![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাইবেলের পুরানা নিয়ম (ওল্ড টেস্টামেন্ট) এর ‘বাদশাহনামা’ নামক সহিফা মোতাবেক ইশেবল (আংরেজি যেজেবল) ছিলেন উত্তর ইজরাইলের রাজা আহাবএর স্ত্রী, সুবাদে ইজরাইল রাজ্যের মহারানী। কিন্তু রানী ইশেবল ইহুদি কন্যা ছিলেন না, ছিলেন পার্শ্ববর্তী ফোয়েনিশিয়ান রাজ্য টায়ারএর রাজকন্যা, রাজা ইথবালএর কন্যা। বাইবেল যতনা পুরুষের, পুরুষ নবি অথবা পুরুষ রাজা’র, ততটা নারীর না। একিসাথে কওয়া যায়যে ৯০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দের (বাইবেল মুতাবেক রাজা আহাবের শাসনকাল) বনি ইজরাইলী সমাজে নারীর শাসন বা দিকদারী মাইনা নেয়া সহজ ছিলনা। পুরা ইব্রাহিমী ধর্মেই ইশ্বরের প্রতিনিধী মাত্রই পুরুষ পোলা, রাসুল, পুরোহিত, খলিফা থেইকা বাদশাহ সকলেই পুরুষ। ইব্রাহিমী পুরুষতান্ত্রীক সমাজে নারীর রাজনৈতিক অথবা ধর্মীয় নেতৃত্ব গ্রহণযোগ্য ছিলনা, এখনো নাই।
কিন্তু ইশেবল টায়ারের কণ্যা, যেইখানে ধর্ম অথবা রাজ্যশাসন এই দুইয়েই নারীর ক্ষমতা এবং অধিকার ইজরাইল রাজ্যের চেয়ে অনেক বেশী, বিশেষ কইরা ধর্মীয় পুরোত তন্ত্রে নারীর ছিল পোক্ত অবস্থান। ইশেবল ছিলেন দেবতা বাল’এর অনুসারী, নারী পুরোহিত। নিজের জীবন কালে রাজা আহাব নানান যুদ্ধ ফ্যাসাদে কাটায়া দেন, রাজ্যের ভিতরের অন্তর্কলহও নেহায়েত কম ছিলনা। ইশেবল সেইসময় আহাবের অন্যতম উপদেষ্টা হিসাবে আবির্ভুত হন, হইয়া উঠেন রাজ্যের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি। ইশেবলএর প্রধান শত্রু নবী ইলিয়াস (আংরেজি এলিজাহ) মোতাবেক এই রানী ছিলেন রাজ্যক্ষমতার পেছনের আসল ক্ষমতা। বাইবেলে ইশেবলের কোন বৈধ রাজকীয় ক্ষমতা বা পদের উল্লেখ না থাকলেও সাম্প্রতিক ‘ইশেবল এর সীল’ আবিস্কার থেইকা এও বুঝা যায়যে ইশেবল রানী পদাধিকারবলে রাজ্য শাসনের বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন। তার উপরে আবার তিনি ইজরাইলে ‘বাল’ দেবতার নামে একাধিক ইবাদতখানা স্থাপন করেন এবং নিজ ধর্মের প্রচার প্রসারে আত্মনিয়োগ করেন। তার প্রচেষ্টায় সেই সময়ে ইজরাইলে বাল দেবতার জনপ্রিয়তা ইয়াহওয়েহ (জেহোভা) নামক দেবতার জনপ্রিয়তা ছাড়ায়া যায়। উল্লেখ্য, আদী ইহুদিরা ইশ্বর বুঝাইতে ইলোহিম, ইয়াহওয়েহএর মতোই বাল শব্দের ব্যবহার করে এই প্রমান পাওয়া যায়। উদাহরণ, নবী দাউদএর কিতাব ‘যবুর’এ একাধিক স্থানে ইশ্বরকে ‘বাল’ নামে ডাকা হয়। ‘বাল’ শব্দের অর্থ বুৎপত্তিগতভাবে ‘প্রভু’। তবে পরবর্তিযুগের ইহুদি পুস্তকগুলাতে বাল এবং ইলোহিম/ইয়াহওয়েহএর স্পষ্ট আলাদা দেবত্ব পরিস্কার করা হয়। এর পিছনের কারন খুজতে গেলে ইহুদি ধর্মের বিবর্তনের ইতিহাস আলোচনা করতে হবে, যা আপাতত বাদ রাখা যাউক।
যাই হউক, ‘নবী’ টাইটেল ব্যাবহার করা ইহুদীদের একটা গুরুত্বপূর্ণ পুরোহিত শ্রেণী এবং তাদের প্রধান নেতা নবী ইলিয়াস ইশেবল’এর বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা ও জনমত গইড়া তুলেন। সেইসময় দেশজুড়ে খড়ার জন্যে তারা বাল দেবতার ইবাদত এবং ইয়াহওয়েহ থেইকা দূরে সরে যাওয়ারে দায়ি করেন। শুরুতে এই বিরোধীতা ধর্মীয় প্রতিদ্বন্দীতার পর্যায়ে থাকলেও এক পর্যায়ে তা রাজনৈতিক প্রতিদ্দ্বন্দীতায় পরিনত হয়। ইলিয়াস’এর অভিযোগ মোতাবেক ইয়াহওয়েহ’এর পুরোহীত নবীদের হত্যা করা হইতাছিল এবং মাত্র ১০০ জন তখন টিকা ছিল। এরপরে ইলিয়াস এবং তার অনুসারীরা প্রায় সারে চারশ ‘বাল’ দেবতার পুরোহিতকে হত্যা করার পরে ইশেবল পত্রমারফত প্রতিশোধ ঘোষনা করেন ইলিয়াসএর বিরুদ্ধে যে ইলিয়াসকে তিনি পরেরদিনই হত্যা করবেন। ইলিয়াস এই সময় জীবন বাচাইতে আত্মগোপন করেন।
তবে শেষ হাসি ইলিয়াসই হাসেন। রামোথ গিলিয়দ পুনরুদ্ধারের যুদ্ধে রাজা আহাব নিহত হন। তার জায়গায় ক্ষমতা গ্রহণ করেন তার পুত্র যিহোরাম। কিন্তু ইলিয়াস’এর অনুসারী সেনাপতি যেহু’র নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে যিহোরাম নিহত হন। যিহোরামকে হত্যার পরে যেহু সদলবদলে রানী ইশেবলের প্রাসাদে হানা দেন। ইশেবলএর পক্ষে তখন আর কেউ নাই। কিন্তু ইশেবল পলায়ন করা বা জীবন ভিক্ষা চাওয়ার ধার কাছ দিয়া যান নাই। তিনি পুরাপুরি রানীর সাজে সজ্জিত হইয়া যেহু’কে মোকাবিলা করেন এবং জিজ্ঞাসা করেন, “এই কি শান্তি, যিমরি? নিজের মালিকের হত্যাকারী”। উল্লেখ্য যিমরি শব্দটা এইখানে বাংলা ‘মিরজাফর’ শব্দের মতো, যিমরি ছিলেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি নিজ রাজার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা এবং তাকে হত্যা করার জন্যে কুখ্যাত ছিলেন। ক্রোধে পাগল হওয়া যেহুর নির্দেশে ইশেবলকে প্রাসাদের জানালা দিয়ে নিচে ছুড়ে ফেলে হত্যা করা হয়। ‘বাদশানামা’য় খুব গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে যে ইশেবলকে দাফন করতে গেলে কিছু হাড্ডি ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নাই, কারন তার লাশ দীর্ঘসময় কুকুরের খাদ্য হিসাবে পরেছিল।
ইশেবলের এতবড় কাহিনী এইখানে বর্ণনা করলাম বটে, কিন্তু আসল বিষয়টাতেই এখনো আসি নাই। ইব্রাহিমী ধর্মগুলাতে বিশেষ করে ইহুদী এবং মধ্যযুগীয় খ্রীষ্টান ধর্মে হাজার বছর ধরেই ইশেবল শব্দটা দুশ্চরিত্রা, ছলনাময়ী, বেশ্যা, ডাইনী ইত্যাদি শব্দের সমার্থক। এমনকি এই আধুনিক যুগে আইসা ৬০/৭০ এর দশকে আম্রিকার কালো চামড়ার বেশ্যাদের ডাকনাম ছিল ইশেবল। এর শুরু অবশ্য খোদ বাইবেল থিকাই। বাইবেলে ইশেবলরে ছলনাময়ী, বেশ্যা, ডাইনি এই সবগুলা নামেই কমবেশী ডাকা হইছে। খোদ ‘বাদশানামা’ অথবা অন্যকোন পুস্তকেই যেইখানে একবারের জন্যেও ইশেবলরে দুশ্চরিত্রা বানানির মতো কোন ঘটনার বর্ণনা নাই, যেইখানে প্রথম থেইকা শেষ পর্যন্ত একবারও নিজের স্বামীর সাথে তারে কোন বিশ্বাসঘাতকতা করতে দেখা যায়নাই, সেইখানে ইশেবল’রে এইভাবে বেশ্যা বানানিতে ইব্রাহিমী ধর্মপুস্তকের লেখকদের উদ্দেশ্য কি ছিল? অন্যায়ভাবে রাজা আহাব’রে এক ব্যক্তির আঙ্গুর ক্ষেত অধিগ্রহণের কুবুদ্ধি দিছিলেন এমন একটা ঘটনা পাওয়া যায় বটে, কিন্তু ইশেবলএর চরীত্র বিশ্লেষন ‘যৌন’ নৈতকতা সম্পর্কৃত শব্দের অধিক ব্যবহারের কারন খুজে দেখা দরকার। এইখানে পুরুষতান্ত্রিকতার সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্টই শুধু প্রবল এইটা আমার মনে হয়না। বরং ‘যৌন অবদমন’এর হাইপোথিসিস আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়। ইশেবল শুধুমাত্র ইলিয়াসের তাত্ত্বিক বা ধর্মীয় প্রতিদ্দ্বন্দীই ছিলেন না, ছিলেন ইলিয়াস অথবা সংশ্লিষ্টদের যৌন অবদমন সৃষ্ট ‘রাজনৈতিক ক্রোধ’এর স্বিকারও বটে। বাদশানামায় বর্ণীত ইলিয়াস এবং সমসাময়িক নবীরা সন্যাসব্রত পালন করতেন বলে দেখা যায়। এই সন্যাসব্রত ভারতীয় সন্যাসব্রতের মতো না, যৌনতার ক্রম অবদমনের কোন সাধন পদ্ধতিও এই সন্যাসএ অনুসরণ করা হইতো বলে জানা যায়না। সুতরাং এইসব সন্যাসী নবীদের নানান উপদেশ, আদেশ, নির্দেশ তা ধর্মীয় বা রাজনৈতিক যাই হউক না কেন তাতে যৌন অবদমনের ছাপ খুইজা পাওয়া যাওয়া অস্বাভাবিক না। ঘর সংসার ত্যাগী ইলিয়াস এর ‘অবদমিত যৌনতা’র সামনে বিত্ত্ব, বৈভব, সৌন্দর্য আর রাজনৈতিক ক্ষমতায় ক্ষমতাধর একজন নারী যখন একিসাথে ধর্মীয় প্রতিদ্বন্দী হয়া উঠেন, তখন এই অবদমিত যৌনতা থেইকা তৈরি হওয়া ক্রোধ সমালোচনা থেইকা যৌনতারে দূরে রাখতে অপারগ হয়। সমালোচনায় দরকার ছারাই তখন উইঠা আসে নানান যৌন নৈতিক শব্দ, সেক্সিস্ট গালি। বেশ্যা, খানকি ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে নারী প্রতিপক্ষকে ধর্ষন কইরা যৌন অবদমনের সামান্য নিদান লাভের সুযোগ হয়। কিন্তু আসল নিদান লাভ হয়কি?
