নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন শখের ব্লগার, ব্লগ লিখছি প্রায় বারো বছর হবে, তবে কোনো ব্লগে বেশীদিন থাকতে পারিনি, কেননা, লেখার কারণে হউক, বা ব্লগের নিয়ম কানুনের কারণে হউক, বার বার থেমে যেতে হয়েছে, ব্লগ লেখার বা হেল্প চাওয়ার কারণে সব কিছু হারিয়েছি।

সভ্য

আমি একজন ভালো মানুষ।

সভ্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারবো তো?

১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:১৯

"সারাদিন তোমায় ভেবে, হলোনা আমার কোনো কাজ"

এক মনে গান শুনছিলাম। হঠাৎ কলিং বেলের আওয়াজ, কে আসতে পারে ভাবছিলাম, উঠতে ইচ্ছা করছে না কিন্তু কি আর করা উঠতে হলো, ঘরের দরজা খুলে সিড়ি দিয়ে দুই ধাপ নেমে সামনের আঙিনা পার হয়ে টিনের গেইট খুলতেই চোখে পড়লো, হাসি-খুশিকে। কি আনন্দ, হাসি খুশি এসেছে আমার ঘরে, কতদিন পর মনে করার চেষ্টা করছি, খুশীর হাতে একটা প্যাকেট আর হাসির হাতে ফুলের তোড়া।

আমি তাদের ভিতরে ঢুকতে দিলাম, মেয়ে দুটো বেশ বড়ো হয়ে গেছে ১৩/১৪ বছরের মেয়ে, কি যে অপূর্ব লাগছে দুই বোনকে। দুইজনের মুখে লাজুক হাসি। আমি বললাম, তো, কি মনে করে? খুশী বললো, স্যার, আপনি এত বাজে জায়গায় থাকেন? কি পচা। তাদের আমি দুইজনকে প্লাষ্টিকের টুল এনে দিলাম, কিন্তু তারা বসলো না। আমি বললাম, বাসা চিনলে কি করে? খুশি বললো, বাসা পাওয়া কোনো ব্যাপার না, আপনি গান বাজনা করার মানুষ, তার মাঝে খ্রীষ্টান আর থাকেন ও মিশনে এটা বের করা কোন ব্যাপার না।

এখানে বলে রাখা ভালো আজ থেকে এক বছর আগে আমি তাদের বাড়ীতে ভাড়া থাকতাম। তখন খুশীর মাঝে কিছু অস্বাভাবিকতা ছিল, তা ছাড়া তাদের বাসা চিতাখোলার পাশে, বেশ বাড়ীটি, কিন্তু কোনো ভাড়াটিয়া থাকেনা। অদ্ভূত অদ্ভূত সব ঘটনা ঘটে যার কোন সলিউশন পাওয়া যায় না। তাই বেশী না ভেবে বাসা ছেড়েছিলাম। এখন আবারও এই দুইটার উপস্হিতি।

আমি বললাম তোমরা বসো, আমি দেখি কিছু আছে কিনা বাসায়, এটা বলে আমি উঠবো, কিন্তু খুশী আমাকে থামিয়ে দিলো বললো, আপনাকে ব্যস্ত হতে হবে না, আমরা খেয়ে এসেছি। আমরা এসেছি দাওয়াত দিতে, আপনি আগামী ২৬ তারিখ আমাদের জন্মদিন (ওরা যমজ বোন, একই দিন জন্ম) আপনি সেইদিন আমাদের বাসায় ভাত খাবেন। স্যার প্লীজ আসবেন কিন্তু। আমি মনে মনে ভাবছি, ২৬ তারিখ আমি যেতে পারবো না, কেননা সেইদিন কয়েকটি প্রোগ্রাম থাকবে, সেইখানে উপস্হিত থাকতে হবে, আমি কিছু বললাম না।

এর পর হাসি এসে আগের মতো আমার কোলে এসে বসলো, আমার গলা জড়িয়ে ধরলো, খুশী তাকে খামচা দিয়ে টেনে তুললো, আমি বললাম 'খুশী, আমি কথা দিতে পারছি না, তবে চেষ্টা করবো, খুশী, হাসির হাত ধরে দরজার দিকে যেতে যেতে বললো, আপনি আসবেন, কোনো রকম কথা শুনতে চাই না স্যার, আপনি অবশ্যই আসবেন, বলেই তারা গেইটের দিকে গেলো, আমি ও গেলাম তারা চলে গেলো.আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলাম আর ভাবছিলাম কি করবো? কি হবে এখন? টিনের গেইট লাগিয়ে ঘরে এসে আবারও আমার চেয়ারে বসলাম, ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে এক ধরণের সুগন্ধি......মনে মনে আমি বলছি পাখি উড়ে যায় আর তার পালক রেখে গেলো..।(সমাপ্তি)

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:০৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: কষ্ট হলেও গেলে ভালো হবে মনে হচ্ছে।

১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:১৭

সভ্য বলেছেন: দিনটি একটি বিশেষ দিন মেহাম্মদ গোফরান ভাই, সেইদিন শহীদমিনারে অনেক কাজ থাকে, তাই ভাবছি কি করে রক্ষা করবো নিমন্ত্রণ? আপনাকে অনেক সাধুবাদ।

২| ১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৫৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সময় তো হয়না কারো করে নিতে হয়।

১৪ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩৮

সভ্য বলেছেন: গোফরান ভাই, দেখা যাক, গেলে সেটার একটা পোষ্ট থাকবে। আপনাকে সাধুবাদ সব সময়।

৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: মেয়েটা ভাতের কথা বলল কেন? চিটাগাং এঁর মানুষ কি দাওয়াতে গেলে ভাত খেতে দেয়?

১৫ ই মার্চ, ২০২২ রাত ৮:২২

সভ্য বলেছেন: চট্টগ্রামের মানুষ অতিথি পরায়ণ এটা সবাই জানে, তারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অতিথিকে কেয়ার করতে চাই। তবে এরা তো চিটাগাং এর মানুষ না, মনে হয় আমি চিটাগাং'এর বলেই ভাত খাওয়াতে চাচ্ছে। এমন হতেই পারে। যদিও যাবো কিনা শিওর না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.