![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রাবণ যাই যাই করছে, আর কিছু দিন পর বর্ষাকাল শেষ হবে। আষাঢ় মাসের মত এ মাসেও সূর্যের সাথে যুদ্ধ করে মেঘ খন্ডগুলো হেরে গেছে। ফলে সমস্ত মেঘ খন্ড হিমালয়ে একত্র হয়ে আবার আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এদিকে গ্রাম বাংলার মাঠ-ঘাট ফেটে চৌচির, নদী-নালার পানি রেখা একবারে তলায় ঠেকে গেছে। অসংখ্য ফল গাছের ফুলের রেনু রৌদ্রতাপে শুকিয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে ক্ষেতের ফসল কেমন যেন, হাহাকার করছে। ভোর হবার পর থেকেই সূর্যের প্রচন্ড তাপ পৃথিবীর বুক জুড়ে দগ্ধ কেয়ামতের সংকেত দিয়ে যাচ্ছে। নিরব নিথর দুপুরবেলা রাখালেরা গাছের ছায়ার গরুগুলিকে বেঁধে গামছাটা শীতল ঘাসের উপর বিছায়ে শুয়ে পড়ে। কৃষক গাছের ছায়ায় বসে লুঙ্গি দিয়ে দেহের ঘাম মুছে, মাথার বিড়া দিয়ে বাতাস করছে। এদের দেখে মনে হয় যেন, আগুন থেকে উঠে এসেছে। হাত-পা মুখ লাল হয়ে আছে রৌদ্রতাপে। গাছে গাছে পাখিরা থেমে থেমে ডেকে চলেছে। মাঠে মাঠে গরু-ছাগল-ভেড়া--প্রাণীগুলি সূর্যেরও তাপদাহে একটানা ডেকে চলেছে। এর মাঝে দু’একটা ছেলে-মেয়েকে গোবর কুড়াতে দেখা যাচ্ছে । কিছুদূরে দক্ষিনে বড় রাস্তা দিয়ে একটা ছোট ট্রাক যেতেই ধুলি-বালি উড়ে অন্ধকার হয়ে গেল। পথের পাশে বড় বড় গাছের ছায়ায় লুঙ্গি গামছা বিছায়ে পথিক বিশ্রাম করছে। চারদিক হঠাৎ নিরব হয়ে গেলে দূর হতে দুই-একটি ঘুঘুর ঘু-ঘু ডাক শোনা যায়। মনে হয়, এরা যেন বৃষ্টির জন্য স্রষ্টার কছে মিনতি করছে। চৌচির মাঠ-ঘাট আর তৃষ্ণার্ত ফসল ক্রমাগত মিনতি করে চলেছে স্রষ্টার কাছে। মাঝে মাঝে ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, কখনও বড়দের কণ্ঠ থেকে ধ্বনিত হচ্ছে--আল্লা মেঘ দে--পানি দে--ছায়া দেরে তুই--আল্লা মেঘ দে--। আমন চাষীরা হাতে বীজ নিয়ে চাতক পাখির মত আকাশ পানে চেয়ে আছে।
প্রকৃতি এখন মাস-দিনের নিয়ম মেনে চলে না। তবুও অপেক্ষা করছি যদি মুসলধারে বৃষ্টি নামে । পুরো জৈষ্ঠ মাসের আম-জাম--কাঁঠাল-জামরুল-লিচুপাকা গরমের মধ্যে শিশির অথবা ভেজা ঘামের মত সামান্য বৃষ্টি হয়েছিল, তাও এক-আধদিন; শ্রাবনে একটু বেশি হলেও, তা প্রকৃতির সমুদ্র সম চাহিদার তুলনায় এক ডোবার মত। অতএব, বনের চাতকের মত মনের চাতকও নির্ঘুম চোখে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে বৃষ্টির জন্য। কর্দমাক্ত মাটিতে কিছু স্বপ্নের বীজ বুনব; হয়তো আমন, লাউ, লিচু, জাম অথবা ডাটা শাক--কোনটা সংসারের নিত্যদিনের জন্য, কোনটা ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের জন্য অথবা দেশের ভবিষ্যতের জন্য।
সারাদিন-সারারাত নির্ঘুমে অপেক্ষায় থাকি--আসুক ঝড়-বৃষ্টি-তুফান, মেঘের সমারোহে বর্ষা সুচণা করুক স্বরূপে সত্যিকারের শুভাগমন, আসুক ছায়াঘন দিন; শুষ্ক প্রান্তর, নদী-নালা ও খাল-বিলে জাগুক প্রাণোচ্ছ্বাস। প্রকৃতির ধূলি বিষন্ন অঙ্গ থেকে গ্রীমের ধূসর অবসাদ মুছে গিয়ে ফুটে উঠুক, সজল বর্ষার শ্যামল সুন্দর রূপশ্রী। জেগে উঠুক, স্বপ্নের বোনা বীজ থেকে অংকুরিত চারা গাছ। আসুক পুষ্প বিকাশের লগ্ন। কদম, কেয়া, জুঁই, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা বিচিত্র বর্ণ ও গন্ধের উৎসবে শুরু হোক মেঘ, বৃষ্টি আর আলোর মেলা।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫১
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: লেখোয়ার ভাই, ধন্যবাদ। এ্টা পড়ার অনুরোধ রইলhttp://www.somewhereinblog.net/blog/sswapan/29970068
২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: আসুক ছায়াঘন দিন!