সেই প্রশ্নের উত্তর পাওনের আগে গত শতকের একজন প্রখ্যাত মুসলিম মনিষীরে লইয়া একটু আলাপ করা দরকার। ইনি মিশরিয় লেখক, ইসলামীস্ট তাত্ত্বিক, কবি এবং ৫০/৬০ এর দশকে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা “সাইদ কুতুব”। সাইদ কুতুব সেইসময়ে মিশরে একজন জ্ঞানি লোক ছিলেন সন্দেহ নাই। জীবনের শুরুর ভাগে তিনি সেক্যুলার শাসন পদ্ধতির প্রতি আস্থা রাখলেও পরে একসময় পুরাপুরি ইসলামী শরিয়াপন্থী হিসাবে বিখ্যাত এবং কুখ্যাত দুইই হয়া উঠেন। এর পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান রাখে তার আম্রিকা ভ্রমণ। আম্রিকায় নারীগো স্বাধীন জীবনযাপন, চলাফিরা, যৌনসঙ্গী নির্বাচন ইত্যাদিতে ব্যাপক আহত হন সাইদ। গোটা মার্কিন জীবনযাপন পদ্ধতিরই সমালোচনা করেন সাইদ। কিন্তু আম্রিকান নারী বিষয়ক তার মন্তব্যগুলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার কিছু এই ধরণের সমালোচনার বিশ্লেষন করা যাউক। যেমন, আম্রিকান নারীদের পোষাক পরিচ্ছদ নিয়া তিনি বলেন যে-
“আম্রিকান মেয়েরা নিজেদের শরীরের কমনিয়তা সম্বন্ধে ভালোভাবেই ধারনা রাখে। সে জানে তার চেহারা, তার চোখের ইশারা, তার তৃষিত ঠোট কামনায় ভরপুর। সে জানে যে তার গোলগাল স্তন, ভরাট নিতম্ব, সুঠাম উরু আর চিকন পা কমনিয়তায় ভরপুর। এবং এসবের কিছুই সে লুকায় না, বরং দেখায়”।
উপরের মন্তব্য মূলত আম্রিকান নারীদের পোষাক পরিচ্ছদ বিষয়ক চরিত্রহীনতা প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে লেখা, কিন্তু এই সমালোচনামূলক মন্তব্যেও কুতুবের অবদমিত যৌন আকাঙ্খা বেশ পরিস্কার ভাবেই ধরা পরে। পোষাকের বর্ণ্না দিতে গিয়া শরীরের পারফেকশনের যেই বর্ণনা তিনি দিছেন তাতে কারো এইটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার কথা না। তাও যদি কারো কাছে পরিস্কার না হয়, সেইক্ষেত্রে নিচে আরেকটা মন্তব্য পড়া যাউক-
“একটা মেয়ে(আম্রিকান) যখন তোমার দিকে তাকায় তখন প্রথম দর্শনে তারে তোমার কাছে মোহনীয় পরী অথবা জলপরী(মারমেইড) মনে হবে, কিন্তু সে যতই তোমার কাছে আসবে তার ভেতরের প্রবৃত্তির চিৎকারই শুধু তুমি শুনতে পাবে, তার জ্বলন্ত শরীরের ঘ্রান তুমি পাবে, পারফিউমের ঘ্রান না, মাংসের ঘ্রান, শুধুই মাংস। সুস্বাদু মাংস, সন্দেহ নাই, কিন্তু দিনশেষে মাংসমাত্র”।
উল্লেখ্য, সাইদ কুতুব তার রাজনৈতিক ইসলাম প্রচারের মিশনে নাইমা যেই ত্যাগি জীবন পার করেন তাতে তিনি কোনদিন বিবাহ করতে পারেন নাই। আম্রিকান নারীর স্বাধীনতার সমালোচনা করতে গিয়া মুগ্ধতা, কামনা আর ঘৃনা, বিদ্বেষএর যে দ্বন্দে তিনি পরেন তা নিঃসন্দেহে যৌন অবদমনের ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক প্রকাশ।
মাতৃতান্ত্রিক পৌরহিত্ব ক্ষতম, নারী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে পরাস্থ করা, জ্ঞানী এবং স্বাধীন নারীদের উইচক্রাফটের অযুহাতে হত্যা করা, এহেন নানান ক্ষেত্রেই যৌন অবদমনের ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক প্রকাশের ভুরি ভুরি কাহিনী ইতিহাসের পাতায় পাতায় ভরা। যৌন অবদমিত পুরুষ হয়তো এই প্রক্রিয়ায় নিজের অবদমনের নিদান খুজার চেষ্টা করেন, কিন্তু সফল হন কি? উত্তর পাইতে সাইদ কুতুবুএর জীবনের শেষভাগ আলোচনা করা যাইতে পারে। আম্রিকা থিকা ফিরার কয়েক বছর পরই তিনি এতটাই শরিয়াকেন্দ্রীক ইসলামিস্ট হয়া উঠেন যে বিধর্মীদের হত্যা করার শরিয়তী বিধানের পক্ষে যুক্তি দিয়া লেখালেখী শুরু করেন, হয়া উঠেন আধুনিক ইসলামী জঙ্গীবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক। উল্লেখ্য যে, আল কায়েদার মিশরিয় ফ্র্যাকশনের বেশিরভাগই সাইদ কুতুবের ভাবাদর্শে গড়ে উঠেছেন এককালে, আল কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরী ছিলেন সাইদ কুতুবএর ছোট ভাই মুহাম্মদ কুতুবের শিষ্য। যৌন অবদমনের পুরুষতান্ত্রিক নিদানএর এই প্রক্রিয়াযে দিনশেষে প্রতিক্রিয়াশীলতা ছাড়া আর কিছু সৃষ্টি করতে পারেনা সেইটা বুঝদার ব্যক্তিমাত্রই একমত হবেন।
বুঝদার ব্যক্তিমাত্র আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্যও এতক্ষনে বুইঝা ফালাইছেন।
প্রশ্ন উঠতে পারে যে, উপরের আলোচনা থেইকা যদি কিছু সারবস্তু পাওয়া যায় তাইলে কিভাবে বুঝবেন যে আপনে প্রবল যৌন অবদমনের শিকার হয়া একজন যৌন বিকারগ্রস্থে পরিণত হইছেন যার নীতিবাক্যও দিনশেষে প্রতিক্রিয়াশীলতারে উস্কায়া দেয়ার চেয়ে বেশিকিছু করতে পারবেনা।
উত্তরঃ
১। কোন সংগঠনের ভলান্টিয়ার ওয়ার্কে ধরার মতো অনেক ক্ষুত থাকা সত্ত্বেও যখন আপনের সমালোচনার মূল বিষয়বস্তু হয় ঐ সংগঠনের টিনএজ মাইয়াগো পোষাক আশাক। টাকা পয়সার উত্তলোন এবং তার ব্যবহারের সচ্ছতা নিয়া আলোচনার চেয়ে যখন টাইট জিন্স আর হলুদ টিশার্ট যখন আপনের সমালোচনার আসল বস্তু হয়।
২। আপনের সমাজের একজন সম্মানিত নারীর নগ্ন দৃশ্য গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা হইছে এইটার সমালোচনা করতে গিয়া যখন দায়ি প্রতিষ্ঠানের মালিক আরেক নারীরে সমালোচনা এবং গালাগালির নামে কাপর চোপড় খুইলা নগ্ন করতে কিংবা ‘পরিমল’ নামের আড়ালে নিজের অল্টার ইগো দিয়া ধর্ষন করতে পিছপা হন না। সেই সাথে সাথে গুগলে সেই ভিডিও খুজনের কথা বাদই দিলাম।
৩। বাংলাদেশের নারীদের বর্তমান সময়কার পোষাক নিয়া সমালোচনা করতে গিয়া বিভিন্ন সেমি পর্ণো সাইটে ঘুইড়া ঘুইড়া বিভিন্ন গোপন ক্যামেরায় তোলা মেয়েদের ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি অথবা কোন মডেল কণ্যার আবেদনময়ী কোন ছবি যেগুলা আপনি সংগ্রহে রাখছেন এবং দেখে দেখে আপনি হস্তমৈথুন করেন সেগুলা নিয়া জাতির বিবেক সুলভ পোস্ট দেয়া।
৪। জনৈক বুদ্ধিজীবীর কোন লেখা ইসলাম বিদ্বেষী মনে হওয়ায় তার আম্রিকা প্রবাসী কন্যার ফেসবুক থেইকা ছবি সংগ্রহ কইরা সেই মেয়েরে বেশ্যা, দুশ্চরিত্রা ইত্যাদি ভুষনে অভিহিত কইরা তার বাপেরে একহাত দেইখা নেয়া।
এর বেশি উদাহরণ দিতে চাইনা। উপরের বিষয়গুলা যদি আপনের চরিত্রের সাথে মিলা যায় তাইলে আপনে প্রবল ‘যৌন অবদমনে’ ভুইগা রীতিমত যৌন বিকারগ্রস্থ মানুষে পরিণত হইছেন। এই অবস্থায় এইসকল কাজকাম কইরা নিদান পাইবেন না। বয়স ঠিকঠাক থাকলে বিয়া কইরা দেখতে পারেন, তবে অবশ্যই তার আগে একবার মনরোগ বিশেষজ্ঞের সরণাপন্ন হইবেন। কিন্তু তারচেয়েও বড় কথা হইল যে নিজের শুভবুদ্ধি উদয় করার চেষ্টা করেন। কোন ব্যক্তি, বস্তু, ব্যবস্থা বা যেকোন কিছুর সমালোচনা করতে গিয়া যারে তারে যখন তখন বেশ্যা, খানকি ইত্যাদি বানায়া দিবেন এই ধরণের নোঙরামী ভালোনা। জগতে সবাই আপনের মন মতো চলবেনা, অনেক নারীই আপনের চেয়ে যোগ্যতা এবং ক্ষমতায় আগায়া থাকতে পারে, অনেক নারী আছে যারে আপনে প্রবলভাবে কামনা করলেও কোনদিনই পাইবেন না। এইটা তাগো যোগ্যতা আর আপনের ব্যর্থতা। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে অপরের চরিত্রহানী করা থেইকা বিরত হন।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৭
পারভেজ আলম বলেছেন: গরুর মাংসের বরকতে আপাতত ভালোই আছি।
গ্রুপ দুইটায় ঘুরে দেখবো। জরুরি মনে হচ্ছে। তবে সামুর গ্রুপ ব্লগিং এখন মৃতপ্রায়। দেখেন আবার জাগাইতে পারেন কিনা।
২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০১
সুরবিলাসী শাহরিয়ার বলেছেন: আগুন পোস্ট । দৌড়া আগুন আইলো রে .।.।.।.।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৮
পারভেজ আলম বলেছেন: বলেন কি? আমি তো ভাবলাম এইটা আগুনে পানি পোস্ট। যাই হউক, ভাল লাগায় ধন্যবাদ।
৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৪
ঘুমন্ত আমি বলেছেন: কি কমেন্ট করব বুঝছি না ? আবার পড়ে নেই তারপর মন্তব্য করব
০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪২
পারভেজ আলম বলেছেন: ঠিকাছে। কইরেন।
৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৬
কাদা মাটি জল বলেছেন: ছিলে দিলেন একেবারে... এবার আসিফ ভাই লবণ লাগিয়ে দিলেই হয়ে যায়। ভাবছিলাম আপনাদের লেখা কবে পাবো। প্রিয়তে গেলো পারভেজ ভাই।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৬
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ। লবন না লাগায়া মলম লাগাইলে ভালো হয় বেশি।
৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৬
দেশী পোলা বলেছেন: এইসব "গোড়া চিকন আগা মোটা" আবালগুলার জন্য ফার্মগেটের হেকিমী ওষুধ এপ্লাই করা হউক, নাইলে বিয়া করতে পারবো না
০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৮
পারভেজ আলম বলেছেন: কথা সত্য। এই নিদানও এগো কারো কারো দরকার, ভালো মতোই দরকার।
৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৯
হাসান মাহবুব বলেছেন: অসাধারণ লিখসেন।
০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৯
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব।
৭| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৩
মেঘ বলেছে যাবো যাবো বলেছেন: সহমত!
০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৯
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:২৯
সীমানা পেরিয়ে বলেছেন:
যৌন অবদমিত এই সকল পুরুষদের মনোরঞ্জনের জন্যে মহামান্য জাফর ইকবাল আগাইয়া আসিয়াছেন। তিনি নারীদের হিজাব-বোরখা-ঘোমটা ছাড়িয়া স্বল্প পোষাকে শরীরের বেশীর ভাগ অংশকে উম্মুক্ত করিয়া অবদমিত পুরুষদের মনোরঞ্জনে নিজেদেরকে উজাড় করিয়া দিতে উদাত্ত আহবান জানাইয়াছেন।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১০
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনার মন্তব্যে যৌন অবদমনের তীব্র গন্ধ পাচ্ছি।
৯| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩১
দেশী পোলা বলেছেন: @ডিয়ার ছাগু সীমানা পেরিয়ে
তুমি বেগানা মেয়ের ছবি লাগাইছো প্রোফাইল পিক হিসাবে, এই মেয়েরে হিজাব পড়াও আগে। হিপোক্রেসী করিও না, আগে নিজের পশ্চাতদেশ সামলাও মনু
১০| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৬
ডাইনোসর বলেছেন:
পারভেজ ভাই
দারুন হৈসে। আমি শিওর এটা ছাগুদের মাথার উর্পেদিয়া যাইব।
প্রথম কারন,পুরাটা পরবোনা।
২য়, এই কথা যদি বুঝতেই পারতো তবে কি আর বারবার নির্লজ্জের মতো একই পোষ্ট দেয়?
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৩
পারভেজ আলম বলেছেন: কারো মাথা যদি অন্ডকোষ দিয়া অলরেডী রিপ্লেসড হয়া গিয়া থাকে তাইলে তার মাথার উপরে দিয়া যাবে সন্দেহ নাই, সেইক্ষেত্রে ছাগুত্বের কোন নিদান নাই। তবে কারো মাথায় যদি বিন্দুমাত্র মগজ এবং মনুষত্ব অবশিষ্ট থাকে তো এই লেখা তার ছাগুত্ব কিছু হইলেও ঘোচাইতে পারে সেই আশা রাইখাই পোস্ট দিছি কইতেপারেন।
১১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩৮
নিথর শ্রাবণ শিহাব বলেছেন: এই পোস্ট হল আমার পড়া গত তিন দিনের মাঝে সেরা লেখা! (বই, মুভি, কিংবা ব্লগ- সব গুলোর মধ্যেই কিন্তু সেরা) অনেক অনেক তথ্য বহুল নোট। প্রিয়তে পাঠায় দিলাম। লেখা লেখির কাজে আসবে।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৫
পারভেজ আলম বলেছেন: বলেন কি? কাজে আসলে স্বার্থক ভাবুম নিজেরে।
১২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪১
বাবু_আহমেদ বলেছেন: কোপাইয়া দিছেন পুরা।চলুক খেলা।কয়দিন ধইরা বিরক্ত লাগতাছে এই জাগো লিয়া।লেবু বেশী কদলাইয়ালে যেমন তিতা হয় তেমন উস্তার মত তিতা লাগতাছে।মাইনষে খালি জামা-কাপড়রেই টার্গেট কর্তাছে।ক্যান রে ভাই?এক্টা জিনিস কি কেউ জানে?রাস্তা ঘাটে এমন কাম কর্তে গেলে টি-শার্ট আর জিন্স কত আরাম দেয়।আর এইখানে যদি মাইয়া গুলা শাড়ি পইড়াও বাইর হইতো তাইলেও এই আদম রা ঈশ্বরের কাছে গিয়া তাদের বারমুডা উচাইয়া নালিশ কর্তো।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৭
পারভেজ আলম বলেছেন: হে হে, কথা খারাপ কও নাই।
১৩| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫২
বক্তা১ বলেছেন: দুর্দান্ত!
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৭
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৪
সজীব আকিব বলেছেন:
দারুন পারভেজ ভাই।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৮
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ সজীব আকিব।
১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:০৯
সূর্য বলেছেন: আহ্, এক্কেবারে গজালের মাথায় মুগুরটা ঠিক মত মারছেন। এই যৌন অবদমনজনিত রিরংসাপ্রসূত সহিংসতা আমাদের অধিকাংশ মানুষের মাথাটা খারাপ কইরা রাখছে।
যার কারণে নারী দেখলেই সুক্ষ্মচোখে মাপজোক চলে কোথায় কী দেখা গেল, আর হুজুরদের মাঝরাতের ওয়াজের মূল উপজীব্য হয় কেমনে বেগানা নারীরা মোমীনগো ওজু নষ্ট করতাছে।
এইসব কারণে মেয়েরা স্কুলে গেলেও খারাপ, ঘরের জানালায় দাঁড়াইলে বেশ্যা, কনসার্টে গান গাইলে খানকী। আমাদের কে ঠিক করবে!
কোরান-হাদীস? কিন্তু সেখানেও তো নারী সম্ভোগের বস্তু ছাড়া আর কিছুই না। বেহেশতের যে বর্ণনা পাই তাতে কোন আর আশা জাগে না।
যাউক, শেষ পর্যন্ত যে অপবিত্র প্রাণীর সন্তানদের সামনে আপনে মুক্তা ছড়াইতে আইলেন সেইজন্য সাধুবাদ জানায়া গেলাম।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫৯
পারভেজ আলম বলেছেন: এটা এই পোস্টের দ্বিতীয় অসাধারণ মন্তব্য। অসংখ্য ধন্যবাদ।
১৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২০
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
অসাধারন লেখা।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৮
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ জিসান শা ইকরাম।
১৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৯
দাসত্ব বলেছেন: [১]
পোস্টের শেষের ৪ টা পয়েন্ট ভালো লাগসে। তবে শেষ পর্যন্ত নিজের ধর্ম অবিশ্বাসী মনের পক্ষপাত ধামাচাপা দিতে পারলেননা। যদিও সেটা আশা করি নাই.........
