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষণস্থায়ী ব্রঙ্কোডাইলেটর (যেমন : সালবিউটামল) ব্যবহার করলে কোনো ধরনের ক্লিনিক্যাল সুবিধা পাওয়া যায় না। তাই এসব ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী ব্রঙ্কোডাইলেটর (যেমন: ব্যামবিউটামল) ব্যবহার করতে হবে।

রাত্রিকালীন হাঁপানিতে মোডিফাইড রিলিজড থিওফাইলিনের বিকল্প হিসেবে ব্যামবিউটামল ব্যবহার করে ভালো সুফল পাওয়া যায়।

চিকিত্সার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

১। করটিকোস্টেরয়েডের ব্যবহার ওরাল ক্যানডিয়াসিস সৃষ্টি করতে পারে। যেসব রোগী ইনহেলারের মাধ্যমে করটিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করে তাদের অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট (যেমন: অসটোক্যাল/অসটোক্যাল জেধার) গ্রহণ করা উচিত।

২। থিওফাইলিন এবং এ-জাতীয় ওষুধগুলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এবং রোগীকে অবসন্ন করে দেয় বলে থিয়োফাইলিনের পরিবর্তে দীর্ঘমেয়াদি ব্রঙ্কোডাইলেটর যেমন : ব্যামবিউটামল (ডাইলেটর) ব্যবহার করা উচিত।



লেখক : ডা. একেএম মোস্তফা হোসেন বিশিষ্ট বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ২:৫৭

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: ভাল অনেকেরই কাজে আসবে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.