ভালো লাগলো
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫২
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আসুক ছায়াঘন দিন, শুরু হোক মেঘ বৃষ্টি আলোর মেলা।
Click This Link
৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সুমন কর বলেছেন: মুক্তগদ্য ভাল লাগল।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০৪
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: আর এক কাপ চা....
Click This Link
৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:১০
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: স্বপন ভাই এটাকে তো গদ্যই মনে হলো, মুক্ত গদ্য কেন বললেন?
মুক্ত গদ্য বলে যে ধারার কথা বলা হয়, সেটা আমি খুব বুঝি তা না। তবে তাতে একটা দ্যোতনা থাকে, যেন গদ্যের বলয়ে একটা কাব্যিক ভাব। এখানে একটা চিত্র ফুটে উঠেছে। কিন্তু সেই দ্যোতনাটা পেলাম না।
গল্পটা ছোট এই অর্থে কি মুক্ত গদ্য হয়? এটা মানতে আমি রাজি নই। তবে মুক্ত গদ্যের বৈশিষ্ট্য কি? আমি আগেই বলেছি আমি এখনো ঠিক ঠিক বুঝিনা। তবে সুরটা ধরতে পারি।
সেই সুরে কি থাকে? বাক্যে ক্রিয়ার ব্যবহারে বেশ মুনশিয়ানা থাকে। শব্দের ব্যবহারে থাকে। যেমনঃ
শ্রাবণ যাই যাই করছে, আর কিছু দিন পর বর্ষাকাল শেষ হবে। আষাঢ় মাসের মত এ মাসেও সূর্যের সাথে যুদ্ধ করে মেঘ খন্ডগুলো হেরে গেছে। ফলে সমস্ত মেঘ খন্ড হিমালয়ে একত্র হয়ে আবার আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এখানে 'ফলে' অপ্রয়োজনীয়। কেননা, ফলে, এজন্য এইসব শব্দ গদ্যে ব্যবহার করা হয় একটি বাক্যের সাথে আরেকটি বাক্যের সম্পর্ক বুঝাতে। কিন্তু যখন মুক্তগদ্য বলা হচ্ছে আবার এই সব শব্দও ব্যবহার করা হচ্ছে তখন গদ্যতো আর মুক্ত হতে পারছেনা। (এমন মনে হলো)
আচ্ছা লেখাটার এই অংশটুকু এমন হলে কেমন হতো?
বর্ষা যাই যাই করছে; আষাঢ়ের মতো শ্রাবণের মেঘও নামে মল্ল যুদ্ধে সূর্যের সাথে; কিন্তু হায়, হেরে যায়! ফের প্রতি আক্রমনের প্রস্তুতি নেয় হিমালয়ে, জড়ো হয়ে।
আমি যা ঠিক ঠিক বুঝাতে চাইছি তা হয়তো প্রকাশ করতে পারলাম না। তবু চেষ্টা করলাম। হয়তো আমি এখনো ঠিক ঠিক বুঝিনি।
ভালো থাকবেন স্বপন ভাই। অনেক দিন পর আপনার লেখা পড়লাম। নিয়মিত হবেন আশা করি।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:০২
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: বর্ষা যাই যাই করছে; আষাঢ়ের মতো শ্রাবণের মেঘও নামে মল্ল যুদ্ধে সূর্যের সাথে; কিন্তু হায়, হেরে যায়! ফের প্রতি আক্রমনের প্রস্তুতি নেয় হিমালয়ে, জড়ো হয়ে।
চমৎকার! কিন্তু আমি গদ্য কাব্য লিখিনি। মুক্তগদ্যে ( গদ্য-পদ্য থেকে)কিছুটা স্বাধীনতা থাকে। আচ্ছা সজিব ভাই, এটাকে কি বলা যায়?
সজীব ভাই, আর একটা সিংগারা..http://www.somewhereinblog.net/blog/sswapan/29970068
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৯
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
মুক্তগদ্য যদ্দুরই পড়ার অভিজ্ঞতা তাতে দেখেছি একটা মাদকতা থাকে। কাব্যিক ঢং থাকে। ঠিক যে কারনে মুক্তগদ্য কে অনেকে কবিতার চেয়ে আলাদা বলতে চান না। আপনার লেখাটা সেরকম মনে হয়নি। গল্পের বিস্তৃতি হিসেবে দেখলে বেশ ভালো। আমার কাছে গল্পই মনে হলো। সেটা নিজের অজ্ঞতা, অল্পজ্ঞানের কারনে ও হতে পারে।
শুভকামনা।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৭
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: এটা গল্প নয়, এ ব্যাপারে নিশ্চিত। মুক্তগদ্য হয়তো নয়। বলবেন কি, এটাকে কি বলা যায়। কোন বিভাগে না ফেলে কি বলা যায়?
এটাকে কি বলবেন, Click This Link
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
মুগ্ধপাঠ্য +++
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৪
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: প্লিজ, আর এক কাপ চা...
Click This Link
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১০:২২
মামুন রশিদ বলেছেন: ভালো লেগেছে ।
০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৫৩
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: ধন্যবাদ, মেঘ-বৃষ্টি- আলোর মেলা পড়ার অনুরোধ রইল।
৮| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:১০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
চা কিন্তু খেয়ে এলুম
০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:৪৭
শাশ্বত স্বপন বলেছেন: পুরো নাম জানান [email protected]
এবার কেউ জানবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:২১
লেখোয়াড় বলেছেন:
ছবিটা ভীষণ রিয়েল।
লেখাটাও ভাল লাগল।