সাইয়েদ কুতুবের নারী বর্ননা ভালো লাগে নাই.........
আর সাইয়েদ কুতুব কোন দরবেশ না..........
একজন ইনডিভিজ্যুয়াল , ব্যক্তিগত দর্শন নিয়ে চলা মানুষ........
তাকে অনুসরন করার সাথে মুসলিম হওয়ার কোন সম্পর্ক নাই.......
[২]
আপনাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলার কারন সাইয়েদ কুতুব যে ধরনের মন্তব্য করসেন সে ধরনের মন্তব্য অসংখ্য নাস্তিক কিংবা উগ্র ধর্ম বিদ্বেষী সাহিত্যিক , দার্শনিক , কবির লেখালেখিতে পাওয়া যাবে।
বরন্চ্ঙ সংখ্যাটা হবে বিশাল , অনেক বিশাল , খোদ আমাদের দেশেই অনেক পাওয়া যাবে এরকম........
তাদের কাউকে কেস স্টাডীতে আনলেন না যৌন অবদমনের অভিযোগের জন্য.......
বেছে নিলেন কেবল সাইয়েদ কুতুবকে.......
অথচ আর যাই হোক সাইয়েদ কুতুবের দ্বারা কোন মেয়ে রেপড হয় নাই........
আর তার তুলনায় ঐ সব দার্শনিক , কবি , সাহিত্যিকদের ব্যক্তিগত জীবনে ভয়াবহ পর্যায়ের নারী কামনা পাওয়া যায়........
এবং সেগুলোকে সাহিত্যিক মধু মাখিয়ে মানবীয় জৈবিক টাইটেল দেয়া হয়......
[৩]
সারাক্ষন যৌন অবদমন শব্দটা ব্যবহার করাটাও আমার কাছে হাস্যকর।
একজন পুরুষ মানুষের ভেতরে ধর্ষক জন্ম না নিলেই হয়..........
দুর্বল মূহুর্তের সুযোগসন্ধানী শয়তান জন্ম না নিলেই হয়.........
তবে একেবারেই যৌন কামনা দমন করে ফেলতে পারে এত বেশী বৈরাগী মহাপুরুষ হতে গেলেতো কোন মেয়েই ঐ ছেলেকে বিয়ে করতে রাজী হবে বলে মনে হয়না......
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৫
পারভেজ আলম বলেছেন: প্রথমত আমি ধর্ম অবিশ্বাসী না। ধর্ম অবিশ্বাসী শব্দটারই কোন অর্থ আছে বলে আমার কাছে মনে হয়না। ধর্ম বিষয়ে আমার দৃষ্টিভঙ্গী ইতিপূর্বে বিভিন্ন পোষ্টে আলোচনা করেছি। আমি বিভিন্ন ধর্মমতের সমালোচনা করতে পারি, কিন্তু ধর্ম কনসেপ্টকে জরুরি মনে করি।
দ্বিতীয়ত সাইদ কুতুব অবশ্যই গোটা দুনিয়ার মুসলিমদের প্রতিনিধীত্ব করেন না। তেমন কোন দাবি আমি করিনাই। যৌন অবদমনের প্রভাবে প্রতিশ্রুতীশীল একজন পন্ডিতও যে প্রতিক্রিয়াশীলতায় ডুবে যেতে পারেন তার উদাহরণ হিসাবে এনেছি।
কেস অনুযায়ী কেস স্টাডির উদাহরণ আনতে হয়। ইভটিজিং বিষয়ে আমার চার পর্বের একটা লেখা ছিল। সেইখানে বাঙালি মধ্যবিত্ত্বের নারী বিষয়ক ধ্যান ধারণা বিচার করতে গিয়া আধুনিক বাঙালি মনিষীদের কেস স্টাডিতে এনেছিলাম, পড়ে দেখতে পারেন। এইখানে প্রসঙ্গ ভিন্ন, আধুনিকতা না বরং ধর্মীয় নৈতিক জায়গা থেকে সমালোচনা করতে গিয়াও যে সেইখানে যৌন অবদমনের প্রভাব থাকে সেইটা চিহ্নতি করা। তাই কেস স্টাডির মানুষও ভিন্ন।
নারী কামনা আর 'যৌন অবদমন'প্রসূত নারী বিদ্বেষ সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। আপনার মন্তব্য থেকে মনে হচ্ছে এই দুইয়ের ফারাকটা আপনের কাছে পরিস্কার না। নারী কামনা স্বাভাবিক বিষয়, কিন্তু যৌন অবদমন থেকে সেই কামনা বিকারে রূপ নিতে পারে, সেইটা স্বাভাবিক না।
১৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩১
বোকা বালিকা বলেছেন: অতি কঠিন।তাও পুরাটাই পড়লাম।
ভাল লাগলো।আমি সামু তে নতুন,বাংলা টাইপ এ খুব কাঁচা।কিছু কিছু পোস্ট আছে বুঝতেই পারিনা এটা কেন দিল এখানে।এটা কিন্তু প্রিয়তে নিলাম।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫৫
পারভেজ আলম বলেছেন: কষ্ট করে পড়েছেন, মন্তব্য করেছেন এবং প্রিয়তে নিয়েছেন, ধন্যবাদ। সামুতে আপনার ব্লগিং শুভ হোক।
১৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩২
নেক্সাস বলেছেন: যদিও চেতনা গত একটা জায়গায় আমার দ্বিমত আছে তবুও আপনার লিখাটি অসাধারণ। এটাই হল উপযুক্ত জবাব। যাকে বলে বিতর্ক।
"ধূমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর" এই বিষয়ে বিতর্ক হলে বিপক্ষের দলও জিতে যেতে পারে তাদের উপস্থাপনা,যুক্তি আর বক্তব্যের মুন্সিয়ানায়
লিখায় মুগ্ধতা রেখে গেলাম
++++
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:৫৭
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ নেক্সাস। চেতনাগত জায়গায় পার্থক্য থাকতেই পারে। তবে তা নিয়া যৌক্তিক আলোচনা হইতে পারে।
২০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৯
সীমানা পেরিয়ে বলেছেন:
দেশীপুলাও কি জাফর ইকবালের বস্ত্রহরন কর্মসূচীর ভলান্টিয়ার লিস্টে নাম লেখাইছে নাকি? ভালো ভালো .... এইভাবেই তআলে চোখের ক্ষুধা মিটাইবা......
২১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:১৮
বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: সাইয়েদ কুতুব যে এসব কথা বলেছিলেন তার কোন লিঙ্ক আছে? কোন বই থেকে উদ্ধৃত করেছেন তা বললে ভালো হত।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:০১
পারভেজ আলম বলেছেন: বইয়ের নাম দ্যা আমেরিকা আই হ্যাভ সিন। উইকিপিডিয়ায় সাইদ কুতুব বিষয়ক প্রবন্ধে প্রথম মন্তব্যটা পাবেন। বইটাও ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করতে পারেন, ফ্রি ডাউনলোড করতে পারবেন বেশ কয়েকটা সাইট থেকে।
২২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:১৭
মজলুম বলেছেন: আপনারে নিয়া এই পোস্টের জন্যে আমার একটা পোষ্ট ছাড়তে ইচ্ছে করে।
আম্রিকান মেয়েরা নিজেদের শরীরের কমনিয়তা সম্বন্ধে ভালোভাবেই ধারনা রাখে। সে জানে তার চেহারা, তার চোখের ইশারা, তার তৃষিত ঠোট কামনায় ভরপুর। সে জানে যে তার গোলগাল স্তন, ভরাট নিতম্ব, সুঠাম উরু আর চিকন পা কমনিয়তায় ভরপুর। এবং এসবের কিছুই সে লুকায় না, বরং দেখায়”।
তার বই দ্যা আমেরিকা আই হ্যাভ সিন, হতে মাঝখান হতে তিন লাইন উঠিয়ে দিয়ে সবাই তুলাধুনা করছে, দেখ সাইয়্যেদ কুতুব কত্তো খারাপ। ঐ লাইন গুলোর উপরের এবং নিচের গুলোর খবর নাই। এ ধরনের চাতুর্যকে বলা হয় ধূর্তামি। অথচ যারা ঐ তিন লাইন দিয়ে তার বিরুদ্বে অপপ্রচারটা যারা গিলছেন উনারা তার ১৯৫০/৫১ সালে প্রকাশিত ২০ পৃষ্ঠার দ্যা আমেরিকা আই হ্যাভ সিন বইটা পড়েন ও নাই।
কুতুব ছিলো আমেরিকানদের যৌন সংস্কৃতিটার ক্রিটিকাল লেখক, লিখেছেন যে আমেরিকায় নারীদের শুধু অভজেক্ট বানানো হয়, এবং প্রমিসকিউটি(promiscuity ) যেটা আমেরিকান মহিলাদের নিয়ে যায় মায়ের রোলস হতে, এবং পরিনত হয় পরিবার ধ্বংসের।
তার পর উনি বলেছেন, "The American girl is well acquainted with her body's seductive capacity. She knows it lies in the face, and in expressive eyes, and thirsty lips. She knows seductiveness lies in the round breasts, the full buttocks, and in the shapely thighs, sleek legs and she knows all this and does not hide it'
আপনি অনুবাদে আরেকটু কামনা বাড়িয়েছেন আপনার পুরা বইটা পড়া দরকার ছিলো। নয়তো অন্ধকার রুমে বেড়াল মারার মতো দেখায়।
সাইয়েদ কুতুব যেটা বলেছেন সেটা এখন বর্তমান প্রজন্মের আমেরিকান ফেমিনিস্টরা একই কথা বলছেন। যে, নারী স্বাধীনতার নামে প্রথম প্রজন্মের ফেমিনিস্টদের ঠকিয়েছে আমেরিকান পুরুষরা, নারীকে বানিয়েছে পন্য, বিবাহ বন্ধন ছাড়াই যৌন উপভোগ করার স্বাধিনতা দিয়েছে, নারীদের যৌনভোগ করে ছেড়ে দিয়েছে, তারপর পেটের সন্তান নিয়ে উক্ত নারী একাই বহন করে বড়ো করে তুলেন। পিতাহীন এই শিশুদের বড়ো করতে ঐ নারীদের ক্লাবলোতে হতে হয় "স্ট্রিপার" বা "এক্সটিক ডেন্সার" এসব করে নিজের দেহ বিক্রি করে ঐ নারী কে সন্তানটা বড়ো করতে হয়। যেহেতু বিবাহ হয় নাই তাই পুরুষটার দায়িত্বও নাই। নারী স্বাধিনতার/অধিকারের নামে আমেরিকানরা নারীদের ঠকিয়েছে, ফেমিনিস্টরা এখন ধীরে ধীরে বুঝতে পারছে এইসব।
ওরকমই একজন আমেরিকান নারীবাদী লেখক নোয়ামী উলফ উনার লেখা বই The Beauty Myth এবং Promiscuities: The Secret Struggle for Womanhood পড়লে দেখবেন সাইয়্যেদ কুতুব তার বই দ্যা আমেরিকা আই হ্যাভ সিনে যা লিখেছে তারই প্রতিধ্বনি হচ্ছে এই ফেমিনিস্টদের লেখায়।
খামাখা তিন লাইন কোট করে পাঠকদের হাইকোর্ট দেখানো ঠিক নয়।
তারপর আপনে লিখলেন, ''আম্রিকা থিকা ফিরার কয়েক বছর পরই তিনি এতটাই শরিয়াকেন্দ্রীক ইসলামিস্ট হয়া উঠেন যে বিধর্মীদের হত্যা করার শরিয়তী বিধানের পক্ষে যুক্তি দিয়া লেখালেখী শুরু করেন, হয়া উঠেন আধুনিক ইসলামী জঙ্গীবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক।'
এটার প্রমান দেন, উনার কোন বইয়ের কতো নাম্বার পৃষ্ঠায় এই যুক্তি দিয়েছেন বিধর্মীদের হত্যা করার শরিয়তি বিধান?
উনার বিরুদ্বে লিখা ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েব সাইটগুলা হতে কপি করে এখানে অনুবাদ দিলেই হবেনা, প্রমান ও দরকার আছে।
ধন্যবাদ
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪৬
পারভেজ আলম বলেছেন: সবাই তুলাধুনা করলো কই। এইখানে তো সাইদ কুতুবরে নিয়া তেমন কোন চিল্লাচিল্লি হয়নাই। আরো হইতে পারতো, কিন্তু বিষয়বস্তু ভিন্ন বইলা হয়নাই।
একটা বইএর মাঝখান থিকা ৩/৪ লাইন কোট করলে সেটা ধুর্তামি হবে কেনো? হইতো যদি সেই ৩/৪ লাইন মূল বইয়ের বক্তব্য পাল্টায়া দিতো তাইলে। সেটা হয়িছে কি? যেই লাইনগুলা কোট করছি তার অর্থও আমার এই লেখায় গুরুতপূর্ণ না, বরং অর্থের পেছনের অর্থ, অবচেতন আর অবদমন এই জায়গা গুলাই আমার আলোচ্য। এই ৩/৪ লাইনরে আলাদাভাবে না পইড়া পুরা বইয়ের সাথে পড়লে কি এই ৩/৪ লাইনে সাইদ কুতুবের যৌন অবদমনের প্রভাব কি নাই হয়া যাবে?
ভাই, পশ্চিমা ভোগবাদ এবং নারীর পণ্যায়নের সমালোচনা অনেক নারীবাদীই করে। আমি নিজেও পশ্চিমা ভোগবাদ এবং নারীর পণ্যায়নের ঘোড়তর সমালোচক। এই নিয়া এই ব্লগেই আমার একাধিক লেখা এবং মন্তব্য পাইবেন। নারী স্বাধীনতার নামে কর্পোরেট ভোগবাদ নারীরে পণ্য বানানির দিকে ঠেইলা দিছে, গত ৫০ বছরে মার্কিন পপ কালচারে নারীরে যেই পরিমান অবজেক্টিফাই করা হইছে তেমন আর কোথাও হইছে কিনা সন্দেহ আছে। এর সমালোচনা হইতেই পারে। কিন্তু সেই সমালোচনা যদি যৌন অবদমন প্রসূত ক্রোধমুক্ত না হয় তাইলে তা প্রতিক্রিয়াশিলতারই জন্ম দেয়। ভুলে গেলে চলবেনা যে আধুনিক সেকুলার ব্যবস্থা শিক্ষা, চাকরি এবং রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে নারীরে যতটুকু স্বাধীনতা দেয় তা ইতিপূর্বে বিরল ছিল, বহু সমালোচনা থাকলেও পশ্চিমা সেকুলারিজমের সাফল্যগুলার এইটা একটা। এইসব সাফল্যের সাথে সাথে নারীরে প্লেবয় পত্রিকার কাভারে বন্দি করার সাইড এফেক্টও আছে। কিন্তু প্লেবয় এর কাভার থেইকা মুক্ত কইরা অর্থাৎ আধুনিক পন্যায়ন আর অবজেক্টিফাইং থেইকা মুক্তি কইরা বোরকার ভিতরে আবদ্ধ কইরা ব্যবহার্য বস্তুতে পরিণত করার আইডিয়া আপনের মাথায় আসবেনা যদিনা আপনে যৌন অবদমনে বিকারগ্রস্থ হন। আবারো বলছি যে যদি আমার উল্লেখিত কোটগুলার সাথে বইয়ের অন্য লাইনগুলা থাকলে এই কোটগুলার ভেতরে প্রকোট হওয়া যৌন অবদমন দুর্বল হয় তাইলে সেইটা আপনে যুক্তি সহকারে কইরা দেখান।
কুতুবের মাইলস্টোনস বইটা পড়ছেন কি? কয়টা পৃষ্ঠার নম্বর দিমু? পুরা বইটাইতো বিধর্মীগোরে অপবিত্র, পতিত প্রমানে আগ্রহী এবং অফেন্সিভ জিহাদের পক্ষে নানান যুক্তিতর্কপূর্ণ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৪৮
পারভেজ আলম বলেছেন: তবে আমি এটা মানিযে, পশ্চিমারা সাইদ কুতুবরে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে ইদানিং, এবং তার মেরিটের দামও ঠিকভাবে দেয়নাই। তবে আমার আলোচ্য বিষয় ভিন্ন এইখানে। শুধুমাত্র পোস্টের দরকার অনুযায়ী তার উল্লেখ আসছে।
২৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:২২
মজলুম বলেছেন: আরেকখান কথা,
উল্লেখ্য যে, আল কায়েদা নেতা আইমান আল জাওয়াহিরী ছিলেন সাইদ কুতুবএর সরাসরি শিষ্য।
এইডাও ভুয়া, সাইয়্যেদ কুতুব নয়, বরং তার ছোট ভাই মুহাম্মদ কুতুবের কাছে কিছুদিন ছিলেন আল-কায়েদার ডাঃআইম্যান আল জাওয়াহিরি। আইমেন আল-জাওয়াহিরি ছিলো মুসলিম ব্রাদারহুডের সাথে মতের মিল না হওয়ায় স্পিন্টার হয়ে বেরিয়ে যাওয়া ইজিপ্শিয়ান ইসলামিক জিহাদের সদস্য।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫১
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনের কথা ঠিক আছে। তিনি মুহাম্মদ কুতুবের সরাসরি শিষ্য, সাইদ কুতুবের না। এটা সংশোধন করা হবে মূল পোষ্টে। সতর্ক পাঠের জন্যে ধন্যবাদ।
২৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৩৬
রাজামশাই বলেছেন: মূল কথা কি?
"কামভাব পূর্ণ না হইলে সন্যাসব্রত পালন হয় না"
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৭
পারভেজ আলম বলেছেন: জ্বিনা রাজামশাই, এইটা মূল কথা নাই। পোস্ট অর্ধেক পড়েছেন কি?
২৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:০৯
তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে একমত। বক্তব্যের পেছনে তত্ব ও তথ্য হিসেবে যা বলেছেন সেগুলোর কিছু ক্রিটিকাল এ্যানালাইসিস আছে। যেমন: সাইয়্যেদ কুতুবের মুন্ডুপাত করতে গিয়ে আমেরিকার ভোগবাদী সমাজের পক্ষে সাফাই গাওয়ার টোন পাওয়া গিয়েছে। তবে আবারো বলছি: মূল বক্তব্যের সাথে পুরাই একমত: পোস্টের শেষে যে উদাহরণগুলো টেনেছেন তা যৌন অবদমনকেই ডিনোট করে।
আমার একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। আমেরিকায় আসার পরপর আমার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কর্পোরেট সিকিউরিটির উপর একটা সেশন আয়োজন করা হয় এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য। প্রসঙ্গক্রমে ধর্ষণের কথা আসে, এবং বক্তা ধর্ষকের সাইকোলজি সম্পর্কে প্রথমে বয়ান দেন। শুনে আশ্চর্য হয়েছিলাম যে ধর্ষকরা নাকি যৌনতার বশবর্তী হয়ে ধর্ষন করেনা (করলেও সেটা রেয়ার ইন্সট্যান্স) বরং নিজের মেইল শ্যভেনিজম; পুরুষ হিসেবে নারীর উপর আধিপত্য; ব্যক্তিগত হতাশা এবং ক্রোধ- এসবকে চরিতার্থ করার জন্য ধর্ষনের আশ্রয় নেয়। উইকিপিডিয়া এবং ইন্টারনেটের আরো কিছু সাইট দেখে বিষয়টা নিশ্চিত হই।
কাজেই আমাদের যে বিশেষ গোষ্ঠী নারীদের পোষাকের প্রতি ইঙ্গিত করে নিজেদের অপকর্মগুলোকে হালাল করার প্রয়াস পায়; এবং নারীদের পোষাক যথেষ্ট 'ইসলামিক' না হলে তা পুরুষের ধর্ষকামকে জাগ্রত করে দিতে পারে বলে যুক্তি দেয়- তাদের বক্তব্য কতটা মিথ্যা এবং ছলনাপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০১
পারভেজ আলম বলেছেন: আমেরিকার ভোগবাদী সমাজের পক্ষে সাফাই গাইলাম কখন? এটা আপনি বুঝতে ভুল করেছেন অথবা আমি নিজের অজান্তে করে থাকলে তা চিহ্নিত হওয়া দরকার। ব্যক্তিগতভাবে আমি ভোগবাদের বিরোধী।
দারুন বলেছেন ধর্ষনের বিষয়টা নিয়া। ব্লগে অনেককেই দেখি ইভটিজিংএর জন্যে দোষ চাপায় নারীর উপরে। ইভটিজিং জিনিসটাও কম বেশী ধর্ষকামী। যৌন কামনা আর যৌন বিকারের পার্থক্য না করতে পারাটা একটা বড় ধরণের সমস্যা।
গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ।
২৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩১
প্রজন্ম৮৬ বলেছেন: ভাই, একই দোষ তো সকল ধর্ম,বর্ণ,শ্রেণী,জাত,লিংগ এবং সকল পেশার মানুষই করে, তবু পার্টকুল্যারলি মুসলমানের উদাহরনটা কেন দিলেন সেটা আপনেই ভাল বলতে পারবেন।
কিন্তু আমার মনেও একই প্রশ্ন জাগছে কয়েকদিন ধরে যে, জাতীয়তাবাদী এবং ধর্মভীরু হিসেবে পরিচিত ব্লগাররাই কেন বার বার "নারী দেহ" রিলেটেড ইস্যুতে গরম প্রতিবাদী হয়ে উঠে? (আবাল ২/১টা নাস্তিকও লেখে, কিন্তু ওগুলা চিন্হিত ছ্যাচড়া ) এ নিয়ে লেখছিও কয়েকটা পোস্ট। আমি নিজে জাতীয়তাবাদী আস্তিক হয়ে এমন পোস্ট করায় অনেকে মনে আঘাতও পাইছে মনে হয়!!!
আমার ব্যাক্তিগত পর্যবেক্ষন হইলো, যেই মতের মানুষই হোক না কেন, যেই আদর্শই ধারন করুক বা না করুক না কেন, একজন স্বাভাবিক মানুষ, গুগলে পর্ণ সার্চ দেয়, বিপরীত লিংগের শারীরিক কাঠামোতে চোখ ঘুরায় এবং সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসীও সবাই করে। কেউ বেশী , কেউ কম।
কিন্তু অন্যান্য মতাদর্শের লোকজন এমন যৌন সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো টেকনিক্যালি সুচতুরভাবে এড়িয়ে গেলেও আমাদের ধর্মভিরু , জাতীয়তাবাদী ভাইয়েরা কোন এক কারনে ব্যাপারটা সামাল দিতে পারে না। নারী সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে আমাদের সক্রিয়তা ব্যাপক!
এমন একটা ভাব নেই যেন, চুরি-মিথ্যা-খুন-ঘুষ-ফিৎনা-গিবত-কুৎসা-অত্যাচার-আমানতের খিয়ানত-প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ এগিলা এখন "যুগের চাহিদা"!!! তয় মেয়েদের কাপড়ে একটু কম-বেশী হইলেই গজব!!!
এইটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড এবং বিরাট অন্যায়। যেহেতু, আমরা সৎ ও সত্যের পক্ষের হিসেবে পরিচিত হইতে চাই সুতরাং আমাদের এমন বড় মাপের দুর্নীতি কোনভাবেই মানা যায় না।
আমাদের প্রায়োরিটি সেট করা উচিৎ। বুঝা উচিৎ যে আমাদের জবাবদিহিতা সরাসরি আল্লাহ'র কাছে। আমরা ( পুরুষ ব্লগাররা) নারী না সুতরাং তাদের বিষয়ে আমাদের কথা বার্তা কম বলা উচিৎ, এবং নারী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নারীদেরই কথা বলার জন্য উৎসাহি এবং সুযোগ করে দেয়া উচিৎ।
তারপরেও কখনো যদি নারীদের নিয়ে কথা বলি, সে সময় সচেতন হওয়া জরুরী যেন আমরা মিথ্যাচার বা হিপোক্রেসি না করি। মানুষরে মুখে যাই বলি, আল্লাহ'র কাছে তো লুকাইতে পারুম না।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:০৮
পারভেজ আলম বলেছেন: প্রজন্ম, আপনের প্রথম প্যারার প্রশ্নের জবাব কিন্তু আপনে নিজেই দিছেন দ্বিতীয় প্যারায়। আধুনিকতার ধ্বজাধারীদের কোন কাজের সমালোচনা করতে গেলে আধুনিকতার নবীদের কাঠগড়ায় দাঁড় করাইতাম। কিন্তু এইখানে কাঠগড়ায় আছে বাঙালি মুসলমানের একটা অংশ যারা নারী স্বাধীনতা এবং পণ্যায়ন এই দুইয়ের ফারাক যেমন করতে পারেনা, তেমনি এবিষয়ক সমালোচনায় পুরুষতান্ত্রিকতা এবং যৌন অবদমন এই দুইয়ের ব্যাবহার যুক্তি তথ্যের চেয়ে অনেক বেশি করে।
এমন একটা ভাব নেই যেন, চুরি-মিথ্যা-খুন-ঘুষ-ফিৎনা-গিবত-কুৎসা-অত্যাচার-আমানতের খিয়ানত-প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ এগিলা এখন "যুগের চাহিদা"!!! তয় মেয়েদের কাপড়ে একটু কম-বেশী হইলেই গজব!!!
এটা একটা অসাধারণ মন্তব্য করছেন।
আরেকটা বিষয় হইল জাতীয়তাবাদী শব্দটা নিয়া। আমি নিজেই একজন জাতীয়তাবাদী। তাই এই শব্দটার মেরিট না বুইঝাই যখন কিছু পার্টি এবং তার অনুসারীরা এই শব্দ এবং শব্দের দর্শনরেই শুধু অপমান করেনা বরং জাতীয়তাবাদ জিনিসটারেই ভুলভাবে উপস্থাপন কইরা প্রতিক্রিয়াশীলতা এবং মধ্যযুগীয় মৌলবাদরে প্রমোট করে তখন আমি বেজায় ক্ষুদ্ধ হই। জাতীয়তাবাদী হওয়া এত সোজা না, এইটা এদের বুঝতে হবে। এদের জাতীয়তাবাদী সংগ্রামী চেতনা নারীর পোশাকের ফাক ফোকর থেইকা এখনো বের হইতে পারেনাই, সাম্রাজ্যবাদের মোকাবেলা এরা কেমনে করবে?
আমি আপনের পোস্টটা পড়ছি, মন্তব্য করিনাই বিশেষ কারনে। আর আমি সাধারণত কাউরে পোস্ট উৎসর্গ করিনা, এই পোস্টটা উৎসর্গ করলে আপনারেই করতাম। এই পোস্ট দেয়ার পেছনে আপনের পরোক্ষ উৎসাহ আছে।
২৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৪:৩৮
বেঈমান আমি বলেছেন: দারুননননননননননন লাগলো.......
২৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৫৫
মজলুম বলেছেন: নারীবাদী নোয়ামি ওলফের দ্যা বিউটি মিথের উপর এই ভিড্যুটা দেখেন,
২৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০২
হোরাস্ বলেছেন: চরম লেখা হইছে, পারভেজ ভাই। +++
কুতুবের কুতুবী নিয়ে লেখার জন্য আপনাকে নিন্দা জ্ঞাপন করলাম।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৯
পারভেজ আলম বলেছেন: নিন্দা গ্রহণ করা হইল। অবশ্য কুতুবী এইখানে আলোচনার খাতিরে আসছে।
৩০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৬
রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার লেখাটা ভাল লেগেছে। আপনি যে ৪টা পয়েন্ট বর্ননা করেছেন, সবগুলি ক্ষেত্রে সবার জন্য অবদমিত যৌন কামনাই দায়ী কিনা বা বিষয়টাকে এত সরলীকরন করা যায় কিনা, সেই বিষয়ে আমি অবশ্য একটু সন্দিহান আছি। তবে অবদমিত যৌন কামনা যে একটা বড় রকমের সমস্যা বর্তমান বাঙালি সমাজে, সেই বিষয়ে আমি শতভাগ একমত। আমার কথাটা বোঝাতে পারলাম কি? আমি বলতে চাচ্ছি যে সমস্যার অস্তিত্ব আমি স্বীকার করি, কিন্তু এটাই আপনার ৪টা উদাহরনের জন্য একমাত্র দায়ী কিনা, সেটা আমি নিশ্চিত না।
আপনার এই পোস্টের আলোচনা, উদাহরন এবং ব্লগের বর্তমান ভাবভঙ্গি যেহেতু শিক্ষিত সমাজকে নিয়েই, তাই আলোচনা এর মধ্যেই সীমিত রাখি। দুঃখের বিষয় যে বর্তমান বাঙালি শিক্ষিত শ্রেনীর যে কাঠামো আছে, তাতে এই অবদমিত যৌন সমস্যার কোন সমাধান দেখি না। যৌন কামনা মানুষ অনুভব করতে শুরু করে মোটামুটি ১৩-১৪ বছর বয়সে, ১৬-১৭ বছরের মধ্যে এই কামনা বেশ তীব্র হয়। আমাদের আলোচ্য গোষ্ঠীর ছেলেমেয়েরা ২৭-৩০ বছরের দিকে বিয়েশাদী করে থাকে। তাহলে দেখা যাচ্ছে যে ১০-১৫ বছর সময় একটা ছেলে বা মেয়ে তীব্র যৌন কামনায় ভোগে, কিন্তু উপভোগ করতে পারে না। বিবাহ বহির্ভুত যৌন সম্পর্কের চর্চা এতই কম যে সেটাকে গোনায় ধরা যায় না। ইসলামের কোথাও সরাসরি বলা আছে কিনা, আমি জানি না। তবে মসজিদের ইমামরা খুতবা ইত্যাদিতে প্রায়ই ১৬-১৭ বছরের মধ্যেই বিয়ে সম্পন্ন করার পরামর্শ দেন। কিন্তু আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোতে এটা আদৌ সম্ভব হয় না।
আবার বিয়ের পরেও যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে, তাও না। বহুগামীতা একটা মোটামুটি সাধারন বিষয় এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের মধ্যে এটা থাকবেই। আমাদের সমাজ এটাকেও মেনে নেয় না। তাহলে উপায় কি?
বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে। যাই হোক, চমৎকার লেখাটার জন্য ধন্যবাদ।
১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৫
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনার কথা আপনে ভালো মতোই বুঝাইতে পারছেন। অবদমিত যৌনতাই এইখানে একমাত্র ফ্যাক্টর না। তা বললে সরলিকরণ অবশ্যই হবে। তবে এই পোষ্টে অন্য ফ্যাক্টরগুলা আলোচনায় আসেনাই পোস্টের বিষয়বস্তুর কারণেই। ইভটিজিং বিষয়ে আমার ৪ পর্বের একটা পোস্ট ছিল, সেইখানে বেশ কয়েকটা ফ্যাক্টর নিয়া আলাদা আলাদা ভাবে বিষদ আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। পোস্টটা এখনো ব্লগেই আছে।
বিয়ের বয়স নিয়া যা বলছেন তা একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ইভটিজিংএর পোষ্টে এই নিয়া বেশ খানিকটা আলোচনা করছিলাম। কোর্টশিপ ডিজঅর্ডার নামক মানসিক রোগ বাংলাদেশে রিতিমত মহামারি আকার ধারণ করছে, এবং এর পেছনে দীর্ঘসময় কোর্টশিপ রিচুয়ালের অনুপস্থিত থাকা একটা কারণ। আধুনিক কালের বিবাহের বয়স নিয়া বাস্তব চিন্তা ভাবনা এবং যুগোপযোগি যৌন নৈতিকতার নির্মান ও ছোটবেলা থেইকাই স্কুলে তা শিক্ষা দেয়া এই মুহুর্তে অত্যন্ত জরুরি।
ভাবতে হবে, আরো ভাবতে হবে অবশ্যই। আমাদের সবারই ভাবতে হবে।
৩১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৪
বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: বেচারা সাঈয়েদ কুতুব। কি বুঝাইতে চাইছিলো আর আপনি কি বানায় দিলেন তার কথা কে। বাস্তব সত্যকে বানায় দিলেন চটি। বেচারা সাইয়েদ কুতুব জানতোনা বাঙ্গালী বামেরা কি জিনিস। যে কোন কথাকে চটি বানাতে তাদের জুড়ি নাই।
তবে এটুকু স্বীকার করি এত ডিটেইলস ভাবে তারও আমেরিকান নারীদের যৌনাবেদন সম্পর্কে লেখার কোন দরকার ছিলো না।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৪
পারভেজ আলম বলেছেন: একটা ঘটনাকে আপনে অনেকভাবেই দেখতে পারেন, লিখতে পারেন। ধরেন যে খালেদা জিয়া ভাসন দিতে উঠেছেন মঞ্চে, কারো কাছে সেইখানে তার ভাষনটাই মূখ্য হবে, কেউ আবার খালেদা জিয়ার গোলাপি রঙের শাড়ি, মেকআপ ইত্যাদির উপর ফোকাস করবেন। বাস্তব সত্যকে এইরকম নানান ভাবেই বর্ণনা করা যায়, তাতে বাস্তব সত্যের বিভিন্ন রকম চেহারা তৈরি হয়। আমি কিন্তু এখানে কিছু বর্ণনা করি নাই, সাইদ কুতুবের বর্ণনাই হুবহু তুলে দিয়েছি এবং দেখাতে চেয়েছি যে তাতে অবদমিত যৌনতার প্রকোট প্রকাশ ছিল।
কোন লেখা পড়ার ক্ষেত্রে অথবা তার সমালোচনা করার ক্ষেত্রে অবচেতন এবং অবদমনের প্রভাব খুজে বের করার প্রক্রিয়া সাইকোএনালিটিকাল সমালোচনার পদ্ধতি হিসাবে স্বিকৃত। এইটা বাঙালি বামদের আবিস্কার না। সেই ফ্রয়েড মহাশয়ের সময়কাল থেকেই পাশ্চাত্যে এর ব্যবহার হয়ে আসছে। বাংলাদেশে বরং কম হয়িছে।
এই যে আপনে স্বিকার করলেন এত ডিটেইলস এর দরকার ছিলনা। এটা নিয়াই আবার চিন্তা করেন। আপনি এমনকি সত্যিকারের কোন দুশ্চরিত্রা'র সমালোচনা করতে গেলেও যৌন উত্তেজক ডিটেইলস এড়িয়ে তা করতে পারেন। কিন্তু আপনি নিজেই যদি অবদমনের প্রবল শিকার হন তখন এজাতীয় ডিটেইলস চলে আসবে। ওয়াজ শুনেছেন? দেখেছেন কিছু মোল্লা কিরকম নোঙরা ভাবে মেয়েদের পোষাকের বর্ণনা দেয়? কাউকে শালিন পোষাক পরতে বলার জন্যে এসব নোংরামির কিন্তু দরকার পরেনা।
৩২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:০১
বিদ্রোহী কান্ডারী বলেছেন: @রাইসুল জুহালাঃ আমার মতে এই সমস্যার দায়ী আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। ম্যাট্রিকের পর ইউরোপ আমেরিকার মত কলেজ বাদ দিয়ে সবাইকে ডিপ্লোমা পড়ানো উচিৎ। এতে খুব অল্প বয়সে ছেলেমেয়েরা স্বাবলম্বী হবে আর আমরাও দ্রুত কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী পাবো।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৭
পারভেজ আলম বলেছেন: এটা খারাপ বলেন নাই। ইউরোপ আমেরিকাতেও কিন্তু অধিকাংশ মানুষ হয় স্কুল পাস নাইলে এসোসিয়েট ডিগ্রি অথবা এডভান্সড ডিপ্লোমা পাস। এর বেশি উচ্চশিক্ষার পেছনে যারা ছোটে তারা সত্যিকার অর্থেই একাডেমিয়ান। সবাই একভাবে দেশের প্রয়োজন মেটাতে পারবেনা। সবার পন্ডিত হওয়ার ইচ্ছাও নাই। স্বল্পশিক্ষায় চাকড়ি পেলে দীর্ঘকালিন পড়াশোনা অনেকেই করবেনা।
৩৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১২
রাসেল ( ........) বলেছেন: "ইয়াহওয়েহ" শব্দটার উচ্চারণ সম্ভবত জিহোভা,
লেখা চমৎকার হয়েছে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:২৯
পারভেজ আলম বলেছেন: আসলে ঘটনা উলটা। জেহোভা শব্দটার প্রকৃত উচ্চারণ ইয়াহওয়েহ। জেহোভা হইল মূল হিব্রু শব্দের ল্যাটিনাইজড উচ্চারণ। তবে জেহোভা শব্দটাই এখন বেশি প্রচলিত। এই কারনে পোস্টে প্রথমবার ইয়াহওয়েহ লেখার সময় ব্রাকেটে জেহোভা লিখে দিয়েছি।
ধন্যবাদ।
৩৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১২
নাজনীন১ বলেছেন: শোনেন প্রগতিশীল বলেন, আর দুর্গতিশীল বলেন আর ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, যখনই একজন পুরুষের চোখ দিয়ে, বা মুখ দিয়ে বা হাত দিয়ে নারীর বর্ণনা আসছে, সেখানে হয় দেহের বর্ণনা আসছে, না হয় রূপের বর্ণনা আসছে, না হয় চুলের বর্ণনা আসছে। পুরুষ মাত্রই লুল -- এটাই হলো আমার পর্যবেক্ষণ।
যে ব্যক্তি নারীদের সামনে সরাসরি নারীদেহ নিয়ে কথা বলছে না, দেখবেন সে আড়ালে বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ঠিকই এসব নিয়ে কথা বলে, না হয় দিনরাত পর্ণ দেখে। আর এক্ষেত্রে বিবাহিত - অবিবাহিত কোন ফ্যাক্টর না। পুরুষের যৌন চাহিদা মিটলেও তারা নারীদের নিয়ে কিছু না কিছু বলবেই। যদি দুই-একজন ব্যতিক্রম থেকে থাকে এক্ষেত্রে, তাহলে আমি তাকে পুরুষ বলবো না, বলবো মহাপুরুষ।
আর শেষ প্যারার ব্যাপারে তৌফিক জোয়ার্দারের কমেন্টের কিছু অংশই আমার কাছে বেশি যুক্তিযুক্ত কারণ মনে হয়েছে,
" শুনে আশ্চর্য হয়েছিলাম যে ধর্ষকরা নাকি যৌনতার বশবর্তী হয়ে ধর্ষন করেনা (করলেও সেটা রেয়ার ইন্সট্যান্স) বরং নিজের মেইল শ্যভেনিজম; পুরুষ হিসেবে নারীর উপর আধিপত্য; ব্যক্তিগত হতাশা এবং ক্রোধ- এসবকে চরিতার্থ করার জন্য ধর্ষনের আশ্রয় নেয়। উইকিপিডিয়া এবং ইন্টারনেটের আরো কিছু সাইট দেখে বিষয়টা নিশ্চিত হই। "
হঠাৎ কইরা সাইয়েদ কুতুবরে ক্যান টান দিছেন সেইটার অন্তর্নিহিত কারণ আমি ঠিকই বুঝছি, আশা করি পরবর্তীতে উনার ভাল কথাগুলোকেই হাইলাইট করবেন।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৩
পারভেজ আলম বলেছেন: নাজনিন আপা, নারীদের প্রতি আগ্রহ থাকা, কামনা থাকা এমনকি অতি কামনা থাকা খুবি সাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু অবদমিত কামনা যেইটার জন্ম দেয় সেইটারে ঠিক প্রেমজ কাম বলা যায়না, ধর্ষকাম বলতে পারেন। প্রেমজ কাম আর ধর্ষকাম এক জিনিস না, এটা আশা করি বুঝেন। একজন পুরুষ কোন নারীর প্রতি প্রবল কামনা অনুভব করা সত্ত্বেও সেই নারীকে সম্মানের চোখে দেখতে পারেন, এটা নিশ্চয় স্বিকার করবেন। এটা প্রেমজ কাম। ধর্ষকাম নারীকে ভালবাসতে চায়না, বরং এক্সপ্লয়েট করতে চায়।
৩৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৬
নাজনীন১ বলেছেন: *কথাগুলোকেও
৩৬| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৮
নাজনীন১ বলেছেন: ব্লগে যারা নারীদের নিয়ে অশ্লীল ইংগিত করে তারা কিন্তু সবাই অবিবাহিত বা বিয়ে করেছে কিন্তু বউ দূরে আছে এরকম সমস্যায় নাই।
৩৭| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:০০
মৌ-মাছি বলেছেন: ধৈর্য্য ধরে সব কমেন্ট সহ পোস্ট পড়লাম। তবে ভারী মন্তব্য করার সময় সুযোগ এই মুহুর্তে নাই। পোস্ট ভাল হয়েছে মুলত শেষ অংশের কারণে। অবদমিত কামনাকে সাম্প্রতিক ডামাডোলের পিছনের কারণ হিসাবে দেখানো যুৎসই হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু ইশেবল বা কুতুবের সম্পর্কে পোস্টে যে সব কথাবার্তা বা আলোচনা এসেছে সেগুলো অবদমিত কামনাকে কারণ হিসাবে দেখানোর বিষয়ে কনভিন্সিং হয়েছে বলে মনে হয় নাই।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৬
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনার মতামতের জন্যে ধন্যবাদ। আমার মনে হচ্ছে আমার আলোচনা আপনাকে কনভিন্স করার মতো বিস্তারিত হয় নাই এবং অবদমিত যৌনতার রাজনৈতিক প্রকাশ সম্বন্ধে আপনি হয়তো অতটা সচেতনতা নিয়ে ইশেবল আর কুতুবের ঘটনাগুলো বিশ্লেষনও করেন নাই।
৩৮| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০০
নরাধম বলেছেন: সাঈদ কুতুবের প্রসংগটা পোস্টের মুল বক্তব্যটার জন্য পুরাই অপ্রাসংগিক মনে হইছে। সাঈদ কুতুবরে যৌন অবদমনের শিকার প্রমাণ করাটাও বেশ মায়োপিক দৃষ্টিভংগী। সাইিদ কুতুব এসব বলে পশ্চিমা সমাজে মেয়েদের পন্যায়ন কিভাবে হচ্ছে সেটাই বুঝাতে চাইছে। দুটার মধ্যে পার্থক্যটা সুক্ষ খুবই, কিন্তু পার্থক্যটা আছে। সাইিদ কুতবের সমালোচনা করার বেশ গুরুত্বপূর্ণ দিক আছে, কিন্তু আপনি যে প্রসংগে বলছেন সে প্রসংগে না। যাই হোক, পোস্টের ওভারল মেসেজের সাথে একমত।
কিন্তু, ব্যাপারটা হচ্ছে যারা খুবই প্রমিসকুয়াস, যৌনকামনাকে খুব বেশিই পূরণ করে ফেলেছে এরকম লোককে দেখি প্রায়ই পর্ণো দেখে এবং মেয়েদের শরীর নিয়ে আরো বেশি বিকৃত কমেন্ট করে। আমার অফিসের কলিগ এবং বসরাই এরকম এবং এমেরিকায় এটা কমন ব্যাপার। এরা তো যৌনঅবদমনে ভুগছেনা, আমার বস এম্নিতে বেশ ভালমানুষ, বয়স ৬০এর কাছাকাছি, কিন্তু রেস্টুরেন্টের ওয়েট্রেসের পাছা, পা, স্তন এসব নিয়ে যা কমেন্ট করে শুনলে অবাক হতে হয়। আবার আমার কলিগ দুজন, বয়স ৪৫ এড় মত, এরাও আমাদেরই অন্য মেয়ে কলিগের শারিরীক ব্যাপার সেপার নিয়ে যা কমেন্ট করে এবং চোখেমুখে যা যৌনাকাঙকা ভেসে উঠে, সেসবকে কি বলবেন? এরা কেউ যৌনঅবদমনের শিকার না। আসলে পুরুষমাত্রই যৌনকাতর আর এটাই প্রাকৃতিক। যৌনকাতরতা কেউ প্রকাশ করে কেউ করেনা বিভিন্ন কারনে। কিন্তু পুরুষ প্রাকৃতিকভাবেই যৌনকাতর এবং এটা বংশবৃদ্ধির জন্যই দরকারী, প্রকৃত বা ঈশ্বরের পরিকল্পনার অংশ।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৬
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনার বস কি পোস্টের চারটা পয়েন্টের মতো কোন কাজ করে? মেয়েদের শরীর নিয়া কে মন্তব্য করেনা আড়ালে আপডালে? আমি করি, আপনে করেন, আমরা পুরুষ, নারী দেহ আমাদের অন্যতম প্রধান আগ্রহের বিষয়। কিন্তু অবদমিত যৌনতার যেই প্রকাশ সেইটা কামনার বিকৃত প্রকাশ, ধর্ষকামী এবং নারীবিদ্বেষী, এইটা আপনার বুঝতে হবে। ওয়েট্রেসের শরীর কামনা করা, তাকে নিয়ে অশ্লিল মন্তব্য করা এক জিনিস আর একিসাথে সেই ওয়েট্রেসকে কামনা করা কিন্তু তা চেপে রেখে আবার সেই ওয়েট্রেসকেই যৌন নৈতিক ভাবে সমালোচনা এবং গালাগালি করা ভিন্ন জিনিস। আমি বুঝতে পারছিনা কেনো আপনি এবং আরো কয়েকজন এই বিষয়গুলাকে একসাথে গুলিয়ে ফেলছেন। আপনার অফিসের একজন নারী কলিগকে কামনা করা এক জিনিস, আর তার সাথে প্রতিদ্বন্দিতায় তাকে যৌন নৈতিক ভাবে আক্রমন করে দুশ্চরিত্রা বানানো আরেক জিনিস। অবদমিত যৌন কামনা যেই বিকার তৈরি করে তা যৌনতাকে অপ্রাসঙ্গিক আলোচনায় টেনে হিচরে নিয়ে যায়।
সাইদ কুতুব অবশ্যই পশ্চিমে নারীদের যেসব বিষয় নিয়া আলোচনা করেছেন তাতে পন্যায়নের প্রসঙ্গ আছে, তাদের নৈতিক স্খলন নিয়াও আলোচনা আছে। এখানে আমি কোন দ্বিমত করছিনা। আপনার যেটা বুঝতে ভুল হয়েছে যে আমি সাইদএর ইন্টেশন নিয়া প্রশ্ন তুলি নাই, কিন্তু তার ইন্টেশনযে অবদমনের প্রকোট প্রকাশে প্রতিক্রিয়াশিলতার পথ প্রশস্ত করেছে সেটাই বলেছি। পশ্চিমা নারীদের পন্যায়ন নিয়া আলোচনা অনেকেই করেছেন, সেটা আমাদের এলাকায় এলাকায় অনুষ্ঠিত ওয়াজগুলার মোল্লারাও করেন আবার বিশ্বের সেরা সেরা নারীবাদীও করেন। কিন্তু এই দুইয়ের ফারাকটা আপনের করতে হবে। আপনি আমাকে যেই সুক্ষ ফারাক বুঝতে বলেছেন সেটা আশাকরি আমি বুঝি, কিন্তু এই ফারাকটা আপনাকে বুঝতে হবে।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৯
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনাকে অনেকদিন পরে দেখলাম মনে হয়। এতদিন ছিলেন কোথায়? এনিওয়ে, ভালো থাকবেন।
৩৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:০৪
বাঘ মামা বলেছেন:
যদি তোমরা অন্যের দোষ ঢেকে রাখো তো কেয়ামতের ময়দানে আল্লাহ তোমাদের দোষ ঢেকে রাখবেন- সম্ভবত আল-হাদিস
যারা প্রভাকে নিয়ে পোষ্ট দিয়েছেন তারা প্রভার জীবনে ঘটে যাওয়া অনাকাংক্ষিত ঘটনাকে নিন্দা করতে বা আরো ভালো ভাবে ফুটিয়ে তোলার লক্ষ্য হন্য হয়ে প্রভার অর্ধ-নগ্ন ছবি নেটে খুজতে খুজতে ঘাম ঝরিয়েছেন এটা নিশ্চৎ বলা যায়। প্রভা অভিনয় জীবনে কখনোই অর্ধ-নগ্ন বা কিঞ্চিৎ নগ্ন কোনটাই হননি বলে পোস্ট দাতা গন তাহার একটা পিক খুজে বের করলো যেখানে প্রভার বক্ষ যুগল সাধারন থেকে একটু দৃষ্টিতে লাগে এমন।
অবাক হওয়ার আর সীম থাকলোনা , যে আমরা মানুষকে নগ্ন করতে কতটা ঘাম ঝরাতে উঠে পরে লাগি।
মাঝে মাঝে দেখা যায় ভারত বিরুধী কিছু আলেম ওলামায়েকরাম আছেন ব্লগে তারা তাদের সংস্কৃতিকে নিন্দা করার জন্য বিপাশা বসু,মল্লিকা শেরওয়ানি এমন অভিনেত্রী গুলোর শারীরের খুল্লাম খুল্লা অংশ বিশেষ খুজে পোস্ট দিয়ে থাকেন, ওনারা খুজেন আর মনে মনে বলেন -উহু এই পিকনা, আরেকটু খোলা কোনো পিক পাই কিনা দেখি, মানে ওনারা মনে মনে খুলে ফেলছেন আরও বেশি করে যতটা না ওরা নিজেকে খুলে দিয়েছেন।
মোদ্দা কথা যারা অন্যের সন্মান নিলামে উঠিয়ে দেয় তারা নিজেরা কখনো সন্মানি মানুষ হতে পারেনা।
জাফর সাহেবের উক্তির বিরুধীতা আমরা উক্তি দিয়ে করবো,যুক্তি দিয়ে করবো, উনি উক্তি দিয়ে আমাদের ধর্মকে বা আমাদের সংস্কৃতিকে নগ্ন করলে আমরাও উক্তি দিয়ে ওনার ধ্যন ধারনার প্রতিবাদ করবো।
ওনার পরিবার কোন পথে হাটলো তা খুজে খুজে এখানে পোস্ট দেওয়া যে কত বড় নগ্ন মানসিকতা ফুটে উঠে তা নীরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করলেই পাওয়া যায়।
অবদমন কামনা বাড়ায় সেটার ব্যখ্যায় একটু বিরোধ রাখলাম।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৪৮
পারভেজ আলম বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্যে ধন্যবাদ। অবদমন কামনা বাড়ায় সেটা কিন্তু আমি বলিনাই, বিকার বারায় বা ধর্ষকাম বাড়ায় এমন বলেছি। আপনার শেষ প্যারাটারই প্রতিদ্ধনী করি-
জাফর সাহেবের উক্তির বিরুধীতা আমরা উক্তি দিয়ে করবো,যুক্তি দিয়ে করবো, উনি উক্তি দিয়ে আমাদের ধর্মকে বা আমাদের সংস্কৃতিকে নগ্ন করলে আমরাও উক্তি দিয়ে ওনার ধ্যন ধারনার প্রতিবাদ করবো।
ওনার পরিবার কোন পথে হাটলো তা খুজে খুজে এখানে পোস্ট দেওয়া যে কত বড় নগ্ন মানসিকতা ফুটে উঠে তা নীরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করলেই পাওয়া যায়।
৪০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫
গুহাবাসি বলেছেন: ... যৌন অবদমন খুব খারাপ জিনিস, সাধুরে শয়তান বানায়া দেয় ....।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৫১
পারভেজ আলম বলেছেন: সেটাই।
৪১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:০৯
মজলুম বলেছেন: সাইয়্যাদ কুতুবের তিন লাইন তুলে তাকে তুলাধুনা করা হচ্ছে পচ্চিমে, আপনার এখানে না।
আবারো বলছি যে যদি আমার উল্লেখিত কোটগুলার সাথে বইয়ের অন্য লাইনগুলা থাকলে এই কোটগুলার ভেতরে প্রকোট হওয়া যৌন অবদমন দুর্বল হয় তাইলে সেইটা আপনে যুক্তি সহকারে কইরা দেখান।
হ্যাঁ বস, আপনি যদি তার বইটা পড়তেন, ওটা প্রথমে উনি আমেরিকা থেকে ফিরে রিসালা নামক এক ম্যগজিনে এই আর্টিক্যালটা লেখেন, পরে ওটা ২০ পৃষ্ঠার বই আকারে প্রকাশ হয়। উনি ওখানে খুবই নিখুতভাবে উনার দেখা আমেরিকার বিবরন দিচ্ছেন, এটা উনার লিখার স্টাইল, উনার প্রত্যেকটা লিখাকে উনি জীবন্ত করে তুলেন শব্দের মাধ্যমে।
পশ্চিমের নারী পন্য ও ভোগবাদী জীবন নিয়ে উনি ও উনার ভাই মুহাম্মদ কতো লিখালেখি করেন। তার বই দ্যা আমেরিকা আই হ্যাভ সিন, উনি কিন্তু বলেন নাই আম্রিকানরা এই রকম সেই রকম, উনার মতে উনি যেভাবে দেখেছে ব্যাপারটা।
তার বই মাইলস্টোন পড়া আছে আমার এবং আমার সাথে আছে এখন।
আপনি বললেন, 'আম্রিকা থিকা ফিরার কয়েক বছর পরই তিনি এতটাই শরিয়াকেন্দ্রীক ইসলামিস্ট হয়া উঠেন যে বিধর্মীদের হত্যা করার শরিয়তী বিধানের পক্ষে যুক্তি দিয়া লেখালেখী শুরু করেন, হয়া উঠেন আধুনিক ইসলামী জঙ্গীবাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দার্শনিক।'
এটা মাইলস্টোনের কতো নাম্বার পৃষ্টায় আছে বিধর্মীদের হত্যা করতে বা বিধর্মীদের হত্যা করার পক্ষে যুক্তি দিতে?
আপনি বলেন আমি দেখবো কতো নাম্বার পৃষ্ঠায়।
আপনার প্রতি এখনো শ্রদ্ধা আছে, সাইকো আসিফের পোষ্ট হলে এভাবে চাইতাম না। ঐডা সাইকো, মাথায় যা মনে চায় তাই লিখে, সত্যের ধার ধারে না।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:১০
পারভেজ আলম বলেছেন: আমি কিন্তু আপনার প্রশ্নের উত্তর আমার আগের মন্তব্যেই দিয়েছি। মাইলস্টোন বইয়ের কোন স্পেসিফিক পৃষ্টায় কোন স্পেসিফিক লাইনে বিধর্মীদের হত্যা করার পক্ষে তার রায় কেনো খুজবেন? পুরা বইয়ের সারমর্ম যা পাবেন তা কি আমার ঐ এক লাইনের বিরুদ্ধে যাবে? আমার প্রতি আপনার শ্রদ্ধা আছে যেনে খুশি হলাম, এবং সাথে এও জানাই যে আপনার প্রতিও আমার শ্রদ্ধা আছে যেহেতু সাইদ কুতুব আপনার খুব প্রিয় মানুষ হওয়া সত্ত্বেও ঠান্ডা মাথায় বিতর্ক করছেন। ঠান্ডা মাথায় এখন আমার উত্তরটুকু বুঝার চেষ্টা করলে খুশি হবো। আমি মাইলস্টনস পড়েছি অনেকদিন আগে, দরকার হলে আবার খুলে বসবো। তার আগে আপনে বলেন যে, মাইলস্টোনস কি-
১। বিধর্মীদের পতিত, দুর্নিতীগ্রস্থ, দুশ্চরিত্র ইত্যাদি হিসাবে চিহ্নিত করেনাই?
২। ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসাবে দাবি করেনাই?
৩। ইসলাম রক্ষায় শুধু রক্ষনাত্বক না বরং ইসলাম প্রচারের জন্যে আক্রমনাত্বক জিহাদএর পক্ষে যুক্তি দেয় নাই?
৪। আকুন্ঠভাবে ইসলামী শরিয়া আইনের সমর্থন করেনাই?
৫। বিধর্মীর রক্তপাত ছাড়া জিহাদ হয় কি? ইসলামি শরিয়া আইন ইসলাম প্রচারে বিধর্মীর রক্তপাতে অনুমতি কি দেয় না?
সাইদ কুতুবের লেখার হাত ভালো ছিল সন্দেহ নাই। আপনি ওনার যেই পাঠ করেছেন তাতে ওনার 'সবকিছুকে জীবন্তভাবে ফুটিয়ে তোলা' এইরকম নন্দনতাত্ত্বিক সমালোচনামূলক পাঠ ছিল। আমি এই পোষ্টে সাইকোএনালিটিকাল পাঠ করেছি এবং দাবি করেছি যে এই ধরণের বর্ণনার পেছনে যৌন অবদমনএর প্রকোট প্রকাশ আছে। নন্দনতাত্ত্বিক মন্তব্য করে কিন্তু আপনে আমার সাইকোএনালিটিকাল সমালোচনাকে খাড়িজ করতে পারবেন না। হয় আমার সাইকোএনালিসিসকে ভুল প্রমান করতে হবে অথবা খোদ সাইকোএনালিটিকাল সমালোচনার প্রক্রিয়াকেই আপনার খাড়িজ করে দিতে হবে। এখন ঘটনা হচ্ছে যে আপনে নিজে যেমন নন্দনতত্ত্বের অথরিটি কেউ না আমিও তেমনি সাইকোএনালিসিসের অথরিটি কেউ না। সুতরাং, আমি আপনার বক্তব্য বুঝার চেষ্টা করতে থাকি আর আপনে আমার বক্তব্য বুঝার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
আর পোস্টের মূল থিমএর বাইরে এই মুহুর্তে খুব একটা যেতে চাচ্ছিনা। মুসলিম ব্রাদারহুডের ফিলোসফি নিয়া অন্যকোথাও আলোচনা করতে আমি আগ্রহী, এই পোস্টে না।
৪২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১:২৩
পিটার প্যান বলেছেন: @ নরাধম, আপনার বস ওয়েট্রেসের বুক পাছার বর্ণনা দেয় কিন্তু সমাজের সব সমস্যার মূল হিসাবে টার পোসাক, তার নারীত্বকে দোষারোপ করে তাকে বস্তাবন্দী করতে চায় না। যারা চায় তারা বেশিরভাগই অবদমনের স্বীকার।
@ মজলুম, কুতুব সাহেব আর আমেরিকার নারীবাদী নেওমি দুজনেই নারীর পণ্যায়নের কথা বলেছেন। দুজন দুই পারস্পেকটিভ থেকে। নেওমি নারীর স্বাধীনত হরণ না করে তাকে পণ্য না হতে বারণ করছে আর কুতুব সাহেব তাকে বস্তাবন্দি করে গৃহে পুরুষের অধীন রাখতে চায়। দুটার মধ্যে স্পষ্টতই পার্থক্য আছে। দুজনের বক্তব্যকে এক করে দেখলে সেটা হবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
১১ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৭
পারভেজ আলম বলেছেন: বিষয়টা শ্রেফ বস্তাবন্দী করা নিয়া না। একজন নারীবাদীর প্রেরণা হইল নারী কল্যান, নারী মুক্তি ইত্যাদি। আর যৌন বিকারগ্রস্থের প্রেরণা হইল অন্ডকোষীয় নারী বিদ্বেষী ধর্ষকাম।
৪৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪৬
মজলুম বলেছেন: @পিটার প্যান,
কুতুব নারীদের পন্যের আসনে নয়, বস্তাবন্দী ও নয়, মায়ের আসনে দেখতে চায়, সেই মায়ের আসনে থেকেই সুসংগঠিত ফ্যামেলী প্রথা চায়।
কুতুবের দর্শন ও ব্রাদারহুডের মিশরে স্বৈরাচার উৎখাতে নারীরা আপনারদের সো-কলড ভিউ নারীরা বস্তা বন্দী নয়, হিজাব বোরকা পরেই রাজপথে নেমেছে। মিশর যতই ধর্মের দিকে ঝুকছে বর্তমানে, ততই নারীদের শিক্ষার হার বাড়ছে। মিশরের কলেজগুলোতে বর্তমানে পুরুষের চাইতে নারীদের সংখ্যাই বেশী।
নওমী ওলফের এই আর্টিকেলটা পড়ে দেখুন, দ্যা মিডল ইস্ট ফ্যামিনিস্ট রেভ্যুলুশান
৪৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৫৬
নরাধম বলেছেন: পিটার প্যান, চমৎকার বলেছেন। কিন্তু যৌন অনদমনে আক্রান্ত লোক কি এটাই চাইবেনা যে মেয়েরা আরো উন্মুক্ত হোক? তাতে তো তার চোখের চাহিদা মিটবে আর সেক্সের স্বাধীনতা থাকলে সে কানকাড়ি অবদমন থেকে মুক্তিও পাবে। যৌনঅবদমিত লোক কেন চাইবে মেয়েরা বোরকা পড়ে ঘুরুক? এতে তার লাভ কি? পিয়রলি অর্থনীতির দৃষ্টিভংগী থেকে দেখলে বলতে পারি যে যৌনতার যোগানের অভাবে সে ভুগতেছে, তাই সে যৌনতার চাহিদার সাথে মিলিয়ে যোগান বাড়লে তো সে খুশি হওয়ার কথা, কেন সে নারীদেরকে বাক্সবন্দী করতে চাইবে? যোগান বাড়লে সে কম এফর্টে সস্তায় তার যৌন চাহিদা স্যাটিসফাই করতে পারবে। তাই নয় কি? আর মেয়েরা উন্মুক্ত হলে তার চোখের চাহিদাও মিটল।
অফটপিক: আমি ধার্মিক, তবে নারীদেরকে বস্তাবন্দী করতে চাইনা। বিদ্যমান সমাজের সংজ্ঞাঅনুসারে প্রচলিত শালীনতার সাথে চাকরি-বাকরি-যুদ্ধ-বিগ্রহ সবই করুক, আপত্তি নাই, বরং তার ঈশ্বরপ্রদত্ত সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা এবং কেউ বাঁধা দিলে তাকে প্রতিহত করার চেষ্টাকে ঈমানী দায়িত্ব মনে করি। তবে আমার বিশ্বাস বা মতামত এখানে প্রাসংগিক না, আমি পিয়রলি যুক্তির খাতিরে বলছি।
১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৪৫
পারভেজ আলম বলেছেন: নরাধম বলেছেন: পিটার প্যান, চমৎকার বলেছেন। কিন্তু যৌন অনদমনে আক্রান্ত লোক কি এটাই চাইবেনা যে মেয়েরা আরো উন্মুক্ত হোক? তাতে তো তার চোখের চাহিদা মিটবে আর সেক্সের স্বাধীনতা থাকলে সে কানকাড়ি অবদমন থেকে মুক্তিও পাবে।
----------------------------------------------------------------
এটা যৌন অবদমনের ফলাফল হিসাবে খুব ভুল ব্যাখ্যা। আপনি আবারো যৌন কামনা আর যৌন অবদমনের ফলে যৌন বিকার বা ধর্ষকামকে এক করে ফেলছেন। এবং এই দুইয়ের রাজনৈতিক প্রকাশও খুবি ভিন্ন আর সেইখানেই আমাদের আলোচনার জায়গা।
৪৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:২৫
পিটার প্যান বলেছেন: @ মজলুম,
কুতুব নারীদের পন্যের আসনে নয়, বস্তাবন্দী ও নয়, মায়ের আসনে দেখতে চায়, সেই মায়ের আসনে থেকেই সুসংগঠিত ফ্যামেলী প্রথা চায়।
হা হা .. সুগার কোটিং করে কি লাভ? ব্রাদার হুডের সেই প্রথায় সমাজে নারীর ভূমিকা কি থাকবে তা আপনি আমি দুজনেই ভাল করে জানি। আল্টিমেটলি নারীদেরকে অন্দরমহলেই থাকতে হবে পুরুষদের হুকুমদাসী হিসাবে।
কুতুবের দর্শন ও ব্রাদারহুডের মিশরে স্বৈরাচার উৎখাতে নারীরা আপনারদের সো-কলড ভিউ নারীরা বস্তা বন্দী নয়, হিজাব বোরকা পরেই রাজপথে নেমেছে।
- আন্দোলনের পুরো কৃতিত্ব ব্রাদারহুডকে একাই দিয়ে দিচ্ছেন, কাহিনী কি? ব্রাদারহুডের চেয়ে আম-জনতার কৃতিত্বই বেশী।
মিশর যতই ধর্মের দিকে ঝুকছে বর্তমানে, ততই নারীদের শিক্ষার হার বাড়ছে। মিশরের কলেজগুলোতে বর্তমানে পুরুষের চাইতে নারীদের সংখ্যাই বেশী।
- মিশরে কলেজগুলাতে নারীদের সংখ্যা বেশী সেটা নিশ্চয়ই এই দুমাসে হয়নি। সেটা যদি হয়েই থাকে তবে সে কৃতিতে মুবারকের নয় কেন? তার শাসন আমলেই তা হয়েছে।
৪৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:২৯
পিটার প্যান বলেছেন: @ নরাধম,
কিন্তু যৌন অনদমনে আক্রান্ত লোক কি এটাই চাইবেনা যে মেয়েরা আরো উন্মুক্ত হোক? তাতে তো তার চোখের চাহিদা মিটবে আর সেক্সের স্বাধীনতা থাকলে সে কানকাড়ি অবদমন থেকে মুক্তিও পাবে। যৌনঅবদমিত লোক কেন চাইবে মেয়েরা বোরকা পড়ে ঘুরুক? এতে তার লাভ কি?
চাইবেনা এই কারণে যে তার মনের গভীরের প্রবল ইচ্ছাকে বাস্তবে রুপ দিতে সে সক্ষম না। সেটা হতে পারে তার সামাজিক বিধি নিষেধের কারণে ধর্মীয় নৈতিকতার কারনে, বা শারিরীক অক্ষমতার কারণে, মানসিক দৌর্বল্যের কারণে। তাই তার অক্ষম রাগটি গিয়ে পরে মেয়েটির উপর।
৪৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ৯:৫৪
মজলুম বলেছেন: @পিটার প্যান,
হা হা .. সুগার কোটিং করে কি লাভ? ব্রাদার হুডের সেই প্রথায় সমাজে নারীর ভূমিকা কি থাকবে তা আপনি আমি দুজনেই ভাল করে জানি। আল্টিমেটলি নারীদেরকে অন্দরমহলেই থাকতে হবে পুরুষদের হুকুমদাসী হিসাবে।
ব্রাদারহুড কি করবে সেটা আমি জানি, আপনি জানে না। উপরে দেওয়া নোয়ামি উলফের আর্টিকেলটা দেখুন, ওখানে আপনাদের কিছু রুপকথা এবং স্টেরিও টাইপকে ধারন করে জাবর কাটাকে ডিবান্ক করা হয়েছে।
নোয়ামি উলফের ভাষায়, Among the most prevalent Western stereotypes about Muslim countries are those concerning Muslim women: doe-eyed, veiled, and submissive, exotically silent, gauzy inhabitants of imagined harems, closeted behind rigid gender roles. So where were these women in Tunisia and Egypt?
তাছাড়া তিউনিশের ইসলামিক পার্টি আন-নাহদাকে দেখুন, বিজয়ের পর কোতায় নারীদের বস্তাবন্দী করা হয়েছে? স্টোরিওটাইপ চিন্তা চেতনা হতে বেরিয়ে আসুন।
- আন্দোলনের পুরো কৃতিত্ব ব্রাদারহুডকে একাই দিয়ে দিচ্ছেন, কাহিনী কি? ব্রাদারহুডের চেয়ে আম-জনতার কৃতিত্বই বেশী।
ব্রাদারহুডকে সব কৃতিত্ব দেই নাই, বলছিলাম আপনার সো-কলড স্টোরিও টাইপড বস্তাবন্দী হয়ে নয়, হিজাব বোরকা পরেই নারীরা রাজপথে নেমেছে, আপনি শুনলে অখুশী হতে পারেন, সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে মিশরের ৭৬% লোকই শরিয়ার শাসনের পক্ষে
- মিশরে কলেজগুলাতে নারীদের সংখ্যা বেশী সেটা নিশ্চয়ই এই দুমাসে হয়নি। সেটা যদি হয়েই থাকে তবে সে কৃতিতে মুবারকের নয় কেন? তার শাসন আমলেই তা হয়েছে।
হিহিহি, ১৯৯০ এর পর থেকেই মিশরীরা ধর্মের ধিকে ধীরে ধীরে ঝুঁকে পড়ে, ব্রাদারহুড সহ সালাফিরাও ছিলো এর কর্নারস্টোন। ধর্মের দিকে ঝুকার কৃতিত্ব যেহেতু মুবারক মিয়ার নাই সেহেতু ধর্মের দিকে ঝুকার সাথে সাথে নারীদের শিক্ষার হার বাড়ার উপর ও তার কৃতিত্ব নাই। ব্যাপারটা সিম্পল। মিশরে ব্রাদারহুড সম্পর্কে আপনার ধারনা কম বা কিছু স্টোরিওটাইপ হতে পারে। মিশরে বর্তমানে সবচেয়ে সুসংগঠিত দল কিন্তু এই ব্রাদারহুড, ব্যান, নির্যাতন নিপিড়ন, জেল জুলুমে কাজ হয় নাই গত ৮০ বছর ধরে। বিশ্লেষকদের মতে, তিউনেশিয়ার আন-নাহদার মতো মিশরেরও ব্রাদারহুড সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে।
৪৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৯
পিটার প্যান বলেছেন: @মজলুম,
আপনার জানাটা শেয়ার করেন। জাইনা কিছু জ্ঞান লাভ করি। খালি ঝোপের আশপাশ দিয়া পিটাইতেছেন। ব্রাদারহুড একটা মৌলবাদী দল আর তারা নারীদের কিভাবে দেখতে চায় সেটা ভালোই জানা আছে।
আপনি আলাদা পোস্ট দেন। জেনে কৃতার্থ হই।
৪৯| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:১৫
মজলুম বলেছেন: @পিটার, আপনে খালি তালগাছ ঝাকড়াচ্ছেন, তাগো অফিসিয়াল ওয়েবের উইমেন সেকশানে গিয়া দেখেন এবং জ্ঞান লাভ করেন। যদিও আপনে অনেক কিছু জানেন, ব্রাদারহুড নারীদের কিভাবে দেখে।
৫০| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১১:৩৩
রাজসোহান বলেছেন: কোপাকুপি পোস্ট!
তয় বাল দেবতা
৫১| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৩
শয়তান বলেছেন: ইট রাইখা গেলাম । পরে আসতেছি
৫২| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:০২
সাকিন উল আলম ইভান বলেছেন: ঠেলা দিলাম । আইতাসি ।
৫৩| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১:১৭
দ্বিতীয়নাম বলেছেন: ধার্মিক পুরুষের কুন দোষ নাই, সব দোষ ঐ ইভের
৫৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৩
পাদুকা বলেছেন:
অসম্ভব ভাল পোস্ট। শেয়ার করে ফেললাম ভাই।
৫৫| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০৭
নাজনীন১ বলেছেন: মজলুমের পারফরমেন্স তুঙ্গে!! ভাল ভাল। কিন্তু আসল নিকে কথাগুলো কইলে কি খুব অসুবিধা ছিল? ভাইবা দেখতারেন ডা: রাগ ইমনের একনিষ্ঠ ভক্ত!
৫৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৫
ভুদাই বলেছেন: মজা পেলুম। কারন শেষমেশ সাইয়াটাও আইসা পড়ছে। একেবারে সোনায় সোহাগা। আরো মজা পেলুম সবাই দেখি এক দিকের লোক। ভালূ ভালু তোরা নিজেরা নিজেরা আনন্দে থাকলে ভালোই।
৫৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪৪
পিটার প্যান বলেছেন: @ মজলুম,
He pointed out that the Muslim Brotherhood has the highest representation of women compared to other similar organizations
জামাত, হিজবুত, খিলাফত, ইসলামী ঐক্যজোটের মধ্যে জামাতের মহিলা পার্টিসিপেশন সবচাইতে বেশী। তাই প্রমানিত হইল জামাত নারীমুক্তি আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। খ্যাক খ্যাক।
আর মিশরে ধার্মিক বাড়া মানেই তারা সবাই দলে দলে ব্রাদারহুডে যোগ দিচ্ছে নাকি? বাংলাদেশেও মেয়েদের শিক্ষার হার অনেকগুন বাড়ছে এবং বাংলাদেশেও ধার্মিক লোকজনের সংখ্যা অনেক বাড়ছে। সেই ক্রেডিট তাইলে সব জামাতের। আবারও খ্যাক খ্যাক।
৫৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:৪১
মজলুম বলেছেন: মাইলস্টোনস কি-
১। বিধর্মীদের পতিত, দুর্নিতীগ্রস্থ, দুশ্চরিত্র ইত্যাদি হিসাবে চিহ্নিত করেনাই?
২। ইসলামকেই একমাত্র সমাধান হিসাবে দাবি করেনাই?
৩। ইসলাম রক্ষায় শুধু রক্ষনাত্বক না বরং ইসলাম প্রচারের জন্যে আক্রমনাত্বক জিহাদএর পক্ষে যুক্তি দেয় নাই?
৪। আকুন্ঠভাবে ইসলামী শরিয়া আইনের সমর্থন করেনাই?
৫। বিধর্মীর রক্তপাত ছাড়া জিহাদ হয় কি? ইসলামি শরিয়া আইন ইসলাম প্রচারে বিধর্মীর রক্তপাতে অনুমতি কি দেয় না?
আবারো সেই লারে লাফ্ফা,
১: বিধর্মীদের নয়, পশ্চিমিদের সিস্টেমকে পতিত, করাপ্ট এবং জাহিলিয়াত বর্ননা করেছেন।
২: উনি ইসলামী আন্দোলনের কর্মী, তো কাকে একমাত্র সমাধান দাবী করবে? হালাকু খানের মতো কি, আইন ব্যবস্হায় একটু খ্রিষ্টিয়, একটু ইহুদী, একটু ইসলামিক, একটু প্যাগান মিক্স করবে নাকি?
৩:ইসলাম রক্ষায় শুধু রক্ষনাত্বক না বরং ইসলাম রক্ষার জন্যে আক্রমনাত্বক জিহাদের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে
৪:ইসলামি শরিয়া হলো, ইসলামি আইন ব্যবস্হা, তো ইসলামী আইন ছেড়ে কোনটা আকুন্ঠভাবে সমর্থন করবে?
৫: বিধর্মীর রক্তপাত ছাড়া জিহাদ হয় কি? ইসলামি শরিয়া আইন ইসলাম প্রচারে বিধর্মীর রক্তপাতে অনুমতি কি দেয় না?
৫ নাম্বারের বোল্ড করাটা আপনি নয়, আসিফ লেখলে মানাতো দারুন। মিশর তখন ইসরাইলের সহ পশ্চিমা ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের সাথে সুয়েজ খাল নিয়ে যুদ্বরত। আগ্রাসীদের ঠেকাতে জেহাদেরই ডাক দিয়েছে সাইয়েদ কুতুব। আগ্রাসীদের ঠেকাতে ওদের রক্তপাত হলে এটাকে বিধর্মীদের রক্তপাত করা কেমনে হয়?
মিশরে কপটিক খ্রিষ্টান প্রচুর, ওরা মিশরেরই লোক। সে যদি বলতো কপটিক খ্রিষ্টানদের হত্যা করো, তারা বিধর্মী ওদের রক্তপাত করো, তাহলে বলা যেতো সে বিধর্মীদের রক্তপাত চেয়েছিলো। তিনি কি সেটা করেছেন?
অথচ আপনি বলছেন, তিনি এতটাই শরিয়াকেন্দ্রীক ইসলামিস্ট হয়া উঠেন যে বিধর্মীদের হত্যা করার শরিয়তী বিধানের পক্ষে যুক্তি দিয়া লেখালেখী শুরু করেন,
৫৯| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:০০
মজলুম বলেছেন: @পিটার, মিশরের লায়লা আহমাদ, হার্ভার্ড ইউনির প্রফেসর, তার বই A Quiet Revolution: The Veil's Resurgence, from the Middle East to America. তে তিনি বিস্তারিত লিখেছেন কিভাবে ১৯৯০ এর পরে মিশরীরা ধীরে ধীরে ধর্মের দিকে ঝুঁকে পড়ে। উনার ভাষায়, ১৯৫০/৬০ এর দশকে মিশরে বোরকা পরা নারী প্রায় পাওয়ায় যেত না।
এই ব্লগে সবার মাঝে একটা অভ্যাস হলো, সবকিছুর মধ্যে জামাতকে ঢুকিয়ে সবকিছু ঘোলা করে দেওয়া। এটার ধিক্কার দিয়া গেলাম।
@নাজনীন, আমার এক নিক মডু বাতিল করে দিয়েছে, আর http://www.somewhereinblog.net/blog/tasinblog এই নিকটার কমেন্ত ব্যান আছি ২০০৭ সাল থেইকা। দুই বছর ব্লগে ছিলাম অনিয়মিত। আমারব্লগ ডট কমে মজলুম নিক ছিলো, ব্লগার অপবাকের রাসূল (সঃ) কে নিয়ে রমজান মাসের মিথ্যা পোষ্টা ধরায়া দিছিলাম আমারব্লগ ডট কমে। অনেক ফাইট হইছিলো আমার আর অপবাকের মাঝে। কয়েকমাস আগে গিয়ে দেখি লগইন করতে পারতেছিনা। আমার ব্লগটাও হাওয়া হয়ে গেলো। তাই এখন সামুতে আছি।
৬০| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২৭
রবিনের প্রান "বাংলাদেশ" বলেছেন: পারভেজ ভাই ভাল বলেছেন ঃ "আধুনিক কালের বিবাহের বয়স নিয়া বাস্তব চিন্তা ভাবনা এবং যুগোপযোগি যৌন নৈতিকতার নির্মান ও ছোটবেলা থেইকাই স্কুলে তা শিক্ষা দেয়া এই মুহুর্তে অত্যন্ত জরুরি।
ভাবতে হবে, আরো ভাবতে হবে অবশ্যই। আমাদের সবারই ভাবতে হবে।"
নারীরে বেশ্যা বানায়া 'যৌন অবদমন'এর নিদান হবেনারে....... কি করলে সমস্যার সমাধান হবে সে বিষয়ে বিস্তারিত থাকলে ভাল হত। আরেকটা সমস্যা আপনার চোখ এরিয়ে গেছে কিনা জানি না এই যৌন অবদমন সমস্যা কিন্তু নারীরো আছে । বিশেস করে বিত্তবান , বিধবা বা সঙ্গি হিন অনেক নারির মধ্যেই ধর্শকাম প্রবিত্তি দেখা যায় ।
পুজিবাদ কেন্দ্রিক নগর সভ্যতায় লৈংগিক সমস্যা প্রকট হয়ে উঠে পুরশ নারি উভয় কেই পন্য করে তোলে - আসল মানুস টাকে নিভিয়ে দিয়ে । এটা শুধু ব্যক্তিগত উদ্যগে নিরাময় যোগ্য নয় বরং এজন্য সামাজিক কমিটমেন্টো দরকার ।এক্ষেত্রে সঠিক যৌন শিক্ষা , লৈংগিক আচরন , সঠিক আধ্যাতিক শিক্ষা দরকার ১২/১৩ বছর থেকেই । এর বাস্তবভিত্তিক চর্চা এক সময় সুস্থ লৈংগিক আচরনের প্রচলন ঘটাবে ।
৬১| ১২ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৬
পাগলা সন্নাসী বলেছেন: নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে অপরের চরিত্রহানী করা থেইকা বিরত হন।[/sb
এই লাইন্টা দিয়ে সেসব বীরপুরুষ, মহাপুরুষ এর চরিত্র সহজেই ব্যাখ্যা করা যায়
৬২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ৩:১৬
চন্দ্রগ্রহণ বলেছেন: পারভেজ ভাই, আপনার বক্তব্য বা উপস্থাপনটা হয়তো ব্লগের কিছু পোস্টের সাপেক্ষে প্রাসংগিক তবে আমি অন্যরকম মনে করি।
প্রথমত ইব্রাহিমী ধর্মের প্রসংগ। তখনকার নবী ইলিয়াসের সাথে ইশেবল এর মূলত রাজনৈতিক দন্দ্বতাকেই পরবর্তি বাইবেলে তাকে বেশ্যা বা চরিত্রহীনা সাজানোর মূল কারন বলে মনে হইছে। রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দীর চরিত্রের ডাল মে কালা লাগায় দেয়া একটা খুবই পুরনো কৌশল আর সে যদি নারী হয় তাইলে তো কথাই নাই। নারী ভার্সেস নারী হইলেও একই কৌশল। আর এখানে ধর্মের লড়াই ব্যপারটাকে আরও অবশ্যম্ভাবি করে তুলছে কারন এতে করে ইশেবলের দেবতাদেরও ল্যাং মারা সহজ হইছে। এইখানে যৌন অবদমন বা বিকারগ্রস্থতার চেয়ে চিরাচরিত পুরুষতান্ত্রিকতাই কি মুখ্য নয়?
দ্বিতীয়ত কুতুব সাহেব প্রসংগ। ওনার ইতিহাস আমি তেমন কিছু জানিনা তবে আপনার উল্লেখিত লাইন গুলি যদি তার শুধু অবজারভেশন হয়ে থাকে তাহলে আমি তো কোন অবদমিত যৌন আকাঙ্খা দেখিনা যদিনা তিনি তাদের চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করে থাকেন অথবা ওদের সবাইরে জোর করে ঢাকতে চান। তবে এটা ওটা দেখা যায় বলে জোর করে বোরখা বন্দি করাটাকে কি গনহারে অবদমিত যৌন আকাংখা বলা যায়? আমি তো অনেক কে দেখি অন্যে মেয়েরা যাই পরুক নিজের পরিবারের মেয়েদের বোরখা পরা নিয়েই বেশি তৎপর। (আমি কিন্তু জনাব কুতুবকে নিয়ে চিন্তিত নই)।
তবে লেখার শানে নুযুল ও উদ্দেশ্য কিছুটা বুঝতে পারছি মনে হয়। উপরের প্রসংগ গুলা হয়তো সে কারনেই আসচে। আসল কথা যা বলছেন তার উপর কোন কথা নাই।
৬৩| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:২৬
ম্যাভেরিক বলেছেন: "ইশেবলএর চরীত্র বিশ্লেষন ‘যৌন’ নৈতকতা সম্পর্কৃত শব্দের অধিক ব্যবহারের কারন খুজে দেখা দরকার। এইখানে পুরুষতান্ত্রিকতার সাধারণ চারিত্রিক বৈশিষ্টই শুধু প্রবল এইটা আমার মনে হয়না। বরং ‘যৌন অবদমন’এর হাইপোথিসিস আমার কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে হয়। ইশেবল শুধুমাত্র ইলিয়াসের তাত্ত্বিক বা ধর্মীয় প্রতিদ্দ্বন্দীই ছিলেন না, ছিলেন ইলিয়াস অথবা সংশ্লিষ্টদের যৌন অবদমন সৃষ্ট ‘রাজনৈতিক ক্রোধ’এর স্বিকারও বটে। বাদশানামায় বর্ণীত ইলিয়াস এবং সমসাময়িক নবীরা সন্যাসব্রত পালন করতেন বলে দেখা যায়। এই সন্যাসব্রত ভারতীয় সন্যাসব্রতের মতো না, যৌনতার ক্রম অবদমনের কোন সাধন পদ্ধতিও এই সন্যাসএ অনুসরণ করা হইতো বলে জানা যায়না। সুতরাং এইসব সন্যাসী নবীদের নানান উপদেশ, আদেশ, নির্দেশ তা ধর্মীয় বা রাজনৈতিক যাই হউক না কেন তাতে যৌন অবদমনের ছাপ খুইজা পাওয়া যাওয়া অস্বাভাবিক না। ঘর সংসার ত্যাগী ইলিয়াস এর ‘অবদমিত যৌনতা’র সামনে বিত্ত্ব, বৈভব, সৌন্দর্য আর রাজনৈতিক ক্ষমতায় ক্ষমতাধর একজন নারী যখন একিসাথে ধর্মীয় প্রতিদ্বন্দী হয়া উঠেন, তখন এই অবদমিত যৌনতা থেইকা তৈরি হওয়া ক্রোধ সমালোচনা থেইকা যৌনতারে দূরে রাখতে অপারগ হয়। সমালোচনায় দরকার ছারাই তখন উইঠা আসে নানান যৌন নৈতিক শব্দ, সেক্সিস্ট গালি। বেশ্যা, খানকি ইত্যাদি শব্দের মাধ্যমে নারী প্রতিপক্ষকে ধর্ষন কইরা যৌন অবদমনের সামান্য নিদান লাভের সুযোগ হয়। কিন্তু আসল নিদান লাভ হয়কি?"
নবী ইলিয়াসের যৌন অবদমন থেকে ক্রোধ হাইপোথেসিসটি অত্যন্ত চমকপ্রদ সন্দেহ নেই, তবে সুপ্রাচীন ইতিহাসের পর্যালোচনায় এরূপ হাইপোথেসিস হঠকারী রকমের সরলীকরণ বিবেচিত হবার অবকাশও রাখে। যা হোক, আপনার হাইপোথেসিসের সমর্থনস্বরূপ, সংসার-ত্যাগী ইলিয়াস ‘অবদমিত যৌনতা’ তাড়িত হয়ে রাণী ইশবেলের সমালোচনায় যৌন নৈতিক শব্দ, সেক্সিস্ট গালি, বেশ্যা, খানকি, বা অনুরূপ কোনো শব্দ সমগ্র বাইবেলের কোথাও অন্ততঃ একবারও উচ্চারণ করেছেন, এরূপ রেফারেন্স দিতে পারবেন?
সরলীকরণ ছাড়াই অবশ্য আপনার পোস্টের উদ্দেশ্য আরো জোরালো বোঝা যেত।
৬৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৫৬
অলসমস্তিষ্ক৭৭৭ বলেছেন: ৪। জনৈক বুদ্ধিজীবীর কোন লেখা ইসলাম বিদ্বেষী মনে হওয়ায় তার আম্রিকা প্রবাসী কন্যার ফেসবুক থেইকা ছবি সংগ্রহ কইরা সেই মেয়েরে বেশ্যা, দুশ্চরিত্রা ইত্যাদি ভুষনে অভিহিত কইরা তার বাপেরে একহাত দেইখা নেয়া।
kothathikকথা ঠিক
৬৫| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:২২
ওঙ্কার বলেছেন: হ! ভালো লেখা..
৬৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:৩৬
লিন্কল্ন বলেছেন: ধন্যবাদ
৬৭| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ২:০১
poloy বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ
৬৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ২:২১
অবাঞ্চিত বলেছেন: ইসলাম সম্পর্কে না জাইন্যা কথা কস ক্যান? সামনে আয়, দেখবি ক্যাম্নে কথা কইতে হয় শিখায়ে দিমু
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১২ বিকাল ৪:২৪
পারভেজ আলম বলেছেন: কি জানিনা একটু জানায়া দিয়া যান গো ভাইডি। আর সামনে কই আমু সেইডাও কইয়া যান, কথা কওয়া শিখতে চাই।
৬৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৫২
ভালবাসি তোমায় বলেছেন: চরম লেখা হইছে, পারভেজ ভাই। +++
১৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:০০
পারভেজ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭০| ১১ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ৯:৪২
জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: দুর্দান্ত পোস্ট ভাই।বাংগালী জাতিরও যৌনতা নিয়ে কিছু মানসিক সংকীর্ণতা কাজ করে।এটা নিয়েও আপনার একটা লেখা আশা করছি।
বিবাহিত জীবনের জন্য শুভকামনা।
১৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:০২
পারভেজ আলম বলেছেন: এ বিষয়ে আমার একটা ধারাবাহিক লেখা আছে তোঁ। মূলত সেইটা ইভটিজিংএর কারন অনুসন্ধান বিষয়ে হইলেও যৌনতা নিয়া বাঙালি জাতির মন মানসিকতা বিষয়ে আলোচনা আছে।
প্রথম পর্বের লিংক - Click This Link
১৬ ই মার্চ, ২০১২ রাত ১২:০২
পারভেজ আলম বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
৭১| ১০ ই জুলাই, ২০১২ রাত ১২:৫১
আলফা-কণা বলেছেন: +
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫৪
কবুতর সন্ধানী বলেছেন: পারভেজ ভাই কেমন আছেন?
লেখা এখন পড়ি নি, তবে পছন্দের পোস্ট করে লেখছি। পরে পড়ব।
আর আপনার এই লেখায় জানিয়ে দিচ্ছি সবাইকে,
দুটি সামু গ্রুপের জন্য মেম্বার চাই।
আপানদের অনুরোধ মেম্বার হবার জন্য।
১. নিরাপদ সড়ক চাই
২. নারী